হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পরিবারের সকল ভাই ও বোনেরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি আপনাদের দিনকাল বেশ ভালো যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। আজকে পুরো দিনটা একদম শুয়ে শুয়ে কাটালাম একদম ভা্লোই লাগছিল না। কিছুক্ষণ বসে থাকি কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি আবার কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি এভাবে কাটলো। ল্যাপটপে কাজ কর বা মোবাইল নিয়ে কাজ করব সেই ইচ্ছে একদম মনের মধ্যে ছিল না। কিন্তু যখন সন্ধ্যা হয়ে আসছিল তখন যেন মাথার মধ্যে কাজের চাপ বেড়ে যাচ্ছিল। এত ক্লান্তির মধ্যে কিভাবে কাজ করি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। অবশেষে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নাস্তা খাওয়া দাওয়া করে আপনাদের সাথে হাজির হয়ে গেলাম একটা পোস্ট নিয়ে।
আমরা বাঙালিরা এমনই সারাদিন এইটা ওটা করে সময়টা পার করে দিই। যখন আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে তখন আমরা কাজ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করি না। যখন একদম বেলা শেষ হয়ে যায় সময় হাতে কম থাকে তখন আমরা সবকিছু ব্যস্ততা নিয়ে একদম দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিই। আমার আজকের অবস্থা একদম তেমনি হলো। আসলে শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ যাচ্ছে কিছুতেই বসে কাজ করব সেই মানসিকতা ছিল না। সন্ধ্যার পরে মাগরিবের নামাজ পড় একটু ভালো লাগছিল তাই পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে কি বিষয় নিয়ে শেয়ার করব তা অবশ্যই আপনারা শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন।
যদিও ইদানিং তেমন একটা বের হচ্ছি না। কারণ বের হওয়ার জন্য শরীরের সুস্থতা মনের শান্তি সবকিছু লাগে। অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজ করতে যেমন ভালো লাগে না ঘুরাঘুরি করতেও ভালো লাগে না। ভালো মন্দ কোন কথাই শুনতে পারি না কেউ কিছু বললে অনেক বিরক্ত লাগে। বেশ কিছুদিন আগে ঘুরতে বের হয়েছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে। বাচ্চাদেরকে নিয়ে বলতেই বড় মেয়ে কোচিংএ ছিল। হঠাৎ করে আমার বের হওয়ার শখ জাগলো। তাই আমি ছোট মেয়েকে নিয়ে একটু হাঁটার জন্য বের হয়েছিলাম। মাঝেমধ্যে একা একা ঘুরতে বের হলে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু ছোট বাচ্চারা যেহেতু আছে তাদেরকে একা রেখে যাওয়ার সুযোগ হয় না। আমি আর আমার ছোট মেয়ে একটু হাটাহাটি করলাম একটি নতুন পয়েন্টে গিয়ে সমুদ্র সৈকতের। আমাদের এখানে কক্সবাজারে অনেক পয়েন্ট রয়েছে যেকোনো দিক থেকে সমুদ্র সৈকতে নামা যায়।
তো সেদিন কবিতা চত্বরে রোড দিয়ে গেছিলাম। হাঁটাহাঁটি করার পরেই ভাবলাম যে মেয়ের বাবাকে একটা কল দিলে ভালো হয়। যেহেতু উনি আমাদের সাথে যায়নি ওনার একটু ব্যস্ততা ছিল সেই জন্য। যখন ফোন দিলাম তখন আমরা কোথায় জানতে চাইলো। তখন আমরা বললাম আমরা ফ্রি হয়ে গেছি। উনি আমাদেরকে বললেন আমরা চলে আসবো নাকি উনি আমাদের ওখানে আসবে। তখন আমি বললাম আমরা আসলেই চলে আসছি প্রায় তাই ভাবলাম কোথায় বসে একটা চা খাব। তো উনি আমাদেরকে একটি রেস্টুরেন্টের নাম বললো সেখানে গেলাম। যেখানে যেতে বলছিল সেখানে প্রবেশ করি নাই। আমার হাজব্যান্ড উনার অন্য এক কলিগ নিয়ে একটি বেকারি থেকে কেক অর্ডার করছিল ওই কলিগের ওয়াইফের বার্থডের জন্য।
