"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৩ || শেয়ার করো তোমার প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতা।

in hive-129948 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম/ আদাব।


আমি সামশুন নাহার হিরা @samhunnahar। আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশের কক্সবাজার শহর থেকে। তো বন্ধুরা প্রতিনিয়ত ব্লগিং করতে আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। কারণ মনের ভাষা গুলো খুব সুন্দর ভাবে সাবলীলভাবে প্রকাশ করতে পারি সবার সাথে। আজকে আমি উপস্থিত হয়েছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়টি খুবই ভিন্ন একটি বিষয়। আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে। কারণ ভিন্ন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাই।

vecteezy_hand-holding-money-dollar-and-mobilephone-with-workspace-on_16684724_86.jpg

Image Source

আমার বাংলা ব্লগের প্রতিটি প্রতিযোগিতা মানে ইউনিক কিছু শেয়ার করা। এবং সবার মাধ্যমে কিছু জানতে পারা এবং শিখতে পারা। বর্তমান সময়ে সবাই অনলাইন জগতে অনেক বেশি আগ্রহী। বিশেষ করে লকডাউন এর পর থেকে। কারণ মানুষ ঘরে বসে অনেক দিন সময় কাটালেন। সেই সুযোগে মানুষ অনলাইন মুখী হয়ে পড়েছে অনেকটাই বলতে হয়। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। যখন লকডাউন ছিল সেই মুহূর্তেই আমি লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স নিয়ে আলাদা একটি ডিপ্লোমা শেষ করছিলাম। আসলেই পড়া লেখার ক্ষেত্রে আমার কোন অবহেলা ছিল না। আমি ইকোনমিক্স নিয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরে চিন্তা করেছিলাম একটা চাকরি করব। তবে আমার স্বপ্ন এবং বাস্তবতা খুবই ভিন্ন রকম হয়ে গেল।

কারণ আমি অনেক ছোটবেলা থেকে সংগ্রাম করে বড় হয়েছি। যা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমার একদমই সংকোচ করতেছি না। কারণ একেক জনের জীবনের সংগ্রাম একেক রকমের। যখন ছোট ছিলাম ছোটকাল থেকে বাবাকে হারিয়েছি। সংসারের হাল ধরেছিল আমার বড় ভাই। তো একজনের পক্ষে আসলেই আমরা ভাই বোন পাঁচজনের খরচ চালানো একটু কষ্টকর হয়ে গেছিল। সেই ফাঁকে আমি চিন্তা করেছিলাম কিছু করার। তখন আমাদের গ্রামে একটি এনজিও কাজ করতো। সেটা অবশ্য আপনারা অনেকেই চিনবেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। যেটা অনেক নামকরা একটি এনজিও ছিল। আমি ক্লাস নবম শ্রেণী থেকে ঐ এনজিওর সাথে সংযুক্ত ছিলাম। অনেক সহযোগিতা পেয়েছি এই এনজিও থেকে। এরপরে আমি ব্রাকে চাকরি করি বছর খানেক। ব্রাকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে আমি একটা ক্লিনিকে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছিলাম। আমি গ্রাম থেকে শহরে চলে এসেছিলাম পড়ালেখার জন্য। তাই পার্ট টাইম জব আমার জন্য জরুরী ছিল। যেখানে আমি আল্টাসনোগ্রাফির রিপোর্ট গুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে দিতাম।

সেই খানে আমি তিন বছর চাকরি করি বিকেল তিন টা থেকে। সকালে কলেজ করতাম। এরই মধ্যে আমার বিয়ে হয়ে গেল। তখন আমি অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ি। যেহেতু বিয়ে হয়ে গেল চাকরিটাও আমার চলছিল পার্ট টাইম হিসাবে। কলেজ শেষ করে বিকাল তিনটার দিকে আমার চাকরিটা শুরু হতো। শেষ হয়ে যেত রাত দশটা থেকে আরো বেশি সময় পার হত মাঝে মাঝে। তো আমার হাজব্যান্ড আমাকে কক্সবাজার নারী সহায়তা কেন্দ্রে একটি চাকরি সুযোগ করে দেয়। সেখানে আমি সুপারিনটেনডেন্ট পদে জয়েন করি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেখানে ডে নাইট আমার ডিউটি করতে হতো। এক সপ্তাহে নাইট করলে আরেক সপ্তাহে ডে তে করতে হতো। এরই মাঝে আমাদের প্রথম মেয়ে সন্তান দুনিয়াতে আসে। তো চাকরিটা আসলে আমার জন্য সম্ভব ছিল না তাই আমি চাকরি টা ছেড়ে দিয়েছি। তো কিছুদিন বাসায় ছিলাম সেই মাঝে আমি মাস্টার্স কমপ্লিট করে নিলাম। আমার হাজব্যান্ড চিন্তা করল আমি যেন কোন স্কুলে একটা জব করি। কিন্তু সেটা আমার জন্য মোটেই ভালো লাগার ছিল না। আমি বিভিন্নভাবে ট্রাই করতে থাকি বিভিন্ন জায়গায়। সেই মাঝে দুই একবার বিসিএস পরীক্ষা ও দিয়ে দিলাম।

vecteezy_asian-man-get-money-and-holding-laptop-in-hand-happy-smile_16684706_680.jpg

