বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির- (পর্ব-৩)।

in hive-129948 •  2 years ago 

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের

সকল বন্ধুরা কেমন আছেন?

আশা করি সকলেই ভাল আছেন?আজকের ব্লগিংএর শুরুতে সবাইকে জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

pic.jpeg

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি।প্রতিদিনের ধারাবাহিকতায় আজও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি শেয়ার করার জন্য আপনাদের সাথে।পোস্টের সৃজনশীলতা রক্ষায় প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় আজও চলে এসেছি আপনাদের সাথে।আজ শেয়ার করবো ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের তৃতীয় পর্ব। প্রথম দুই পর্ব শেয়ার করে আপনাদের বেশ সাড়া পেয়েছি।তাই তৃতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর এমন একটা প্রতিষ্টান যেখানে গ্রাম বাংলার প্রত্যেকটি জিনিস অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে সেই আদি আমলের গ্রাম বাংলার প্রত্যেকটা জিনিস সংরক্ষণ করা হয়েছে।

pic1.jpeg

pic2.jpeg

আজকে যে বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটি হচ্ছে যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বেতের জিনিসের ফটোগ্রাফি সাথে বর্ণনা দিব। এখানকার গ্রাম বাংলা এবং তখনকার গ্রাম বাংলার মধ্যে অনেক তফাৎ লক্ষ্য করা যায়। যে ফটোগ্রাফি গুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অবশ্যই বুঝতে পারছেন তা কি জিনিস। তখন মাটির তৈরি জিনিস এবং বাঁশের ও বেতের তৈরি জিনিস ব্যবহার করত বেশি। এছাড়া ও দামি জিনিসের মধ্যে ছিল পিতলের সামগ্রি। এখানে যে সামগ্রী গুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো মূলত একজন মাছ ধরতে যাওয়া ছেলেদের সামগ্রী সমূহ।এখানে মাছ গুলো ধরে রাখা হতো কিছু পাত্রে যেগুলো আমরা মাছের ডুলা বলতাম। অনেক ধরনের জিনিস আছে হয়তো এগুলো রাখার পাত্র, মাছ ধরার পাত্র অনেক ধরণের সামগ্রি দেখা যাচ্ছে।

pic3.jpeg

এখন যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এসব জিনিস ঘরের গৃহিণীরা ব্যবহার করতো। জিনিস পত্র এসব পাত্রের মধ্যে রাখা হতো। ভাত রান্না করে ঝুলিয়ে রাখা হতো। ঘরের অন্যান্য খাবার দাবারের জিনিস যেমন দুধ মিষ্টি যেকোনো নাস্তা এসব পাত্রের মধ্যে দিয়ে ঘরের চালে ঝুলিয়ে রাখা হতো।

pic4.jpeg

এরপরে দেখেন কত সুন্দর করে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হাত পাখা অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।হাত পাখা গুলো কিছু বেতের তৈরি আবার কিছু আছে কাপড় দিয়ে তৈরি যেগুলোতে সুতা দিয়ে নঁকশা করে তৈরি করা। ভীষণ ভালো লাগে আমার হাত পাখা তৈরি করতে নঁকশা করে। এছাড়া আমরা শুনেছি এবং বাস্তবে অনুভব করেছি বেতের যে হত পাখা গুলো আছে এগুলো দিয়ে বাতাস করলে অনেক বেশি ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগে। অসাধারণ কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি নিয়েছি যা আমি আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে পর্ব আকারে শেয়ার করতেছি।

pic5.jpeg

এছাড়াও আপনারা দেখতে পাচ্ছেন শীতল পাটি যেটা গরমকালে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। গরমকালে আমার অনেক ভালো লাগে এই শীতল পাটিতে ঘুমাইতে

pic6.jpeg

pic7.jpeg

সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় একটা জিনিস হচ্ছে যে গ্রাম বাংলার সেই রাতের আঁধারে জ্বলন্ত চেরাগ গুলো।আমরা বড় হয়েছি সেই চেরাগের আলোতে। এছাড়াও রয়েছে সুপারি কাটার সুরাতা। এসব জিনিস দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। কিন্তু বাচ্চারাও দেখে বেশ মজা পায় কারণ তাদের তো দেখার সুযোগ হয় না কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে তা দেখে অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ করেছে।

pic8.jpeg

মাটির হাড়ি পাতিল সামগ্রী গুলো ভীষণ সুন্দর ছিল।বিভিন্ন ধরনের রান্না ঘরের জিনিস। তখন তো সব কিছুই মাটির জিনিস ছিল।মাটির তৈরি জিনিস পত্রের চাহিদা অতীতে যেমন ছিল বর্তমানেও কিন্তু কম নয় আরো বেশি।যখন ছোটবেলায় কোন বিয়ে খেতে যেতাম তখন দেখতাম অনেক লম্বা উঁচু সারি করে সেই মাটির বছি রাখা হতো।

pic9.jpeg

pic10.jpeg

সেই বছি গুলোতে সবাইকে ভাত দেওয়া হতো।খেতে অনেক ভালো লাগতো এখন কিন্তু অনেক মিস করি।ঘরের যে কোন জিনিস রাখা যেমন চাল রাখা, রান্না বান্না, খাওয়া দাওয়া সবকিছুর ক্ষেত্রে সেই মাটির জিনিস ব্যবহার করা হতো। মাটির কলসির পানি গরম কালে অনেক ভাল লাগতো ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে।বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এমন সুন্দর স্মৃতি দেখে আমি তো অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি আর সাথে আপনাদের ও সেই আনন্দ ভাগ করে নিতে চলে এসেছি।


qara-xett.png

🌺আশা করি সবার ভাল লেগেছে আমার আজকের ব্লগিং। ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের ব্লগিং সময় দিয়ে পড়ার জন্য।🌺।


ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationw3w

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

আমার পরিচয়


আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।ফটোগ্রাফি করা আমার শখের।এছাড়া কবিতা লিখতে আমার অনেক ভাল লাগে।গান গাওয়া আমার স্বপ্ন।আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তাই আমি আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Ehur2Z3EsVgTD2AcTmkokXePYxgzpSqwnBNBj3ZteFgQGBvoV1Gau6PdZ2iRjGoCbkshRWuRQSfGSpuzhGGAeLA4Vf5U1Hc8iJwwxD89QHRxVn1je1P4CmpDJ3i8T6K3VVLivshpofZcmEc1F66yhadmSAKB5S67TB9CT5ts8F67pFjTnJQ9RnA2Qqq1Qc1.gif

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
অবশ্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে আমার এর আগে কখনও যাওয়া হয়নি। তবে এবার আপনার মাধ্যমে আমাদের একসময়কার ঐতিহ্যবাহী কিছু জিনিসপত্র দেখতে পেলাম। যা গ্রামে গঞ্জে ব্যবহার করা হত।খুবই ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে।আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে বাংলাদেশের সব কিছু পুরাতন জিনিসকে ধরে রাখা হয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগে।

ওয়াও আপু আপনি তো দেখি আজকে গ্রাম বাংলার পুরনো ঐতিহ্য কে তুলে ধরেছেন ৷ সত্যি বলতে এক সময় গ্রামের এসব প্রধান জিনিস পত্র ৷ বলা যায় বেঁচে থাকার প্রধান হাতিয়ার ছিল৷
তবে গ্রামে এখনো কিছু পুরনো ঐতিহ্য জিনিস পত্র ব্যবহার করে তবে খুব বেশি না ৷
যা হোক আপনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে গিয়ে দারুন কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরেছেন ৷

মাছ ধরার যেসব জিনিসপত্র ছিল অতীতে এইগুলো তো গ্রাম বাংলার বেঁচে থাকার প্রধান হাতিয়ার ছিল আপনি যথার্থ বলেছেন।

যদিও বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে আমার এখনো যাওয়া হয়নি কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই দেখে নিয়েছি। যার কারনে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে ফটোগ্রাফির চাইতে যদিও সরাসরি দেখতে ভালো লাগে কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টের মাধ্যমে দেখে একটু ভালো লাগলো। এই জায়গাটিতে যাওয়ার আমার অনেক দিনের ইচ্ছা। আপনার পোস্ট দেখে আরও বেশি আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে। যাইহোক তৃতীয় পর্ব কিন্তু বেশ অসাধারণ ছিল বলতে হয়।

হ্যাঁ ভাইয়া সময় হলে একদিন বাচ্চাকে সহ নিয়ে দেখতে যাবেন অনেক ভালো লাগবে।

বাংলাদেশে এর জাতীয় জাদুঘরে আমি ৭ বছর আগে গিয়েছিলাম।আপনার ঘুরাঘুরি পর্ব -৩ এর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন,যেগুলো অনেক মনোমুগ্ধকর লাগছে ফটোগ্রাফিতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর এই গ্রামের জিনিস পত্র গুলোর মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

এখন কিন্তু অনেক উন্নত মানের করে ফেলছে আপু দেখতে অনেক ভালো লাগে আবার যেয়ে দেখবেন।

নিজের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এবং পোষ্টের মাঝে ভিন্নতা আনার জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু করার জন্য। আপনি মিউজিয়ামে বেড়াতে গিয়েছেন এবং সেখানে সুন্দর সব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ভাবে ক্যাপচার করেছেন। অনেক ভালো লাগলো।

প্রতিদিন একই ধরনের পোস্ট ভালো লাগেনা তই ভিন্ন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি ধন্যবাদ আপু দোয়া করবেন আমার জন্য।

আপু আপনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির তৃতীয় পর্বে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া অনেক ঐতিহ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে খাবার,মিষ্টির পাতিল ঝুলিয়ে রাখার দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।

হ্যাঁ ভাইয়া হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র এগুলো তো আমাদের গ্রাম বাংলার প্রধান উপকরণ ছিল বেঁচে থাকার।

কি সৌভাগ্য আমার। আপনার আজকের এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম দেখার সুযোগ পেলাম। ওখানে গিয়ে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন বোঝা যাচ্ছে। আর ফটোগ্রাফি গুলোর পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা করতে। আজকের পোস্ট করে আমি নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম তাই আমার খুবই ভালো লেগেছে।