ভালো লাগার মত প্রকৃতির সাতটি আলোকচিত্র।

in hive-129948 •  2 years ago 

আমার বাংলা ব্লগ

পরিবারের সবাই কেমন আছেন?


ভারত-বাংলাদেশি ব্লগার ভাই বোনেরা আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। রমজান মাস যেহেতু একটু ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি সবদিক সামলিয়ে নিয়ে। তারপরেও বলবো আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু ঠিকঠাক যাচ্ছে আল্লাহর রহমতের মাস বলে কথা। সারাদিন পরিবারের বিভিন্ন ধরনের কাজ ছিল সব কাজ করে যখন একটু ফ্রি মনে করেছি তখন পোস্ট লেখার জন্য উপস্থিত হয়েছি। প্রতিদিন যেহেতু ভিন্ন ধরনের কিছু লেখার চেষ্টা করি তাই আজ আমার ফটোগ্রাফি পোস্ট করার দিন। চিন্তা করলাম প্রতিদিন তো ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমি শেয়ার করি বিশেষ করে। তাই আজ শেয়ার করবো চির সবুজের এই বাংলার প্রকৃতির কিছু প্রাকৃতিক ছবি।

আমরা সবাই প্রকৃতিকে পছন্দ করি। আমরা প্রকৃতিতেই বড় হয়েছি প্রকৃতি হচ্ছে আমাদের সবকিছু। যখন আমরা সারাদিন কর্মরত অবস্থায় সময় পার করি তখন একটু প্রকৃতির মাঝে স্বস্তি পেতে চাই। একটানা অনেকদিন কাজ করার পরেই নিজেদের মধ্যে একঘেয়েমি ভাব চলে আসে। তাই আমরা সেই একঘেয়েমি কেটে যাওয়ার জন্য দূরে কোথাও ঘুরে আসি প্রকৃতির মাঝে। আমাদের যখন মন খারাপ থাকে তখন চির সবুজের বাংলার প্রকৃতির মাঝে আসলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়। আজ তেমন প্রকৃতির ঘেরাও ভিন্ন কিছু প্রাকৃতিক ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা করি ভালো লাগবে।

তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে আসি আমার আজকের প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো।


আলোকচিত্র-১


nature1.jpeg

Deviec-Wiko-T3
লোকেশন


প্রথম যে আলোকচিত্র দেখতে পাচ্ছেন সেটা হচ্ছে সবার পরিচিত ও প্রিয় জায়গা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঘোড়ার একটি দৃশ্য। এই জায়গায় গেলে সবাই কমবেশি ঘোড়ার পিঠে চড়তে চাই। সবাই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে ঘোড়ার পিঠে উঠে। আমি তো কখন উঠি নাই তবে আমার দেখতে বেশ ভালো লাগে কিন্তু চড়া আমার বিষণ ভয় লাগে। আমার কাছে এই মুহূর্তটা খুব সুন্দর লাগছিল। একদিকে সাগরের ঢেউ তোলা পানি অন্যদিকে খুব সুন্দর বালিতে ছুটে চলা ঘোড়ার দৃশ্য দেখতে ভালো লাগছিল।


আলোকচিত্র-২


nature.jpeg

Deviec-Wiko-T3
লোকেশন


এমন সুন্দর পরিবেশ কার ভাল লাগেনা বলেন? আমার তো ভীষণ ভাল লাগে। একদিকে চারদিকে সবুজ আর সবুজ অন্যদিকে মাঝাখানে সময় কাটানোর জন্য বসার সুন্দর ব্যবস্থা। এমন পরিবেশে তো সময় কাটাতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে বিকেল বেলায় যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসে ঠিক তার আগ মুহূর্তে বসে আড্ডা দেওয়া কিংবা সবাই মিলে নাস্তা খাওয়া অনেক সুন্দর সময় যাবে। আমি এই জায়গায় বার বার ফিরে আসি।


আলোকচিত্র-৩


nature3.jpeg

Deviec-Wiko-T3
লোকেশন


এই জায়গাটা দেখতে দারুণ ছিল। ঢাকার বুকে এমন সুন্দর জায়গা দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগছিল। চারদিকে তো যানজট এত ধুলাবালি তার মাঝেও যেন একটু স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলাম এমন প্রকৃতির মাঝে। চারদিকে ফুলের বাগান বিভিন্ন ধরনের সবুজ গাছগাছালি যেন চির সবুজের সেই গ্রামবাংলা ফিরে পেয়েছিলাম। এমন সুন্দর দৃশ্যটি আমি নিয়েছিলাম বাংলাদেশের জাতীয় মিউজিয়ামের সামনের এরিয়া থেকে। অনেক সুন্দর একটি জায়গা। বিতরের পরিবেশ যেমন সুন্দর বাইরের পরিবেশও অসাধারণ ছিল আমার কাছে।


আলোকচিত্র-৪


nature7.jpeg

Deviec-Wiko-T3
লোকেশন


হরিণ আমার দেখতে অনেক ভালো লাগে তবে হরিণ চিড়িয়াখানায় কিংবা বই পুস্তকে দেখেছি কিন্তু বাস্তবে কখনো ধরে দেখার সুযোগ হয়নি আমার। বাচ্চাদের নিয়ে যখন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় গেছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেখানে ছোট ছোট বেশ অনেক গুলো হরিণের বাচ্চা দেখছিলাম। দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল সবাই মিলে খাবার খাচ্ছিল। এমন সময় আমি এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।


আলোকচিত্র-৫


nature5.jpeg

Deviec-Wiko-T3
লোকেশন


এই আলোকচিত্র টি হচ্ছে গ্রামের একটি দৃশ্য যখন আমি গ্রামে গিয়েছিলাম তখন বিকেল বেলা হাঁটতে বের হয়েছিলাম। কিছু দূর যাওয়ার পরে আমাদের গ্রামে বড় একটি সবজি ক্ষেত আছে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়। বিকেলে এই সবজি ক্ষেত দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল। এখানে মিষ্টি আলু, গোল আলু এবং বিভিন্ন ধরনের বিচির চাষ করা হয়। এছাড়া ও আরো নানান ধরনের সবজি চাষ হয় এই ক্ষেতের মধ্যে।


আলোকচিত্র-৬


nature4.jpeg

Deviec-Wiko-T3
লোকেশন


এমন সুন্দর পরিবেশে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। একদিকে সবুজ গাছ গাছালি অন্যদিকে সুন্দর সুন্দর ফুলের বাগান বেশ মনোরম পরিবেশ ছিল এই জায়গাটি। এই দৃশ্যটি ও বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে একদম ঢোকার পরেই দৃশ্য। বাইরের লোকজন এ বাগানে তেমন ঢুকতে দেওয়া হয় না। শুধু যারা ভিতরে কর্মচারী আছেন শুধু তারাই যাওয়া আসা করতে পারেন। ভিতরে যেহেতু যাওয়া নিষেধ তাই দূর থেকে ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম।


আলোকচিত্র-৭


nature6.jpeg

Deviec-Wiko-T3
লোকেশন


কক্সবাজার থেকে আলাদা একটি উপজেলা মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরের অনেক উঁচু পাহাড় থেকে এই দৃশ্যটি আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। কিছুদিন আগে যখন মহেশখালী গিয়েছিলাম তখন আদিনাথ মন্দিরে অনেক সুন্দর একটি মেলা চলছিল। আমরা সবাই সেই মেলাতে যাই মেলা দেখার জন্য। কিন্তু আদিনাথ মন্দিরের উঁচু পাহাড়ে কখনো উঠা হয়নি। সেইদিন সময় সুযোগ ছিল তাই একদম পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছিলাম। পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে তাকালে দেখা যায় বেশ সুন্দর পানের বরজ। এখন ফটোগ্রাফিতে যে দৃশ্যটির দেখা যাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে পানের বরজের ফটোগ্রাফি।

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvSr7MKpyvjtSv7FKCGeaKcD79bYTSC4DDxDseh38BvA3nBwMkNuEu4GRXnAQ4AVPF9V4yJcfGu644v3x1.jpg

আজ এই পর্যন্ত বন্ধুরা আশাকরি আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের কাছে আমার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে পেরে আমার ভাল লাগতেছে।


ক্যামেরার বিবরণ


ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিফটোগ্রাফি


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1ErQjV81WrS7JqZTWQdBGha46B6ouHda5Uef2pPD592KM6WQ5DPtmJAFbRpCJxBV1deubp3jTX5M8sF2eMPzpt7ToKs7xvshYmvG2N9uBGen8JJSxhXd6cj7tosB3JWqedqnSVHWyMFLQizB7ouZeu28paqWxpHmLGq5FJ23YStCWcEHwtnsfm6gSWK8GH8.gif

আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।তাই আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Ehur2Z3EsVgTD2AcTmkokXePYxgzpSqwnBNBj3ZteFgQGBvoV1Gau6PdZ2iRjGoCbkshRWuRQSfGSpuzhGGAeLA4Vf5U1Hc8iJwwxD89QHRxVn1je1P4CmpDJ3i8T6K3VVLivshpofZcmEc1F66yhadmSAKB5S67TB9CT5ts8F67pFjTnJQ9RnA2Qqq1Qc1.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই রজার মাঝেও যে আমার বাংলা ব্লগের সাথে আছেন সত্যি যা দেখে অনেক ভালো লাগে৷ যা হোক বেশ সুন্দর আর চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ৷ তবে প্রথম সমুদ্রের পাড়ে ঘোড়ার ফটোগ্রাফি টি দারুন ছিল ৷ সেই সাথে প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে মনটা ভরে গেলো ৷ দারুন ছিল সবমিলে অসংখ্য ধন্যবাদ ব্যস্ততা কেটে প্রতিনিয়ত কাজ করুন এমনটাই প্রতার্শা ৷

সমুদ্রের পাড়ে ঘোড়ার দৃশ্য দেখতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি।

ফটোগ্রাফি করতে আমাদের সবার ভালো লাগে। আর এরকম সুন্দর কোন জায়গা দেখলে ফটোগ্রাফি না করে থাকা যায় না। সত্যি আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সুন্দর এই জায়গাগুলো সম্পর্কে বুঝতে পারছি এবং হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারছি। সত্যি আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।

ভিন্ন ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করেছি আপনাদের ভালো লাগার জন্য। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য।

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সত্যি আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টটি আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঘোড়ার দৃশ্যটি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া আপনার কাছে আমার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে শুনে।

আপু আপনার ফটোগ্রাফির গুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে যেই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছেন সেগুলো দেখে হৃদয়টা ঝুড়িয়ে গেল। তাছাড়া মহেশখালী, কক্সবাজার থেকে যে ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছেন। সেগুলো দেখেও অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।

বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের সামনের দৃশ্যটি কিন্তু অসাধারণ ছিল।

বাহ খুব সুন্দর ছিলো আলোকচিত্র গুলো। আসলেই ভালো লাগার মতো। তবে বাকি আলোকচিত্র এর চেয়ে আলোকচিত্র -১ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দরভাবে আলোকচিত্রগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রথম আলোকচিত্র যেহেতু সবার ভালো লাগতেছে তাই বুঝতেছি আপু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রতি সবার আকর্ষণ টা একটু বেশি😍🥰।

আসলে আপু আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে মন অনেক ভাল হয়ে গেল। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যা ছিল অসাধারন। দুই নাম্বার পাঁচ নাম্বার ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ।

আপনার দেখছি আমার মত সবুজ প্রকৃতি ভালো লাগে বুঝতে পেরেছি অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে মন ভরে গেল। সত্যিই অসাধারণ সুন্দর্যময় ছিল এই ফটোগ্রাফি গুলো।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে অনেক সুন্দর ভাবে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি।

আসলে আমরা যখন একটা না একটা জায়গায় আবদ্ধ থাকে তখন নিজের মধ্যে কেমন যেন অস্বস্তি একটা ভাব চলে আসে। আর এই অস্ত্রতা কাটানোর জন্য আমাদের সকলের উচিত প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় অতিবাহিত করা। প্রকৃতির মাঝে সময় অতিবাহিত করলে নিজের কাছে অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করে। আপনার এই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম দারুনভাবে আপনি ফটোগুলো ক্যাপচার করেছেন। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনি ঠিক বলছেন সব সময় এক জায়গায় থাকতে থাকতে মনের মধ্যে একটা বোরিং চলে আসে। তাই মাঝে মাঝে প্রকৃতির মাঝে ভিন্নতা খোঁজে আসলে অনেক ভালো লাগে।