"ঊর্মি বিজিবি বীচ ক্যাফেতে একদিন"

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

আজ- ৩০ ভাদ্র , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৪ সেপ্টেম্ববর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
রোজ বুধবার,

"আমার বাংলা ব্লগ" এর ভারত- বাংলাদেশ এর সকল সম্মানিত সদস্য ভাই-বোনদের প্রতি শুরুতে রইলো লাল গোলাপের শুভেচ্ছা ও অফুরন্ত ভালবাসা। আশা করি সকলেই ভাল আছেন।আমি ও আপনাদের দোয়ায় অনেক অনেক ভাল আছি এবং সুস্থ্য আছি।আমি আজ নতুন একটা ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। লেখা টা আজকাল কেমন জানি এক প্রকার নেশায় পরিণত হয়েছে। আজ লেখব না চিন্তা করেছিলাম কিন্তু না লিখেই পারিনাই। কেমন জানি অলস অলস মনে হয়। মনে হয় সারা দিনের কাজের মধ্যে একটা অপূর্ণতা থেকে যায়। তাই আজ লিখবো না চিন্তা করে ও আবার বসে পড়লাম লেখার জন্য। আমি আজ যে বিষয়ে লিখেছি তা হ চ্ছে আমার ডেইলি ব্লগ। আজ আমি আপনাদের শেয়ার করবো এক বিকেল বেলায় ঘোরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্তের কথা।

একদিন বিকেল বেলা হাটতে বের হয় বাচ্চাদের নিয়ে। বাসার বিতর থাকতে থাকতে মন টা কেমন জানি হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম। হাটতে হাটতে খিদে লেগে যায়। তাই ভাবলাম ঊর্মি বিজিবি ক্যাফেতে যাবো। তাই মা-মেয়ে তিন জন ছুটে গেলাম সেখানে। বাচ্চারা ও পছন্দ করে ঊর্মিতে যেতে। কারণ খোলা মেলা পরিবেশ বাচ্চারা দৌড়াতে পারে তাই।
খানেক পর পৌঁছে ও যায়। পৌঁছে যাওয়ার পর সিটে বসে যায়। সিটে বাচ্চাদের বসায় দিয়ে জিজ্ঞেস করি ওরা কি খাবে?
এককথায় উত্তর চিকেন ফ্রাই। যেদিকে যাবে ওদের আছে চিকেন ফ্রাই।

bijibi.jpeg
ঊর্মি বিজিবি বীচ ক্যাফের সামনের দিকে। লোকেশন

যাক, খাবার যেয়ে অর্ডার দিলাম। মেয়েদের জন্য চিকেন ফ্রাই, আইস ক্রিম, জুস। আমার জন্য দিলাম ফ্রেন্স ফ্রাই আর একটা হট কপি। খাবার অর্ডার দিয়ে চলে এসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। খাবার আসার এই ফাঁকে আমি চারপাশের কিছু ছবি তুলে নিই।

bijibi6.jpeg
ক্যাফের বিতর থেকে বীচ দর্শন

এত এত ভাল লাগে এখানে বসলে বলে বুঝাতে পারবো না। কারণ উত্তাল সাগরের গর্জন কানে এসে পৌছায় আর শীতল হাওয়া মনকে নাড়া দেয় এই জায়গায় বসলে। সত্যি অসাধারণ লাগে জায়গা টা আমার কাছে। আমি সময় পেলেই ছুটে চলে আসি।

bijibi7.jpeg
ক্যাফের বিতরে সুন্দর লাইটিং লোকেশন

রাতের অন্ধকারে ক্যাফের বিতরে লাইটিং গুলো চমৎকার লাগে। বিশেষ করে যারা প্রেমিক-প্রেমিকারা যায়। অথবা নব বিবাহিত দম্পতি যেয়ে এখানে বসলে আলাদা একটা ইমোশনাল কাজ করে। যাক আর বলছিনা। সব কিছু মিলিয়ে পরিবেশ টা চমৎকার বলা যায়।সুন্দর জায়গা সব খানে আছে কিন্তু দেখতে হবে পরিবেশটা কি রকম। একদিকে বীচ সেই সাথে যদি এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্যাফেতে বসা যায় তাহলে বলুন তো কেমন লাগে?

bijibi8.jpeg
বিজিবি ক্যাফের বিতরের এরিয়া

এই ঊর্মি বিজিবি ক্যাফে হাউজের বিতরে অনেক সুন্দর সবুজ গাছ-পালা রয়েছে যা রাতের পরিবেশকে অনেক সুন্দর করে তুলে। এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে।

bijibi9.jpeg

এই সবুজ গাছ গুলো মনে হয় কলাবতী ফুল গাছ। তবে সিউর না। এই টা বাইরের দিক দেখতে পাচ্ছেন। বাইরে অনেক সুন্দর করে লাইটিং করে সাজিয়ে রাখছে। এখানে রাত ১০/১১ টায় ও প্রচুর লোকজন থাকে। বিশেষ করে সাগরের শীতল হাওয়ার সাথে কপি খেয়ে খেয়ে আড্ডা দেয়।

bijibi10.jpeg
সাগর লতা

একজন পর্যটক সেই মুহূর্তে আমাকে জিজ্ঞেস করে- আচ্ছা আপু আপনি কক্সবাজারের? আমি বললাম, জি আপু! উনি বললে, আচ্ছা এই সাগর লতা গুলো কিভাবে বাসায় চাষ করবো? তখন আমি বলি আমার তো সিউর করে কোন ধারণা নেই দেখি একজন থেকে জেনে আপনাকে জানাবো। তখন একজন থেকে পরামর্শ নিয়ে উনাকে জানায় যে নেওয়া যাবে, বাসায় ও চাষ করা যাবে। এই সাগর লতা গুলো রাতের চেয়ে দিনের বেলায় অনেক সুন্দর দেখায়।

bijibi11.jpeg

লোকেশন

একদম কাছ থেকে তুলা ছবি

bijibi12.jpeg

রাতে ঊর্মি বিজিবি ক্যাফে থেকে বাইরের অপরুপ দৃশ্য।

bijibi1.jpeg
নাস্তা এসে গেছে

আমি ছবি তোলার ধুমে কখন নাস্তা নিয়ে এলো টেরই পেলাম না। নাস্তা আনার সাথে সাথে চিকেন নিয়ে দুইজনে টানাটানি অবস্থা। কোন দিন যেন খায়নি এই চিকেন। সত্যি বলতে যারা সব সময় খেয়ে থাকে এদের মুখে রুচি বেশি। আর যারা খাইতে পাই না ওরা ঠিক থাকে।

biijibi2.jpeg

আমার সস পাগলা মেয়ে। সস পেলে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে ফেলে। আমি বলি এত সস খেলে শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি, কথা শুনে না।

bijibi3.jpeg
ফ্রেন্স ফ্রেই

আমার জন্য ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম আর সাথে একটা কপি। খেতে কিন্তু গরম গরম অসাধারণ লাগছিল।সাথে ছিল হট সস। খেতে কিন্তু অসাধারণ ছিল। খাওয়া শেষ হয়নি সেই সময় মেয়েদের বাবা চলে আসে। উনার অফিসের কাজ শেষ করে সুজা বিজিবি ক্যাফেতে চলে আসে। আর একটা কপি অর্ডার দিই। দুইজনে ফ্রেন্স ফ্রাই গুলো খেলাম। সাথে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা দুটি কপি খেতে বেশ মজার ছিল।সাথে উত্তাল সাগরের শীতল বাতাস মনকে সতেজ করে চলে গেলাম শান্তির নীড়ে।

bijibi4.jpeg

bijibi5.jpeg

লোকেশন

ক্যামেরার বর্ণানা দেওয়া হলো


ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
ফটোগ্রাফার@samhunnahar

হ্যালো বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগিং এখানে শেষ করে দিচ্ছি। আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের কেমন লেগেছে জানাবেন। আপনাদের ভাল লাগা মানে আমার লেখার স্বার্থকতা। সবার আশা করি ভাল লাগবে। সবাই ভাল থাকবে। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

banner-abbVD.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার বিকেলের অভিজ্ঞতা অনেক সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।শুধু বাচ্চাদের না আমিও বাইরে গেলে চিকেন ফ্রাই ছাড়া খুব কমই অর্ডার করি।এরকম সাগরের আশে পাশে থাকতে পারলে কত সুবিধা হত।ধন্যবাদ আপু আপনাদের সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলছেন ভাইয়া বাইরে যাওয়া হলে এসব খাবার বার্গার, পিজ্জা,চিকেন বেশি খাওয়া হয়।বীচের পাশে আসলেই অনেক সুন্দর দিন কাটে সব সময়।আপনি ও আসেন ভাল লাগবে।ধন্যবাদ মতামত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য।

ঊর্মি বিজিবি বীচ ক্যাফেতে আপনারা সুন্দর কিছু মুহুর্ত অতিবাহিত করেছেন। সমুদ্র আমার অনেক ভাল লাগে। লাবনী পয়েন্টে এরকম বিজিবির একটি রেস্টুরেন্টে আমি গিয়েছিলাম, ভাল লেগেছিল। আপনাদের খাবারগুলো ভাল ছিল। আপনার মেয়ে মাশাল্লাহ কিউট। ধন্যবাদ আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এখানে অন্যান্য রেস্টুরেন্ট থেকে দাম কম।একই খাবার এখানে অনেক সুলভ মুল্যে পাওয়া যায়।হুম আপনি ঠিক বলেছেন লাবণী পয়েন্টের বিজিবি ক্যাফের কথা।

একপাশে সাগর আর অন্য পাশে এত চমৎকার একটা ক্যাফে এমন পরিবেশে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ হওয়ার কথা। কক্সবাজার দুইবার গেলেও এভাবে কখনো সময় কাটানো হয়নি। ছোট বাচ্চা দের নিয়ে অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। আমি নিজেও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং হট কফি বেশ পছন্দ করি। বাচ্চাদের কান্ড নিয়ে লেখা গুলো পড়তে ভালোই লাগছিল।

তবে আপু একটা অনুরোধ থাকবে, পুরো লেখাটা আরেকবার একটু পড়বেন। লেখার ভেতরে অনেক জায়গায় ছোট ছোট স্পেলিং মিসটেক হয়েছে আমার মনে হল। বিশেষ করে এবং এর ব্যবহার। ছোট ছোট আরো কিছু মিসটেক রয়েছে যেগুলো সংশোধন করলে লেখাটা পড়তে আরো অনেক মজা পাওয়া যাবে।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।বাচ্চারা এই জায়গায় সব সময় যেতে চাই ভাইয়া।পরিবেশটা আমার ও বেশ ভাল লাগে তাই বার বার চলে যায়।হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক করে নিচ্ছি, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ সহযোগিতা করার জন্য।আসলেই স্পেলিং ভুল গুলো এত দেখার পরও কেন হয়ে যায়!!!😥😥😥

আমার ও একই অবস্থা,সস খুব পছন্দের।
তবে বিশেষ একটি দিকে খেয়াল রাখতে হবে তা হলো বানান ঠিক করে লিখবেন,বানান ভুল রয়েছে কিছু।

হ্যাঁ আপু বুঝতে পেরেছি ধন্যবাদ