||বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা-(পর্ব-৩)||

in hive-129948 •  2 years ago 

সবাইকে ঈদ মোবারক!

আর মাত্র রাত বাকি রাত শেষ হলে সকালেই আমাদের বড় উৎসব ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সবাই অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছেন ঈদের কাজকর্ম নিয়ে। আমিও বেশ ব্যস্ত সময় পার করতেছি গ্রামে আসছি ব্যস্ততা আরো অনেক বেশি বেড়ে গেছে। সবার সাথে কথা বলা, বাচ্চাদেরকে সময় দেওয়া আপনজনদেরকে সময় দেওয়া বাড়তি কিছু সময়ের প্রয়োজন। তো সেই ফাঁকে চেষ্টা করতেছি স্টিমিটের কাজ গুলো নিয়মিত রাখার জন্য। যদিও নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করতেছি। তবে যেই ভাবা সেই কাজ আজকেও শত ব্যস্ততার মাঝেও চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন একটি বিষয় শেয়ার করবো বলে।

park1.jpg

আপনারা তো অবশ্যই জানেন আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। বলতে গেলে ভ্রমণ আমার অনেক শখের একটি কাজ। তো আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি ভ্রমণ পোস্ট। গত শীতের সময় ঢাকায় গিয়েছিলাম ঘুরতে তখন বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করেছিলাম যেগুলো ক্রমান্বয়ে আপনাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজকেও আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাংলাদেশ চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরির আরো একটি পর্ব। গত আমি দুটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করার। বাচ্চাদেরকে নিয়ে অনেক ঘোরাঘুরি করেছি বাচ্চারা অনেক বেশি আনন্দ করেছিল।

park2.jpg

কারণ বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় অনেক পশু পাখি রয়েছে। বুঝতেই তো পারছেন পশু পাখি মানে হচ্ছে বাচ্চাদের অনেক আনন্দের একটি জিনিস। কারণ তারা যেহেতু শহরে থাকে বন্দী জীবন যাপন করে তাই পশু পাখি সম্পর্কে তেমন একটা পরিচিত নয়। সে হিসাবে হঠাৎ করে যখন চিড়িয়াখানায় এসে অনেক বড় এবং ছোট প্রকৃতির বিভিন্ন প্রজাতীর পশুপাখি দেখতে পায় তখন অনেক বেশি আনন্দে উল্লাসিত হয়ে ওঠে। আপনারা যারা বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘোরাফেরা করছেন তারা অবশ্যই জানেন সেখানে শিশু পার্ক নামে আরো একটি শাখা রয়েছে। সেখানে প্রবেশ করি বাচ্চাদেরকে নিয়ে। এই শিশু পার্কের মধ্যে বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আইটেম ছিল।

park3.jpg

park4.jpg

এছাড়াও একটি শাখা ছিল যেটা হচ্ছে অ্যাকুরিয়াম। এই অ্যাকুরিয়াম টি হচ্ছে বিভিন্ন পশু পাখির চামড়া সংগ্রহ করেছে এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রাখা হয়েছে। তবে সেখান থেকে তেমন ফটোগ্রাফি আমি নিই নাই এবং শেয়ারও করতে পারিনি আপনাদের সাথে। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় শিশু পার্ক বাচ্চাদের বেশ আনন্দ দিয়েছিল। কারণ সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর ডোমেস্টিক রেল লাইন ছিল যেখানে বাচ্চারা অনেক আনন্দের সাথে খেলাধুলা করেছিল। বাচ্চাদের খেলাধুলা করার অনেক ধরনের আইটেম ছিল সেখানে। অনেক বেশি আনন্দ করেছিল বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায়। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা এত বড় কিন্তু বড় আফসোসের বিষয় হচ্ছে যে এরিয়া টাকে ভালোভাবে কাজে লাগায়নি সরকারি উদ্যোগে।

park5.jpg

park6.jpg

বেশ বড় জায়গা যাকে মিনি বাংলাদেশ বললেও ভুল হবেনা। কিন্তু জায়গাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে এটা দেখে আমার বেশ খারাপ লেগেছিল। তবে খারাপ লাগার থেকে আনন্দের বিষয়টা আমার থেকে সবচেয়ে বেশি ছিল। কারণ যেখানে বাচ্চারা সবচাইতে বেশি আনন্দ উপভোগ করেছিল সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায়। সেখানে অনেক সময় কাটায় বাচ্চাদের সাথে যেহেতু অনেক খেলাধুলা ছিল তাই বাচ্চাদেরকে বের করতে পারছিলাম না। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরীণ শিশু পার্কে ঘোরাফেরা করার পরে বের হয়ে যায় আরো কিছু দেখার বাকি ছিল তাই। তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত আমি পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে বাকি অংশ শেয়ার করব এই প্রত্যাশা রাখি। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন সবারই ঈদ হোক আনন্দময় সেই কামনা করি।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationw3w
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqKGFwaM8Kqv9tMReTkL2w3ow2M2CubmYy2Aod1kEXoUDtqH3fo7m2hBK4uDhMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAm1.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে পার্কে বা, চিড়িয়াখানা যেতে সবাই খুব ভালো লাগে। আপনি বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আজকের পর্বটি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে চিড়িয়াখানায় গেলে বাচ্চারা খুবই আনন্দ পায়। ছোট বাচ্চার নানা রকমের পশুপাখি দেখে খুবই আনন্দিত হয়। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর সহযোগিতা মূলক একটি মতামত দেওয়ার জন্য।


Congratulations...!!! Your Post Selected Got Upvote %
By: Urdu Community cruated by @yousafharoonkhan


Join our steemit Facebook page steemit community to promote the steemit all over the world, and keep continue your quality writing content on steemit


image.png

Subscribe URDU COMMUNITY

Quick Delegation Links

50SP100SP150SP200SP500SP1000SP1500SP2000SP

Our mission to promote Steemit in Urdu Community to all over the world
Stay together
Join the Urdu Community with more confidence.
Steem On

Join our steemit Facebook page steemit community

চিড়িয়াখানার ভিতরে পার্ক খুব কম জায়গাতেই দেখা যায়। তবে এটা সত্যি কথা যে বাচ্চাকাচ্চারা চিড়িয়াখানা ঘুরাঘুরি করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আমার ছোট ভাইকে তো বছরে দুই একবার চিড়িয়াখানায় নিয়ে যেতেই হয়।

চিড়িয়াখানায় যাওয়া বাচ্চাদের জন্য অনেক সুবিধার কারণ বাচ্চারা অনেক কিছু জানতে পারে শিখতে পারে। বেশ ভালো একটি আইডিয়া ছোট ভাইকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান তাই।

শিশু পার্ক বা চিড়িয়াখানায় এ জাতীয় বাচ্চাদের জন্য অনেক প্রকার খেলনার সুযোগ সুবিধা থেকে থাকে। আজ আপনি বাচ্চাদের নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানা ভ্রমণে গিয়েছিলেন এবং সেখানে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর একটা ভালো লাগার মুহূর্ত দেখে।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি সময় দিয়ে পড়ার জন্য এবং খুব সুন্দর গঠনমূলক মতামত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য।