Image Source

তবে এই সংগ্রাম করতে করতে এক সময় লকডাউন চলে আসে। আমাদের দ্বিতীয় কন্যা সন্তা চলে আসে দুনিয়াতে। তো মাথার মধ্যে কিছু কাজ করছিল না। আসলে দুইটা বাচ্চা রেখে কিভাবে বাইরে যেয়ে চাকরি করব। সেই চিন্তা করে আমার হাসবেন্ড আমাকে লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন সাইন্সে একটি ডিপ্লোমা করালেন।সেটাও আমি কষ্ট করে শেষ করি বাচ্চাদের সামলানো এবং সংসার সবকিছু মিলিয়ে। হঠাৎ দেখি লকডাউন চলে আসে। তো চিন্তা করলাম ঘরে বসে কিছু একটা করা যায় কিনা। এরই মাঝে অনেক টুকটাক কাজ করে ফেলি আমি অনলাইনে। আসলে এগুলো উল্লেখ করতে গেলে আলোচনা অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে। অনলাইনে একটা পেইজ অন করি।

সেখানে ভালো মানের কিছু প্রোডাক্ট আমি সেল দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দিতাম। যেগুলো ঢাকা থেকে অর্ডার করে নিতাম। তবে তেমন একটা কাজ হয় না এগুলো ধৈর্য ধরে কাজ করতে হয় অনলাইনের কাজগুলো। এছাড়া আরো দু একটা কোর্স নিয়েছি অনলাইন থেকে। ভিডিও এডিটিং এর কোর্স নিয়েছি। তবে কোর্সটি ভালো করে কমপ্লিট করতে পারি নাই। ইউটিউবে কিছু রেসিপি শেয়ার করতাম, আরো টুকটাক কিছু কাজ করতাম। কিন্তু youtube এ সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো খুবই কষ্টকর। বেশ কয়েকটা অনলাইন প্রতিষ্টান থেকে আমি কোর্স করি। আসলে কোর্স করার পরে আর কোন সহযোগিতা দেয় না ওনারা। অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করা হয়েছিল ১০০০ টাকা ফি দিয়েছিলাম। অনলাইনে শুধু টাকা খরচ করেছি অনেক। কিন্তু তেমন ফলাফল পাওয়া যায়নি।

তবে যে মোবাইলটা ছিল সে মোবাইলের ফটোগ্রাফি গুলো যেমন ভালো ছিল না। তাছাড়া একটি অফিসের ল্যাপটপ ছিল সেটা তো আমার হাসবেন্ড অফিসে নিয়ে যেত। অন্য একটি ল্যাপটপ ছিল সেটা তো ভালো কাজ করতো না। তো ভাবলাম একটা নতুন ল্যাপটপ নিয়ে নিব। হাতে কিছু টাকা জমা ছিল সে টাকা দিয়ে আমি একটা ল্যাপটপ কিনে নিয়েছি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে। আমি দিনরাত কাজ করে যাচ্ছিলাম। যে সেন্টার থেকে কোর্স নিয়েছিলাম সেটা অনেক ভালো একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

সেখানে বিভিন্ন ইনকাম সম্পর্কে আমাদেরকে দেখানো হয়েছিল। এছাড়া ব্লগিংয়ের জন্য অনেক গুলো সাইড দেখা হয়েছিল। সেখানে আমার কাছে @steemit.com খুবই ভালো লাগে। সেজন্য আমি প্রথমে নিউকমার্স এ পোস্ট করি ভেরিফিকেশন পোস্ট। সেখানে আমি তিন থেকে চার টা ধাপে ভেরিফাইড হয়ে যায়। এরপরে বিউটি অফ ক্রিয়েটিভিটি তে আমি ভেরিফাইড মেম্বার হই। সে সাথে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে পরিচিত মূলক পোস্ট শেয়ার করি। এবং ৫-৬ মাস অপেক্ষা করার পরেই অবশেষে আমি ভেরিফাইড মেম্বার হতে পেরেছি। যে দিন ভেরিফাইড মেম্বার হয়েছিলাম সেইদিন ছিল আমার জন্য একটা ঈদের দিন। দীর্ঘ পাঁচ ছয় মাস অপেক্ষা করার পরেই ভেরিফাইড মেম্বার হওয়া মানে সেটা আমার জন্য অনেক পাওয়া ছিল। আমার অনেক ইচ্ছে ছিল আমি নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে কাজ করব সেই জন্য আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি অনেক বেশি ভালো লাগছিল।

vecteezy_laptop-chart-graph-business-with-cofee-cup-and-money-dollar_16684947_463.jpg

Image Source

অবশেষে আমি একাদ্বারে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করে যাচ্ছি এই পর্যন্ত। কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ করে স্টিমিট এর প্রাইস বেড়ে যাওয়ায় আমার টাকা তুলার একটা আগ্রহ বেড়ে যায়। আসলেই যতই কাজ করি না কেন যতই টাকা পয়সা থাক না কেন। একটা আগ্রহ থেকে যায় নিজের ইনকামের। যেহেতু আগেও ছোটখাটো কিছু চাকরি করেছিলাম। সেই অনুভূতি থেকে আমি খুবই বুঝতে পারি যে নিজের ইনকামটা নিজের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আসলে যার মা-বাবা কিংবা হাজবেন্ডের যত থাকুক না কেন নিজের ইনকামের আনন্দ অন্যরকের। সেটা একজন মেয়ের ক্ষেত্রে হোক কিংবা একজন পুরুষের ক্ষেত্রে হোক। তো সেই চিন্তা করে আমি বাইনান্সে একাউন্ট করি। যদিও আমি জেনারেল লাইনে পড়ালেখা করেছি কিন্তু ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার এর কাজের সম্পর্কে আমার তেমন একটা ধারণা নেই বললে চলে।

তাই আমার মামাতো ভাই ছিল আমাকে অনেক সহযোগিতা করে সব সময়। তাকে দিয়ে বাইনান্স অ্যাকাউন্ট টা কিছু সমস্যা ছিল সব ঠিক করে নিয়েছি। তো বাইনান্স অ্যাকাউন্ট যেহেতু আমার হয়ে গেল তখন আমি চিন্তা করলাম স্টিম থেকে একটা উইথড্র দেব। তাই আমি স্টিম ডিপোজিট করি প্রথমে ১০০ স্টিম। আসলেই স্টিমিট থেকে টাকার ইউথড্র কিভাবে দিতে হয় দেখছিলাম। তবে প্রথম উইথড্র যেহেতু দিবো একটু ভয় কাজ করছিল আমার মাঝে। যদি আবার ভুল হয়ে যায় তাহলে স্টিম গুলো হারাবো। তাই আমার হাজব্যান্ডের পরিচিত এক বড় ভাই ছিল উনাকে বাসায় নিয়ে আসলো। উনি আমাকে খুব সুন্দর করে উইথড্র সিস্টেম দেখায় দিলেন।

আমার প্রথম অনলাইন ইউথড্র সাইড


তো প্রথমে ১০০ স্টিম উইথড্র দিতে চেয়েছিলাম। ভাইয়া আমাকে বলেন এত কম উইথড্র দেওয়া যাবে না। আপনি আরো কিছু স্টিম ট্রান্সফার করেন। সেজন্য আমি আরো ২০০ স্টিম ট্রান্সফার করি বাইনান্স একাউন্টে। মোট আমার ৩০০ স্টিম হয়ে যায়। সেখান থেকে আমি ২০০ স্টিম উইথড্র দিয়ে আমি ৪০০০ টাকা পাই। আসলেই টাকা টা বড় বিষয় ছিল না উইথড্র টা ছিল আমার কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। কারণ অনেক দিনের জার্নি ছিল। আমার অনেক দিনের অপেক্ষা ছিল অনলাইন জগতে। আমি অনেক টাকা খরচ করেছি অনেক লস দিয়েছি। কিন্তু অবশেষে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে সফল হয়েছি। সেদিনের আমার অনুভূতিটা কেমন ছিল আমি আপনাদেরকে বলে বুঝাতে পারবো না। সেদিনের অনুভূতিটা আমার এখনো মনে করলে আমার চোখ দিয়ে পানি এসে যাচ্ছে। অনেক খুশি ছিলাম আমি। আমার ভিতর অনেক ভালো লাগার কাজ করছিল।

মনে হয়েছিল যে দিনটি আমার জন্য একটি ঈদের দিন ছিল। তো আমার বিকাশ একাউন্টে টাকা গুলো নিচ্ছিল না। তাই আমার হাজবেন্ডের বিকাশ একাউন্টে ট্রান্সফার করি। পরে টাকা গুলো আমাকে এনে দিল। আসলে আমি টাকা গুলো নিচ্ছিলাম না ওনাকে বলছিলাম এগুলো আপনি রাখেন। ব্যাপারটা হচ্ছে এটা আমার উইথড্র প্রথম অনলাইন থেকে। তাই আমি আমার হাসবেন্ডকে দিতে চেয়েছিলাম। আমার অনেক দিনের অপেক্ষা ছিল আমার অনেকদিনের অনুভূতি জড়িয়ে আছে। তো উনি নিল না আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে এই টাকা দিয়ে একটা মিলাদ দিব।

অনেক খুশি হয়েছিল সেই টাকা গুলো দিয়ে আমি মিলাদ দিবো শুনে। অবশেষে ১০ জন হুজুর এনে মিলাদ দিলাম। সেদিন আমার ছোট মেয়ের জন্মদিন ছিল। এক সাথে মিলাদ দিলাম আবার ছোট মেয়ের জন্মদিন পালন করলাম। এটাই হচ্ছে আমার অনলাইন থেকে প্রথম ইনকামের অনুভূতি। সারা জীবন মনে থাকবে এবং সারা জীবন আমি এই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে জড়িত থাকতে চাই। আমি যতদিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকব ততদিন আমি বাংলা ব্লগে কাজ করে যাব এটা আমার প্রতিজ্ঞা। যদি আমার কোন সমস্যা না হয়। আশা করি আমার অনুভূতি পড়ে আপনাদের সকলের ভাল লাগবে। আসলে লেখার মাঝে অনেক ভুল ত্রুটি হয়ে যেতে পারে। তাই সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

লেখার উৎসনিজের অভিজ্ঞতা থেকে
ইমেজ সোর্সভিক্টিজি ডট কম
অবস্থানকক্সবাজার, বাংলাদেশ
রাইটিং ক্রিয়েটিভিটি@samhunnahar
ক্যাটাগরিপ্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

287864753_400308362032280_8045934577883994743_n.gif

Polish_20230713_210902326.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। আসলেই পরিবার, হাসবেন্ড এর যতই থাকুক, নিজের ইনকামের ব্যাপারটাই আলাদা। আপনার মেয়ের জন্মদিনের শুভ দিনে সেই অর্থ দিয়ে ১০ জন হুজুরকে মিলাদের ব্যবস্থা করেছেন, এটিই বেশ ভালো হয়েছে। তাদের দোয়াও আপনাদের সাথে থাকলো।

অনেক ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং অনুভূতিগুলো বুঝার জন্য।

আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এইজন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই।আসলে আপনি অনেক ধাপ পেরিয়ে এই প্ল্যাটফর্মের খোঁজ পেয়েছেন পড়ে বুঝলাম।একটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য নিজে ইনকাম করাটা খুবই জরুরি।যেটি আপনি শেষমেষ করতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো।আর আপনার ছোট মেয়ের জন্মদিন পালন করার সঙ্গে সঙ্গে মিলাদ দিয়েছিলেন জেনেও ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু বোঝার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রথমে আপনাকে জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনার প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপু। আপনি আপনার প্রথম ইনকামের টাকা আপনার হাসবেন্ডকে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু নিয়েছিল না সেই টাকা দিয়ে পরবর্তীতে মিলাদ দিয়েছিলেন এবং ১০ জন হুজুর নিয়ে এসেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ স্টিম থেকে এত সুন্দর ভাবে ইনকাম করে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

জ্বী ভাইয়া শত কষ্টের মাঝেও সফলতা অর্জন করার মধ্যে অনেক আনন্দ জড়িয়ে থাকে।

আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু আপনি অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত এসেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আপু সোনার চামচ মুখে নিয়ে সবাই তো আর জন্ম নেয় না। সংগ্রাম করেই জীবনে বড় হতে হয়।যাইহোক আপু আপনি অনেক বাঁধা পেরিয়ে আজ সফল। যাইহোক যার যতই টাকা থাক না কেনো। নিজের ইনকামের টাকার তুলনা হয় না।ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগল।

আসলে আপু সফলতা এত সহজে পাওয়া যায় না। তার জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সৎ পথে ইনকাম করা মোটেই সহজ নয়। সেটা অনলাইন থেকে হোক, কিংবা অফলাইন থেকে। তবে নিজে ইনকাম করার মধ্যে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। হ্যাঁ আপু ইউটিউবে সাবসক্রাইবার বাড়ানো আসলেই কঠিন। যাইহোক অবশেষে স্টিমিট থেকে উইথড্র দিতে পেরেছেন। আপনার প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

অনেক ভালো লাগার একটি অনুভূতি ছিল ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ সাপোর্ট করার জন্য।