শুভ সন্ধ্যা,
সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগে। প্রিয় কমিউনিটির ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামুআলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন ব্যস্ততম দিনে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। এখন যেহেতু ডিসেম্বর মাসের লাস্টের দিকে সব বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ তাই সবাই ঘুরতে বের হয়েছেন। বিশেষ করে যেসব মায়েরা বাচ্চাদেরকে পড়ালেখা করাই তারা কিন্তু সারা বছর কোথায় বেড়াতে যেতে পারেনা। কিন্তু বছরের শেষে ডিসেম্বরে দিকে সবাই বের হয় ঘোরার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা এখনো বের হতে পারলাম না। যেহেতু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে ট্রিটমেন্ট করিয়ে ভালো হতে পারলে বের হব না হয় বাসায় থাকব। যাক বন্ধুরা সেদিকে আর যাচ্ছি না এখন মূল টফিক্স এ ফিরে আসি।
প্রতি সপ্তাহের শুরু দিন আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করে থাকি। সেগুলো বিভিন্ন ধরনের কাজ হতে পারে যেগুলো আমাদের ভালো লাগার কিংবা কষ্টের কিছু বিষয়। সেগুলো আপনাদেরকে শেয়ার করার চেষ্টা করে থাকি। আজকে আমি আপনাদের শেয়ার করব কিছু রান্না বান্না এবং বাসাতে গেস্ট আসছিলো সেই সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে। রান্না করতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন বাসায় কোন মেহমাহ আসে তখন তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের আইটেম রান্না করতে খুবই ভালো লাগে। শুধু যে মেহমান আসবে তারা খাবে তেমনটা নয়। আসলে নামে মেহমানদের জন্য রান্না হয় কিন্তু সবাই খাওয়া দাওয়া করি আমরা। যদিও মেহমানেরা খায়, কিন্তু যে পরিমাণ রান্না করি তারা সেই পরিমাণে খায় না।
বাসার সবাই আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ আবার সুযোগ পাই। বেশ কিছুদিন আগে বাসায় দুইজন গেস্ট আসার কথা ছিল। তারা আমার হাজবেন্ডের পরিচিত। অর্থাৎ তাদের এলাকার খুব কাছের দুইজন বড় ভাই। তারা আমাদের অনেক স্নেহ করেন। যদিও তারা কক্সবাজার থাকেনা ঢাকা থাকেন তাই মাঝে মাঝে তারা কাজের জন্য জরুরি কাজে কক্সবাজার আসেন। যদিও বাসায় ডাকলে তেমন একটা আসেনা। অনেক জোর করার কারণে সেই দিনে রাজি হয়েছিল। আগে থেকে বলছিল উনারা ডাল, ভাত, শুটকি ভর্তা দিয়ে খাবে। এদিকে আমিও অসুস্থ তা শুনে ভাইরা আসতে চাইছিল না। অনেক জোর করার পর যখন আসতে চাইল তখন আমার অনেক ভালো লাগলো।
যদিও মেহমানরা কিছু খাবেনা বললেও কিন্তু তাদেরকে এত নরমালি কিছু খেতে দেওয়া যায় না। অন্ততপক্ষে হাতের কাছে যা থাকে তা করে দিতে হয়। বিপত্তিটা আমার ক্ষেত্রে আমি যেহেতু অসুস্থ তাই রান্না করতে বেশ কষ্ট হয়েছিল। যেহেতু ওনারা রাতে খাবেন তাই আমি সকাল থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। বিশেষ করে আমি সকাল থেকে আস্তে আস্তে রান্না কমপ্লিট করে ফেলি। যদিও তেমন আহামরি কিছু রান্না করি নাই কারণ আমার একার পক্ষে এতগুলো করা সম্ভব না। নরমালি সিম্পল আইটেমের মধ্যে যা করা যায় তা আমি করেছিলাম। যেহেতু শীতকাল তাই শীতকালীন সবজি দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করেছিলাম।
সাথে আলু কুচি করেদিয়ে শুটকি ভুনা করেছিলাম। আর তিত করলা ভাজি করেছিলাম। সেই সাথে মুরগির মাংস সহ দুটি মাংসের আইটেম করেছিলাম। আর মাছ ভুনা করেছিলাম সাথে ডাল করেছিলাম এই হচ্ছে আমার সেই দিনের আইটেম। যদিও অসুস্থ ছিলাম তাই আস্তে আস্তে আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রান্না করেছিলাম। বেশ কষ্ট হয়েছিল। অবশেষে উনারা রাত যখন নয়টা বাজে তখন খেতে আসেন। আমার যেহেতু আগে থেকে রান্না রেডি হয়ে গেছিল আমি আসার পরেই তেমন কোনো নাস্ত দিই নাই যেহেতু ডিনার করবেন তাই। হালকা নাস্তা দিয়ে তাদেরকে ভাত দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
অবশেষে হালকা আইটেম গুলো তাদের সামনে দিয়ে খাবার জন্য বসিয়ে দিলাম সবাইকে। আলহামদুলিল্লাহ এত ভালো লাগছিল উনাদের কাছ থেকে খাবারের প্রশংসা গুলো শুনে। খাবারগুলো খেতে তেমন যদি ভালো লাগে না কিন্তু যখন কারো খাবারের প্রতি প্রশংসা করা হয় তখন শুনতে অনেক ভালো লাগে। ঠিক তেমনি আমার ক্ষেত্রেও আমি যখন অন্যের খাবার খাই সে খাবারের প্রশংসা করতে হয়। কারণ এত কষ্ট করে করে কেউ কিন্তু খারাপ খাবার রান্না করে না। সবাই যে যার মত পছন্দ মত খাবারগুলো স্বাদ হওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। তবে কারো কারো রান্নায় মসলা সঠিক মত দেওয়ার কারণে খুবই স্বাদ হয়।
আবার কারো কারো খাবারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ মসলা দেয় না বা পারফেক্ট দেয় না অথবা অনেকে অতিরিক্ত মসলা দিয়ে দেয় তার জন্য একটু খেতে ভালো লাগে না। কিন্তু সবাই একই অবস্থা করে থাকেন তা হচ্ছে খাবারগুলো স্বাদ হওয়ার জন্যই অনেক চেষ্টা করে থাকেন। যা রান্না করছিলাম সেগুলো খেয়েছিল আমার তো বেশ ভালো লাগছিল। আর শুটকির আইটেমটা অনেক মজা হয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে ওনারা বেশ ভালোমত খাবারগুলো খেয়েছিলেন। যেহেতু আহামরি কোন আইটেম করি নাই নরমাল খাবার খেতে এমনিতে ভালো লাগে।
অবশ্যই যখন ভাইরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে চলে যাই আমি খেতে বসি। সত্যি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিল খাবারগুলো খেয়ে। বিশেষ করে শুটকি আইটেমটা খুবই স্বাদের ছিল। আর মাংসের আইটেমগুলো খেতে খুবই মজা ছিল। বিশেষ করে মুলা দিয়ে টেংরা মাছ রান্নাটাও ভীষণ মজার ছিল। সেদিন যখন রান্না গুলো পরিবেশন করার জন্য টেবিলে প্রস্তুত করেছিলাম তখন কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম এবং খাবারের সময় তাদের ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। সেগুলো নিয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে ব্লগ শেয়ার করে নিয়েছি বন্ধুরা। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে আমার আজকের ব্লগ পড়ে। ধন্যবাদ সবাইকে সময় নিয়ে আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বাসায় মেহমান এসেছে সেই উদ্দেশ্যে দেখছি দারুন আয়োজন করা হয়েছে বাসায়। আপু আপনার রান্না করা খাবার গুলো খুবই লোভনীয় লাগছে। মনে হচ্ছে খেতেও অনেক মজার হয়েছিল। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপু শুটকি রান্নাটা অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ভাইয়ার পরিচিত দুইজন গেস্ট আপনাদের বাড়িতে এসেছিল। তাদেরকে খুবই সুন্দর এবং যত্ন সহকারে আপ্যায়ন করেছেন এটা আপনার কথাগুলো পড়েও দেখে বুঝতে পারলাম। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট দেখে। বাসায় মেহমান আসলে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার হাতের শুটকি ভুনা খাওয়া হয়নি কিন্তু। নেক্সট যখন যাব শুধুমাত্র শুটকি ভুনাই খাব আপু। কারণ আপনাকে কষ্ট দেয়ার কোন ইচ্ছে নেই। শুধুমাত্র আপনার হাতের শুটকি ভুনাই খাবার ইচ্ছা আছে। তবে আপনাকে খাওয়ানোর অনেক ইচ্ছা। আপনি কবে আসবেন সময় করে একবার এসে ঘুরে যান।
আপনার সারা দিন কষ্ট করে রান্না করা খাবারের প্রশংসা তারা করেছে এটাই শুনে ভালো লাগলো।আমার তো আপনার হাতের রান্না বেশি ভালো লেগেছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাসায় মেহমানের উদ্দেশ্যে আপনি যদি কি দারুন আইরন করেছেন। এরকম আয়োজন দেখলে আমারও মেহমান হতে ইচ্ছে করে। আসলে রোজ রোজ নিজের হাত পুড়ে রান্না করতে একেবারেই ভালো লাগেনা। শুধু তাই নয় নিজে রান্না না করলে খাওয়ার কোন অপশন নেই। আপনার পাশাপাশি বাড়ি হলে বেশ ভালো তো মাঝেমধ্যেই দাওয়াত দিতেন আর আমিও মানুষের সাথে চলে যেতাম ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ মর্যাদার রেসিপি তৈরি করে গেস্ট এর খাওয়ানোর চেষ্টা করেছেন। অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে আপনার রান্না তৈরি করতে দেখে আবার খাওয়াতে দেখে। আসলে মানুষ খাওয়ানোর মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগা থাকে। ঠিক সেই অনুভূতি খুঁজে পেলাম আপনার পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার আজকের টাস্কঃ-
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাসায় মেহমান আসলে আসলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি মেহমান আসাতে অনেক খুশি হয়ে বিভিন্ন রকমের রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Twitter
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit