গ্রামে এসে মেয়ের জামাইর দাওয়াত পেয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়া।

in hive-129948 •  2 years ago 

সবাই কেমন আছেন?


ami4.jpeg

আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তা আসীম রহমতে ভালো আছি। আমি সামশুন নাহার হিরা @samhunnahar। আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা থেকে। প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন টপিক্স নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। ভিন্ন কিছু শেয়ার করতে পারলে বেশ ভালোই লাগে কারণ পোস্টের ভিন্নতা আনার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত সকলেই চেষ্টা করতেছি। আজ নতুন একটি ভিন্ন ধরণের পোস্ট শেয়ার করব আপনাদের সাথে আশা করি ভালো লাগবে। আপনারা অনেকেই জানেন হয়তো আমি ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আছি বেশ কয়েকদিন যাবত। আসলে গ্রামের না আসলে ঈদের মজাটা বুঝা যায় না।

ami7.jpeg

ami.jpeg

ঈদ মানে যে খুশি, ঈদ মানে যে আনন্দ সবাই মিলেমিশে ঈদের আনন্দটা ভাগ করে নেওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামে আসলে সবাই অনেক বেশি ভালোবাসে। গ্রামের মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা অনেক বেশি। তো ঈদের দুই দিন পরে এক জায়গায় একটা দাওয়াত ছিল সেখানে গিয়েছিলাম। দাওয়াত মানে তো বুঝতে পারছেন। ঈদের দাওয়াত মানে হচ্ছে অনেক জন ছিলাম আমরা। বলতে গেলে আমরা ৪-৫ ফ্যামিলির মানুষ একত্রিত হয়েছিলাম। বেশ জমিয়ে আড্ডা করেছি, খাওয়া-দাওয়া করেছি এবং সাথে ঘোরাফেরা ও অনেক ফটোগ্রাফি পর্ব ছিল। একদম সকালে আমাদের মেয়ের জামাই আসছিল দাওয়াত করার জন্য সব শাশুড়িদের কে।

ami1.jpeg

ami2.jpeg

মেয়ের জামাই যেহেতু আসছিল অবশ্যই যেতে হবে কারণ জামাইয়ের আবদার বলে কথা। চিন্তা করলাম আমরা দুপুরে যাব না ভর দুপুরে অনেক রোদ তাই সবাই বিকেলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যেহেতু মেয়ের বাড়িতে যাব তাই খালি হাতে কি যাওয়া যায় দেখতে কিন্তু বেমানান। তাই ভালো নাস্তা পানি নিলাম সাথে মিষ্টি অনেক কিছু নিয়ে আমরা বিকেল চারটা দিকে রওনা দিলাম। আমাদের ননদ, ননদের মেয়েরা, আমরা তিন ঝা ছিলাম। পরিবারের ছেলেমেয়েরা মিলে সবাই রওনা দিলাম। যাওয়ার পরে আমাদের বেশ আপ্যায়ন করা হলো অনেক ধরনের নাস্তা দেওয়া হয়।

ami3.jpeg

ami5.jpeg

এরপরে বিকেলে একটু বের হয়ে ঘোরাফেরা করি পাশে যেহেতু খোলামেলা পরিবেশ ছিল। যখন মাগরিবের আজান হয় তখন সবাই আবার বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ি। ঘরের ভিতরে আড্ডা করলাম যেহেতু ঘর ভর্তি অনেক মানুষ ছিল। ভীষণ আনন্দ ছিল সেই মুহূর্তটি। তবে এতগুলো মানুষের মাঝে আমি তেমন ফটোগ্রাফি নিতে পারিনাই কথার ফাঁকে কয়েকটা ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম যা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি। রাত যখন ৯ টা বাজে তখন খাওয়া-দাওয়া শুরু হয়। প্রতিটি রেসিপি অনেক মজার হয়েছিল খেতে।

ami6.jpeg

যেহেতু অনেক জনের রান্না তো খেতে অনেক ভালো লাগে। বেশ মজার করে খাওয়া দাওয়া করার পরে রাত ১০:৩০ টার দিকে আমরা বাড়িতে চলে আসি। বিশ্বাস করুন গ্রামে না আসলে বুঝা যায় না আসলে গ্রামের আনন্দটা কত মজার। তবে এবারে অনেক ঘোরাফেরা করেছি গ্রামে এসে অনেক মজা করেছি সবাই মিলে। যেতে ইচ্ছে করতেছে না এখনো কিন্তু গ্রামে আছি। হয়তো শহরে ফিরলে অনেক মিস করবো গ্রামকে। আবার কখন আসতে পারি জানিনা। বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্ট সময় দিয়ে পড়ার জন্য।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
লোকেশনকক্সবাজার, বাংলাদেশ
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
লোকেশনমহেশখালী
ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Ehur2Z3EsVgTD2AcTmkokXePYxgzpSqwnBNBj3ZteFgQGBvoV1Gau6PdZ2iRjGoCbkshRWuRQSfGSpuzhGGAeLA4Vf5U1Hc8iJwwxD89QHRxVn1je1P4CmpDJ3i8T6K3VVLivshpofZcmEc1F66yhadmSAKB5S67TB9CT5ts8F67pFjTnJQ9RnA2Qqq1Qc1.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

গ্রামে থাকলে আনন্দটা বেশ ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। কারণ গ্রামে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন থাকে এবং সকলে মিলে বেশ আনন্দ করে মুহূর্তগুলো পার করা যায়। যেহেতু মেয়ের জামাই সবাইকে দাওয়াত করে গিয়েছে সেহেতু আপনাদের সকলের মিলে যাওয়ার ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে। সবাই মিলে একসাথে কোথাও গেলে আনন্দটা একটু বেশিই হয়। তবে এবার যদি কক্সবাজার যাই অবশ্যই আপনাদের গ্রামের দিকেও যাব। আশা করি আপনি তখন গ্রামে থাকবেন।

মুহূর্তটি অনেক মজার ছিল আপু পরিবারের সবাই একসাথে গিয়েছিলাম তাই অনেক আড্ডা খাওয়া দাওয়া হল।

আপু ঠিক বলেছেন গ্রামে না আসলে বুঝা যায় গ্রামের আনন্দ কত মজার। আমার তো গ্রাম ছেড়ে যেতেই ইচ্ছে করছে না। এবার সবার সাথে ঈদ করে আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। গ্রামে এসে সবাই একসাথে ঈদ করার আনন্দই আলাদা। মেয়ের জামাইর ভালোই দাওয়াত খেয়েছেন দেখছি। অনেক রেসিপির আয়োজন করেছে বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ দাওয়াত খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

ঈদের আনন্দটা আলাদা মজার হয় যদি গ্রামে যেয়ে ঈদ পালন করা হয়।

আপু যে কেউ দাওয়াত দিলে সেই দাওয়াত রক্ষা করা জরুরী। আর মেয়ের জামাই দাওয়াত দিলে তো কখনো মিস করা যাবে না। যাওয়ার সময় আপনারাও অনেক কিছু নিয়ে গেছেন,আবার তারাও আপনাদেরকে খুব সুন্দর ভাবেই আপ্যায়ন করেছে। ধন্যবাদ আপু।

আমি যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করে কেউ দাওয়াত দিলে সেটা রক্ষা করার জন্য না হয় মন খারাপ করবে।

ওরে বাবারে খাবার দাবারের আয়োজন দেখে তো চোখ কপালে উঠে গেল আপু 😳😳। এত খাবার একসাথে খেলেন কি করে শুনি! হিহিহিহি। এতগুলো মানুষ একসাথে যখন হয়েছেন তখন নিশ্চয়ই নানান ধরনের আড্ডা আর গল্প জমেছিল। বেশ মজা করে যে সময়টা কেটেছে সেটা আপনাদের হাসিমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপু। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

ঠিক বলছেন বেশ ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া হলো আর আড্ডা হল জমিয়ে। দারুন সময় ছিল ভাইয়া চলে আসেন তাহলে আপনার জন্য তৈরি করে নিব খাবার।

ঠিক বলেছেন আপু ঈদ মানে আনন্দ আর ঈদ মানে খুশি। আর ঈদে অনেক ঘোরাঘুরি আনন্দ তো লেগেই থাকে। আপনি দেখছি মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া এবং আনন্দ করেছেন। ধন্যবাদ আপু দাওয়াত খাওয়ার সুন্দর মহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

এবারের ঈদে আমার অনেক ঘোরাঘুরি হলো বেশ ভালো সময় কেটেছে।

ঈদ উপলক্ষে গ্রামে যেয়ে আপনি আপনার আত্মীয় স্বজনের সাথে খুব সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন। আমার এত সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনজনদের সাথে অনেক সময় পার করেছেন। আশা করি এভাবে পরবর্তী সময় গুলো আনন্দ খুশিতে কাটাবেন। আপনাদের সকলের জন্য দোয়া রইল।

আমরা প্রায় ২০/৩০ জন ছিলাম খুব সুন্দর সময় কেটেছে ভাইয়া।