লাইস্টাইলঃ-আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির তানজিমা আপুর সাথে দেখা করার অনুভূতি।

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,


সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন সুন্দর সময় কাটছেন? নিশ্চয়ই আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধুরা ভালো থাকা আমাদের জন্য খুবই জরুরী। তাই আমরা চেষ্টা করি শত কষ্টের বিনিময় হলেও সুস্থ থাকার এবং নিজেকে ভালো রাখার। আজকে বন্ধুরা আবারো হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো শেয়ার করে নিতে। অর্থাৎ জীবনের ধারাবাহিক বিষয়গুলো আপনাদের সাথে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার চেষ্টা করি। আমরা প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন জীবনে কিছু না কিছু করে থাকি। হঠাৎ সেই বিষয়গুলো যখন আপনাদের সাথে স্মৃতিচারণ করি নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে।

f.jpg

f1.jpg

অনেক কিছু ভালো লাগার বিষয়টাকে আবার অনেক কিছু খারাপ লাগার বিষয় থাকে। নিশ্চয়ই বন্ধুরা আপনারা শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন আমি কি বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত সপ্তাহে আমাদের বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য আমাদের সবার প্রিয় ইউজার তানজিমা আপুর সাথে আমাদের দেখা হয়। অবশ্যই আমি আজকে সেই বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আসলে আমার ভাগ্যটা এত ভালো যে আমি কক্সবাজারেঅবস্থান করি তাই সবার সাথে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়। সবাই যেহেতু চাই কক্সবাজার ঘুরতে আসতে এবং সবার একটি স্বপ্ন থাকে অনেক দিনের আশা থাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসে ঘুরাঘুরি করবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে।

Untitled design.jpg

আমার অনেক ভালো লাগে যখন কেউ আসলে আমাকে বলেন আমাকে নক করেন এবং আমিও চেষ্টা করি তাদের সাথে দেখা করার। কিন্তু ইতোমধ্যে আমার অনেকের সাথে দেখা হয়ে গেছে যা আমার বেশ ভালো লাগে। সবাই এত ভালো মনের মানুষ সত্যি তাদের সাথে দেখা না করলে বোঝা যায় না। যখন তানজিমা আপু আসলো জানতে পারলাম তখন আমার অস্থিরতা কাজ করছিল তাদের সাথে দেখা করার। আপু আমার সাথে যোগাযোগ করছিল আমিও যোগাযোগ করেছিলাম। যদিও শারীরিকভাবে তেমন ভালো না তারপরও চেষ্টা করেছি যেহেতু আপু অনেক দূর থেকে আমাদের শহরে আসলো। একদিন সন্ধ্যা বেলায় তানজিমা আপুর সাথে দেখা করতে চলে যাই।

f3.jpg

f2.jpg

যদিও যেতে যেতে আমার সাতটা বেজে গেছিল। বাচ্চাদের স্কুলটাকে কঠিন থাকে তাই মন চাইলে ভোট করে বের হওয়া যায় না। তাই তারা যখন কোচিং থেকে আসলো আমরা রেডি হয়ে সোজা আপুর সাথে দেখা করতে চলে গেলাম। আমরা একটা রিকশা নিয়ে সোজা সুগন্ধা পয়েন্টে চলে যাই যেহেতু আপুরা সুগ্ধা পয়েন্টে ছিল। আমি যখন সুগ্ধ্য পয়েন্টে যেয়ে আপুকে ফোন দিলাম তখন আমাকে বলল উনি দুই মিনিটের ভিতরে আসবে রুম থেকে বের হয়ে। আমিও দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ পরে আবার কল পেলাম। তখন আপুকে জানতে চাইলাম উনি কোথায়। তারপরে আপুকে খুঁজে পেতে আমার আর বেশিক্ষণ দেরি হলো না।

f7.jpg

যেহেতু স্টিমিটের আইডির পিকচারের সাথে আপুর বেশ মিল আছে। আপুর সাথে ভাইয়া ছিল এবং তাদের বাবু ছিল। সবাইকে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছিল আমার। আপুক আমাদের সাথে দেখা করতে পেরেছিলেন বলে অনেক বেশি হ্যাপি দেখছিলাম। আমারও অনেক ভালো লেগেছে আপুর সাথে দেখা করতে পেরে। তখন আমরা চিন্তা করলাম যে কোন এক জায়গায় বসি। প্রথমে আমরা বীচের দিকে নামছিলাম আবার ভাইয়া বলল অর্থাৎ তানজিমা আপুর হাজবেন্ড বলল আমাদের নাস্তা করাবেন। সেজন্য আমরা বীচ থেকে উঠে প্রথমে মালাই চা খেলাম সবাই মিলে। এরপরে ভাই আমাদেরকে আবারও নাস্তা খাওয়াবে।

f8.jpg

তখন আমি ভাইয়া বললাম আপনি খাওয়াবেন না আমি খাওয়াবো। সেই হিসাব করে প্রসাদ রেস্টুরেন্টে গেলাম। যেহেতু এই রেস্টুরেন্টের ইন্টোরিয়োরটা খুবই সুন্দর। তাছাড়া বাইর থেকে দেখতে যেমন সুন্দর ভিতরে আরও অনেক সুন্দর। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে মেয়েরা ওদের বাবার সাথে অনেকবার গেছে এই রেস্টুরেন্টে। কিন্তু বেশ অনেকদিন হলো আমি প্রসাদ রেস্টুরেন্টে যাই না। যেহেতু তানজিমা আপু এবং ভাইয়া এবং তাদের বাবু আসলেন কক্সবাজারে তো আমি চিন্তা করেছিলাম তাদেরকে হালকা কিছু না কিছু হালকা নাস্তা করাবো। তাহলে আমার একটু ভালো লাগবে। কিন্তু কি আর করার ভাইয়া আবার বিল দিয়ে দিল আমার মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল আমি কিছু খাওয়াতে পারলাম না।

f6.jpg

যখন খাবার গুলো পছন্দ করে অর্ডার করেছিলাম তখন চিন্তা করছিলেন যে বিলগুলো আমি দিয়ে দিব। কিন্তু পরে বিষয়টা একদম হিতে বিপরীত হয়ে গেল। জোর করে ভাইয়া বিলগুলো দিয়ে দিল আমার কিন্তু খুবই খারাপ লাগছে এই বিষয়টি। যাক কি আর করার হয়তো আরেকবার আসলে আমি চেষ্টা করব তাদেরকে কিছু না কিছু খাওয়ার। আপনারা খাবার গুলো দেখতে পাচ্ছেন খেতে খুবই স্বাদের খাবার ছিল। বিশেষ করে তাদের নুডলস টা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। শেষমেষ খাবার দাবার খেয়ে যখন আমি বিল দিতে যাব তানজিমা আপুর হাজবেন্ড/ভাইয়া বিল গুলো দিয়ে দিল।

f4.jpg

সত্যি আমার কাছে খুবই খারাপ লাগলো এবং আমি খুব লজ্জা পেয়েছি। যাক ভাইয়া খাওয়াই দিলেন বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করেছি আমরা। সময় গুলো খুবই সুন্দর ছিল যদিও স্বল্প সময়ের জন্য আমরা সবাই সবাইকে পেয়েছিলাম। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সুবাদে অনেকের সাথে দেখা হয় অনেকের সাথে কথা হয়। সবাই এক অন্য রকমের মানুষ। তানজিমা আপুর সাথে দেখা হয়ে আমার খুবই ভালো লেগেছিল।আজকে আমি সেই সুন্দর মুহূর্তটি আপনাদের সাথে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে শেয়ার করে নিয়েছি বন্ধুরা।

f9.jpg

f10.jpg

আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকে সেই সুন্দর মুহূর্ত পড়ে ভালো লাগবে। তাহলে বন্ধুরা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সময় দিয়ে আমার আজকের ব্লগ ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationকক্সবাজার
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিলাইফ স্টাইল


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

আমার পরিচয়


hira.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7DiLvzq9baKkST8T1mkhiizFXSFVv2PXDydTeMWpnYK2gToiY733FT9uwSdBSXWz7RnGmzsa8Pr9pGoyYaQFsuS3p.png

New_Benner_ABB1.png

Banner_PUSS1.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার খুব মজা কেউ কক্সবাজার গেলেই আপনার সাথে দেখা হয়। আপনার সাথে তানজিমা আপুর দেখা হয়েছে জেনে বেশ ভালই লাগলো। বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটালেন আপুর সাথে। সেই সাথে খাওয়া দাওয়াও করলেন সবাই মিলে। আপুর সাথে কাটানোর সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

সেই দিনের সময় গুলো অনেক সুন্দর ছিল আপু।

অনেক অনেক ভালো লাগলো দুই ব্লগার কে একসাথে উপস্থিত হওয়ার সুন্দর অনুভূতি জানতে পেরে। আশা করি আপনাদের একত্রিত হয়ে বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল তখন। আর এমন আনন্দঘন মুহূর্ত বারবার ফিরে আসুক সেই দোয়া রইল।

আপনারা আমার ব্লগের মাধ্যমে জানতে পারলেন. আমি যখন সরাসরি আপুর সাথে দেখা করেছিলাম তখন বেশ ভালো লাগছিল আমার।

তানজিমা আপুর পোস্টে এক্ষুনি এটি পড়লাম। তার পরে পরেই এসে দেখি আপনার পোষ্টেও সেই একই জায়গা। আপনারটিও পড়লাম আপু৷ ভীষণ সুন্দর করে দুজনে মূল্যবান একটি সময় কাটিয়েছেন। হোটেল টিউবের সুন্দর ছিল। খুব সুন্দর সুন্দর খাওয়া দাওয়া করে এমন মূল্যবান সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে।

এই রেস্টুরেন্ট খুবই সুন্দর দাদা যদি সরাসরি দেখা যায় অনেক ভালো লাগে।

কিছুক্ষণ আগেই তানজিমা আপুর পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছি আপনাদের দুজনের দেখা হয়েছিল। তানজিমা আপু কক্সবাজার যাওয়ার পর আপনারা দেখা করেছেন শুনে ভালো লাগলো। আপনারা সবাই মিলে সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটাতে পেরেছেন। সুন্দর মুহূর্তটা এত সুন্দর করে শেয়ার করলেন এজন্য ধন্যবাদ।

আচ্ছা তাহলে তো তানজিমা আপুর পোস্ট আমার পড়তে হয় আপু।

আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। দুজনার এক সাথে দেখা হওয়ার অনুভূতিটি সত্যিই অনেক আনন্দের।বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটালেন এবংআনন্দ করলেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ দারুন একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

দুইজন দুই প্রান্তের মানুষ একত্রে হয়েছি আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে।

তানজিমা আপুর সাথে দেখা হওয়ার সুন্দর একটা অনুভূতি শেয়ার করলেন। আসলে আমরা একটা পরিবার হয়ে গিয়েছি। যে পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের সাথে দেখা না হলেও অনেক আপন মনে হয়। ইনশাল্লাহ একদিন আমাদের সবার দেখা হবে একে অপরের সাথে। আপনারা সবাই মিলে সুন্দর একটা সময় কাটালেন এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।

আমার ভাগ্যটা অনেক ভালো অনেকের সাথে আমার দেখা করার সুযোগ হয়ে গেল।

তানজিমা আপুর পোস্টে আপনার সাথে দেখা করার মুহূর্তগুলো দেখেছিলাম। এখন আবার আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখেও ভালো লাগলো। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা সবাই। যাদের সাথে ভার্চুয়ালি কাজ করি তাদের সাথে দেখা হলে সত্যিই ভালো লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

বাহ তাহলে তো দুইজনে একই বিষয় এক দিনে শেয়ার করলাম। যদিও আমরা একে অপরের সাথে সেই বিষয়ে আলোচনা করিনি একদম মিলে গেল।

আপু সেই দিনের মুহূর্ত গুলো এখনও খুব মনে পড়ে। আমরা সবাই খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছি। আবারও যদি কখনও যাই তাহলে অবশ্যই দেখা হবে। এই মুহুর্ত গুলো স্মৃতির পাতায় সারা জীবন রয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

হ্যাঁ আপু সময় এত স্বল্প ছিল আসলে আরো কিছুক্ষন থাকার ইচ্ছে ছিল আমার। কিন্তু আফসোস থাকতে পারলাম না।