||ঘুড়ি উড়ানো উৎসব||

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে রমজান মোবারক।


ghori11.jpeg

ghori9.jpeg

সবার দিনকাল কেমন যাচ্ছে? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন রমজানের দিনে? আমি ও আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে রমজান মাসে অনেক ভাল আছি এবং কিছুটা ব্যস্ত সময় পার করলেও কিন্তু অনেক ভালো লাগতেছে। আমি মনে করি অন্য দিনের তুলনায় রমজান মাসে সময় গুলো অনেক বরকতময় হয়। সব কাজ অনেক সুন্দর ভাবে ঠিকঠাক মত চলতেছে কোন ধরনের বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। সকাল থেকেই কিছুটা কাজ ছিল বাসায় সেগুলো করে এবং আরো অন্যান্য কাজ শেষ করে চলে এসেছি আপনাদের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য।

ghori10.jpeg

ghori8.jpeg

প্রতিদিনের মতো নতুন একটি ব্লগ শুরু করব আপনাদের সাথে। আমি আজকে যে বিষয়টি শেয়ার করবো সেটি হচ্ছে যে ঘুড়ি উড়ানো উৎসবের একটি মুহূর্ত। প্রতিদিনের মতো খুব সকালে হাসবেন্ড অফিসে চলে যায়। সেদিন সকাল ১১ টার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে জানায় বাচ্চাদের নিয়ে ঘুড়ি উড়ানো উৎসবের যাওয়ার জন্য। তো আমি বল্লাম মেয়ে তো স্কুলে চলে গেছে তাহলে কিভাবে যাওয়া যায়। উনি আমাকে জানান বিকেল তিন টায় হোটেল সী প্যালেস এর পাশের বীচে UNCHR এর সসহযোগিতা ৩০০ জন বাচ্চাদের জন্য ঘুড়ি উড়ানো উৎসবের আয়োজন করা হয়। বাচ্চাদের বাবার অফিসের পক্ষ থেকে এই আয়োজন টা করা হয়েছে। তাই সাহেব একটু জোর দিয়ে বললো বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য।

ghori.jpeg

ghori1.jpeg

সে মোতাবেক আমি মেয়েকে স্কুল থেকে ছুটি হলে নিয়ে এসে ফ্রেশ করায় দিয়ে খাবার দিলাম দুই মেয়েকে। মেয়েদের কে ফ্রি করে রেডি করায় দিয়ে বের হয়ে গেলাম সোজা হোটেল সী প্যালেসে পাশের বীচে। সেখানে যেয়ে দেখি বেশ বড়সড় করে আয়োজন করা হয়েছে। যাওয়ার পরে দুজনের জন্য দুইটা ঘুড়ি নিলাম নাম এন্ট্রি করতে হয়েছে। যেহেতু ৩০০ জন বাচ্চার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে সেজন্য অনেক লোকজনের সমাগম ছিল। ঘুড়ি নিয়ে বাচ্চাদের দিয়ে উড়ানো সহযোগিতা করি। আমরা কিন্তু ছোট বেলায় অনেক খেলেছি। কিন্তু আমাদের বাচ্চারা এসব থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে। মোটামুটি চেষ্টা করি সব কিছুতে অংশগ্রহণ করানোর জন্য। ঘুড়ি উড়ানো উৎসব শুরু করার আগে অনেক সুন্দর করে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন UNCHR এর হেড অফ বাংলাদেশ। এছড়া ও জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ টুরিস্ট পুলিশের প্রধান, আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

ghori2.jpeg

ghori3.jpeg

সব মিলিয়ে আয়োজন করা হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে। UNCHR এর হেড অফ বাংলাদেশ উনি জানান রোহিঙ্গা শরণার্থী বাচ্চাদের একদিন দেখতে পাই তারা পলিথিন দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করে উড়াচ্ছে। তা দেখে UNCHR এর হেড অফ বাংলাদেশ যিনি উনার নাকি সেই ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যায়। তাই বীচের উন্মুক্ত স্থানে এমন সুন্দর একটি ঘুড়ি উড়ানো উৎসবের ব্যবস্থা করেন। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। পুরো বীচ যেন ঘুড়ি আর ঘুড়ি হয়ে গেছিল। অনেক বেশি আনন্দ করেছি সবাই মিলে। চারদিকে ঘুড়ির ছড়াছড়ি ছিল। সেই মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি আমি মোবাইলে নিয়েছিলাম যেগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।

ghori4.jpeg

ghori5.jpeg

ghori6.jpeg

মেয়েরা যখন বিরক্ত করছিল শেষ পর্যায়ে এসে তখন আমি চলে আসি। কিন্তু সেখানে পরবর্তীতে খুব সুন্দর গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমি কিন্তু গানের অনুষ্ঠানে থাকি নাই। সেখান থেকে একটু হেঁটে গিয়ে লাবনী পয়েন্টের দিকে যেয়ে কিছু নাস্তার অর্ডার করি এবং খাওয়া-দাওয়া করে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাসায় চলে আসি। সেই ভালো লাগার মুহূর্তটি আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আশা করি আপনাদের এই মুহূর্তটি অনেক ভালো লেগেছে।

qara-xett.png


ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationw3w
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1ErQjV81WrS7JqZTWQdBGha46B6ouHda5Uef2pPD592KM6WQ5DPtmJAFbRpCJxBV1deubp3jTX5M8sF2eMPzpt7ToKs7xvshYmvG2N9uBGen8JJSxhXd6cj7tosB3JWqedqnSVHWyMFLQizB7ouZeu28paqWxpHmLGq5FJ23YStCWcEHwtnsfm6gSWK8GH8.gif

আমার পরিচয়


hira.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Ehur2Z3EsVgTD2AcTmkokXePYxgzpSqwnBNBj3ZteFgQGBvoV1Gau6PdZ2iRjGoCbkshRWuRQSfGSpuzhGGAeLA4Vf5U1Hc8iJwwxD89QHRxVn1je1P4CmpDJ3i8T6K3VVLivshpofZcmEc1F66yhadmSAKB5S67TB9CT5ts8F67pFjTnJQ9RnA2Qqq1Qc1.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সমুদ্রের কাছাকাছি এত সুন্দর আয়োজন দেখে তো ইচ্ছে করছে আমিও গিয়ে উপভোগ করি। আসলে ঘুড়ি উৎসব আমি সেই ছোটবেলায় দেখেছি এর মধ্যে আর কোথাও দেখি নি। আজও ঠিক ভালো লাগলো ঘড়ি উৎসব দেখে।

ছোটবেলায় তো অনেক দেখেছি বিলের মধ্যে অথবা খোলামেলা জায়গায় সবাই মিলে ঘুড়ি উড়াতাম। এখনকার বাচ্চারা এসব কিছু দেখতে পায় না। তবে মাঝেমধ্যে এমন উৎসবের আয়োজন করা হলে কিন্তু মন্দ হয় না।

image.png

কতো ঘুড়ি উড়িয়েছি ছোটবেলায়! এখন সেগুলো স্মৃতি। তবে বর্তমান প্রজন্ম বলতে গেলে ঘুড়ি উড়ানো থেকে বঞ্চিত বলা যায়! ইউ এন এইচ আর এর হেড স্যারকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই এমন সুন্দর একটি উৎসবের আয়োজন করার জন্য। ভাগ্নী খুব খুশি হয়েছে নিশ্চয় আপু! বীচের পাশে ঘুড়ি, আহ! ভাবতেই অন্যরকম একটা ফিলিংস চলে আসে।

হ্যাঁ ভাইয়া বাচ্চারা অনেক বেশি আনন্দ করেছে ঘুড়ি উৎসবে। বিশেষ করে বীচের পরিবেশে অনেক মজার ছিল।

আপু আপনার বাসা যেহেতু সমুদ্রের খুবই কাছে তাইতো আপনি মন চাইলেই সেখানে যেতে পারেন। সত্যিই আপু আপনার অনেক ভালো হয়েছে। বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন এবং সেখানে গিয়ে দেখেছেন ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ঘুড়ি উৎসব কখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে আপু।

আমি গত বছর ও দেখেছিলাম আবার এই বছরেও দেখেছি অনেক মানুষ হয়। যেহেতু সেখানে অনেক মানুষ থাকে পাশাপাশি ঘুড়ি উৎসবে অংশ নেই বেশ মজার হয় সবাই মিলে।

আমি ও মনে করি আমার বাড়িতে যদি এরকম নদীর পাশে হতো তাহলে ভীষণ ভালো হতো। কারণ নদীর পাড়ের খোলা বাতাসে বাসায় গুলোর পাশে থাকতে অনেক ভালো লাগে। আপনি সময় নিয়ে আপনার বাচ্চাদেরকে ঘুরাতে গিয়েছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। আমরাও ছোটবেলায় অনেক ঘুড়ি উড়াতাম। আপনিও ঘুড়ি উৎসবে গিয়ে অনেক মজা করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। বাচ্চারাও তাতে অনেক খুশি হয়েছে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আমার আজকে।

হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।

ঘুড়ি উড়াতে আমার খুবই ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডিজাইনের ঘুড়ি প্রস্তুত করে মাঠে গিয়ে এটি উড়িয়েছি।।
গত দু'বছর আগে আমাদের এখানেও একটি ঘুড়ি উৎসব হয়েছিল আমরা অনেক মজা করেছিলাম।।
ঘুড়ি উৎসবগুলা যদি এরকম সমুদ্রের পাড়ে হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই নিশ্চয়ই আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।।

জি ভাইয়া সময়টা অনেক মধুর ছিল সবাই অনেক বেশি আনন্দ করেছি বিশেষ করে বাচ্চারা।

ওয়াও ঘুড়ি আর ঘুড়ি দেখে মনটা সেই ছোট্ট শৈশবে কথা গুলো মনে পড়ছে ৷ সারাদিন রোদে ঘুড়ি উঠানো ৷ যা হোক ঘুড়ি উঠানো প্রতিযোগিতা পোষ্ট টি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ অনেক রঙিন ঘুড়ি
দেখতে দারুন লাগছে ৷ মা মেয়ে তিন জন মিলে দেখি সুন্দর একটি অতিবাহিত করছেন ৷ ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ৷ শুভকামনা রইল আপু অবিরাম ৷

ঠিক বলছেন রোদে পুড়ে অনেক ঘুড়ি উড়াতাম বেশ ভালো লাগতো। এখনো এইসব উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে সেই শৈশবে হারিয়ে গিয়েছিলাম যেন।

৩০০ জন বাচ্চাদের নিয়ে ঘুড়ি উড়ানোর উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে এটা জেনে নিজের কাছে অনেক বেশি অবাক লাগছে। বাচ্চাদের নিয়ে ঘুড়ি উড়ানো উৎসবে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন তবে শেষের দিকে এসে আপনার বাচ্চারা অনেক বেশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল যার কারণে আপনি সেখান থেকে চলে গিয়েছেন। আসলেই বাচ্চারা একটা জায়গায় স্থির থাকতে যেমন একটা পছন্দ করে না। তারা সব সময় ঘুরাঘুরি আর ছোটাছুটি করতে ভালবাসে। সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ঠিক বলছেন ভাইয়া আসলে কোথাও গেলে বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায় না বেশ অস্থির করে ফেলে বাচ্চারা। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে আমার পোস্টটি পড়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য।

ঘুড়ি উড়ানো উৎসব গুলো অনেক মজার হয়।বাচ্চাদের নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে ঘুড়ি উড়ানো দেখতে পেলেন।সমুদ্রের পাড়ে বেশি সুন্দর ঘুড়ি উড়ানো যায়।আপনার বেশ সুবিধা সমুদ্রের পাড়ে বাসা হওয়াতে মাঝে মাঝেই যেয়ে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

জি আপু বাচ্চারা বেশ আনন্দ করেছ ঘুড়ি উড়িয়ে। আমিতো আরো বেশি আনন্দ করেছি বাচ্চাদের সাথে।

নদীর পাড়ে বাড়ি থাকার কারণে আপনারা অনেক সুন্দর সময় কাটাতে পারেন। আমারও নদীর পাড়ে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আপনার বাচ্চাকে নিয়ে ওখানে গিয়ে ঘুরিয়ে উড়ানোও দেখতে পেলেন। আপনারা সুন্দর মুহূর্ত পাঠিয়েছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। চমৎকারভাবে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।

ঠিক বলছেন ভাইয়া সমুদ্র পাড়ে বার বার যেতে বেশ ভাল লাগে। সময় টা কিন্তু বেশ মধুর ছিল যেন বাচ্চার নয় এই আয়োজন আমার জন্য ছিল।