সবাই কেমন আছেন?
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের নতুন ব্লগে। আশা করি সবাই সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝে আমরা চেষ্টা করি সুন্দর সময় কাটানোর। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন আমরা সুস্থ থাকি। আশা করি সবাই সুস্থ আছেন সবাইকে নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে। আবার হাজির হয়েছি নতুন একটি টপিকস নিয়ে। নিশ্চয়ই দেখে বুঝতে পারছেন। কিছুদিন আগে আমি প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবার দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। বেশ কিছুদিন আগে মহেশখালীতে গেয়েছিলাম। তবে সেখানে যাওয়ার কয়েকটি কারণ ছিল।
বিশেষত আমার হাজব্যান্ড ঢাকায় ভ্রমণে যাওয়ার কারণে বাসায় একা ভালো লাগছিল না তাই বাচ্চারা অস্থির করছিল সেই জন্য চলে যাওয়া। বিশেষ করে এই বছর বাচ্চাদেরকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। অসুস্থতার কারণেই যাচ্ছি না কোথাও। সেই জন্য বেশি অস্থির করছিল ঘুরতে যাওয়ার জন্য তাই তাদেরকে নিয়ে মহেশখালী গ্রামে গিয়েছিলাম আমার ননদের বাসায়। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে আমাদের দেবরের বিয়ে। অর্থাৎ আমার হাজবেন্ডের খালাতো ভাইয়ের বিয়ে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সেই দুবাইতে অবস্থান করছিলেন। দুবাই থেকে আসলো দেশে বিয়ে করার জন্য। সেই বাসায় এসে দাওয়াত করে গেছে অনেক বেশি অনুরোধ করছিল বিয়েতে যাওয়ার জন্য।
যেহেতু আমার হাজব্যান্ড ছিল না আমাকে যেতে হয়েছিল অসুস্থতার মাঝে। আর গ্রামের বিয়ে বলে কথা অনেক ভালো লাগে আমার। আর বাচ্চারা অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছিল সেজন্য সব কিছু মিলিয়ে গ্রামে গেছিলাম। আমি প্রথম পর্বে আপনাদেরকে শেয়ার করেছিলাম বরকে তার ফিতা কেটে বরণ করে নিল। প্রথমে গেইটে আবার স্টেজ এর মধ্যে টাকা জন্য আটকায় ফেলে ধাপে ধাপে বেশ বেহাল অবস্থা করে দিয়েছিল দেবরের। এই দৃশ্যগুলো বসে বসে উপভোগ করেছিলাম। ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছিল পেটেও খিদা লাগছিল অনেক। হঠাৎ আমাদেরকে খাওয়ার জন্য ডাক দিল। তো আমরা চলে গিয়ে সেখানে খাবার টেবিলে বসে পড়লাম। যেহেতু আমরা বর পক্ষ থেকে ছিলাম অনেক লোকজন ছিল। খাওয়া দাওয়া মোটামুটি ভালো হয়েছিল এত বেশি ভালো না আবার খারাপও না।
বর যাত্রা যাওয়ার কথা ছিল দুইশ জন। সেখানে ৩০০ মত হয়ে গেছিল মানুষ। গ্রামের বিয়ে বলে কথা আসলে সব মানুষকে না ডাকলেও ভিতরে ভিতরে কিভাবে চলে যায় বোঝা যায় না। তো বন্ধুরা যখন খেতে বসলাম বেশ ভালো লাগছিল। কয়েকটি আইটেম দিয়েছিল আমার কাছে ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। তাছাড়া অনেক বেশি খিদা লাগছিল তাই খেতে বেশ ভালো লাগছিল খাবার গুলো। খাবারে অনেকগুলো আইটেম দিয়েছিল সবচেয়ে বেশি ভালো রাখছিলাম মাংসের গরম ঝোল। চিংড়ি ফ্রাই দিছিল। তাছাড়া রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়েছিল। মুরগির রোস্ট দিয়েছিল মাংসের আইটেম ছিল। বেশ ভালোই খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে বসে। অবশেষে আমরা খাওয়া দাওয়া করে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করি নাই। যেহেতু প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল তাই আমরা সবাই মিলে গাড়িতে উঠে বসলাম।
গাড়িতে উঠে বসে তো এক বিপদে পড়ে গেলাম। গাড়িতে ছাড়ছে না। গাড়িওয়ালা কে বলে দিছে নাকি একেবারে বর বউকে নিয়ে তারপরে সব গাড়ি যাবে। কিছু গাড়ি চলে গেছে আর কিছু গাড়ি বর বউকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। এতই বিরক্ত লাগছিল বলার মত না। অবশেষে অপেক্ষা করতে করতে মাগরিবের পর হয়ে গেছিল। আমরা অবশেষে গাড়িতে করে বরের বাড়িতে গেলাম। সেখানে অনেকক্ষণ বসার পরে আমরা আবারও ননদের বাসায় আসার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ততক্ষণে আমাদেরকে আবারও খাওয়া দাওয়া করে যাবার জন্য বেশ জোর করল বর এবং বরের মা। অর্থাৎ আমার খালাতো শাশুড়ি এবং দেবর। আমরা বললাম খিদে নেই। অনেক জোর করে মুরগির একটি বড় রোস্ট দিয়ে দিল। আমাদের দেবর আমাদেরকে রাস্তায় এসে একটা গাড়ি নিয়ে দিল।
আমরা বরের জন্য গিফট নিয়ে গেছিলাম। তবে আমরা গিফটের পরিমাণ অনুযায়ী টাকা দিয়েছি। কারণ বিয়ে তো অনেক খরচা হয়ে থাকে তাই টাকাগুলো হাতে ধরিয়ে দিলাম। অবশেষে আমরা সিএনজি নিয়ে আমার ননদের বাসায় চলে আসি। সেই মুহূর্তগুলো বেশ সুন্দর ছিল অনেক আনন্দময় ছিল। আমার ননদের মেয়ে গেছিল দুইজন। আমাদের বাচ্চা দুজন ছিল। আবার ননদের ছেলে ছিল আমি আর আমার ননদ। সবাই মিলে একটা বড় গাড়িতে আমরা সবাই চলে গেছিলাম। বিয়ে বাড়িতে একা গেলে ভালো লাগেনা। সবাই মিলে যখন এক্ষেত্রে কোথায় যাওয়া হয় তখন ভীষণ ভালো লাগে।
সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম দেবরের বিয়েতে। অনেক সম্মান করেছিল। আর বিশেষ করে আমার গ্রামের বাড়ি বিয়ে গুলো খুব ভালো লাগে। অনেক আনন্দ করা যাই অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়ে যায়। সেই মুহূর্তটি প্রথম পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করে শেষ করেছি। আশা করি আমার আজকের লেখাগুলো পড়ে আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | মহেশখালী |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আরে আপু ২০০ জন বরযাত্রী যাবার কথা সেখানে ৩০০ জন গেছে তাহলে তো বেশ বড় অনুষ্ঠান হয়েছে বিয়ের। গ্রামের বিয়েতে ফিতা কাটা, বরের মুখে মিষ্টি দেওয়া শরবত খাওয়ানো এগুলোতে অনেক আনন্দ হয়। আপনার অসুস্থতার মধ্যেও বিয়ের বর যাত্রী গিয়ে দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আর এমন অনুষ্ঠানে বাচ্চারা অনেক বেশি আনন্দ পায়। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপু। গ্রামের বিয়ে গুলোতে একদম ভিন্ন রকমের কিছু আনন্দ উপভোগ করা যায়। আর গ্রামের বিয়ে গুলোতে সবথেকে খারাপ লাগার বিষয় যেটা ,সেটা হচ্ছে বরযাত্রী যাওয়ার কথা যতটুক পরিমাণ থাকে তার থেকেও অনেক বেশি চলে যায়। যেমন আপনার দেবরের বিয়েতে 200 জনের জায়গায় ৩০০ জন হয়ে গিয়েছিল। এরকমটা করলে মেয়ে পক্ষ অনেকটা কষ্টের মধ্যেই পড়ে যায়। যাই হোক আপনার দেবরের বিয়েতে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যাচ্ছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার আজকের টাস্ক:-
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/heranahar148614/status/1882447733753319806?t=9_2LX9am_hB4rOPsUU3Rug&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেবরের বিয়ে বলে কথা। দেখে যা বুঝতে পারলাম আপনি অনেক আনন্দ করেছেন সবার সাথে। প্রথমে আমি আপনার দেবর আর নববধূর জন্য অনেক অনেক দোয়া করি। তাদের দাম্পত্য জীবন যেন অনেক সুখময় হয়। বেশি ভালো লেগেছে সুন্দর একটি আয়োজন দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু, বিয়ে মানে খাওয়া দাওয়া হাসি আনন্দ সকলের সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা। বিয়েতে গেলে খুব ভালো লাগে সকলের সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায়। আপনার দেবরের বিয়েতে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো। সবার সাথে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে দেবরের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্তের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit