শৈশবের দিন গুলো By|@salmanabir | ১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে একটু মন খারাপ কেননা শৈশব এর কথা মনে পরে গেল। আমার গ্রামে আমরা বন্ধু ছিলাম ১৭ জন সবাই একই সাথে লেখাপড়া করতাম একই সাথে স্কুলে যেতাম। এত বড় সার্কেল দেখে সবাই ভয় পেত হ্যা ভয় পাবারই কথা কেননা একই সাথে সাতেরো ছেলে থাকা মানে অনেক কিছু।নব্বই দশকে জন্মগ্রহণ করা ছেলে গুলো তখন চিনত না ফোন।

source

তখন আমরা খেলাধুলার উপরের থাকতাম।স্কুল ছটি হত সবাই তারাতাড়ি করে বাসায় আসতাম। আমাদের গ্রামে বেশ বড় একটা খাল আছে। সেখানে সবাই মিলে ডুবাইতাম যতো সময়ে চোখ লাল না হতো ততো টাইমে উঠতাম না।মাঝে মাঝে দেখা যেত খালে কম পানি থাকার কারণে, খালের পানি খাদা হয়ে যেত। মাঝে মাঝে বাব মা মার দিত বেশী ডুবাইতাম তাই। মার খেলেও সমস্যা ছিল না পরের দিন আর সবাই এক হতাম আবার ডুবাইতাম।তখনকার সময়ের খেলাধুলার কিছু নাম বলি,রাষ্ট্র, রাষ্ট্র বেয়ারিং গাড়ি চালানো,টায়ার চালানো,পলাপলি মানে লুকোচুরি খেলা,বৌছি,কানামাছি, সাতচাড়া,এইগুলো আমাদের বেশী জনপ্রিয় ছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ সে গুলো সব স্মৃতি। আর এখনকার বর্তমান ছেলে গুলো এরা এই বিষয়ে মনে হয় কিছুই বুজে না একেবারে ভদ্র। সারাদিন গেমস নিয়ে পরে থাকে।

source

এভাবেই আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠা আমাদের কখনো নিজেদের মধ্য দ্বন্দ থাকত না মাঝে মাঝে দেখা যেত দুই একজনের সাথে তর্ক হত। আমরা বাকিরা তা মিটিয়ে দিতাম। এটাই ছিল আমাদের বন্ধুত্বের প্রধান অস্ত্র। সবার মধ্য একতা থাকাটা অনেক বড় শক্তি।

প্রাইমারী পাশ করে গেলাম তখনকার ভাগ হয়ে গেলাম কেননা সবাই এক স্কুলে ভর্তি হতে পারলাম না। আমাদের বাবা মা করায় নায় তারা তাদের মতো ভর্তি করিয়ে দিল। কি আর করার বাবা মায়ের উপরে আমাদের কথা বলার রাইট নাই কেননা তারা সন্তানের ভালো চায়।

source

সব থেকে কষ্ট পেলাম আমি একদম নতুন জায়গা নতুন সব কিছু পরিচিত কেউ ছিল না। বাবাকে বলছিলাম আমি এখানে পড়ব না ধমক দিয়ে বলে দিল এখানেই পড়তে হবে।আর কোনদিন কিছু বলি নায় প্রতিদিন স্কুলে যেতাম ফাকি দেওয়ার কোন সুজোগ ছিল না। দেন বললাম আমাকে সাইকেল কিনে দিতে হবে তা না হলে যাবো না। পাচদিন পরেই সাইকেল কিনে দিছিল। এখানেই বেশী আনন্দ ছিল এরপর থেকে ক্লাস ফাকি দেওয়ার চিন্তা বন্ধ করে দিলাম।

source

বিকালে সবাই এক হতাম। তখন কার সময় আমরা ফুটবল খেলতাম। নিজেদের মধ্য ভালো বন্ডিং থাকার কারণে আমরা সাত জনে বেশ ভালো ফুটবল খেলতাম।একটা সময় আসল স্কুল বনাম স্কুল ফুটবল খেলা হত। আমার স্কুলে আমি একা অন্য যে বন্ধু গুলো তাদের সাথে আমার ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল না কেননা তাদের সাথে আমার কখনো প্রাকটিস করার সুযোগ হয় নায়। তাই তেমন ভালো খেলতে পারলাম না।যদিও সে টুর্নামেন্টে আমার গ্রামের বন্ধুরা জিতছিল।এটাই শান্তি বন্ধু পাওয়া মানেই আমার পাওয়া।

এই সময় গুলোকে অনেক মিস করি কেন বড় হলাম কেন এতো টেনশন যদি সুযোগ থাকত আমি ছোটই থেকে জেতাম। কেননা এই জীবন অনেক কষ্টের অনেক হতাশা চারিদিকে শুধু অন্ধকার দেখি। তাই মাঝে মাঝে বিষন্নতার ভুগি।

                🌲আল্লাহ হাফেজ🌲