প্রতিদিনের মতো আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে চলে এসেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আজকে ভিন্ন একটি বিষয় আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।প্রতিদিন একই ধরনের বিষয় লেখতে ভালো লাগে না পোস্টের ভিন্নতা আনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কিছু লেখা চেষ্টা করি।সেই সুবাদে আজ নতুন একটি টপিক্স নির্বাচন করেছি।আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাচ্চাদের স্কুলের খেলাধুলার কিছু মুহূর্ত নিয়ে।আপনারা সবাই জানেন নতুন বছরের শুরুতেই সব স্কুলে কিছু ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিটি স্কু্লে এই খেলাধুলা নিয়ে বেশ মেতে উঠেন ছাত্রছাত্রীরা।খেলাধুলার কথা বললে ছোটকালের স্মৃতি মনে পড়ে যায়।যখন যষ্ট শ্রেণী কিংবা অষ্টম শ্রেণীতে ছিলাম তখন বেশ মনে আছে পুরো মাস জুড়ে স্কুলের মধ্যে খেলাধুলার উৎসব চলতো।কিন্তু এই যান্ত্রিক যুগে এসে স্কুলগুলো যেমন যান্ত্রিকের মত হয়ে গেছে তেমনি পড়ালেখা বলেন এবং খেলাধুলার মধ্যেও খুব সীমিত সময়ের মধ্যে খেলাধুলা শেষ করা চেষ্টা করে থাকেন। আমি অন্যান্য স্কুলের বিষয়ে তেমন জানিনা তবে আমি যেগুলো দেখতেছি ইদানীং স্কুলে খেলাধুলার ইভেন্ট অনেক কমিয়ে ফেলছে।তবে আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন কিন্তু নিজের ইচ্ছে মত চার থেকে পাঁচটা বিষয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল।
কিন্তু এখন সেই সুযোগ সুবিধা একদম সীমিত করে দিছে।আজ আমার বড় মেয়ের স্কুলে খেলার প্র্যাকটিস চলতেছিল।আমাদের কক্সবাজারের স্বনামধন্য স্টেডিয়াম বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে খেলাধুলার আয়োজন চলতেছে।এটি আমাদের কক্সবাজারের বেশ বড় মানের স্টেডিয়াম এখানে বিভিন্ন জেলার অভ্যন্তরীণ খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।তো স্কুল যেহেতু পাশাপাশি স্কুলের মাঠ ছোট হওয়ায় রাহুল আমিন স্টেডিয়ামে খেলা গুলো অনুষ্ঠিত হয়।গত কালকে স্কুল থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে আজ সকাল ৮:৩০ এ বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে যেতে হবে।
খুব সকালে বাচ্চাদের কে ঘুম থেকে উঠায় দিই।যেহেতু বাসায় কেউ থাকবে না ছোট মেয়েকে তো সাথে নিয়ে যেতে হবে।কখন বাসায় আসতে পারি তার কোন টাইম ঠিক নেই।তাই ছোট মেয়েকেও ঘুম থেকে উঠায় দিয়ে হালকা নাস্তা করায়ে সোজা চলে গেছি বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে।ইতিমধ্যেই আমি যাওয়ার আগেই অনেক গার্ডিয়ান এবং স্টুডেন্টরা ভরপুর হয়ে গেছে স্টেডিয়ামে যেয়ে।বাংলা ভার্সন এবং ইংলিশ ভার্সন দুই ভাগ হয়ে স্টেডিয়ামে দুই দল দুই সাইডে চলে যায়।
প্রথমে খেলা শুরু করেন প্লে গ্রুপ থেকে।খেলার প্র্যাকটিস চলতেছিল বিদায় অনেক এনজয় করেছে বাচ্চারা।আমার ও অনেক ভাল লাগছিল।শীতকাল হলেও মাঠে বেশ গরম ছিল খোলামেলা মাঠ তাই। ছোট মেয়ে এত বিরক্ত করছিল বলার মত না।গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে বাসায় চলে আসার জন্য কান্না শুরু করে দেয়।তবে প্রথমে বিরক্ত করলেও শেষে একটু শান্ত হয়ে যায় ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলা দেখানোর পরে।
এরপরে ১০ঃ৩০ এর দিকে বড় মেয়েদের অর্থাৎ ক্লাস থ্রির খেলা প্র্যাকটিস চলছিল।এখানে আর একটা কথা বলে রাখি সেটা হচ্ছে যে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত চালু আছে।তাই সব ক্লাসের স্টুডেন্টদের কে নিয়ে খেলা প্র্যাকটিস করা বেশ জটিল হয়েছিল টিচারদের। সবশেষে ১১ঃ৩০ দিকে প্র্যাকটিস করা শেষ।টিচারেরা আবার ঘোষণা দেয় পরের দিন ৯ঃ০০ টায় আবার আসতে হবে।অবশেষে খেলাধুলা দেখে শেষ করে বাসায় ফিরে আসি।
💖সময় দিয়ে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে।সবাই ভাল থাকবেন এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ থাকবেন💖 |
---|
স্থান-কক্সবাজার বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম -বাংলাদেশ। |
---|
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/sojbk
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার মেয়ে ঈলমার স্কুলেও খেলাধুলার প্রাকটিস চলছে, তবে স্কুলের মাঠেই সব করাচ্ছে। আপনাদের স্কুল তো দেখছি একেবারে স্টেডিয়ামে নিয়ে খেলাধুলা করাচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা খুব ভালো একটি কাজ। এতে বাচ্চাদের উৎকর্ষতা এবং সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে। ধন্যবাদ আপু চমৎকার এই পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলছেন ভাইয়া বাচ্চারা অনেক বড় মাঠে যেয়ে খেলা করতে পেরে অনেক বেশি আনন্দিত অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মেয়ের স্কুলের প্র্যাকটিস খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমাদের এদিকে বাচ্চাদের স্কুলের প্র্যাকটিস স্কুলের মাঠে করায়। আর আপনার বাচ্চার স্কুলের প্র্যাকটিস স্টেডিয়ামে করাচ্ছে। আসলে আগের মত তেমন কিছুই নেই। আমরাও যখন ছোট ছিলাম জানুয়ারি মাসে অনেক ধরনের খেলা আয়োজন করত প্রতিযোগিতা হত। এখন এগুলো তেমন চোখে পড়ে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বুঝতে পারছেন ভাইয়া আসলে আগের আনন্দ আর এখনের আনন্দের মাধ্যমে অনেক বেশি তফাৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে বাচ্চাদের খেলাধুলার সময় মনে হয় বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন রকম সংস্কৃতিক খেলা হয়ে থাকে যেগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ছোটবেলায় আমরা অনেক খেলায় নাম দিতে পারতাম বেশ ভালোই মজা হতো তখন। ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খোলামেলা বড় মাঠ তাই তো অনেক রোদ সেজন্য গরম লেগেছে।আপনার ছোট মেয়ে প্রথম দিকে কান্না করলে ও ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলা দেখে তার কাছে ভালো লেগেছিল তাই পরে শান্ত হয়ে বসে ছিল। ভালোই কাটল তাহলে মুহূর্তটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক তো আপু আগে পছন্দ মত খেলাধুলায় নাম দিতে পারতাম আমরা।তবে এখন স্কুল থেকে যেগুলো ঠিক করে দিচ্ছে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলা দেখতে আমার বেশ ভালই লাগে। কারণ ছোটবেলায় আমরা যে খেলা গুলো খেলতাম তখন বেশ আনন্দ হতো। আর ছোট বাচ্চাদের খেলা দেখলে ইচ্ছে করে আবারও সেই পুরনো স্মৃতিতে ফিরে যাই। আগে কত রকমের খেলা খেলতাম আমরা সবাই মিলে। কিন্তু এখন তো টিচারদের ইচ্ছেমতো নাম দিতে হয়। প্রথম দিকে মনে হয় আপনার ছোট মেয়ে একটু বেশি জ্বালিয়েছিল। যাইহোক পুরোটা পড়তে ভীষণ ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলছেন আপু টিচারদের ইচ্ছে মত নাম দিতে হয় নিজের পছন্দ হলে কোন কথাই নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit