||একজন নারী উদ্যোক্তা!!-কক্সবাজার শিল্প বাণিজ্য মেলা পর্ব -2||@shy-fox 10%

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

সবাই কেমন আছেন??

আমি@samhunnahar

আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশ থেকে।


Add a heading (3).jpg

ডিভাইস-Wiko-T3-(Made by Canva)

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের ভারত-বাংলাদেশি ব্লগার প্রিয় ভাই ও বোনেরা আশাকরি সকলেই ভালো আছেন ছুটির দিন শুক্রবারে।আমিও বেশ ভাল আছি আজ যেহেতু সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো সময় যাচ্ছে।শুক্রবারে আজ আপনাদের সাথে একটি নতুন টপিকস নিয়ে উপস্থিত হয়েছি শেয়ার করার জন্য।কথা না বাড়িয়ে তাহলে মূল টপিকস এ চলে যায়।

full2.jpeg

ডিভাইস-Wiko-T3
স্থান-কক্সবাজার শিল্প বাণিজ্য মেলা চত্বর।
বাংলাদেশ।

আজ থেকে প্রায় বিশ পঁচিশ বছর আগের কথা তখনকার গ্রাম বাংলার চিত্র এবং এখনকার গ্রাম বাংলার চিত্র ভিন্ন ধরনের পাল্টে গেছে।তখন আমাদের সমাজে নারীদের এত খোলামেলা ভাবে চলাফেরা অধিকার ছিল না।কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সব কিছুতে যেমন পরিবর্তন এসেছে ঠিক তেমনি নারীদের শিক্ষা-দীক্ষায়, চলা-ফেরায় এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে ও অবাধ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।আমি প্রায় সময় দেখি ফেসবুক এ অনেক বিজনেস গ্রুপ আছেন গ্রাম থেকে অনেক মেয়েরা সংযুক্ত আছেন নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি কে কাজে লাগানোর জন্য।রান্নার ক্ষেত্রে বলেন! চাকরির ক্ষেত্রে! ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে! অনলাইন বিজনেস এর ক্ষেত্রে সব কিছুতেই নারীরা এখন এক ধাপ এগিয়ে।এমন কোন স্তর নেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন না।

full1.jpeg

ডিভাইস-Wiko-T3
স্থান-কক্সবাজার শিল্প বাণিজ্য মেলা চত্বর।
বাংলাদেশ।

আগে নারীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে, চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য থাকলেও ইদানিং লক্ষ্য করা যায় না।ফুল বিক্রি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তরে এখন নারীরা অদম্য প্রচেষ্টায় নিজেদের প্রতিভাকে কাজে লাগাচ্ছেন।ঠিক তেমনি কক্সবাজার শিল্প বাণিজ্য মেলায় আমি লক্ষ‍্য করেছি একজন নারী ফুল বিক্রি করতেছে।কিন্তু আমরা শহরে দেখেছি ছোট ছোট মেয়েরা ফুল বিক্রি করে।এটা হচ্ছে সেই ফুল বিক্রি নয় এই নারী উদ্যোক্তা একটি ফুলের দোকান দিছেন।সেখানে নারীদের বিভিন্ন ধরনে আইটেম যেমন মাথার খোপার জন্য,হাতের বেসলেট, গলার মালা বিভিন্ন ধরনের আইটেম নিজেই করে আবার নিজেই দোকান দিয়ে বসে গেছেন।আপনারা যারা কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন তারা একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন যে কক্সবাজারে ঝিনুক মার্কেটে যেসব ঝিনুকের আইটেমস পাওয়া যায় সবগুলো কিন্তু আমাদের এখানকার মেয়েদের হস্তশিল্প।

full3.jpeg

ডিভাইস-Wiko-T3
স্থান-কক্সবাজার শিল্প বাণিজ্য মেলা চত্বর।
বাংলাদেশ।

ফুল বিক্রি করা মহিলাকে দেখেই আমার একদম খারাপ লাগেনি।কোন ধরনের আমি অদ্ভুত ফিল করিনি কারণ এটাই স্বাভাবিক।এভাবেই নারীদের এগিয়ে যেতে হবে প্রতিটি স্তর থেকে স্তরে।নিজের প্রতিভাকে,নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে এভাবে ধরে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।আমি আত্মবিশ্বাস করি এটা কোন খারাপের নয়।কারণ কোনো অনৈতিক এবং অপরাধমূলক কাজে জড়িত না হয়ে এভাবেই পরিশ্রম করে খাওয়াই যথেষ্ট মনে করি আমি।আমি চাই প্রত্যেকটি নারী প্রতিটি স্তরে এভাবে এগিয়ে যাক নিজের প্রতিভাকে,নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে।এমন সব নারী উদ্যোক্তা কে দেখলে নিজের প্রতি অনেক গর্ববোধ করি।নিজের প্রতি,সকল নারীর প্রতি অনেক বেশি আত্ম সম্মানবোধ ফিল করি,অনুভব করি।তাই আমি বলবো সবাই এভাবে এগিয়ে যান জীবনের প্রতিটি স্তরে।লজ্জা নয়! সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে নিজের দক্ষতাকে, নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের সকল নারীকে।

full.jpeg

ডিভাইস-Wiko-T3
স্থান-কক্সবাজার শিল্প বাণিজ্য মেলা চত্বর।
বাংলাদেশ।

লেখাটা আসলে অল্প লিখে শেষ করার মত নয়।তারপরও মনের জুরেই শেষ করে দিয়েছি কারণ এত বেশি লেখা কেউ পড়তে চায় না।আমার নিজেরও এত ধৈর্য নেই এত লম্বা লেখা পড়ার।আমার নিজেরও ভাল লাগেনা দীর্ঘ পড়া পড়তে।তাই সংক্ষিপ্ততার মধ্যে দিয়ে আমার মনের অনুভূতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি।ধন্যবাদ সবাইকে আমার লেখাটি সময় দিয়ে পড়ার জন্য।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

