||বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির- (পর্ব-৮)||

in hive-129948 •  2 years ago 

সবাই কেমন আছেন??

আমি@samhunnahar

আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশ থেকে।


cut3.jpeg

প্রিয় বাংলা ব্লগ বাসিরা আজ আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা সবাই কমবেশি সকলেই চেষ্টা করি পোষ্টের মধ্যে ভিন্নতা আনার। আমিও চেষ্টার কমতি রাখি না তবে সময় স্বল্পতার কারণে ইউনিক কিছু তৈরি করতে মাঝে মাঝে ব্যর্থ হয়। আজ আমি আবারো চলে এসেছি বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির ৮ম পর্ব নিয়ে। গত পর্বে যে বিষয় শেয়ার করেছি বেশ সাড়া পেয়েছি আপনাদের। আসলেই এখানে সবাই এত সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণা দেয় অনেক ভাল লাগে কাজ করতে। গত ৭টি পর্ব আমি শেয়ার করে অনেক অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে।

cut4.jpeg

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় বন্ধুরা আজ আর কথা না বাড়িয়ে আমার পোষ্টের মূল পর্বে চলে যাচ্ছি। শেয়ার করব বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামের থেকে সংগ্রহ করা সুন্দর সুন্দর কাঠের ফার্নিচারের ফটোগ্রাফি। যদিও খুব দ্রুত ফটোগ্রাফি করে যাচ্ছিলাম কিন্তু এই কক্ষে ঢুকে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এই ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে সেই সময়ে যারা রাজ পরিবার ছিল কিংবা জমিদার বংশধর ছিল তারা অনেক সুন্দর সুন্দর এবং দামি আসবাব পত্র ব্যবহার করতেন। দামি দামি আসবাব পত্র গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছিল আমার কাছে। বিশেষ করে উপরে শেয়ার করা যে সোফার ফটোগ্রাফি আছে সেই সোফা গুলো দেখতে অসাধারণ সুন্দর ছিল। অনেক আগের জিনিস কিন্তু অনেক সুন্দর করে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও দামি দামি খাট সেখানে রয়েছে। অনেক সুন্দর রাজ পরিবারের মেইন দরজা যা কাঠের তৈরি যা সুন্দর নকশা খোদাই করে তারপরে দরজা লাগানো হত। তার ব্যবহার কিন্তু এখনো একটু ও কমেনি যাদের টাকা পয়সা একটু বেশি তারা তো বিলাসিতা করতেছে।

cut.jpeg

cut1.jpeg

এছাড়া ও রয়েছে ওয়ালে লাগানো বড় বড় আলমারি যা কাঠের তৈরি খুব সুন্দর ছিল। এত সুন্দর ফার্নিচারের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল বলতে হয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি ফার্নিচার বের হলেও তখনকার কাঠের তৈরি ফার্নিচার গুলো বেশি টেকসই ছিল। বিশেষ করে রাজ পরিবার কিংবা জমিদার বংশধর পরিবারের মানুষেরাই এধরনের আসবাব পত্র ব্যবহার করতেন। বাকিরা যারা গ্রামের কিংবা দরিদ্র লোকজন ছিলেন তারা তো বাঁশের তৈরি কিংবা বেতের তৈরি জিনিসপত্র বেশি ব্যবহার করতেন।

cut2.jpeg

cut5.jpeg

এখনকার কাঠের তৈরি জিনিসপত্র এবং তখনকার কাঠের জিনিসপত্রের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। তখনকার কাঠের তৈরি জিনিসগুলো অনেক বড় বড় গাছ কেটে খোদাই করা হতো। ওজনের অনেক ভারি ছিল ফার্নিচার গুলো। হাজার হাজার বছর ধরে থাকলেও কিন্তু পোকা ধরত না। এমন পুরাতন ফার্নিচার গুলো আমার মায়ের কাছে ছিল কিন্তু কোন পোকা ধরে না একদম কালো রঙের ফার্নিচার গুলো দেখতে। কালার না করলেও এগুলো দেখতে কিন্তু এরকম চকলেট কালারের। কারণ গাছগুলো পুড়িয়ে গাছের হাড় অংশ দিয়ে ফার্নিচার গুলো তৈরি করা হতো।

cut6.jpeg

cut7.jpeg

আমি কিন্তু ফটোগ্রাফি নিতে পারি নাই অনেক ফার্নিচার রাখা ছিল সেখানে। প্রাচীনকালে মানুষ আলমারির চেয়ে সিন্দুক বেশি ব্যবহার করত। তখন আলমারির ব্যবহার থাকলেও তুলনা মূলক কম ছিল ব্যবহার। ইদানিং আলমারির ব্যবহার বেশি প্রচলিত হয়েছে। আমার কাছে সিন্দুকের ব্যবহার তো বেশ ভালো লাগে। দামি দামি গয়না, টাকা, মূল্যবান সম্পদ ও ভিবিন্ন দলিল পত্র এছাড়াও অন্যান্য জিনিসপত্র এই সিন্দুকের মধ্যে রাখা হতো। আমাদের বাড়িতেও একটি সিন্দুক আছে আমার শাশুড়ি মায়ের ব্যবহার করা সিন্দুক। আমি এই সিন্দুক অনেক যত্ন সহকারে রেখে দিয়েছি। আমার শাশুড়ি মায়ের সব জিনিস সেই সিন্দুকের ভিতর এখনো আছে। ওজনে অনেক ভারি এই সিন্দুক দেখতেও অনেক সুন্দর।

cut8.jpeg

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি আমার আজকের পর্বটি আপনাদের ভালো লেগেছে। ঢাকা যখন ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে প্রবেশ করার পরে অনেক আনন্দ পেয়েছিলাম। কারণ বাইরে এত যানজটের পরিবেশ চারদিকে ধুলাবালি অনেক খারাপ অবস্থা ছিল। তাই জাতীয় মিউজিয়ামে প্রবেশ করার পরে এত সুন্দর পরিবেশ ও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে মনটা অনেক সতেজ হয়ে গেছিল। নিশ্চয় আমার প্রত্যেকটি পর্ব আপনাদের ভালো লেগেছে। অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন আপনারা আমার শেয়ার করা প্রতিটি পর্বে। এই পর্বও অনেক ভালো লাগবে এই প্রত্যাশা করে আমি আজকে আমার লেখা সমাপ্তি করছি।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationw3w
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqKGFwaM8Kqv9tMReTkL2w3ow2M2CubmYy2Aod1kEXoUDtqH3fo7m2hBK4uDhMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAm1.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ধন্যবাদ আপু ন্যাশনাল মিউজিয়াম ঘুরাঘুরির ৮ম পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। একটি দেশের অতীতের সবকিছু খুজে পাওয়া যায় জাদুঘরে গেলে। আমাদের জাদুঘর অনেক সমৃদ্ধ। এবার আপনি ফার্নিচারের ছবি দিয়েছেন। প্রাচীন কাল নয় ২৫/৩০ বছর আগে আমাদের দাদা-দাদি,নানা-নানি সিন্ধুক ব্যবহার করেছেন। ভাল লিখেছেন ৮ম পর্ব। শুভ কামনা।

আপনি ঠিক বলছেন আপু প্রাচীন সভ্যতার অনেক কিছু জানা যায় জাতীয় মিউজিয়ামে গেলে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন দেখছি। আজকে দেখছি বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি করার অষ্টম পর্ব ভাগ করে নিয়েছেন সবার মাঝে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ও অসম্ভব ভালো ছিল। এত সুন্দর একটা ঘোরাঘুরি করার পোস্ট এভাবে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছে। বলতে হচ্ছে এক কথায় অসাধারণ ছিল।

সময়টা অনেক ভাল ছিল ভাই অনেক আনন্দ করেছি তাই সবার সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।

আজকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘুরাঘুরি করার 8 তম পর্ব পড়ে ভালোই লেগেছে। দেখে বুঝতে পারছি বাহিরের ধুলোবালির পরিবেশের জন্য আপনাদের কাছে অনেক খারাপ লেগেছিল। আর মিউজিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করার পরে মনটা একেবারে সতেজ হয়ে গিয়েছিল তাহলে। যাই হোক ভালোই লিখেছেন আপনি আপনার সম্পূর্ণ ঘোরাঘুরি করার পোস্ট।

ঢাকা শহরের পরিবেশ একদম ভালো লাগে না বাইরে ধুলাবালি এবং যানজটের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের অষ্টম পর্ব টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।আপনার ভ্রমণের কয়েকটি পর্ব পড়েছিলাম।সিন্দুক এর কথা আগে অনেক শুনেছি।এগুলো জাদুঘরে গেলে দেখা যায়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

প্রাচীনকালের সে সিন্দুকের ব্যবহার আমার অনেক ভালো লাগে আপু।

আপু সেই যে কবে ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘুরাঘুরি শুরু করলেন। আজও শুধু ঘুরছেন আর ঘুরছেন। তবে যাই হোক আজকে আপনার মাধ্যম বেশ কিছু প্রাচীন আমলের খাট পালং দেখতে পেলাম। ধলো বালির জন্য মনটা খারাপ হলেও মিউজিয়ামের ভিতরে যেয়ে তো বেশ ভালই লেগেছে মনে হয়।

দেখি আরো কতদিন ঘোরাঘুরি করতে পারি তবে শেষ করার মন-মানসিকতা নেই😜🤪।

আপু আপনার বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির অষ্টম পর্বে এসে ভালই কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম। আজকে তৎকালিন যুগে বানানো কাঠের অনেক গুলো জিনিষ পত্র দেখলাম। খাট গুলো দেখে মনে হচ্ছে সিংহাসন। ধন্যবাদ আপু।

এখনকার জিনিস আর তৎকালীন জিনিসের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে তখনকার জিনিসগুলো অনেক টেকসই হয়।

সেই সময়কার রাজা মহারাজারা কতটা বিলাসবহুল জীবন যাপন করত সেটা তাদের এইসব পুরনো কাঠের আসবাবপত্র বা অন্যান্য জিনিসপত্র দেখলে বোঝা যায়। তারা যে কতটা রুচিশীল ছিল সেটা আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এখনকার কাঠের তৈরি জিনিসপত্র এবং তখনকার কাঠের জিনিসপত্রের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে।

এটা তো সত্যি কথা। সেইসব জিনিস এখন আর পাওয়া যায় না বললেই চলে।

তখনকার সেই পুরনো জিনিসগুলো মত কিন্তু এখন পাওয়া যায় না এখন পাওয়া গেলেও অনেক মূল্য দিয়ে কিনতে হয়।