||বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা-(পর্ব-১)||

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা

সবাই কেমন আছেন

mirpor.jpeg

আশা করি সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে ভালো আছি। তবে কয়েকদিন বেশ চিন্তিত ছিলাম কারণ বাচ্চারা অসুস্থ ছিল তাই। আলহামদুলিল্লাহ আজ মোটামুটি অনেকটা সুস্থ আমার ছোট মেয়ে। যখন একটু সুস্থ মনে করলাম তখন দুইজনকে বাসায় রেখে আজকে কেনাকাটার জন্য একটু বের হয়েছিলাম। বাবারে বাবা জিনিসের যা দাম আমাকে শেষ করে ফেলল আজকে সব টাকা নিয়ে ফেললো। যাক দাম বাড়া হলেও নিতে হবে করার কিছু নাই। মূল কথায় চলে আসি আজ আপনাদের সাথে যে ব্লগিং শেয়ার করব সেটি হচ্ছে যে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম ঘুরতে।

mirpor1.jpeg

সেখানকার কিছু বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ঘুরতে গিয়েছিলাম ডিসেম্বর মাসে ঢাকায়। মূলত আমার ঢাকা যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে আমাদের কক্সবাজার এলাকাতে পশুপাখি দেখার মত কোন চিড়িয়াখানা নেই। তো বাচ্চারা চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা বলেছিল তা ঠিক করেছিলাম চট্টগ্রামে যাব। হঠাৎ কথার মধ্যে বড় মেয়ে বলল প্লেনে করে ঢাকায় যাবে। সেই চিন্তা ভাবনা করে ঢাকায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েক জায়গায় ঘোরাঘুরি হয়েছে। মেয়েদের মূল উদ্দেশ্য ছিল চিড়িয়াখানায় ঘুরবে।

mirpor2.jpeg

mirpor3.jpeg

mirpor4.jpeg

তাই তাদেরকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় নিয়ে গেলাম। প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশ চিড়িয়াখানার সামনের গেইট। এরপরের কাজ টিকেট কাউন্টার। টিকিট কাউন্টারে যেয়ে আমরা চার জনের জন্য চারটা টিকেট নিলাম। টিকেটের দাম প্রতি জনে ৫০ টাকা করে। সেই দিক দিয়ে একটু ভালো লাগলো দামটা মোটামুটি ঠিক আছে। ইদানিং সব জিনিসের দাম বাড়তি সে তুলনায় চিড়িয়াখানায় ঢোকার দামটা যে ৫০ টাকা করে রাখছে প্রতিজনে সেটার জন্য বললাম।

টিকেট চারটা নিয়ে ঢুকে পড়লাম সবাই বাচ্চারা তো অনেক খুশি। পশু পাখি দেখবে সেজন্য কারণ শহরের চার দেওয়ালের বন্দিশালাই কিছু দেখা হয় না। আমরা যখন গ্রামে ছিলাম আমাদের এত কিছু দেখার হতোনা নাই গ্রামের মধ্যে সবকিছু দেখার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু বাচ্চাদেরকে দেখাতে হবে কারণ তারা তো দেশের কোন পশু-পাখি, জীবজন্তুর সাথে পরিচিত না। ঘরের ভিতর থাকে সেখান থেকে স্কুলে কলেজে যাই আবার ফিরে আসে। সপ্তাহে হয় তো একদিন বের হয় এই হচ্ছে বাচ্চাদের প্রতিদিনের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ।

mirpor5.jpeg

mirpor6.jpeg

mirpor8.jpeg

mirpor10.jpeg

অনেকগুলো ফটোগ্রাফি নিয়েছি তার মধ্যে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি। সামনে ঢোকার পরের পরিবেশটা বেশ ভালোই লেগেছে। চিড়িয়াখানা বলে কথা সেখানে অনেক ধরনের পশুপাখি থাকবে গাছপালা থাকবে বেশ সুন্দর পরিবেশ। তবে শীতকাল যেহেতু ছিল মানুষের উপসে পড়া ভিড় ছিল। আমরা যেমন গিয়েছি অনেকে গেছে পরিবার নিয়ে অনেক জ্যাম ছিল। বাংলাদেশ চিড়িয়াখানার আয়তনতা এত বড় বলতে গেলেই একটা মিনি বাংলাদেশ। অনেক বড় একটা জায়গা জুড়ে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাটি স্থাপন করা হয়েছে।

mirpor14.jpeg

mirpor13.jpeg

প্রথমে ঢোকার পরে কিছু দূর হেঁটে গিয়ে আমি তো খুব দ্বিদায় পড়ে গেছিলাম কোন দিক দিয়ে শুরু করবো। এত অলিগলি ছিল সত্যি বুঝতে পারতেছিলাম না কোন দিক দিয়ে আমি চিড়িয়াখানায় দেখা শুরু করব। যাক সামনে পেয়েছি অনেক গুলো হাঁসের বসবাস। এগুলো কি হাঁস কিনা জানিনা ঠোঁট গুলো অনেক লম্বা ছিল। আমরা যেগুলোকে গ্রামের মধ্যে রাজহাঁস বলে থাকি। এছাড়াও ভিতরে অনেক গুলো পাখি ছিল। অনেক বাচ্চারা ঘিরে ধরছে অনেকের ঢিল মারছে অনেকেই ডিস্টার্ব করতেছে এই হাঁস গুলোকে। বাচ্চারা তো এরকম করবেই পশু পাখি দেখলে একটু রাগাতে চাইবে।

mirpor11.jpeg

mirpor12.jpeg

আবার কিছু দূর গিয়ে দেখতে পেলাম সিংহের বসবাস। সেখানে মূলত দুইটা সিংহ ছিল। আমরা যে সময় গিয়েছিলাম তখন সিংহ দুটো ঘুমাচ্ছিল আলাদা দুটি রুমের মধ্যে। এইভাবে দেখতে দেখতে বেশ অনেক দূর এগিয়ে যায় হঠাৎ বাচ্চারা বিরক্ত করছিল নাস্তা খাবার জন্য। খোলামেলা অনেক পরিবেশ ছিল যেখানে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করছিল। এক জায়গায় বসে পড়লাম বসে ঢোকার সময় কিছু নাস্তা নিয়েছিলাম সেগুলো খাওয়া দাওয়া করি। খাওয়া দাওয়া করে আবার যাত্রা শুরু করি। আজ এই পর্যন্ত বন্ধুরা তাহলে পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবারও হাজির হব আপনাদের সাথে। আশা করি আমার আজকের পর্বটি আপনাদের ভালো লেগেছে।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationw3w
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqKGFwaM8Kqv9tMReTkL2w3ow2M2CubmYy2Aod1kEXoUDtqH3fo7m2hBK4uDhMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAm1.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনাদের ঘোরাঘুরি করার এত সুন্দর একটা মুহূর্তের পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি করার প্রথম পর্ব আজকে খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন সকলের মাঝে। চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করতে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। নতুন নতুন পশুপাখিদের সাথে পরিচিত হওয়া যায় চিড়িয়াখানায় গেলে। যাইহোক খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন আপনি ভালো লাগলো সবকিছু।

আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া চিড়িয়াখানায় অনেক পশুপাখি দেখা যায় সাথে বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেল অনেক ভালো হয় অনেক কিছু জানতে পারে।

আসলে কোথাও ঘোরাফেরা করতে গেলে কিন্তু মন মাইন্ড ফ্রেশ থাকে। আপনারা অনেক আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন চিড়িয়াখানায় দেখে বোঝা যাচ্ছে। আর আপনার মেয়ে চাইলেও প্লেনে করে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আসলে মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়াটাই সবারই প্রয়োজন।

আমি আপু ঘোরাঘুরি করতে ভীষণ পছন্দ করি। ঠিক বলছেন কোথায় ঘুরে আসলে মনটা ফ্রেশ হয়ে যাই ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু কিছু বলার নেই আসলে সবকিছুর যে পরিমান দাম ৷ তাতে সাধারন জন মানুষের পক্ষে কেনাকাটা করা অনেকটা চাপ হয়ে যাচ্ছে ৷ যা হোক তাপরেও কিনতে হবে ৷ ভালো লাগলো বাংলাদেশ জাতীয় যাদু ঘরে কাটানো মুহূর্ত গুলো আর সেই ফটোগ্রাফি ৷ পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা

জি ভাইয়া যে দাম হোক না কেন খেতে হবে কিনতে হবে এক সময় দেখবেন সবকিছু হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে কেনার কোন সুযোগ থাকবে না।

ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায় বেশ ভাল কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। চিড়িয়াখানায় কয়েকবারই গিয়েছি তবে শেষ গিয়েছি অনেক বছর হয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে এবং ছবি দেখে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। খুব ভাল লেগেছে আপনার পোস্ট পড়ে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপু।

মাঝে মাঝে গেলে ভালো অনেক পরিবর্তন চলে আসে আবার যাবেন ঘুরে আসবেন মেয়েকে নিয়ে।

আপনার ছোটো মেয়ে এখন সুস্থ আছে জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু। ঈদের বাজার ওই জন্যে এতো বেশি দাম জিনিসের। আপনার মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশের ঢাকা শহরে গিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বেশ ভালোই ঘুরেছেন দেখছি। বেশ অনেক বড়ো জায়গা নিয়েই তৈরি দেখছি এই চিড়িয়াখানাটি। ভালোই করেছেন শহরের গাছপালাহীন পরিবেশ থেকে বেরিয়ে বাচ্চাদেরকে পশু - পাখি আর গাছপালার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে।

চিড়িয়াখানার এরিয়া টা অনেক বড় আপু। বেশ বড় জায়গা নিয়ে চিড়িয়াখানা টি তৈরি করা হয়েছে।

হ্যাঁ আপু দেখেই মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা ভ্রমণের মুহূর্তটুকু আমাদের সাথে আপনি দারুণভাবে শেয়ার করেছেন। আসলে চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করতে আমারও খুবই ভালো লাগে। আমাদের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ভ্রমণ করে অনেক অপরিচিত পশুপাখির সাথে পরিচিত হওয়া যায়। যাহোক বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।