সেই দোকানটা অবশ্যই ভালো মানের একটি বেকারির দোকান। সেখানে ঝাল মিষ্টি সব ধরনের নাস্তা পাওয়া যায়। তাছাড়াও বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদেরকে সেখানে ভিতরে প্রবেশ করতে বলেন। আমরা সেখানে প্রবেশ করি। সেখানে ওনার কলিগ সেই ভাইয়া আমাদেরকে বলেন কি খাবো। তখন আমরা বললাম যে আসলে আমরা তেমন কিছু খাব না হালকা কিছু ঝাল হলে ভালো হয়। ভাইয়া আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন আমরা চিকেন বার্গার খাব কিনা। প্রথমত আমি খাবো না বলে দিছি। কিন্তু ছোট মেয়ে বলল সেই বার্গার খাবে। তাই আমরা দুজনকে গরম করে বার্গার এনে দিল। গরম গরম খেতে বেশ ভালোই লাগছিল। যেহেতু গরম দিছে একদম সফট হয়ে গেছিল বার্গার গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগছে আমার। যেহেতু বার্গার গুলোর ছোট সাইজের ছিল খেতে খুব ছিল।
বিশেষ করে তেমন কোন সবজি জাতীয় কিছু এড করা হয়নি বাচ্চারও খেতে পছন্দ হয়। তাই ছোট মেয়ে আরেকটি খাবে বলল সেই আর একটি বার্গার নিলো। বাচ্চা মানুষ চকলেট দেখলে অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সেই চকলেট ললিপপ নিল অনেক বড় সাইজের ললিপপ। সেই খাচ্ছিলো আর আমাকে বলছে তার ছবি তোলার জন্য। আমিও ছবি তুলে নিলাম বাধ্য হয়ে। যেহেতু বেকারির দোকান সেখান থেকে কিছু নাস্তা ও কিনে নিলাম। আর আমরা দুইজনে খেয়েছি বড় মেয়ের জন্য গরম করে চিকেন বার্গার কিনে নিলাম।
সেখান থেকে বার্গার খেয়ে আমরা অন্য একটি দোকানে গিয়ে গরম গরম চা খেয়ে নিলাম। সময়টা সুন্দর ছিল খাবার গুলো অনেক ভালো ছিল। মাঝেমধ্যে এমন কিছু সময় যায় যদিও খাওয়া-দাওয়া তেমন বড় বিষয় নয় কিন্তু বের হয়ে এভাবে যখন সময় কাটানো যায় মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগে। যদিও সেদিন একটু হাঁটতে বের হয়েছিলাম সেই সুযোগে নাস্তা করে নিলাম। আর সেই সুন্দর মুহূর্তটি আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের শেয়ার করা ব্লগ আপনাদের কাছে পড়ে অনেক ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাদেরকে সময় দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://x.com/nahar_hera/status/1836789292431262036?t=yJaFv7QMQEpL6diWAmXoxQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্তের পোস্ট করে। মাঝেমধ্যে বাইরের পরিবেশে যদি কিছুটা সময় পার করা যায় তাহলে অনেকটা ভালো লাগে। বিভিন্ন রকমের খাবারের আইটেম গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগ ভিজিট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু। বিকেলে বাইরে সময় কাটানো আর কিছু খাওয়া দাওয়া মুহূর্ত গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই খাওয়া-দাওয়া মুহূর্ত গুলো বেশ দারুন ছিলো। আসলে পরিবারের সকলকে নিয়ে মাঝে মাঝে বাইরে ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে বাইরে কাটানো এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাঝেমধ্যে বাহিরে যেতে অনেক ভালো লাগে। আর বাহিরে গিয়ে যদি খাওয়া দাওয়া করা হয়, তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আপনারা তো দেখছি ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। গরম গরম বার্গার খেতে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছিল। তারপরে আবার চা খেয়ে ছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা ভালোভাবেই আমি উপভোগ করার চেষ্টা করলাম, আপনার লেখা পুরো পোস্টটা সম্পূর্ণ পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম আপু এভাবে বাইরে যেয়ে ঘোরাঘুরি করে পরিবারের সবাই মিলে খেতে পারলে খুব ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিকালে বাহিরে গেলে খিছুনা কিছু তো খাওয়া হয়ে থাকে। এটিই স্বাভাবিক। মেয়েকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধরন ছিল। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit