প্রিয় বন্ধু আচ্ছালামুয়ালাইকুম,
আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।যখন একা হয়ে যাই তখন মন খারাপ হয়ে যায়। তখন অনেক বিষন্নতায় ভুগি, পিছনের কিছু স্মৃতি মনে পড়লে নিজের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসে। তারপর কিছু সময় পিছনকে নিয়েই ভাবতে থাকি। এটাই ভাবি কতোটাইম চোখের পানি তো পরবে কিছু সময় পর আবার ঠিক হয়ে যাবে। হ্যা আমি আজকে শেয়ার করব আমার ভার্সিটিতে কাটানো দিন গুলো।
২০১৬ সালে শুরু হইছিল আমার ভার্সিটি লাইফ, বাসা থেকে দূরে গিয়ে থাকতে হবে খাইতে হবে এই নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলাম।নতুন জায়গা কার সাথে মিশব কে ভালো কে খারাপ কিভাবে বুঝব।আমার মনে আছে মার্চ মাসে আমি প্রথম ক্লাস করছিলাম কাউকে চিনা না। ক্লাস রুমে ডুকে ভাবলাম একা একা কোথাও বসব। কিন্তু ফাকা কোন জায়গা ছিল না শেয়ার করে বসতে হলো। ছেলে মেয়ে একসাথে বসে এই বিষয়টি কেমন জেন আমার সাথে যাচ্ছিল না একটু লজ্জা লাগতে ছিল। কেননা কখনো আমি মেয়েদের সাথে শেয়ারিং করে বসি নায়। যে মেয়ের পাশে বসছিলাম সে জিজ্ঞাসা করল কি নাম তোমার। আমি নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম কেননা আমি অপরিচিত মেয়েদের সাথে কখনো কথা বলি নায়।নামটা বলে দিলাম সাথে সাথে আবার বলে কি লজ্জা পাচ্ছো। সে বুজতে পারছে এই জন্য আমার খুব ভালো লাগলো বলতে ছিল লজ্জার কি আছে আমরা বন্ধু। কোনভাবে ক্লাস শেষ করলাম। সেদিন আবার হোস্টেল সিটের জন্য আবেদন করে আসলাম। পরেরদিন হোস্টেলে থাকার সুজোগ পেলাম তখন ভাবলাম এবার কিছু বন্ধু হবে।
হোস্টেলের রুম নাম্বার ছিল ৪০৮ আমরা চারজন যদিও আমি বাকি তিনজনের থেকে অনেক দিন পরে হোস্টেলে উঠছি। তাদের মধ্য অনেক ভালো বন্ডিং খুবই ভালো বন্ধুত্ব। আমি আস্তে ওদের সাথে পরিচিত হয়ে উঠলাম । পরিচয়টা এমন হইছিল আমি ইমন,আমি দেব, আমি নাছিম সর্বশেষ আমি।কিছুদিন না যেতেই ভালো সম্পর্ক হয়ে গেলো।চারজনে মিলে ক্লাসে গেল সেই মেয়েটার সাথে দেখা আমাকে জিজ্ঞাসা করল আবির কেমন আছো। উত্তরে বললাম ভালো আছি। ক্লাস ফাকে বন্ধুদের সাথে ক্যান্টিনে গেলাম মেয়েটাও গেল। আমি একটু কথা বলার চেষ্টা করলাম নাম জিজ্ঞাসা করলাম। সে সুন্দর করে উত্তর দিল নাম মিলি।আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের নতুন সদস্য। এক মাস না যেতেই আমাদের সবার মধ্য ভালো সম্পর্ক হয়ে গেলো। মিলিও হোস্টেলে থাকে বিকালে ক্যাম্পাসে বকুল তলা আড্ডায়। একে অপরের সম্পর্কে জেনে গেলাম। এখন আমাদের সার্কেলে পাচ জন সদস্য আমরা সব সময় একই সাথে থাকি। সব কিছুতে শেয়ার খুবই ভালো লাগে। কারো মন খারাপ হলে বাকি চারজন কিভাবে মন ভালো করা যায় সে ব্যবস্থা করত।
আমার মনে আছে হোস্টেলে বসে অনেক জ্বর উঠছিল তখন রাত একটার উপরে বাজে,তখন আমার বন্ধুরা সে রাতে মেডিসিন আনতে গেছিল। সকালে মাথায় পানি দিয়ে দিছিল মিলি আমার জন্য গরম ভাত রান্না করে পাঠাইছিল। তারপর থেকে আমার ওদের প্রতি এতো মায়া তৈরী হলো যা বলে বুজানো জাবে না।আমার এই স্মৃতি গুলো খুবই কষ্ট দেয়। চার বছরে আরো কতো স্মৃতি তা লিখে শেষ করা যাবে না।
আমার ফ্রেন্ড সার্কের মধ্য ইমন জুনিয়রদের প্রেমে পরে গেলো সময় পেলেই জি এফ কে নিয়ে ঘুরতে যেত যদিও প্রথম দিকে আমাদের কাছে শেয়ার করে নায়। তবে কিছুদিন পর আমরা এমনি জেনে গেছি সবার জীবনেই প্রেম আসে কেউ ধরে রাখে আবার কেউ রাখে না।বাকি কথা ২য় পর্বে শেয়ার করব।
আমার পরিচয়
আমি আবির আমার ইউজার নাম @salmanabir আমি যুক্ত আছি বরিশাল বিভাগ থেকে। আমি একজন উদ্যোগতা এবং বাংলাদের একটা অনলাইন প্লাটফর্ম নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের জেলা প্রতিনিধি। নিজ ভাষায় লিখতে পারি বলে নিজকে অনেক ধন্য মনে করি।
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পরে।আসলে আমি যখন প্রথম ইউনিভার্সিটি ক্লাসে প্রথম যাই, তখন ক্লাসে সামনে দাড়িয়ে ছিলাম।ভাবছিলাম ক্লাসে ঢুকবো কি ঢুকবো না।অনেক লজ্জা লাগছিলো।ঐ দিন গুলোর কথা এখনো মনে পরে।ভালো ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাই। ভার্সিটি জীবন অনেক কস্টের হয় বলে আমি মনে করি।সব দিক থেকে এই সময়টাকে অনেক কিছুর সাথে মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়। আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য শুভকামনা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit