হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুআলাইকুম!
ঈদ ব্যস্ততা নিয়ে সবাই অনেক আনন্দে আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি ঈদের সময় গুলো বেশ ভালো কেটেছে। বর্তমানে আমি গ্রামে আছি বেশ ভালই আছি। অনেক ঘোরাফেরা করতেছি আত্মীয়দের বাসায় খাওয়া দাওয়া আর বেশ জমিয়ে আড্ডা হচ্ছে। আপনাদের সময় গুলো কেমন যাচ্ছে আশা করি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। সারাদিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম তাই পোস্ট করতে একটু দেরি হয়ে গেল। যখন সময় পেলাম তখন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি এর আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি অষ্টম পর্ব। এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির নবম পর্ব। পর্ব গুলো শেয়ার করে আপনাদের সাথে অনেক সুন্দর মতামতের মাধ্যমে সহযোগিতা পেয়েছি এবং অনেক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আশা করি আমার আজকের পর্বটিও আপনাদের ভালো লাগবে। যখন খুব দ্রুত চলে যাচ্ছিলাম আমি ফটোগ্রাফি গুলো করে হঠাৎ আমার চোখে পড়ে বেশ সুন্দর সুন্দর নথি পত্রের বা দলিলের দৃশ্য। আদিম যুগে কোন গুরুত্বপূ্র্ণ তথ্য কাগজে খুব সুন্দর করে লিখে সংগ্রহ করে রাখত যেগুলোকে সাধারণত নথি বা দলিল বলে থাকে।
এই নথি গুলো অনেক বড় বড় হরফে লেখা হত। তাছাড়া বিভিন্ন চিহ্ন ব্যবহার করা হতো। এত সুন্দর ভাষা ছিলনা সেই আমলে তাদের। কোন ভাবের আদান-প্রদান করতে গেলে কিংবা কোন রাজ দরবারের কিংবা জমিদার বংশের মধ্যে নথি পত্রের ব্যবহার বেশি ছিল। বিশেষ করে রাজ পরিবারে নথির প্রচলন বেশি ছিল। এছাড়া কোন প্রয়োজনীয় তথ্য নথির মধ্যে লিখে সংগ্রহ করে রাখা হতো। আজ বর্তমান সময়ে আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করতেছি। একসময় আমরা সাদা কাগজে বিভিন্ন লেখা লিখতে পারতাম। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই লেখালেখির প্রচলন বর্তমান সময়ে অনেকটা কমে গেছে বললেও চলে। এখন যেসব লেখা লিখে তবে প্রায় লেখা এখন অনলাইনে বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে।
কিন্তু আমরা যে ভাষা ব্যবহার করতেছি বা আমরা যে লেখা লিখতেছি এই লেখাগুলোর পিছনে শত শত ইতিহাস জড়িত আছে। কিভাবে ভাষার প্রচলন হয়েছে, কিভাবে লেখার প্রচলন হয়েছে সব গুলোর অনেক সুন্দর সুন্দর ইতিহাস জড়িত আছে। এছাড়াও আদিম যুগের মানুষ লেখার জন্য বড় বড় গাছের পাতা, গাছের বাকল, কলাপাতা, তুরত পাতা, বট পাতা কিংবা পাথরে খোদাই করে কিংবা মাটিতে খোদাই করে লেখা হতো। সেসব পুরাতন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে কিংবা কোন পুরাতন স্মৃতি পর্যবেক্ষণ করতে গেলে সে ইতিহাস আমার সামনে হাজির হয়।
যে সব প্রয়োজনীয় জিনিস গাছের ছাল বা কলা পাতায় কিংবা পাথরে খোদাই করে রাখা হতো সেসব প্রয়োজনে তথ্য গুলোকে নথি হিসেবে প্রচলন ছিল। আমরা তো সবাই জানি নথি শব্দের অর্থ দলিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে মানুষ লেখার সুবিধার্থে সে গাছের পাতা কিংবা গাছের ছাল থেকে সাদা কাগজের কিংবা বিভিন্ন রংবেরঙের কাগজের বিবর্তন করে থাকে। আবিষ্কার করে থাকেন বিভিন্ন পদ্ধতি। যা বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে সেই লিখিত দলিলগুলো দেখে আমার সেই পুরানো ইতিহাসের কথা মনে পড়ে যায়।
দেখে অনেক ভালো লেগেছে সেই নথিগুলো। সাথে সাথে আমি অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করি। সেই ফটোগ্রাফি নিয়ে রেখেছি বলে আপনাদের সাথে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার সুযোগ হলো। আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। সেই সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা করেছি আপনাদের সাথে আমার সেই মুহূর্তগুলো। আশা করি সকলের ভাল লাগবে। আজকে আমার লেখা এখানে সমাপ্তি করছি ধন্যবাদ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | w3w |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব আমি পড়েছিলাম আপু আপনার শেয়ার করা।এই পর্বটি ও ভালো লেগেছে।এসকল নথি পত্র এখনও সংরক্ষণ করে আমাদের ঐতিহ্য কে তুলে ধরার জন্য, নতুন প্রজন্মের কাছে।আগেকার মানুষ এভাবেই সংরক্ষণ করতো তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমুহ।কখনও গাছের ছাল ব্যবহার করে আবার কখনও পাথরে খোদাই করে।যাইহোক জাদুঘর গেলে পুরোটা ঘুরতে গেলে ক্লান্ত হয়ে যেতে হয়,আমার তো তাই হয়েছিল।আপনারও নিশ্চয় আপু।ধন্যবাদ পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম,যেহেতু এটা শেষ পর্ব না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু ঠিক বলছে মানুষ অনেক কষ্ট করে প্রয়োজনীয় তথ্য খোদাই করে কিংবা কাজের বাকলে লিখে রাখতেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাংলাদেশের জাতীয় মিউজিয়াম ভ্রমণ করে আপনি এ পর্বে অনেক সুন্দর আলোকচিত্র সেইসাথে তথ্য এবং তথ্যবহুল আলোচনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।। এই জায়গাটি ভ্রমণ করার আমারও খুব ইচ্ছা যদিও ছোটবেলায় একবার গিয়েছিলাম তেমনটা মনে নেই।।
তবে আপনার বেশ কয়েকটি পর্ব দেখেছি খুবই ভালো লাগে আমার কাছে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে তবে এখন দেখতে গেলে অনেক ভালো লাগবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি করার পর্ব ৯ আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আদিম যুগের মানুষেরা লেখার জন্য বড় বড় গাছের পাতা, গাছের বাকল, কলাপাতা, এইসব কিছু ব্যবহার করত এই বিষয়গুলো জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা বর্তমান সময়ে কাগজে লিখে যেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেছি তা কালের বিবর্তনে অনেক ইতিহাস জড়িত আছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit