সবাই কেমন আছেন,
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশের কক্সবাজার শহর থেকে। আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে অনেক গর্বিত। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি তাই অনেক বেশি আনন্দিত। কারণ এই বাংলা ভাষা আমাদের অনেক কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। আমি আরো অনেক বেশি আনন্দিত বাংলা ভাষায় প্রতিনিয়ত ব্লগিং করতে পারি। আমি প্রতিনিয়ত ব্লগিংয়ে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করি। আজকে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে আমার আজকের ব্লগিং পড়ে।
আপনাদের সাথে আমি আজকে শেয়ার করবো ঈদের কেনাকাটা করার একটি মুহূর্ত নিয়ে। আপনারা তো জানেন ঈদ মানে উৎসব আর ঈদ মানে আনন্দ। ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা অনেকে কেনাকাটা করে থাকি। তবে এই ঈদের কেনাকাটা রমজানের ঈদের সময় করেছিলাম। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি মোবাইলের অনেক নিচেই পড়ে আছে। আজকে যখন চিন্তা করলাম কি পোস্ট করা যাবে তখন মোবাইলে দেখছিলাম। হঠাৎ করে এই ফটোগ্রাফি গুলো চোখে পড়ে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চলে এসেছি। যখন আমরা ঈদের সময় কেনাকাটা করছিলাম বিভিন্ন শোরুম আমরা ঘোরাঘুরি করছিলাম। বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাইরের মার্কেটে যেয়ে কেনাকাটা করা খুবই কষ্টের।
কারণ বাইরে এত বেশি জ্যাম থাকে গরমের মধ্যে একদম ভালো লাগে না। তাই চেষ্টা করি শোরুম থেকে কেনাকাটা করতে। আর শোরুম থেকে কেনাকাটা করতে একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এইবারে যখন শোরুম থেকে ড্রেস না নিয়ে বাইরের মার্কেট থেকে নিলাম সত্যিই মনে হয়েছে একদম বোকা হয়ে গেছি। কারণ প্রতিটি ড্রেস আমার একদম অপছন্দ হয়েছে। তাছাড়া একবার দুইবার করে পরেই কালার গুলো সব নষ্ট হয়েগেছে। যদি ড্রেস গুলো একটু টাকা বাড়িয়ে দিয়ে শোরুম থেকে কিনতাম তাহলে লাইফ গ্যারান্টি থাকে। এটাই হচ্ছে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আমরা টপ টেন শোরুমে গেছিলাম সেইলোর শোরুমে গেছিলাম। আসলেই এক এক শোরুমের ড্রেসের ডিজাইন একেক রকম।
তো আমরা শেষ পর্যন্ত এমব্রেলা শোরুমে প্রবেশ করি। এমব্রেলা শোরুম এখানেই কক্সবাজারের কলাতলী রোডের মধ্যে রয়েছে। যদিও টপ টেন শোরুম থেকে এগুলো একটু আলাদা দূরে ছিল। টপ টেন শোরুম হচ্ছে আমাদের কক্সবাজারের ঝাউতলা রোডের মধ্যে। আর সেইলর শোরুম আমব্রেলা শোরুম সবকিছু হচ্ছে কলাতলী রোডে। যখন কোথাও ড্রেস পছন্দ হচ্ছিল না বাচ্চাদের জন্য তখন আমরা এমব্রেলা শোরুমে প্রবেশ করি। এমব্রেলা শোরুম থেকে বাচ্চাদের জন্য এর আগেও বেশ কয়েকটি ড্রেস কেনা হয়েছে। যদিও আমি যাইনি তখনো আপনাদের ভাই নিয়ে আসছিল। গেঞ্জি নিয়ে আসছিল বিশেষ করে। তো আমাকে বারবার বলছিল এমব্রেলা শোরুমে যাওয়ার জন্য। তাই আমিও চলে গেলাম সেদিন এমব্রেলা শোরুম থেকে ড্রেস দেখার জন্য।
যে ভাবা সে কাজ চলে যাওয়ার পরে সেখানে বাচ্চাদের ড্রেসগুলো পছন্দ হয়ে যায়। আমার বেশ ভালো লাগছিল সেখানকার বাচ্চাদের ড্রেস গুলো। তাছাড়া শোরুম টি যদিও বেশি বড় ছিল না বেশ গুছালো ছিল। সেখানে বিভিন্ন আইটেম ছিল বড়দের ড্রেস ছিল। তাছাড়া কসমেটিকের অনেক আইটেম ছিল। সেখানে বাচ্চাদের ড্রেসের পাশাপাশি বড়দের গেঞ্জি পাঞ্জাবি সবগুলো ছিল।
বাচ্চাদের ড্রেসগুলো নেওয়ার পরে আমাকে থ্রি পিস দেখার জন্য বললো। আসলে থ্রি পিস তখন বেশি ভালো ছিলো না। উনারা বলছিলেন কিছুদিন পরে নতুন ড্রেস আসবে। আসলে আমার কেমন জানি মন চাইলো এইবারের ঈদে বাইরের মার্কেট থেকে কেনাকাটা করার। সেজন্য আমি আর শোরুম থেকে ড্রেস কেনাকাটা করি নাই। পরে আমি ড্রেসগুলো বাইর থেকে কিনেছিলাম তবে বেশ খারাপ লাগছিল আমার কাছে। যাক সেদিকে আর যাচ্ছি না।
শোরুম থেকে যখন ড্রেসগুলো নিলাম তখন পাঞ্জাবিও দেখছিলাম বেশ কয়েকটি। পাঞ্জাবি গুলো দেখার পরে আরো দেখছিলাম টি-শার্টগুলো। টি শার্ট প্রায় সেল হয়ে গেছিল। অনেক মানুষ আছেন এখন ঈদের আগে থেকে কেনাকাটা করে ফেলে কারণ গ্যাঞ্জামের মধ্যে যেতে চাই না কেউ। তারা কনফার্ম করেছিল ঈদের দুই তিন দিন আগে অনেক ড্রেস আসবে শোরুমে। আর আমরা যেহেতু গ্রামে চলে যাব আর এত বেশি লেট করার জন্য চেষ্টা করি নাই। আমরা সেই মুহূর্তে যা ভালো পেয়েছিলাম সেগুলো নিয়ে নিলাম। নেওয়ার পরে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল সেখানকার শোপিস এর ডিজাইন গুলো।
ভালো লাগছিল শোপিস গুলো অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। তো আমি সেখান থেকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। তাছাড়া বাচ্চার জন্য একটি খেলনা কিনেছিলাম। আসলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে কোথাও যাওয়া যায় না তারা সব সময় খেল না কেনার জন্য বিরক্ত করে। ঘরের মধ্যে তো খেলনা পড়ে আছে সেগুলো নিয়ে খেলে না কিন্তু নতুন খেলনা দেখলে আবারো কিনতে কান্নাকাটি করে দেই। আমরা এমব্রেলা শোরুম থেকে বের হয়ে গেলাম। বের হয়ে গিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে যেয়ে হালকা নাস্তা করলাম।
নাস্তা করার পরে আবারো আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সেদিন আপাতত কেনা কাটা শেষ করে আমরা বাসায় চলে গেছিলাম। যেহেতু অনেক রাত হয়ে গেছিলো। আর কেনাকাটা করলে গেলে সময় গুলো কোথায় থেকে যে শেষ হয়ে যায় টের পাওয়া যায় না। সেই দিন প্রায় অনেক রাত হয়ে গেছিল। তাই আমরা আর মার্কেটে ঘুরাঘুরি করি নাই। আমরা একটি অটো নিয়ে বাসায় চলে আসি সবাই মিলে।
এইটুকু ছিলো আমার আজকের ব্লগিং লেখা। আশা করি বন্ধুরা আপনাদের ভালো লাগবে আমার আজকের মুহূর্তটি পড়ে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে সব সময় আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | Mbrella |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
ঈদ মানেই দারুন এক উৎসব। ঈদের সময় কেনাকাটা করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। যদিও এবার সেভাবে কেনাকাটা করা হয়নি। তবে আপনাকে কেনাকাটার মুহূর্ত দেখে অনেক ভালো লেগেছে আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া কেনাকাটা গুলো ঈদের সময় করেছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমব্রেলা শোরুম থেকেই ঈদের কেনাকাটার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। বেশ ভালো কিনা কাটা করেছেন সবার জন্য। আমাদের অবশ্য এই ঈদে তেমন কেনাকাটা করা হয়নি। আপনাদের কেনাকাটার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি আপু এই কানাকাটা গুলো রমজানের ঈদের সময় করেছিলাম। লেটে ফটোগ্রাফি গুলো অনুভূতিগুলো শেয়ার করেছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/nahar_hera/status/1801230106528235963?t=2hqsYgp1lDVGdNVVfuJeFA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ব্লগটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এমব্রেলা শোরুম থেকেই ঈদের কেনাকাটার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ঈদের কেনাকাটার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে সময় দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আড়াই মাস আগের ঈদুল ফিতরের শপিং করার অনুভূতি ঈদুল আজহার সময় এসে পড়লাম😛। ভালোই লাগলো। শোরুমে আর বাহিরের শপিং করার এটাই পার্থক্য। শোরুমে দাম একটু বেশি নিলেও জিনিষ ভালো থাকে। ব্যান্ড সবসময় ব্যান্ডই হয়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলছেন আগে ঈদের কেনাকাটা দিয়ে এই ঈদে পোস্ট করে দিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit