সবাই কেমন আছেন?
আশা করছি বন্ধুরা আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন সেই প্রত্যাশা কামনা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ আছি। আমরা সবাই চাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালোভাবে সময় কাটানোর ভালোভাবে থাকতে। যখন দিন শেষে আমরা জানতে পারি সবাই ভালো আছেন তাহলে খুবই ভালো লাগে। আর সবাই চেষ্টা করি নিজের পরিবারকে নিয়ে একটু ভালো সময় কাটানোর। বন্ধুরা রমজানের ব্যস্ততা সবার কেমন কাটছে? নিশ্চয়ই সবার ব্যস্ততা খুবই বেড়ে গেছে? হ্যাঁ আমারও ব্যস্ততা বেড়ে গেছে আগে থেকেই বাচ্চাদের কেনাকাটা শেষ করে দিতে হবে। যেহেতু শেষের দিকে গেলে অনেক বেশি মানুষের ভিড় জমে যায় ভালো লাগেনা। এত ভিড়ের মধ্যে না যেয়ে আগেভাগে শান্তিমতা কিনে ফেললে ভালো লাগে। যাক সেদিক আর যাচ্ছি না আমি আজকে আবার হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে।
চেষ্টা করি আপনাদের সাথে ভালো মন্দ বিষয়গুলো সব সময় শেয়ার করতে। অবশ্যই টপিক্স দেখে বুঝতে পারছেন কি বিষয় নিয়ে আমি আজকে শেয়ার করব। আমি আজকে আপনাদের সাথে সমুদ্র সৈকতে ঘোরাঘুরির একটি মুহূর্ত শেয়ার করব। আপনারা তো সবাই জানেন কক্সবাজারের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের পার্শ্ববর্তী এরিয়াতে বসবাস করি। শুধু যে পার্শ্ববর্তী এরিয়াতে বসবাস করি এমনটা নয় কক্সবাজারের একজন নাগরিক এবং কক্সবাজারে জন্মে তাই নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবতী মনে করি। কারণ এমন সুন্দর একটি জায়গা যেখানে নেই কোন গ্যাঞ্জাম। নেই কোন কোলাহল খুব শান্তি মত জীবন যাপন করার সুযোগ রয়েছে। এখানে রয়েছে যাতায়তের সুবিধা সুন্দরভাবে অবকাশ করার মত সুন্দর জায়গা রয়েছে।
তবে ইদানিং যানজট শুরু হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু চারদিকের মানুষ এখানে ভ্রমণ করতে চলে আসে তাই শীতের সিজনে তো বলার মত না এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। বিশেষ করে যখন আমরা আমাদের শ্বশুরবাড়ি গ্রামে যাওয়ার জন্য মহেশখালী ঘাটে যাই তখন বোঝা যায় যে আসলে কত কষ্টের মধ্যে আছি। বিশেষ করে এদিক থেকে পার হওয়ার সময় অনেক মানুষের ভিড় জমে যায়। এত মানুষের ভিড়ের মধ্যে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পার হওয়া খুবই জটিল হয়ে যায়। জনসংখ্যা যতই বাড়তেছে ততই জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি কিছুদিন আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতা ঘুরতে গেছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে।
যেহেতু ইদানিং আমি তেমন একটু বের হই না। চেষ্টা করি ঘরে থাকার ঘরে অবস্থান করার বাইরে ঘোরাঘুরি কম করি। আপনারা অনেকেই জানেন আমি অসুস্থ সেজন্য বের হতে কেমন জানি খারাপ লাগে। বাচ্চারা যখন কোথাও যায় তাহলে তাদের আব্বুর সাথে যাই। যদিও অপারগ জরুরী যেতে হলে সেখানে আমি যাওয়ার চেষ্টা করি। বাকিগুলো তারা বাবার সাথে বের হয়ে কাজগুলো করে আসে। আর কোথাও ঘুরতে বের হলে তাদের বাবার সাথে যেয়ে ঘুরে আসেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে বাচ্চারা আমার সাথে বেশ জোরাজুরি করছিল তাদের সাথে বের হওয়ার জন্য। আমি কিছুতে যাচ্ছিলাম না কারণ আমার খারাপ লাগছিল সেজন্য। সেই দিন বাধ্য হয়ে তারা আমাকে নিয়ে গেছিল সমুদ্র সৈকতে ঘোরার জন্য।
আর আমিও যেহেতু অনেকদিন ধরে বাসায় ছিলাম আর ভালো লাগছিল না ঘরের ভিতরে। ভাবছিলাম বাচ্চাদের সাথে বের হয়ে একটু হেটে আসি। যদি যাব তাহলে একটু আগে গেলে ভালো হয় সেই জন্য সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে চলে গেছিলাম। যখন আমরা সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে যাই তখন প্রায়ই সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্ত। আমরা প্রায় সময়ই লাবনী পয়েন্টের দিকে যাওয়া আসা করি। সেদিন ও লাবনী পয়েন্টের দিকে সমুদ্রে নামছিলাম। বাচ্চারা ভীষণ খুশি ছিল সেদিন। তাছাড়া সমুদ্র সৈকতে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। তখনও শীত ছিল তাই অনেক বেশি পর্যটক ছিল। আমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম এদিক সেদিক থেকে।
এত সুন্দর একটি জায়গায় যাব আমার পছন্দের একটি জায়গায় সেখান থেকে ফটোগ্রাফি করব না তা আসলে মেনে নেওয়া যায় না। তো বন্ধুরা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছিল সূর্যাস্ত যাওয়ার মুহূর্তটি। আর সমুদ্র সৈকতে গেলে একটা বিষয় খুব ভালো লাগে তা হচ্ছে সেখানকার ঝাল মুড়ি কিংবা ফুচকা খেতে খুব ভালো লাগে। তাই আমরা বসে সেখানে ঝালমুড়ি খেয়েছিলাম বাচ্চারা খুব পছন্দ করে। অনেকক্ষণ আমরা হাটাহাটি করছিলাম সেখানে। মেয়েরা তো তাদের বাবাকে ফেলে আর আমাকে চিনে না। তারা তাদের মতো করে সবকিছু কাটাতে চাই তাদের বাবা কোন কিছুতে বাঁধা দেনা বাচ্চাদেরকে। তাই তারা অনেক বেশি আনন্দিত হয়।
সেখানে আমরা অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম। অবশেষে আমার যখন ভালো লাগছিল না তাই চলে আসার জন্য তৈরি হছিলাম। আমরা একটি রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া দাওয়া করছিলাম। খাওয়া-দাওয়া করে আমরা আর বসে থাকি নাই সোজা চলে আসিলাম বাসায়। সেই ভালো লাগার মুহূর্তটি বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের ব্লগ পড়ে আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko-T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://x.com/heranahar148614/status/1897595954792104207?t=ljoQo2HfswKKkmnz7v9bMA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরিবারের সবাইকে নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সময় কাটানোর মুহূর্ত।আপনার লেখা পড়ে মনে হলো যেন আমিও কক্সবাজারের সৈকতে এক টুকরো সময় কাটিয়ে এলাম। বিশেষ করে সূর্যাস্তের দৃশ্য আর ঝাল মুড়ির স্বাদ এগুলো ফটোগ্রাফির মধ্যে যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো। বাচ্চাদের আনন্দের মুহূর্তগুলোও খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন , ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরিবারের সবার সাথে সমুদ্র সৈকতে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সমুদ্রের কাছাকাছি থাকাই সহজেই সেখানে ঘুরতে যেতে পারেন। ঘোড়াটাকে দেখে খুবই ভালো লাগলো। ঘোড়াটা দেখতে বেশ সুন্দর। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে সব থেকে যেটা বেশি ভালো লাগে হয় সূর্যাস্ত নয় সূর্যোদয়। সমুদ্রের তীরে বসে বসে এই অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করার মত দ্বিতীয় কোন ভালোলাগা বোধহয় তৈরি হয় না। আর কক্সবাজার তো বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত জায়গা। আপনার পোস্ট পড়ে যেন মনে হল আমি ও লাবনী পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছি। কি জানি কোনদিন সুযোগ হবে কিনা তবে আপনাদের পোস্ট পড়ে পড়ে কক্সবাজার সম্পর্কে একটা আলাদাই ভালোবাসা তৈরি হয়েছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার আজকের টাস্ক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখছি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আপনার কাটানো মুহূর্তটা দেখেই তো আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য দেখে আমার তো এখনই চলে যেতে ইচ্ছে করছে। ঘোড়াটি দেখতে তো অনেক সুন্দর লাগছে। ঘুরাঘুরির পাশাপাশি সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit