গত কয়েকদিন ধরে আমি আমার শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো সম্পর্কে পরপর কয়েকটি পোস্ট করেছি। তার মধ্যে আপনারা অনেকেই আমার শহরের পুজোর খুব প্রশংসা করেছেন। শুধু তাই নয় অধিকাংশই কমেন্টে জানিয়েছেন, আমি যেন আরো কয়েকটি এরকম পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাদের উদ্দেশ্যে আমার বলার আমি চেষ্টা করব যতটা সম্ভব পুজোর পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার। তাই বলে পরপর এক ভাবে পোস্ট করে গেলে একটা একঘেয়েমি চলে আসে। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি। কারণ যে কোন ক্ষেত্রেই একঘেয়েমি মোটেই শোভা পায় না। যাইহোক আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন ফটোগ্রাফি করতে আমার মোটামুটি ভালোইবাসি। যদিও পুরোটাই শখের বসে। তাই ভাবলাম এই একঘেয়েমীয়তা থেকে বেরিয়ে আসতে আজকে একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এমনি তো বেশ কয়েকদিন হল আমি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করি না।তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পরপর আমার কয়েকটি শখের ফটোগ্রাফি।
|| প্রথম ফটোগ্রাফি ||
এই ফটোটি তোলা এই বছর দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমীর দিন। ছবিতে আপনারা যে প্রতিমাকে দেখছেন,সেটি হলো কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির প্রতিমা। রাজবাড়ীতে প্রত্যেক বছর বিজয়া দশমীর দিন দুপুরবেলায় সিঁদুর খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় অধিকাংশই শহরবাসী সেখানে উপস্থিত থাকে। মহিলারা সেখানে সিঁদুর খেলায় মেতে থাকে, আর পুরুষরা সিঁদুর খেলার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে গল্প করতেই বেশি পছন্দ করে। আমিও গত সাত আট বছর ধরে প্রায় প্রতি বিজয়া দশমীতেই সেখানে উপস্থিত থাকি। সেখানে আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধবও আসে একটা ছোটখাটো রিইউনিয়নও হয়। এই বছর সেই সময় এই ফটোটি তোলা। রাজবাড়ীর ঐতিহাসিক রাজপ্রাসাদে ঝাড়বাতির আলোয় মায়ের মুখটা দেখতে অসাধারণ লাগছিল। তখনই আমি এই ফটোটা তুলেছিলাম।
স্থান- কৃষ্ণনগর,নদীয়া,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দিন- ০৫/১০/২০২২
সময়- ১২:৪২ pm
Camera device- POCO M3
W3W Location
|| দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি ||
আজকের পোষ্টের এই দ্বিতীয় ফটোটি তোলা গত নভেম্বর মাসে। আমি যে এনজিওতে কাজ করি, সেই এনজিওর থেকে বেশ কয়েকটি জেলাতে পুজোর আগে ছোট ছোট বাচ্চাদের জামা কাপড় দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সেই সময় আমরা পুরুলিয়াতেও গেছিলাম। তখনই একদিন কি ফেরার পথে এই জলাশয়ের ধারে দাঁড়িয়ে আমরা কিছুক্ষনের জন্য রেস্ট নিচ্ছিলাম। সামনে যে জলাশয় টি দেখছেন এ জলাশয় টি হল আসলে একটি ড্যাম,যার নাম ফুটিয়ারী ড্যাম। ড্যামের ধারে একটু এগিয়ে যেতেই আমার এই নৌকার দৃশ্যটি চোখে পড়ল। তখন সময়টা ছিল বিকেল বেলা। নৌকার দুই মাঝি নৌকা নোঙর করে রেখে পাশে বসেই গল্প করছিলেন। আমার খুব ভালো লাগলো দৃশ্যটি দেখে, তাই ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম।
স্থান- পুরুলিয়া,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দিন- ১৮/০৯/২০২২
সময়- ০৫:৪৭ pm
Camera device- POCO M3
W3W Location
|| তৃতীয় ফটোগ্রাফি ||
এই ছবিটি ও আমার এনজিওর কাজে গিয়ে তোলা। এনজিও থেকে আমরা এমন কিছু শিশুদের জামা কাপড় প্রদান করি, যাদের সত্যিকার অর্থেই তা কেনার ক্ষমতা নেই। আর যাদের জামা কাপড় কেনারই ক্ষমতা নেই ,তাদের বাসস্থান,জীবন-যাপন,ঘরবাড়ি কিরকম হতে পারে আশা করি তা আপনাদের অনুমেয়। এই ছবিটিতে ঠিক সেরকম একটি স্থান আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এমনিতেই আমি গ্রাম্য পরিবেশ খুবই ভালোবাসি। তাই এই দৃশ্য দেখে তা ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে ভুলিনি।
স্থান- পুখুড়িয়া,বাঁকুড়া,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দিন- ১৭/০৯/২০২২
সময়- ১২:৪৪ pm
Camera device- POCO M3
W3W Location
|| চতুর্থ ফটোগ্রাফি ||
এই ফটোটি এই বছরের দুর্গা পূজার ষষ্ঠীর দিন তোলা। এই বছর দুর্গাপুজোতে কি রকম বৃষ্টি হয়েছে,তা কলকাতাবাসী ভালোই জানে।সবাই খুব ভুগেছে বৃষ্টিতে,আমিও বাদ যাইনি। সন্ধ্যেবেলা ঠাকুর দেখে দিদি বাড়ি ফেরার পথে আমিও বৃষ্টিতে আটকে যাই, রাস্তায় প্রায় এক ঘন্টার উপরে অপেক্ষা করেছিলাম বৃষ্টি কমার জন্য। তারপরে একটু বৃষ্টি কমতে বেরিয়েছিলাম। তখনই দেখি দিদি বাড়ির পাড়ার একটি পূজা মন্ডপের আলো রাস্তার জলে প্রতিফলিত হয়ে খুব সুন্দর লাগছে। রঙ্গিন আলোর এই প্রতিফলন, আমার বিগ্রে থাকা মেজাজ টা কেউ ভালো করে দিল।তাই আপন খেয়ালে ছবিও তুলে নিয়েছিলাম।
স্থান- কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দিন- ০১/১০/২০২২
সময়- ০৮:১৬ pm
Camera device- POCO M3
W3W Location
|| পঞ্চম ফটোগ্রাফি ||
আপনারা যারা আমার এর আগের ফটোগ্রাফি পোষ্টের পর্ব গুলি দেখেছিলেন তারা হয়তো জানেন যে আকাশের ফটোগ্রাফির উপর আমার আলাদা একটা দুর্বলতা রয়েছে। আমার ফটোগ্রাফি পোস্টগুলিতে অন্তত তোকে একটা হলেও আকাশের ফটোগ্রাফি থাকে। তার অন্যথায় হয়নি। আপনারা দেখে বুঝতেই পারছেন এটি কোন এক সকালে শরতের আকাশের ফটো। যেখানে মেঘ ভেসে রয়েছে 'পেঁজা তুলোর মতো'। এই ছবিটি আমার বাড়ির ছাদ থেকেই তোলা।
স্থান- কৃষ্ণনগর, নদীয়া,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দিন- ১২/০৯/২০২২
সময়- ১১:৩৬ am
Camera device- POCO M3
W3W Location
|| ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি ||
এই ফটোটিও আমার এনজিওর কাজে বাঁকুড়াতে গিয়ে তোলা। দিনের বেলা কাজ করে কোন এক বিকেলে আমরা একটু সময় কাটাতে মুকুটমণিপুর ড্যামের ধারে গেছিলাম। সেখানে এই নৌকাটিকে ভেসে থাকতে দেখি। ড্যামটা কে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে, হঠাৎ করে দেখলে ড্যাম না সমুদ্র বোঝা যায় না। কারণ যতদূর চোখ যায় জল ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। এই নৌকাটি সেখানে একা একা জলে ভেসে ছিল এবং জলের স্রোতে হাওয়াতে হালকা হালকা দুলছিল।
স্থান- বাঁকুড়া, নদীয়া,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দিন- ১৭/০৯/২০২২
সময়- ০৫:৫৭ am
Camera device- POCO M3
W3W Location