সকলকে নমস্কার জানিয়ে আজকে আমি আমার লেখা শুরু করছি।গত পর্বে আমি আমার ঝাড়খণ্ড ট্যুরের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।আজকেও সেটাই কন্টিনিউ করবো।
আমরা সকল ১০ এর দিকে হোটেলের রুম পেয়ে গেছিলাম।প্রত্যেক জায়গায় আমাদের আগে থেকেই রুম বুক করে রাখা থাকে,তাই এই বিষয়ে খুব একটা অসুবিধে হয়না আমাদের।আমি আমার আগের ট্রাভেল সম্পর্কিত পোস্ট গুলিতেই বলেছিলাম যে আমাদের সাথে কিচেনের সমস্ত রকম সরঞ্জাম সহ রাঁধুনি সবকিছুই যায়।
রুম পাওয়ার পরে আমাদেরকে এক-দেড় ঘন্টা সময় দেওয়া হলো,স্নান করে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য।ততক্ষনে আমাদের জন্যে ভাত রান্না হয়ে যাবে।বেলা ১২ টার সময় আমরা খাওয়া দাওয়া করে লোকাল কিছু সাইড সিন দেখবো-এরকম কথা ছিলো।সেই মতো আমরা সঠিক সময়ে মধ্যে বিশ্রাম নিয়ে,স্নান-খাওয়া করে রেডি হয়ে নিয়েছিলাম।মোটামুটি বেলা সাড়ে বারোটার একটু পর পর আমরা আমাদের বাসে করেই বেড়িয়ে পড়লাম।
সেদিনের আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিলো সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বসত ভিটে, যা ঘাটশিলা শহরেই অবস্থিত।বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনারা অনেকেই জানেন।যারা জানেন না তাঁদের উদ্দেশে ওঁনার সংক্ষিপ্ত একটা বর্ণনা দিয়ে দিচ্ছি আমি।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। "পথের পাঁচালী" ও" অপরাজিত" তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, চাঁদের পাহাড়, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তো আজকে আপনাদের সাথে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বসত ভিটের কাহিনী এবং তার কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
লেখক এখানে তার জীবনের বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছেন।এবং তথ্য অনুযায়ী আমি যদি খুব ভুল না করি,এই বাড়িতে থাকা কালীন সময়েই লেখক হার্ট এটাক করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।সেই হিসেবে দেখতে গেলে এই বাড়ির মাহাত্ম অনেক বাংলার সাহিত্যিক মহলে।
বাড়িটির অবস্থা খুব যে ভালো ছিলো তা নয়,সরকারের দেখ ভালও পারতপক্ষে খুব ভালো নয়।লোকাল কিছু লোকজনও এই বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
বাড়িটিতে রক্ষণ কক্ষ,বিশ্রাম কক্ষ এবং শয়ন কক্ষ সহ মোটা তিনটি ঘর এবং একটি বারান্দা রয়েছে।ভেতরে কবির ব্যবহৃত কিছু পোশাকও রয়েছে।নীচে আমি একসাথে সমস্ত ছবি দিচ্ছি।