আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধুরা সব সময় ভালো থাকার চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে এবং সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা করি। আজকে আমি আবারো হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য। টপিকস দেখে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন কি বিষয় নিয়ে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। হ্যাঁ অবশ্যই বুঝতে পারছেন আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে জেনারেল রাইটিং আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার। এই জেনারেল রাইটিং এর মাধ্যমে নিজের ভিতর অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে সেগুলো আপনাদের সাথে ওপেন আলোচনা করার সুযোগ হয়ে থাকে।
বন্ধুরা একটা বিষয় আপনারা খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন যে দুই এক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা খারাপ খবর শোনা যাচ্ছে। আর সেই খবর সবার জানা। সেটি হচ্ছে একটি আট বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বলেন তো এই রমজান মাসে যদি এই ধরনের খবর শোনা যায় মানুষের মন মেজাজটা কেমন হয়ে যায়। আসলে বর্তমান সময়ে যে একটি কন্যা সন্তানকে নিরাপদ দেব সেই নিশ্চিত সবসময় দিতে পারছি না। কারণ অনেক ভয় কাজ করে। সবচেয়ে বেশি ভয় কাজ করে কখন জানেন যখন বাচ্চাদেরকে স্কুলে দিয়ে এসে ঘরে থাকি এবং কোচিং সেন্টারে দিয়ে আসি তখন। আমরা তো চেষ্টা করি বাচ্চাদেরকে কোচিং সেন্টারে প্রবেশ করাই দিয়ে বাসায় এসে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে নিব। আবার টাইম শেষ হলে নিয়ে আসবো।
কিন্তু এই সময় টুকুর মধ্যে আমাদের ভিতরে অনেক অস্থিরতা কাজ করে। কেন না একটি ছোট আট বছরের মেয়ে নিজের সন্তানের মত ওই সন্তানকে যদি এভাবে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয় তাহলে কিভাবে আমরা স্বস্তি পাই বলেন। মানুষের যৌবন এতো নিকৃষ্ট হয়ে গেছে যে ছোট্ট একটি মেয়ের কাছ থেকে যৌবনের চাহিদা গুলো মেটাতে চাই। এই ধরনের নিকৃষ্ট জাতিকে শুধু যে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে মেরে ফেলা উচিত এমনটা নয়। আমি মনে করি এই ধরনের অপরাধীকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা উচিত। তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো কেটে ফেলে তাদেরকে হাজারো লোকের সামনে পুরো জাতির সামনে তাদেরকে অপমানিত হতে হতে মেরে ফেলা উচিত।
কারণ তাদের একজনের শাস্তির এই পরিণতি গুলো সবাই যখন দেখবে তাহলে এই ধরনের অপরাধ গুলো আর কখনো করার সুযোগ পাবে না। হয়তো যে ধর্ষণ করে তার এই ধরনের ছোট্ট কন্যা সন্তান নাও থাকতে পারে। কিন্তু দুদিন পরে তো তার সন্তান হবে। তার এতোটুকু কি বিবেকে বাধেনা। তার পরিবারে কি মা বোন নেই। তার পরিবারে কি ভাই-বোনের সন্তান নেই এই বয়সের। কিভাবে পারে বলেন তারা এই ধরনের কাজ গুলো করতে। আমি যতটুকু বুঝেছি ওই ফ্যামিলির লোকজন এত বেশি সচেতন না। বিশেষ করে মেয়ের মায়ের কথাগুলো শুনে বুঝতে পারলাম তারা কষ্ট করে ইনকাম করে খাই। কিন্তু তারপরও প্রতিটি মা-বাবার কাছে তাদের সন্তান অনেক মূল্যবান।
যতই দরিদ্র হবে হোক তাদের সন্তানের জন্যই মানুষের বাড়িতে কাজ করে তারা সন্তানকে বড় করে থাকেন। এমন আদরের সন্তানের যদি এমন পরিণতি দেখা হয় তাহলে পৃথিবীতে থাকা এবং না থাকার সমান হয়ে যায়। এই ধরনের জানোয়ারদের কাছে কোন ধরনের অনুভূতি কাজ করে না। তারা হয়তো মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করেছিলেন মেয়েটাকে। কিন্তু মেরে ফেলতে পারেনি। যদি মেরে ফেলত তাহলে ঘটনা কিছুটা চুপচাপ হয়ে যেত। মাটির ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতের মাসে সেই অপরাধী আর পালিয়ে যেতে পারেনি।
আমি মনে করি এই অপরাধ থেকে বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রকে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। এই ধরনের পদক্ষেপ রাষ্ট্রের পক্ষ ছাড়া আর কারো কাছে সম্ভব নয়। কারণ সবাই মুখে এক বলে কিন্তু ভিতরে অন্য ধরনের মনোভাব। আমাদের সমাজে এমন অনেক মেয়েরা রয়েছেন যারা ধর্ষিত হয়ে ও লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না। কারণ এই ধরনের মেয়েদেরকে আর কেউ বিয়ে করতে চায় না আমাদের সমাজে। তাই সেই ভয়ে অসম্মানের জায়গাটুকু নিভানোর জন্য হাজারো মা বাবা তাদের সন্তানদের এই ধরনের অপকর্ম করার সত্ত্বেও প্রকাশ করতে পারেনা ঘটনা গুলো। এই ধরনের অসচেতনাতা থেকে জাতিকে সচেতন করতে হবে তাহলে হাজারো অপরাধী বেরিয়ে আসবে আর অপরাধ করার সুযোগ পাবে না।
সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে কঠিন আইন প্রয়োগ করা এবং বাস্তবায়ন করা। তার জন্য শুধু যে রাষ্ট্র করবে এমনটা নয়। পাশাপাশি জাতিকে সচেতন হতে হবে এবং সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। শুধু যে একটি অশিক্ষিত ফ্যামিলি এই ধরনের খারাপ কাজ করতে পারে এমনটা নয়। আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষিত পরিবার রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এ ধরনের জানোয়ারগুলো রয়েছে ।বিশেষ করে এক সময় দেখেছিলাম প্রাইমারি একজন টিচার একজন ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এই ধরনের নিকৃষ্ট ঘটনাগুলো আমরা প্রতিনিয়ত শুনতে পাই এবং আমাদের সমাজে ঘটে যাচ্ছে।
তাই আমাদেরকে সচেতনতার জন্য হাতে হাত রেখে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং এই খারাপ পরিস্থিতি থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। সচেতন করতে হবে নিজেদের পরিবারের লোকজন কে। সচেতন করতে হবে নিজেদের আপন মানুষজনকে। তাহলে আমরা একটি ধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ পেতে পারি। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের লেখাগুলো আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | ভিক্টিজি ডট কম |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
এটি নিঃসন্দেহে হৃদয়বিদারক ও গভীরভাবে চিন্তার বিষয়। একটি ছোট্ট শিশুর ওপর এমন অমানবিক নির্যাতন শুধু পরিবার নয়, পুরো সমাজের জন্য লজ্জার। কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের নৈতিক শিক্ষার অভাব, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, এবং সচেতনতার অভাবের দিকেও নজর দিতে হবে। অপরাধীর কঠিন শাস্তি যেমন জরুরি, তেমনি পরিবার, স্কুল, এবং সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষের বিবেক তার অভ্যন্তরীণ নৈতিক কম্পাস।যখন কোনো ব্যক্তি নৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয় বা ভুল পথে চলে যায়, তখন প্রশ্ন ওঠে যে তার বিবেক কোথায় ছিল। আসলে, বিবেক কোনো বাহ্যিক জিনিস নয়, এটি মানুষের অভ্যন্তরীণ নৈতিক বোধ। এটি তখনই কার্যকর হয় যখন ব্যক্তি সচেতনভাবে তা অনুসরণ করে। যদি কেউ তার বিবেককে উপেক্ষা করে, তাহলে এটি দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু তা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/heranahar148614/status/1898374124751479113?t=9IAC8vQq9Cu9M-YbkN6j_Q&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু যে এমন কাজ করে সে মানুষ নয় পশু।যার জ্ঞান আছে সে কখনোই এমন কাজ করতে পারে না আর জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান এটাই বাস্তব।আর এই ধরনের অপরাধীকে সবাই মিলে শাস্তি দিলে হয়তো কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার আজকের টাস্ক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রমজান মাসে এমন নিউজ শুনে খুবই খারাপ লাগছিল আসলে। আমি মনে করি যারা এমন কাজ করবে তাদেরকে উন্মুক্ত জায়গায় জনসম্মুখে ফাসিঁ দেয়া উচিত। তাহলে ধ্বর্ষণ করতে দুইবার ভাবতে হয়। প্রশাসনকে আরও শক্ত হতে হবে। সেই সাথে আমাদেরকেও সচেতন থাকা দরকার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit