"মহেশখালীর শিশু পার্কে ঘোরাঘুরির পর্ব-১"

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ ৩১ অক্টোবার-২০২২ ইংরেজী
রোজ সোমবার।

সবাই কেমন আছেন ?


আশা করি ভাল আছেন? লেখার শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই? আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে, লিখতে অনেক স্বচ্ছন্দ বোধ করি।আমি “আমার বাংলা ব্লগ” এ কাজ করি কক্সবাজার জেলা, বাংলাদেশ থেকে।আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি।বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গ্রামে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্তের কথা ও সাথে ফটোগ্রাফি।কিছুদিন আগে গ্রামে যখন গিয়েছিলাম সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি আমি এর আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

park main.jpeg

সেখানে ছিল গ্রামীণ দৃশ্য এবং আদিনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে আদিনাথ মন্দিরে জেটি/ঘাট সম্পর্কে।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের গ্রামে ছোট্ট পরিসরে গড়ে ওঠা শিশু পার্ক নিয়ে কথা।শিশু পার্কটি এমন একটি জায়গায় গড়ে উঠেছে যেখানে একপাশে পাহাড়।পাহাড়ের পাশ দিয়ে সমতল ভূমিতে পার্কটি গড়ে ওঠে। শিশু পার্কে স্থানীয় লোকজন আসে এবং বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটাই।

park.jpeg
Device-Wiko-T3

park1.jpeg
Device-Wiko-T3

park2.jpeg
Device-Wiko-T3

আমিও যখন মহেশখালীতে গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম।তখন বাড়ির সবাই মিলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে শিশু পার্কে যাই।চারদিকে খোলামেলা পরিবেশ, পাশে পাহাড়, সমতল ভূমি এমন জায়গায় শিশু পার্কটি গড়ে উঠেছে।বলতে গেলে এক সিম্পল জায়গায় যেখানে গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। তারপরেও আমার অনেক ভালো লেগেছে। কারণ গ্রামের বিতর সময় কাটানোর জন্য এমন সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার জন্য।বাচ্চাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটা জিনিস দোলনা।অনেক বড় বড় দোলনা স্থাপন করেছে সেখানে।

park6.jpeg
Device-Wiko-T3

park5.jpeg
Device-Wiko-T3

সেখানে আরও স্থাপন করা হয়েছে বাচ্চাদের খেলার জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা।মিকি মাউস, হরিণ, জিরাফ, হাতি ইত্যাদি।আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো আমি আপনাদেরকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করব।এমন সুন্দর পরিবেশে বাচ্চারা অনেক খেলা করছিল।আমরা ও সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছি দোলনাতে দোলে।এছাড়াও সবাই মিলে পাহাড়ের উপর উঠেছিলাম।পাহাড়ের উপরে উঠে নিচের দৃশ্য দেখছিলাম আমার কাছে খুবই ভালো লেগছিল।

park8.jpeg
Device-Wiko-T3

park11.jpeg
Device-Wiko-T3

park13.jpeg
Device-Wiko-T3

কিন্তু সবাই আমরা প্ল্যান করি এখানে আরো কিছুক্ষণ থাকবো।পাশে একটা বাজার ছিল সেখান থেকে কিছু নাস্তা আনার জন্য পাঠায় আমাদের দুজন ভাতিজা মাহি এবং এনি কে।সবাই মিলে সবুজ ঘাসের উপর বসে নাস্তা করব এমন প্ল্যান করি।নাস্তা খাওয়াটা বড় বিষয় নয়।আসলে সবাই মিলে যদি এমন সবুজ ঘাসের উপর বসে আড্ডা দেওয়া যায় তাহলে মজাটা অন্যরকম হবে।তাই আমি চারদিকে ভাল করে দেখে একটা জায়গা সিলেক্ট করলাম।কোন জায়গাতে বসলে সবাই মিলে আড্ডা দিতে পারবো এমন জায়গা।

park10.jpeg
Device-Wiko-T3

park9.jpeg
Device-Wiko-T3

park14.jpeg
Device-Wiko-T3

অবশেষে এক জায়গায় ঘাসের উপর সবাই বসার ব্যবস্থা করে নিলাম।নাস্তা আনবে সবাই বসে আড্ডা করে খাব।সেই বিষয়টি আমি সবার সাথেই অন্য একদিন শেয়ার করব।আজ এই পর্যন্ত বন্ধুরা। সবার নিশ্চয়ই আমার পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে।অবশ্যই ভালো লাগারই কথা এমন সুন্দর সবুজ প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে কার না ভালো লাগে।সবাই মিলে সবুজ ঘাসের উপর বসে অনেক মজা করে খাবার খেয়েছিলাম।সেই মুহূর্ত এবং ছবি গুলো পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

LUCYMssPjPkNSqA4R8GVisGuWmEiTbcWLWDufxa8iJ53FW8o5G2ay5wjuCUfyiLnuAcDfZKpku9tqsBtHcZ3JhSp1hEgonePrHXEMVQ5uJpRbKDPVtGD2Y2Q3r2mCFL5Hi1agLQVrsuPNs9v4GnwdpJMGtPV6r3mkpSrZUARpi7DAiPe22rbKGbA5P1NGxLRFCMyL1m8iT5oVJnZgVhHbfrwGwvCXZdudT8vdVkscRQ.png

ছবির লোকেশন

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png


ফটোগ্রাফিতে ব্যবহৃত ডিভাইসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ


ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
ফটোগ্রাফার@samhunnahar


আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা মহেশখালীর শিশু পার্কের ঘোরাঘুরির মুহূর্ত গুলো পড়ে আপনাদের ভাল লেগেছে।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে মতামত দিয়ে জানাবেন।কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই সহযোগিতা করবেন এই কামনা করি।পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য উৎসাহ পাব।আজ এই পর্যন্ত আমার লেখা এখানে সমাপ্তি করছি।

সমাপ্তি

সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar

banner-abb_New.png

new.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মহেশখালীর শিশু পার্কে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে এই ধরনের পার্কে শিশুদের নিয়ে গেলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ অনেক কিছু দেখে তারা খুবই আনন্দিত হয়। আপনার ফটো দেখে গুলো দুর্দান্ত ছিলো। পার্কের পরিবেশ খুবই সুন্দর। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

মূলত বচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য যাওয়া হয়েছে আর বাচ্চারা বেশ মজা করেছে।

মহেশখালী জীবনে মাত্র একবার গিয়েছিলাম তাও জেটি ঘাট থেকে ফেরৎ এসেছি। খুবই ভালো লেগেছিল জায়গাটা। ইচ্ছা আছে আবার যাব কোনদিন। আপনার পোষ্টটি পড়ে ইচ্ছেটা আরো বেড়ে গেল। ধন্যবাদ।

অবশ্যই আসবেন ভাইয়া দেখার মত জায়গা আছে অনেক।আপনাকে স্বাগতম মহেশখালী, কক্সবাজার থেকে।

আপু আপনাদের মহেশখালী শিশু পার্ক দেখতে খুবই সুন্দর। পাহাড়ের পাশ দিয়ে সমতল ভূমিতে খুব সুন্দর একটি পার্ক বানিয়েছে। এমন পার্কে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে গেলে ওরা অনেক আনন্দ পায়। আমার ছেলেকে নিয়ে আপনার এই সুন্দর পার্কে ঘুরতে যেতে খুব ইচ্ছে করছে। বাচ্চাদের প্রতিটা খেলার জিনিস অনেক সুন্দর। আমার কাছে আপনাদের এই শিশু পার্ক অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

ঠিক আপু বচ্চারা এমন খোলামেলা জায়গায় খেলতে বেশি চাই।সুন্দর মতামত দিয়েছেন আপু।ধনবাদ।

পার্কটা এবং এর পরিবেশ দেখে ভালো লাগলো। সত্যি বলতে বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ হওয়ার জন্য মাঝে মাঝে এমন ভ্রমণ প্রয়োজন। আর সরকারের তরফ থেকেও আরো দায়িত্ব নিয়ে এমন পার্ক আরো তৈরি করা উচিত।

আপু এই পার্কটা বড় করবে সরকারি ভাবে।আগে ছোট পরিসরে আয়েজন করেছেন।ধন্যবাদ।