রেসিপি-||চিংড়ি মাছ দিয়ে শীতকালীন সবজি পাতাকপি ভাজা রেসিপি।||

in hive-129948 •  2 years ago 

খাদ্যপ্রেমী বাঙালি বন্ধুরা!


কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আমি সামশুন নাহার হিরা@samhunnahar। আমি একজন বাংলাদেশী। প্রিয় @amarbanglablog এর এপার বাংলা-ওপার বাংলার বাংলায় ব্লগিং প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি আপনাদের সাথে।প্রতিদিন আমার লিখতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।কারণ দুই মেয়ে নিয়ে সারাদিন আমি অনেক ব্যস্ত থাকি।চেষ্টা করি খুব তাড়াতাড়ি আমার পোস্টটি শেয়ার করে দেওয়ার জন্য।কিন্তু এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়ি করব করব বলতে শেষ বেলায় এসে কোন রকমের সুযোগটা বের করে নিই।

Add a heading.jpg

আসলে আমি বাসায় কাজের লোক রাখি না একমাত্র কারণ হচ্ছে আমি নিজেই কাজগুলো করে স্ট্রং থাকতে চাই।কাজ করলে শরীরের ওজন ঠিক থাকে, এবং রোগ বালাই কম হয়।সেজন্য বাসার কাজ গুলো নিজে করার চেষ্টা করি যদিও বা কষ্ট হয়।পাশাপাশি সময় পেলে আপনাদের সাথে ভালো-মন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য চলে আসি।সেই ধারাবাহিকতায় আমি আজ একটি নতুন রেসিপি শেয়ার করব আপনাদের সাথে।এখন যেহেতু শীতকাল সবাই শীতকালের সবজি খাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।আমিও অনেক আগে থেকেই শীতকালীন শাক-সবজি খাওয়া শুরু করে দিয়েছি।

শীতকালীন শাক সবজির মধ্যে পাতাকপি কমবেশি সকলেই চিনেন।পাতাকপি ভাজি সকলেই কম বেশি খেয়ে থাকেন এবং সবার প্রিয় একটি সবজি।তো বন্ধুরা আমি আজ পাতাকপি ভাজি রেসিপি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।কারণ এলাকাভেদে একেক জনের রান্না একেক ধরনের হয়ে থাকে।সে মোতাবেক আমিও আজ আমার কক্সবাজার-চট্টগ্রামের মানুষ যেভাবে পাতাকপি ভাজি করে থাকেন সেই পদ্ধতিতে আমি আজ আপনাদেরকে পাতাকপি ভাজি রেসিপি শেয়ার করব।আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।পাতাকপি ভাজি বিভিন্ন ভাবে রান্না করা যায়।তবে আমি আজ চিংড়ি মাছ এবং সাথে টমেটো ও গাজর মিক্স করে ভাজি করেছি।


তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকে রেসিপি রান্নার পদ্ধতিঃ


রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ


উপকরণপরিমাণ
  • পাতা কপি মাজারি সাইজের- একটি।

  • গাজর- একটি।

  • কাঁচা মরিচ ফালি -৮/১০ টি

  • টমেটো - একটি।

  • পেঁয়াজ কুচি- দুইটি।

  • রসুন কুচি-৪/৫ কোয়া।

  • ধনিয়ার গুঁড়া -১ চামচ।

  • জিরার গুঁড়া -হাফ চামচ।

  • হলুদের গুঁড়া -হাফ চামচ।

  • লবণ- স্বাদমতো

  • তেল-পরিমানমতো

  • ধনেপাতা কুচি-স্বাদমতো

উপকরণ সমূহ নিয়ে দেখিয়েছিঃ


copy.jpeg


উপকরণ১.jpeg

রন্ধন পর্ব-১

copy1.jpeg

প্রথমে আমি সব উপকরণ নিয়েছি।রন্ধন পর্বের আগে আমি আপনাদেরকে ছবি আকারে উপকরণের পরিমাণ সমূহ পরিমাণমতো নিয়ে দেখিয়েছি।এখন আমি সরাসরি চলে যাব রান্নার ধাপে।রান্নার জন্য আমি একটি পাত্র নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।পাত্রটি গরম হলে তাতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিছি।এখন যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে তেল গরম হয়ে আসলে প্রথমে পেঁয়াজ, রসুন কুচি দিয়ে দিব।

রন্ধন পর্ব-২

copy2.jpeg

এইবার দিয়ে দিব ধুয়ে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো।সাথে অল্প লবণ দিয়ে দিছি যাতে খুব তাড়াতাড়ি পেঁয়াজ ও রসুন কুচি সফট হয়ে আসে।কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে দিব।এখন সব উপকরণ গুলোকে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিব।

রন্ধন পর্ব-৩

copy3.jpeg

copy4.jpeg

এখন চিংড়ি মাছ,পেঁয়াজ, রসুন কুচি ও কাঁচা মরিচ ফালি ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে টমেটো কুচি দিয়ে দিলাম এবং সাথে ধনিয়ার গুঁড়া,জিরা গুঁড়া,হলুদের গুঁড়া ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিছি।সব উপকরণ মিক্স করে ভাল করে ভেজে নেব।সব উপকরণ ভাজা হয়ে গেলে এখন অন্য ধাপে চলে যাব।

রন্ধন পর্ব-৪

copy5.jpeg

এখন কুচি করে ধুয়ে রাখা পাতাকপি ও গাজর গুলো ঢেলে দিব।কুচি করে রাখা পাতাকপি ও গাজর ঢেলে দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিয়েছি।মিক্স করার পরে এখন সিদ্ধ করার পালা।সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।


রন্ধন পর্ব-৫

copy7.jpeg

copy8.jpeg

পাতাকপি এবং গাজর যতক্ষণ পর্যন্ত সিদ্ধ হয়ে আসে নাই ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল করে নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি।এই ধাপে এসে আমার আজকের তৈরি করা পাতাকপি ভাজি সিদ্ধ হয়ে এসেছে।এখন ধনেপাতা কুচি উপরে ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়ে চুলা থেকে রান্নার পাত্রটি নামায় ফেলবো।যখন হালকা গরম কমে যায় তখন একটা প্লেটের মধ্যে পরিবেশনের জন্য নিয়ে দেখিয়েছি।কালার টা অনেক সুন্দর হয়েছে গাজর দেওয়ার কারণে এবং টমেটো দেওয়ার কারনে।এছাড়াও শুধু চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করা যায়।তবে আমি বেশির ভাগ এই পদ্ধতিতে পাতাকপি ভাজা করে থাকি।

logo1.png

ফটোগ্রাফিতে ব্যবহার করা ক্যামেরার বর্ণানাঃ
ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিরেসিপি
আশা করি আমার আজকের এই রেসিপিটা আপনাদের ভাল লেগেছে।এভাবে পাতাকপি ভাজি করে গরম ভাতের সাথে অথবা রুটি পরোটার সাথে খেলে অনেক ভালো লাগে।এভাবে আপনারাও পাতাকপি ভাজি করে খেতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে।তাহলে বন্ধুরা আমার লেখা আজ এখানে শেষ করব। আবার দেখা হবে আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।


সামশুন নাহার হিরা

@samhunnahar


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1ErQjV81WrS7JqZTWQdBGha46B6ouHda5Uef2pPD592KM6WQ5DPtmJAFbRpCJxBV1deubp3jTX5M8sF2eMPzpt7ToKs7xvshYmvG2N9uBGen8JJSxhXd6cj7tosB3JWqedqnSVHWyMFLQizB7ouZeu28paqWxpHmLGq5FJ23YStCWcEHwtnsfm6gSWK8GH8.gif

3V3rr4S3jU49uJ7YGXMfCAW8jdBAMcLpwKuDWQd3Wy8m3RekHFxfRPKJioki9L8rkjapja4Mb7D94eECZLrGjWymqaiFuhAafHyafmaKCxLZNesJTR2pC8aPbATRcvZ8rJ27wVEup9rw2cwQqQBqz4ik1rrNUggHZY9FksFVtWNYBbtdPu3Z4KvPeHqd9WSyKYLr5cUgCWeoXKYC3uzU9AG7XZCibPhjqYMguNySRGi.png

আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।তাই আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

287864753_400308362032280_8045934577883994743_n.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পাতাকপি ভাজি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। দেখে জিভে জল চলে এসেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা এভাবে আরো সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদের উপহার দিবেন।

অনেক ভালো লাগলো আপু এরকম উৎসাহ মূলক মন্তব্য পেলে অনেক ভালো লাগে।

আপনি ঠিকই বলেছেন কাজের লোক না রাখাই ভালো নিজের কাজ নিজে করলে সুস্থ থাকা যায়। আপনি ঠিকই বলেছেন এলাকা ভেদে মানুষের খাবারে ভিন্নতা আছে।কক্সবাজার চট্টগ্রামের মানুষ এভাবে পাতা কফি ভাজি খায়।আমরাও এভাবে খাই চিংড়ি মাছ দিয়ে পাতাকফি সাথে অনেক সবজিও দিয়ে থাকি আপনার মতোই।আপনি টমেটো, গাজর ব্যবহার করেছেন,যা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপু।

হ্যাঁ আপু পাতাকপি ভাজার সময় অন্যান্য সবজিও দেওয়া যায়।তা আমরা দিই তবে আমি এবার গাজর আর টমেটো দিয়ে করেছি।

কি বলবো আপু আমাদের বাড়িতেও আজকে পাতাকপি ও চিংড়ি ভাজি করেছিল। তবে গাজর টমেটোর সাথে পাতাকপি ভাজি কখনো খাইনি। দেখে মনে হচ্ছে এভাবে রান্না করলে খাবারের স্বাদটা আরো বেড়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে সুস্বাদু পাতাকপি ভাজির রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।

আপনি ঠিক বলছেন গাজর, টমেটো দিলে স্বাদের একটু ভিন্নতা আসে।তবে আমি কেন দিই জানেন সেটা হচ্ছে যে আমার কালারটা দেখতে অনেক ভালো লাগে তাই।

পাতাকপি টমেটো গাজর সেইসাথে চিংড়ি মাছের মিশ্রণে দারুন একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন এমন রেসিপি আমারও খুব ফেভারিট।। বিশেষ করে গাজর দিয়ে প্রস্তুত করা যেকোনো রেসিপি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।।। যেমন মজাদার খাবার তেমনি অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ রয়েছে।।
প্রস্তুত প্রণালী সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।

আমারও ভাইয়া গাজর দিয়ে যে কোন সবজি রান্না করতে ভালো লাগে কারণ আমার দেখতে অনেক সুন্দর লাগে এবং দেখতে অনেক ভালো লাগে।

শীতকাল আসলেই আমার মা মাঝে মাঝেই চিংড়ি মাছ দিয়ে পাতাকপি ভাজি করে আমাদেরকে খাওয়াতো। অনেকদিন হয়ে গেল সুস্বাদু এই রেসিপি খাওয়া হয়নি। তবে আপু আপনার রন্ধন প্রণালীতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। কেননা পাতাকপির সাথে আমরা কখনো টমেটো ও গাজর মিশিয়ে খাইনি। তাই আপনার রন্ধন প্রণালীটা নতুনত্বে ভরপুর। একদিন এভাবে বাসায় ট্রাই করে দেখব। চিংড়ি মাছ দিয়ে শীতকালীন সবজি পাতাকপি ভাজার প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

হ্যাঁ ভাইয়া এভাবে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।একটু যদি তেল বাড়িয়ে দেন তাহলে আরো ভাল হয়।

আমার নিজেরও কোন কাজের মানুষ নেই, সব কাজ নিজেই করি।তবে আমার ওজন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। যাই হোক বাঁধাকপি কিংবা পাতাকপি দিয়ে আমার কাছে পাকোড়া বানালে বেশ ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে ভালোই লেগেছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

হ্যাঁ আপু কাজ করতে থাকলেও অনেক সময় এমনি এমনি ওজনটা বেড়ে যায়।যদি খাবার কন্ট্রোল করি তারপরও ওজনটা বাড়তে থাকে।

শীতকালীন সবজি দেখলে খুব ভালো লাগে। বাঁধাকপি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে চিংড়ি দিয়ে কখনও রান্না করে খাওয়া হয়নি। আমি বাঁধাকপি ভাজিই খেয়েছি। আপনি চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি রান্নার খুব সুন্দর এবং ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সহজভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। রান্নার পরিবেশন সুন্দর ছিল। রান্নার রংটাও দারুন এসেছে। ধন্যবাদ আপু।

এভাবে চিংড়ি দিয়ে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া খেতে অনেক ভালো লাগে।

নিজের কাজ নিজে করাই ভালো আর টুকটাক কাজ করলে শরীরটা অনেকটাই ফিট থাকে। তাছাড়া নিজের কাজ নিজে করতে গেলে অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয় না।
আপনি সবার আগেই শীতের সবজি পাতাকপি ভাজি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। চিংড়ি মাছ দেওয়াতে পাতাকপি ভাজির টেষ্ট দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আপু। একটু টেষ্ট করে দেখার শখ ছিল।

হ্যাঁ ভাইয়া টেস্ট করতে পারবেন সুন্দর করে চিংড়ি দিয়ে এই ভাজিটা বাসায় করে দেখবেন খেতে ভালো লাগবে।

আপু আপনার মতো আমিও সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটে ৷ আর রাতে পোষ্ট করি ৷
যা হোক আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে শীতকালীন সবজি পাতাকপি ভাজা রেসিপিটা দারুন করেছেন ৷ বিশেষ করে চিংড়ি মাছ আমার অনেক প্রিয় ৷ দেখে তো জিভে জল টলমল করছে আপু ৷

হ্যাঁ ভাইয়া ব্যস্ত থাকা অনেক ভালো আর ভাজিটা অনেক মজার ছিল আপনিও করে দেখতে পারেন।

শীতকালীন সবজি খাওয়ার মজাটাই আসলে আলাদা।আমার তো শীতকালীন সব ধরনের সবজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি তো তার মধ্যে চিংড়ি মাছ আর বাঁধাকপি ভাজি করলেন দেখে তো মনে হচ্ছে ভিশন ইয়াম্মি হয়েছে। আমার বাঁধাকপি আর ফুলকপি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আজকে আপনি খুবই চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সবার মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আমারও শীতকালীন সবজি অনেক ভালো লাগে। তার মধ্যে বাঁধাকপি আর পাতাকপি চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে অনেক ভালো লাগে।

আপনি খুব ভালো একটা অভ্যাস তৈরি করেছেন নিজের কাজ নিজে করেন।আপনি বাধাকপি দিয়ে চিংড়ি মাছ, গাজর,টমেটো দিয়ে সুন্দর একটি ভাজি তৈরি করেছেন। এ রকম ভাজির সাথে গরম ভাত হলে আর কিছু চাই না।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করি আপু। আর ভাজিটা রুটি পরোটা এবং গরম ভাতের সাথে অনেক ভালো লাগে।

শীতকালে পাতাকপি ভাজি আমার অনেক ভালো লাগে। তবে রুটি দিয়ে পাতাকপি ভাজি খেতে পারলে একটু মজাটা বেশি লাগে। তবে চিংড়ি দিয়ে না, চিংড়িতে আমার অনেক এলার্জি।আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। তবে গাজর এবং টমেটো দেওয়াতে স্বাদ আরো একটু বেড়ে গেছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া যদি রুটি পরোটা দিয়ে খাওয়া যায় তাহলে অনেক ভালো লাগে।চিংড়ি ছাড়া আমরাও ভাজি করে থাকি।

আপনার এই চট্টগ্রামের স্টাইলের চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি (পাতা কপি) ভাজি প্রথম দেখলাম। আমাদের যদিও অন্যভাবে করা হয়। যাই হোক দেখতে ভালোই লাগছে। ধন্যবাদ আপু একটা অন্যরকম রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ভাইয়া আমরা শুধু চিংড়ি দিয়ে নয় বিভিন্ন ভাবে রান্না করে থাকি।তবে আমরা প্রায় সময় বেশি করে থাকি যেটা সেটা হচ্ছে এভাবে চিংড়ি দিয়ে।

চিংড়ি মাছ দিয়ে শীতকালীন সবজি পাতাকপি ভাজা রেসিপি টা দারুন হয়েছে। এইভাবে রান্না করে খেলে অনেক মজা লাগে। নিজের কাজ নিজে করতে বেশি পছন্দ করি। এইটা হওয়া উচিত বলে মনে করি। রান্নার পরিবেশনা টা অনেক সুন্দর ছিল। রান্নার ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর ইউনিক একটা রেসিপি আইডিয়া শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ ভাইয়া আমিও তাই মনে করে নিজের কাজ নিজে করাই অনেক ভালো।আপনি সুন্দর করে মতামত দিয়েছেন আমার খুব ভালো লাগছে।

টমেটো, গাজর দিয়ে কখনো বাঁধাকপি ভাজি করে খাওয়া হয়নি। চিংড়ি মাছ দিয়ে বাঁধাকপি ভাজি খেয়েছি অনেক। মনে হচ্ছে টমেটো আর গাজর দেওয়াতে আরো বেশি ভালো হয়েছে খেতে। এছাড়া চিংড়ি মাছের যে কোন রেসিপি খেতেই বেশ ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো সবজি রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। আপনার এই রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে আপু।

আপু শুধু চিংড়ি দিয়ে ও রান্না করে থাকি।তবে আমি প্রায় সময় এভাবে গাজর টমেটো আর সাথে চিংড়ি দিয়ে রান্না করি অনেক ভালো লাগে খেতে।

আসলে আপু পাতাকপি দিয়ে চিংড়ি মাছ এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আজকে আপনার রেসিপিটা দেখে, মনে হচ্ছে বাসায় একবার রান্না করবো। আপনি যেভাবে ধাপে ধাপে রান্নাটা দেখিয়েছেন। তাতে করে আমার রান্না করতে কষ্ট হবে না।

আপু রেসিপি তৈরি করার সময় পেঁয়াজের সাথে চিংড়িটা ভাজা করে নিবেন।তারপর এভাবে রান্না করবেন খেতে অনেক ভালো লাগবে।

চিংড়ি মাছ দিয়ে পাতাকপি ভাজি খাওয়া হয়নি। আপনার ভাজি দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছিল। আমার কাছে পাতাকপি খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সেই রেসিপি তৈরি করেছেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

পাতাকপি ভাজা চিংড়ি দিয়ে করলে অনেক বেশি ভালো হয়।আপনিও একদিন তৈরি করে দেখবেন আশা করি খেতে ভালো লাগবে।

বাঁধাকপি দিয়ে চিংড়ি মাছ এপার বাংলার মানুষরা খুব খায়। আর আমাদের বাড়িতে এটা হলেও এটায় পেঁয়াজ দেয় না। তবে আমি আমার এক বন্ধুর বাড়িতে পেঁয়াজ দিয়েও খেয়েছি।সেটাও অপূর্ব লাগে। আসলে চিংড়ি এমনই একটা স্বাদবর্ধক জিনিস যে যাতেই দেওয়া হয় তারই স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়।

আমরাও অনেক শর্টকাট করে রান্না করতে গেলে চিংড়ি ছাড়া রান্না করি আপু।চিংড়ি দিলে আরো ভাল হয় খেতে আপনি ঠিক বলছেন।