আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
০৪ সেপ্টেম্বর, রবিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।হঠাৎ করেই ফেসবুকে কারাগার এই ওয়েবসাইটটি নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, আমি চেষ্টা করেছি বেশ কয়েকবার দেখার জন্য, অবশেষে আমি সবগুলো পর্ব ডাউনলোড করতে সক্ষম হয় এবং আপনাদের সামনে রিভিউ করার জন্য চলে এসেছি, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
নির্মাতা ও পরিচালক | সৈয়দ আহমেদ শাওকি |
---|---|
গল্প লেখক ও চিত্রনাট্য | নেয়ামত উল্লাহ মাসুম |
পর্বের সংখ্যা | ৭ |
ধরন | রোমাঞ্চ |
চঞ্চল চৌধুরী | ইন্তেখাব দিনার |
---|---|
তাসনিয়া ফারিণ | এফএস নাঈম |
বিজরী বরকতুল্লাহ | আফজাল হোসেন |
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় | সহ আরো অনেকে |
এই ঘটনা মূলত বাংলাদেশের একটি কারাগারে নিয়ে, কারাগারের একদম শেষ কক্ষ আজ থেকে ৫০ বছর আগে সিল করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, শত বছরেও সেখানে কাউকে রাখা যায়নি। হঠাৎ করেই সেই কক্ষে একজন আসামী দেখা যায়, সে দাবি করছে ২৫০ ধরে সে কারাগারে বন্দি সে মীরজাফরের হত্যাকারী।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
ঘটনায় কেমন যেন জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, একটা মানুষ কিভাবে ২৫০ বছর ধরে কারাগারে বন্দী থাকতে পারে, গত ৫০ বছরে যে কক্ষ বন্ধ ছিল সেই কক্ষে কিভাবে একটি মানুষ থাকতে পারে খাওয়া-দাওয়া ছাড়া। তো চলুন শুরু করি আজকের রিভিউ।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
ঘটনা শুরুতেই দেখতে পাই এই কারাগারের সবথেকে পুরনো আসামী যে কিনা এখানকার বড় জাল্লাদ। সে আরও তিনজনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জাল্লাদ হবার জন্য, সে একটু একটু আধ্যাত্মিক এবং বেশ রোমাঞ্চকর একটি ক্যারেক্টার। সে এখানকার সবথেকে পুরনো মেম্বার এই কারাগারের।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
কারাগারে প্রতিদিন রাতের বেলা কতজন কয়াদি রয়েছে তাদেরকে গণনা করা হয়, আজ নতুন একজন পুলিশ জয়েন করেছে তাই এই দায়িত্ব তার কাঁধে পরল সে পুরো কারাগার ঘুরে সবগুলো কয়েদির সংখ্যা গুনে খাতায় লিখে নিয়ে আসলো।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
সে একজন কয়েদি বেশি গণনা করে নিয়ে এসেছে, এজন্য তাকে আরেকবার গণনা করতে পাঠানো হয়। কারাগারে বেশ বড়সড় একটি ঝামেলা চলছিল তাই এই ঘটনার বিষয়ে খেয়াল করা হয়নি। যখন সকল কনস্টেবল একসাথে বের হচ্ছে তখন একজন কয়েদি বেশি হওয়ার কথাটি বলা হয়। পুরনো পুলিশ রা বিষয়টি নিয়ে হাসি তামাশা করল, তারা বাজি লাগলো নতুন পুলিশ একজনকে বেশি করেছে।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
তাদের বাজি হল বিরিয়ানি খাওয়ার, তৃতীয়বারের মতো সকল কয়েদিকে গোনা হলো। ঠিকঠাক গণনা হলে তারা বেশ হাসি তামাশা করতে থাকলো। কিন্তু নতুন পুলিশ বলল একটা রুম এখনো বাকি আছে সেখানে সবাই অবাক হয়ে গেল কারণ সেটি গত ৫০ আগে থেকেই বন্ধ ছিল।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
তারা সঙ্গে সঙ্গে বড় অফিসার কে ফোন করল, সকল ঝামেলার মধ্যে নতুন আরেকটা ঝামেলা তৈরি হলো। তালা ভেঙে ভেতরে আসার পর দেখা গেল সত্যিই একজন মানুষ কিন্তু তার শরীরের কাপড় এবং অন্যান্য জিনিস দেখে এই কারাগারের মনে হচ্ছে না। রহস্যজনক ভাবে লোকটিকে উদ্ধার করা হয়।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
তিনি একদমই কোনো কথা বা শব্দ করছিল না, সারারাত তাকে তুমুলভাবে পেটানো হয় , তাকে নিষ্ঠুর ভাবে অত্যাচার করা হয় কিন্তু সে মুখ দিয়ে একটি শব্দ করেন না , অসহায়ের মতো শুধু তাকিয়ে থাকত। অত্যাচার করার পর তাকে বিভিন্ন থেরাপি দেয়া শুরু করে কিন্তু সে কোন শব্দই করেন না।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
শেষ রাতে একজন পুলিশ তার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়, যেই পুলিশ তাকে সব থেকে বেশি পিটিয়েছিল এবং অত্যাচার করেছিল, সে রাতের বেলা রাস্তায় ভয়ানক ভাবে অ্যাকসিডেন্ট করে। ব্যাপারটি চারদিকে জানাজানি হয়ে যায়। এখন আর কোনো পুলিশ এই অদ্ভুত আসামিকে অত্যাচার করার সাহস পায় না।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
পুলিশ এবং অন্যান্য কয়েদিরা মনে করতে থাকে এটা কোন মানুষ না জিন ভূত, তাই তারা তাঁর কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকে। হঠাতেই একজন অফিসার তার কাছে আসলে জানতে পারে সে কানে শোনে না বা কথা বলতে পারে না, অফিসারের খুবই খারাপ লাগলো কারন সারারাত এত অত্যাচার করা হয়েছে এই অসহায় মানুষটির উপর যে কিনা কথাই বলতে পারে না সে কিভাবে অত্যাচার করার পর কথা বলবে তাই ভেবে খুবই খারাপ লাগছিল।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
জেল সুপার জানতে পারে এই আসামি কথা বলতে না পারলেও লিখতে পারে, তাকে খাতা কলম দেয়া হলে সে ফরাসি ভাষায় কিছু একটি লিখেছে। তাই পুলিশ তার বন্ধুর মাধ্যমে একজন ট্রান্সলেটর নিয়ে আসে যে কিনা মানুষের ইশারা ইঙ্গিতে কথা বুঝতে পারে। যেহেতু এই আসামি সম্পর্কে কেউ জানেনা তাই কাউকে জানানো সম্ভব না তাই ব্যাপারটা বেশ সিক্রেট। অন্য কেউ জানাজানি হলে বেশ মিডিয়ার কাছে চলে যাবে খবর এবং অনেক বড় একটি তামাশা হয়ে যাবে।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
এই দৃশ্যটি হয়তো আপনার ফেসবুকে অনেক ভাইরাল ভাবেই দেখেছেন। একজন ট্রান্সলেটর ইশারার কথাগুলোকে ট্রান্সলেট করছে। তখনই মূলত জানা যায় তার ২৫০ বছর আগের মীরজাফরকে হত্যা করার সেই ঘটনা। কোনভাবেই রহস্য খুলছিলোনা। বেশ ঘোলাটে এবং অবাস্তব কিছু তথ্য চলে আসলো সামনে।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
আমি জানিনা ওই দূরে কালো বোরকা পরা মহিলাটিকে, তবে কিছু রোমাঞ্চকর ঘটনা ঘটলেই এই মহিলাটিকে দেখা যায়। সে দূর থেকে আমাদের একজন পুলিশকে ফলো করে। যেকোনো ঘটনাস্থলে তাকে দূর থেকে দেখা যায়।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
ওই আসামি যেই কক্ষে বন্দি আছে সেই কক্ষে শত বছর আগে একজন গাজী ছিলেন, তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ছিল সে হঠাৎ করেই ওই কক্ষ থেকে উধাও হয়ে যায়। এই ঘটনা সবার মুখে মুখে, তাই হঠাৎ করে এরকম অদ্ভুত একজন কয়াদি দেখে তারা সেই অদ্ভুত ক্ষমতাধারী গাজীর কথা মনে করেন। তারা ভাবেন বাবা আবার ফেরত এসেছে তাই তাকে ভক্তি করা শুরু করে।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
এতো কিছু হয়ে যাচ্ছে কিন্তু জেল সুপার বড় অফিসারদের কে জানাচ্ছে না একজন অদ্ভুত মানুষ কারাগারে অবস্থান করছে। কারণ আসামিদের মধ্যে তার ছেলে ও একজন রয়েছে সে চাচ্ছে না কোনরকম ঝামেলা হতে, কারন সুযোগ বুঝেই সে তার ছেলেকে বের করে নিয়ে আসবে তাই নতুন কোন ঝামেলা সে আগে থেকে তৈরি করতে চাচ্ছে না।
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে
বিভিন্নভাবে তাকে জেরা করা হচ্ছে, তিনি বিনয়ের সাথে জানতে চাইলেন ২৫০ বছরেও কি তার সাজা শেষ হয়নি তাকে আরো কত বছর সাজা খাটতে হবে, রহস্য যেন আরো গভীরে থেকে আরো গভীরে চলে যাচ্ছে, তার দেয়া প্রত্যেকটি তথ্য আরও রহস্যের জট পাকাচ্ছে।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনি অনেক সুন্দর করে চঞ্চল চৌধুরীর এই ওয়েব সিরিজটি আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। ভালই লাগলো আমার কাছে। আসলে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় সবসমইয় মনমুগ্ধকর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন তার অভিনয় করা যেকোনো কিছুই আমাদের কাছে সেরা হয়ে থাকে। তার অসাধারণ প্রতিভা আমরা সবাই পছন্দ করি ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit