বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির- (পর্ব-৪)।

in hive-129948 •  2 years ago 

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের

সকল বন্ধুরা কেমন আছেন?

pic11.jpeg

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে বেশ ভালো আছি। আমি সামশুন নাহার হিরা @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজার জেলা থেকে। প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যে কোন টপিক্স নিয়ে হাজির হই ভালো মন্দ শেয়ার করার জন্য। আজও চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য। আমি আজ যে বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটা আর কিছু নয় সেটি হচ্ছে যে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে কাটানো মুহূর্তের চতুর্থ পর্ব।

pic3.jpeg

pic4.jpeg

গত তিনটি পর্ব আকারে আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির ভালো মন্দ শেয়ার করেছিলাম। আজ শেয়ার করব আপনাদের সাথে জাতীয় মিউজিয়ামের চতুর্থ পর্ব যে পর্ব তে রয়েছে গ্রাম বাংলার সে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির কথা এবং সাথে ফটোগ্রাফি। আশা করি আমার আজকের চতুর্থ পর্ব আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।

pic1.jpeg

বলতে গেলে আমাদের বাংলাদেশটা পুরো টাই গ্রামের মতই। আগের বাংলাদেশ এখনের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক তফাৎ লক্ষ্য করা যায়। বলতে গেলে আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে এত উন্নতির ছোঁয়া তেমন ছিল না। তখন গ্রাম বাংলার আয়ের মূল উৎস ছিল কৃষি নির্ভর এবং নদী নির্ভর। আমাদের এই গ্রাম বাংলার মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল ধান চাষ এবং বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলান।

pic2.jpeg

pic.jpeg

নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া সে মাছ বিক্রি করে পরিবার ও অন্যান্য চাহিদা মিটানো। মানুষ নিজের চাষাবাদ জমি থেকে যে ফসল কিংবা শাক সবজি চাষ করতো তা নিয়ে হাটবাজারে যেয়ে বিক্রি করতেন। সেই টাকা দিয়ে বাচ্চাদের ভরণ পোষণ বহন করতেন। আজ আমি জাতীয় মিউজিয়াম থেকে সেই দৃশ্যের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম তা আমি আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করতেছি। আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন এখানে একজন কৃষক তার জমি চাষ করতেছে। পাশে গিয়ে বসে আছে মেয়ে ভাত পানি নিয়ে দুপুরে খাওয়ার জন্য। কখন তার বাবা গরু থামিয়ে হাত মুখ ধুয়ে এসে সেই খাবার খাবে।

pic6.jpeg

আবার যে দৃশ্যটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে একদিকে গ্রামের সেই বাংলার বধুরা চালের গুঁড়া তৈরি করতেছে। এবং অন্য পাশে সেই ঘরের প্রধান কর্তা হুক্কা দিয়ে তামাকের ধোঁয়া নিচ্ছে। আমি ছোটবেলায় এমন দৃশ্য খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং অনুভব করেছি। যেসব কৃষি সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন যাদের প্রধান আয়ের উৎস ছিল কৃষি কাজ তারা সারা বছর ফসল ফলানোর কাজে ব্যস্ত থাকতো সারাদিন।

pic5.jpeg

সাথে যখন কৃষি কাজ শেষ হয়ে যেত তখন একটি হাতে নেট নিয়ে মাছ ধরতে যেত নদীতে। সেই মাছ কিছু খাওয়ার জন্য ঘরে রেখে বাকিটুকু নিয়ে বাজারে যেত। এসব দৃশ্য আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি আমি খুব বেশি ফিল করি সে হারানো দিনের কথাগুলো, সেই কাজ গুলো। আমাদের গ্রামের আশেপাশে এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা একমাত্র মাছ ধরা এবং জমি চাষ তাদের প্রধান জীবিকা।

pic7.jpeg

pic8.jpeg

এছাড়াও আপনারা দেখতে পারছেন একজন তাঁতি ঘরে বসে কাপড় বুনতেছে। অসাধারণ একটি গ্রাম বাংলা দৃশ্য। যারা বিভিন্ন উপজাতি আছে তাদের প্রধান কাজ ছিল কাপড় বুনা আর জুম চাষ। পাশের পাহাড়ের চূড়ায় যেগুলো আবাদ জমি আছে সেখানে তার স্বামী জমি চাষ করতেছে। একদিকে চাষের শস্য দিয়ে তাদের রুজি রোজগার হবে। অন্যদিকে তার স্ত্রীর কাপড় বুনা কাপড় দিয়ে তাদের ভরন পোষণ হবে। বাকি কাপড় তারা বাইরে বিক্রি করে কিছু টাকা পাবে যা পরিবারের অন্যান্য চাহিদা মেটাবে।

pic10.jpeg

pic9.jpeg

বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে এমন দৃশ্য আমার বাচ্চারা খুব সুন্দর করে দেখছিল। কারণ এই যুগে তো এমন দৃশ্য দেখা খুবই দুরূহ ব্যাপার বলতে হয়। এসব দৃশ্য অতি নগণ্য এখন যারা একদম নদীর ধারে বসবাস করেন হয়তো তাদের মধ্যে বর্তমান সময়ে পাওয়া যাবে তা ও কম। জাতীয় মিউজিয়ামে ধরে রাখা প্রত্যেকটি আর্ট, আলোকচিত্র আমার কাছে অসাধারণ ভালো লেগেছে। আশা করি আমার আজকের পর্বটি আপনাদের ভালো লেগেছে। তাহলে আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি অন্যদিন আরেকটি পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে উপস্থিত হবো।


qara-xett.png

🌺আশা করি সবার ভাল লেগেছে আমার আজকের ব্লগিং। ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের ব্লগিং সময় দিয়ে পড়ার জন্য।🌺।


ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationw3w

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

আমার পরিচয়


আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।ফটোগ্রাফি করা আমার শখের।এছাড়া কবিতা লিখতে আমার অনেক ভাল লাগে।গান গাওয়া আমার স্বপ্ন।আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তাই আমি আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Ehur2Z3EsVgTD2AcTmkokXePYxgzpSqwnBNBj3ZteFgQGBvoV1Gau6PdZ2iRjGoCbkshRWuRQSfGSpuzhGGAeLA4Vf5U1Hc8iJwwxD89QHRxVn1je1P4CmpDJ3i8T6K3VVLivshpofZcmEc1F66yhadmSAKB5S67TB9CT5ts8F67pFjTnJQ9RnA2Qqq1Qc1.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মিউজিয়ামের ভেতরের ফটোগ্রাফি গুলা এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে গ্রামীণ প্রকৃতির সৌন্দর্য এখানে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সত্যি আপু ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুণভাবে করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলছেন আপু গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো অসাধারণ বলতে হয়।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। আমি এর আগেও আপনার মিউজিয়ামে পর্ব গুলো দেখেছি। খুবই ভালো লেগেছে আমার। আসলে আমি অনেকবার জাতীয় জাদুঘরে গিয়েছিলাম। আজকের পর্বে আপনি বাংলাদেশের গ্রামীণ পরিবেশের কিছু দৃশ্য আলোচিত্রের মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

জি ভাইয়া আপনি গেছেন তো বুঝতে পারবেন আসলে কথাটা সুন্দর বাংলাদেশের জাতীয় মিউজিয়ামটা। এই জায়গায় গেলে আমাদের শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে।

আপনি বেশ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, যেখানে জাতীয় জাদুঘরের অনেক বৃত্তান্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন। এই পোস্টের মধ্যে আমি নতুন বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম জাতীয় জাদুঘরের। যা আমার পূর্বে এতটা জানা ছিল না।

হ্যাঁ ভাইয়া বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে অনেক কিছু দেখার আছে এবং অনেক কিছু শেখার আছে যা ফটোগ্রাফি করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করতেছি।

আপনার মাধ্যমে আমরাও বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়াম ঘুরে ঘুরে দেখলাম। খুব ভালো লাগলো আপু।এখানে প্রত্যেকটা গ্রামীন চিএ সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য।

বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে এমন কিছু বাদ পড়ে নাই বাংলাদেশের আনাচে-কানাচের সব স্মৃতি ধরে রাখা হয়েছে অনেক ভালো লাগে দেখতে।