"মহেশখালীর শিশু পার্কে ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব"||@shy-fox 10% beneficiary||

in hive-129948 •  2 years ago 

সবাই কেমন আছেন??

আমি সামশুন নাহার হিরা।

@samhunnahar

আমি আপনাদের সাথে ব্লগিং করি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের শহর কক্সবাজার শহর থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে অনেক স্বচ্ছন্দ বোধ করি।আমার প্রাণের কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট গুলো প্রতিনিয়ত করতে খুব ভাল লাগে।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রত্যেকটি রোলস মেনে চলার চেষ্টা করি।এই কমিউনিটির প্রিয় এডমিন, মডারেটরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করার কোন কারণ আমি খুঁজে পাইনা।কারণ ওনারা কমিউনিটির প্রত্যেকটি মানুষের এত এত ভাল দিক বিবেচনা করেন সত্যি আমি মুগ্ধ।ধন্যবাদ জানাই প্রিয় বড় দাদা,ছোট দাদা,সকল এডমিন ও মডারেটর ভাই বোনদের প্রতি।

park.jpeg

park6.jpeg

তো বন্ধুরা আপনারা সবাই আশা করি সকলেই ভাল আছেন? আমি প্রতিদিনের মত পোস্টের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজও নতুন আরেকটি পোস্ট শেয়ার করব।কিছুদিন আগে আমি আপনাদের সাথে মহেশখালী শিশু পার্কে সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরির মুহূর্তের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম।আজ আমি আপনাদেরকে সেই শিশু পার্কের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব শেয়ার করব।আশা করি আপনাদের কাছে প্রথম পর্ব খুবই ভালো লেগেছিল।নিশ্চয় আমার আজকের শেয়ার করা দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব অবশ্যই ভালো লাগবে।হ্যালো বন্ধুরা প্রথম পর্বে আমি শেষ করেছিলাম সবাইকে নিয়ে পার্কে আড্ডা দেওয়া।আড্ডা দেওয়ার পরে সবাই মিলে চিন্তা করেছিলাম পার্কের ঘাসের মধ্যে বসে নাস্তা করবো।

park1.jpeg

park2.jpeg

park3.jpeg

park5.jpeg

ভাতিজা মাহি এবং এনি দুইজনে নাস্তা নিয়ে হাজির।পাশে যে ছোট একটি বাজার ছিল সেই বাজারে তেমন কিছু পাওয়া যাইনি।গরম গরম পিঁয়াজু নিয়ে আসলো এবং সাথে কিছু চিপস ও কোলড্রিংস নিয়ে চলে আসে।সবাই আমরা ঘাসের উপর বসে পড়ি।আসলে আমরা মজা করছিলাম নাস্তাটা তেমন ভালো মানের অথবা দামি নাস্তা ছিলনা।বাজারে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি তাই পেঁয়াজু এবং কিছু চিপস এবং একটা কোল ড্রিংস নিয়ে আমরা খাওয়ার জন্য বসে পড়ি।সত্যি খাবারটা এত স্বাদের ছিল বলে বুঝাতে পারব না।হয়তো খাবার আমরা সবাই এক সাথে মিলে খাচ্ছিলাম তাই মনে হয়।এভাবে এক সাথে খাওয়া হলে আসলে সবকিছু খেতে অনেক ভালো লাগে।এক সাথে খাওয়া,সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া, হৈ হুল্লোড় করা সত্যিই অসাধারন ছিল সময়টা।

park4.jpeg

park7.jpeg

ছোট বাচ্চারা যারা ছিল তারা চিপস এবং পেঁয়াজ খেয়েছিল।বাচ্চারা দোলনাতে দোলে বেশ মজা নিচ্ছিল।কিছু কিছু খাবার আসলে টাকা দিয়ে বিবেচনা করা যায় না।তেমনি কিছু কিছু সময় আছে অতুলনীয় হয়।শিশু পার্কের সেদিনের আনন্দ গুলো খুব ভালো কেটেছিল।সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আরো কিছুক্ষণ আড্ডা দিছি বসে।

park9.jpeg

park8.jpeg

যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল তখন আমরা সবাই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই।সবাই এক সাথে বাসায় চলে যায়।বাসায় যাওয়ার পরেও সময়টা আরো অনেক সুন্দর করে কেটে ছিল সবাই মিলে।আজ এই পর্যন্ত আমার আজকের শেয়ার করা শিশু পার্কের ঘোরাঘুরির পর্ব এখানে শেষ বন্ধুরা।আশা করি আমার ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সবাইকে।ভাল থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WD38ZqUeRnVUECQkCUtERy26TtJgXchPPruCuG4aYFBuTAMzpZcSvvMhve24nx82PpqjRpciui4qTvoaVEYW.png


ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationw3w


🌺ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্ট সময় দিয়ে দেখার জন্য🌺।


@samhunnahar

সামশুন নাহার হিরা


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1ErUogEiSdZAWauW2HBq1zWnaXTkFLcSDf1FNjZSG74aKLZVGvRiXgXAoHNcwd2pCdbdU4UBDUSCpWCCEVSxQb1dLcZJjZwnHQ7cKET7dP2WdCG8XqX6kAVShvxwj4ADcqXM5SRVok8jcf6QUdnKuHYGEBSfAT19oFbhrhr1248EYdHUHm3UH5XWQxGVuZ7.png

WhatsApp Image 2022-11-20 at 9.12.56 PM.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মহেশখালীর এই শিশু পার্কে আমরা যদিও ঢুকতে পারিনি সময়ের কারণে। তবে সেখানে নেমে কিছুক্ষণ ফটোগ্রাফি করে চলে এসেছি। আসলে আপনাদের মহেশখালীতে অনেকগুলো জায়গা আছে খুব চমৎকার এবং আমরা পুরা ফ্যামিলি ঘুরে এসেছি সেখান থেকে। ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি গুলো দেখিয়ে পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

আসলে পার্কটি একদম গ্রামের ভিতরে।এখনও মানুষ যাবার মত এত আকর্ষণীয় করে গড়ে ওঠেনি।ধন্যবাদ আপনাকে পুরো ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরে আসছেন শুনে খুব ভালো লেগেছে্।

জি আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার একটি ফিডব্যাক দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।

সত্যি আপু আমরা সকলেই কমিউনিটির নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি। আসলে তারপরেও যদি কেউ কমিউনিটির বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে সত্যিই খারাপ লাগে। যাইহোক আপু আপনি আপনার পরিবারের সবার সাথে দারুন সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। আর খাবার গুলো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে আপু। বাচ্চাদেরকে দেখে ভালো লাগলো।

অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে কথাগুলো বললেন আপু মনে শান্তি পেল্।

২০২১ সালে আমার ওয়াইফকে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং সেখানে আমরা আদিনাথ মন্দির সহ অনেক জায়গায় ঘুরেছি। অবশেষে ফেরার পথে শিশু পার্কের সামনে নেমেছিলাম। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে আমাদের শিশু পার্কের ভিতরে ঢোকা হয়নি। কারণ বেশি লেট হয়ে গেলে সেখান থেকে আসতে সমস্যা হবে। তাই আমরা সেখান থেকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে আবার আমরা চলে যাই। তবে ফেব্রুয়ারিতে আসলে অবশ্যই শিশু পার্কে ঘোরাঘুরি করব। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

আপনি পুরো ফ্যামিলি নিয়ে এসে মহেশখালী ঘুরে দেখছেন শুনে তো অনেক ভালো লেগেছে।

জি আপু এতেই শেষ নয় ফেব্রুয়ারিতে আবার আসতেছি।

আসলে বিকাল বেলায় সবাই মিলে ঘাসের উপর বসে কিছু খেতে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। আপনার এই শিশু পার্কে ঘোরাঘুরি দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালই লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এগুলো শেয়ার করার জন্য।

সত্যি ভাইয়া খাবার সামান্য হলেও এভাবে যদি সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে খাওয়া যায় বেশ ভালো লাগে।

আপনার মহেশখালী শিশু পার্কের ভ্রমণ যে বেশ মজার ছিল তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।আসলে সবাই মিলে কোথাও গেলে বেশ আনন্দে সময় কাটে। সবাই মিলে একসঙ্গে যেকোনো জিনিস খাওয়া হোক না কেন তা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। অনেক সময় একা কোন দামি জিনিস খেলেও তাতে অত স্বাদ পাওয়া যায় না ।যাই হোক বেশ ভালো ছিল আপনার ভ্রমণ কাহিনী টি। ধন্যবাদ আপনাকে।

ঠিক বলছেন আপু সবাই মিলে খাওয়ার স্বাদ আলাদা।

ইশ আপু পার্কে ঘাসের মধ্যে বসে নাস্তা খাওয়ার মজাই আলাদা।যেমন সবুজ শ্যামল প্রকৃতি,তেমন প্রিয়জনদের সাথে আড্ডা,নাস্তা সব মিলিয়ে জমে গেছে ব্যাপারটা।প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছে।আসলে সবার সাথে এইভাবে পার্কে ঘুরতে,সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে।

হ্যাঁ আপু কোথায় গেলে এভাবে গ্রামের মধ্যে সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।

আপু আপনার মহেশখালীর শিশু পার্ক ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব পড়ে অনেক ভাল লাগলো। তবে আপনাদের গরম গরম পিয়াজু গুলো দেখে লোভ লাগলো। আমাদের দিকের পিয়াজু থেকে আপনাদের দিকের পিয়াজু গুলো অন্যরকম দেখলাম। ধন্যবাদ আপু।

হ্যাঁ ভাইয়া পেঁয়াজু গুলো গরম গরম খেতে অনেক স্বাদের ছিল।

@tipu curate

Nice day, nice friends

সোলো ট্রিপে যেমন মজা আছে,তেমনি পরিবারের সকলকে নিয়ে এইভাবে হৈ হৈ করতে করতে কোথাও ঘুরতে যাওয়াতেও আলাদা মজা। আমার আবার অনেকের সাথে ঘুরতে খুব ভালো লাগে। আর এই ধরনের পার্কে গেলে কচিকাঁচাদের মুখ গুলো দেখার মত হয়। তারা যেন ভাবে হাতে চাঁদ পেয়ে গেছি।দারুন একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন।মাঝে মাঝে এভাবেই বেরিয়ে পড়বেন।

আপু আপনাকেও অংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন।