লাইফ স্টাইলঃ-৪০ তম বর্ষপূর্তি কক্সবাজার শব্দায়ন কবিতা আবৃত্তি একাডেমি প্রতিষ্ঠানের।

in hive-129948 •  5 days ago 

প্রিয় পরিবারের

সম্মানিত সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি সবাইকে আমার আজকের নতুন একটি ব্লগে। আশাকরি সবার ভালো লাগবে আমার আজকের ব্লগ পড়ে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া বিষয়গুলি শেয়ার করার। ভালো মন্দ সবকিছু মিলিয়ে আমাদের মানবজীবন। এখানে ভালো কিছু ঘটে আবার মন্দ কিছু ঘটে যায়। তবে চেষ্টা করি সব সময় আপনাদের সাথে সেই বিষয়গুলো স্মৃতিচারণ করার। আবার হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে ভালো লাগার একটি মুহূর্ত। যে মুহূর্তটি ছিল খুবই আনন্দের। সেই মুহূর্তটি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বুঝতেই পারছেন শিরোনাম দেখে আমি আজকে আপনাদের সাথে কি বিষয় শেয়ার করে নিব। গত শনিবারে শব্দায়ন কবিতা আবৃত্তি একাডেমির ৪০ তম বর্ষপূর্তি বা জন্মদিন ছিল। প্রতি বছরই এই অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়।

R4.jpg

তবে যখন কোন প্রতিষ্ঠানের কিংবা যখন কোন ব্যক্তির জন্মদিন আমরা পালন করা হয় তখন কেক কেটে পালন করা হয়। কিন্তু শব্দায়ন একাডেমি এই অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে করা হয়ে থাকে। যেহেতু এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানটি প্রতিবছর শীতের সময় আসে বছরের শুরুতে সেই হিসেবে ভিন্নভাবে আয়োজন করা হয়। এখানে কোন ধরনের কেক কাটানো হয় না। যেহেতু এখানে অনেক বাচ্চারা রয়েছেন কবিতা আবৃত্তি একাডেমিতে সকল গার্ডিয়ানারা নিয়মিত আসা-যাওয়া করে থাকেন। সব গার্ডিয়ানদেরকে এই অনুষ্ঠানের আগে ডাকা হয় এবং আলোচনা সভা হয়। সবার মতামতের ভিত্তিতে অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়। যেহেতু শব্দায়ন একাডেমির জন্মবার্ষিকী পালন হচ্ছে সকল অভিভাবকদের সকল বাচ্চাদের সকল সদস্যের জন্য।

R1.jpg

R5.jpg

যেহেতু এটি একটি বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান। এটা কোন ব্যক্তি বিশেষের প্রতিষ্ঠান নয় সকল শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে পরিচালিত হয়। শব্দায়নের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে শিক্ষার্থীরা এবং গার্ডিয়ানেরা। যেখানে শিক্ষার্থীরা থাকবেনা সেখানে শুন্য একটি প্রতিষ্ঠান কোন মূল্য নেই। সব বাচ্চারা সেখানে অনুষ্ঠান উপস্থিত থাকবে। তাছাড়াও অনেক গুণী জনদের আগমন হয়। বিশেষ করে প্রাক্তন কবিদের আগমন অনেক বেশি হয়। আর অভিভাবক রয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য অতিথিবর্গ রয়েছেন। তাই সবার উপরে এই দায়িত্বটি পড়ে যায়। সেজন্য সবাই যার যার পছন্দমত পিঠা তৈরি করে আনে। এই পিঠা তৈরি করে এনে কাজ শেষ হয়ে যায় না। সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হয়। বিশেষ করে যখন অনেক জন অতিথি অনেকজন গার্ডিয়ানের কাছ থেকে পিঠাগুলো আসে এক বিরাট আকারের আয়োজন হয়ে থাকে।

R2.jpg

300-400 মানুষের আয়োজন হয়ে যায়। আর পিঠাও অনেক বেশি দেখা যায়। হরেক রকমারি পিঠা দেখলে মনটা একদম ভরে যায়। এই যেন শব্দাইনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান নয়। বলতে গেলে একটি পিঠা উৎসবে পরিণত হয়ে যায়। আপনারা ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন কত আয়োজন কত মানুষের আগমন। বিশেষ করে যে মানুষগুলো রয়েছে তার থেকে আরো অনেক গুণ মানুষ চলে আসে এখানে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল সবাইকে সবার পিঠা খাওয়ার সুযোগ হয়ে যায়। একে অপরের বানানো তৈরি পিঠাগুলো যখন খাওয়া হয় একটি বেশ আনন্দময় মুহূর্ত সেখানে চলে যাই। মাঝে মাঝে সেখানে কবিতা আবৃত্তি হয়। মাঝে মাঝে দেশাত্মবোধক গান আধুনিক গান। এছাড়াও আগত অতিথিদের কাছ থেকে মূল্যবান বক্তব্য শোনা হয়। ছোট ছোট বাচ্চারা কবিতা আবৃত্তি করেন।

R7.jpg

R8.jpg

তাছাড়াও শব্দায়ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের দায়িত্বে সেখানে শীতকালের ভাপা পিঠা আর খেজুর গুড়ের জিলাপির ব্যবস্থা করা হয়। চা কফির ব্যবস্থা করা হয়। আর প্রচুর পরিমাণ পিঠা খাওয়ার কারণে আসলে এই খাবারের প্রতি আর কোন রুচি থাকে না। যাক তারপরেও যাদের মন চায় তারা খাইতে পারে সেখান থেকে। সেদিন পিঠা নিয়ে যাওয়ার পরেই বসে ছিলাম অনেকক্ষণ। বাইরে বিশাল আকারের প্যান্ডেল করে আয়োজন করা হয়েছিল। সব অতিথিরা গার্ডিয়ানেরা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে চেয়ারে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন। সবাইকে বিভিন্ন আইটেমের পিঠা দিয়ে খাওয়ার জন্য বন্টন করা হয়। অনেক্ষণ বসে সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করেছিলাম।

R.jpg

অনুষ্ঠান উপভোগ করতে ভালো লাগছিল। তবে আমি বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারি নাই। যেহেতু সেই দিন আমি বাচ্চাদেরকে নিয়ে খেলাধুলার মাঠে গিয়েছিলাম। তাদের বাবা অনেক বেশি বিজি ছিল সেজন্য। বিকেল বেলায় উনি ফ্রি হয়ে আমাদের সেখানে যায় শব্দায়ন একাডেমিতে। সেখানে যাওয়ার পরে মেয়েদের বাবা পিঠা খেয়েছে আর চা পান করেছেন সেখান থেকে। নাস্তা পানি খাওয়ার পরেই আমি ওনাকে বললাম আমি চলে যাব। তাই বাচ্চাদেরকে রেখে আমি সেখান থেকে চলে আসলাম। সেখানে থাকাকালীন আমি পিঠার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম।

R9.jpg

R3.jpg

অনুষ্ঠানের মূল স্মৃতি হচ্ছে সেখানকার ফটোগ্রাফি। সেই স্মৃতিগুলো সবাই ধরে রাখার চেষ্টা করে যেহেতু সবার হাতে মোবাইল থাকে অনেক সুবিধা হয়। তো সেখান থেকে চলে আসলাম সন্ধ্যা সাতটার দিকে। তারা আরো অনেকক্ষণ থাকছিলেন যেহেতু সেখানে কবিতা আবৃত্তি আর গানের আয়োজন ছিল। তারা সেখানে উপভোগ করেছিলেন অনুষ্ঠানটি। আজকে আমি সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। আশা করি বন্ধুরা আমার সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সবার কাছে পড়ে ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ জানাই সবাইকে সময় দিয়ে পড়ার জন্য।

R8.jpg

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামMI- Redmi
মডেলRedmi-14pro
Locationকক্সবাজার
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিলাইফ স্টাইল


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

আমার পরিচয়


hira.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7DiLvzq9baKkST8T1mkhiizFXSFVv2PXDydTeMWpnYK2gToiY733FT9uwSdBSXWz7RnGmzsa8Pr9pGoyYaQFsuS3p.png

New_Benner_ABB1.png

Banner_PUSS1.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@tipu curate

Today my tasks:-

1000005629.jpg

ভিন্ন ধরনের এই আয়োজনটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা বিদ্যালয়ে থেকে এভাবে অভিভাবকদের ডাকা প্রয়োজন রয়েছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার উৎসাহ সৃষ্টি হয় এবং পিতা-মাতারা জানতে পারে তার সন্তান কেমন অগ্রসর হয়েছে। ভালো লাগলো এমন চমৎকার অনুষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা পেয়ে।

ঠিক বলছেন ভাইয়া বাচ্চা পড়ালেখায় কতটুকু অগ্রসর হয়েছে তার সমস্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে বুঝা যায়।

আপু আপনার সন্তানদের বিদ্যালয়ের চমৎকার আয়োজনটা দেখে ভালো লাগলো আমার। এভাবে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটা বিদ্যালয় তাদের ভাল অবস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে অনেক ভালো লাগলো আপনি গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে। এ থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো।

এই ধরনের আয়োজনগুলো বাচ্চাদের মেধা বিকাশ অনেক বেশি সহায়তা করে।

আপু, আপনার সন্তানদের বিদ্যালয়ের আয়োজনটা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। এ ধরনের উদ্যোগগুলো কেবল বিদ্যালয়ের উন্নতিরই প্রতীক নয়, বরং শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা এবং যত্নেরও পরিচায়ক। এমন ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন শিক্ষার্থীদের মনের ভিতরে নতুন চিন্তাধারা এবং সৃজনশীলতা জাগিয়ে তোলে। আপনি যেভাবে এত সুন্দরভাবে তা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, তা থেকে অনেক কিছু শিখলাম। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আমারো অনেক ভালো লাগে বাচ্চারা বেশি খুশি হয় এই ধরনের পিঠা উৎসব দেখলে। আর অনেকের সামনে কবিতা উপস্থাপন করা অনেক কঠিন একটি ব্যাপার।