🌺ধন্যবাদ সবাইকে 🌺।


ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
স্থান-কক্সবাজার শিল্প বাণিজ্য মেলালোকেশন


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1ErUogEiSdZAWauW2HBq1zWnaXTkFLcSDf1FNjZSG74aKLZVGvRiXgXAoHNcwd2pCdbdU4UBDUSCpWCCEVSxQb1dLcZJjZwnHQ7cKET7dP2WdCG8XqX6kAVShvxwj4ADcqXM5SRVok8jcf6QUdnKuHYGEBSfAT19oFbhrhr1248EYdHUHm3UH5XWQxGVuZ7.png


APJuWYdNufXfexVJdadzh84ubwxgJmQjFLw8A4brEnLhiN3hK5unENyHMhQzKqrVMegcPNVB19GB3ww1fqD6hmAXJ84TP8g8komtaH6PwGY4qLr9xmZ7c86Ji8SC8DHe4BCf25XqGMPXA2nLhARG1mMDqxEiyT2jrzVshRUi2cq3cHPD66Eymo7i2NwAjuLx9CE9MSpWCU4Y74qfmhAjFFHixiQ4.png

WhatsApp Image 2022-11-20 at 9.12.56 PM.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কিছু কিছু লেখা আছে যেগুলো অল্প লিখে কখনো শেষ করা যায় না। আসলে বর্তমান সময়ে নারীরা সব দিক থেকেই এগিয়ে আছে। নারীরা ঘর সামলানোর পাশাপাশি নিজের দক্ষতা প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জন করছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই নারীরা আজ অবদান রাখছে। একজন নারী উদ্যোক্তা নিজের দক্ষতায় ফুলের দোকানটি সাজিয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আসলে প্রত্যেকের ভেতরে কিছু না কিছু প্রতিভা থাকে। সেই প্রতিভা জাগ্রত করে যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে যাবে। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

ঠিক বলছেন আপু এভাবে যদি নারীরা নিজের প্রতিভাকে প্রদর্শন করে ইনকাম করতে পারেন তাহলে পুরুষের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।

সত্যি বলতে আমি তো বলবো বর্তমান পৃথিবীতে নারীর অবদান যেন অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে ৷ আপনি যথার্থ বলেছেন যে ২০ থেকে ৩০ বছর আগে যেখানে নারীদের কোনো কাজে অংশগ্রহণ ছিল না ৷ তখন এক প্রথা ছিল নারী শুধু ঘরের মানুষ ৷ যদিও সেটা আগের যুগরে মানুষের দৃষ্টি কালচার ৷ তবে সময়ের স্রোতে আর সেই প্রাচীন প্রথা নেই ৷ এই আধুনিক প্রযুক্তি সাথে তাল মেলাতে নারী পুরুষ সবাই কে এগিয়ে আসতে হবে ৷ আর বৈষম্য দূর করতে হবে ৷ সত্যি বলতে আপু এখন গ্রামের নারীর ও বিভিন্ন কাজে এগিয়ে যাচ্ছে ৷
আপনার পোস্টে ফুলের দোকানের যে নারী টা দোকান দিয়েছে সত্যি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে ৷ আপনি খুব ভালো একটি টপিক তুলে ধরেছেন ৷
ধন্যবাদ

হ্যাঁ আগে অনেক বৈষম্য ছিল নারী পুরুষের মধ্যে তবে বর্তমান সময়ে তা তেমন লক্ষ্য করা যায় না।সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন নারী-পুরুষ দুইজনে।

নারীদের সফলতা নিয়ে বলতে গেলে আসলেই শেষ করা যাবে না। এটা খুব ভাল দিক যে নারীরা অনেক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ফুল বিক্রি বলেন, পিঠা বিক্রি বলেন এই সবই ভাল কাজ। অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা থেকে ভাল কিছু করে খাওয়া যত ছোট কাজই হোক অনেক ভাল। আমি ঢাকায় মাঝে মাঝে কিছু মহিলাকে দেখি অটো রিকশা চালায়। এটাও আমার কাছে একটি ভাল উদ্যোগ মনে হয়। ধন্যবাদ আপু।

দেখেন আবার রিকশাও চালাচ্ছেন নারীরা।এমন কোনো স্তর নেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে না।অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।

প্রত্যেকটা মানুষের যে নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিত সেটা যত তাড়াতাড়ি সে বুঝতে পারবে ততই ভালো। তা সে পুরুষ হোক বা মহিলা।আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজেও কোন মহিলা যখন স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেন, সেটা সত্যিই অনেক উৎসাহ যোগ্য। সারা জীবন গৃহবধূ হয়ে কাটানোটা তাই বলে মোটেই খারাপ বলছি না। তবুও নিজের ছোট্ট একটা জিনিস কিনতে যখন সামনে মানুষটার হাতে কাছে হাত পাততে হয়,নিজের একটু খারাপ লাগে। নিজের যেটুকু প্রতিভা বা শিক্ষা আছে, সেটাকে অবশ্যই কাজে লাগানো উচিত।খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করলেন।

কিছুটা হলেও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলে তাহলে নিজের ইচ্ছার একটু হলেও মুল্যায়ন করার সুযোগ হবে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য আমার পাশে থাকার জন্য।