|| বুড়িমা | জগদ্ধাত্রী পুজা পরিক্রমা'২২| পর্ব-১১(অন্তিম পর্ব) ||

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

নমস্কার সবাইকে।আশাকরি আপনারা সকলে ভাল আছেন। মোটামুটি এক মাস পরে আমি আজকে কাজ শুরু করছি। বেশ কিছু বিশেষ বিশেষ কারণে আমি মাঝখানের এই একমাস একদম কাজ করতে পারিনি। এই মাঝের সময়টুকু খুব অদ্ভুত ভাবে কেটেছে আমার সাথে, এবং কেন কোনো কাজ করতে পারিনি, কেন এতদিন পরে আসছি -এই কারণগুলো আমি আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, অন্যান্য দিন অন্যান্য পোস্টে। তাই আজকে শুধু আজকের বিষয়ের পোস্টই করছি।

GridArt_20230118_123635539.jpg

বিগত পোস্ট গুলিতে আমি আমার শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করছিলাম। বিভিন্ন পোস্টে একাধিক বারোয়ারির পূজা পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি আমার শহরের সবকটি ভালো পূজা আপনাদের সাথে শেয়ার করে উঠতে পারিনি। মাঝখানের এই সময়টাতে অনেকটাই গ্যাপ পড়ে যাওয়ায় আরো অসুবিধা হয়ে গেছে। তাই বেশ কয়েকটি বারোয়ারির পূজা আপনাদের সঙ্গে এই বছর আর শেয়ার করতে পারলাম না। তবে যে বারোয়ারীর পুজো না বললেই নয় সেই বারোয়ারীর গল্প তো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতেই হবে। আমি প্রথম থেকেই ভেবে রেখেছিলাম আজকের বারোয়ারির গল্প আপনাদের সঙ্গে একটিমাত্র পোস্টে শেয়ার করব এবং সেটি হবে আমার জগদ্ধাত্রী পূজা পর্বে সর্বশেষ পর্ব। তাহলে চলুন আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে এইবারের মতো জগদ্ধাত্রী পূজা পর্ব শেষ করছি।

আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে যে বারোয়ারীর কথা শেয়ার করবো,সেই বারোয়ারীর নাম হলো কৃষ্ণনগর চাষাপাড়া বারোয়ারী , যার প্রতিমার নাম বুড়িমা । বুড়িমা শুধু আমার শহরেই বিখ্যাতই নয়,জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে জগৎজোড়া সুনাম রয়েছে এই বুড়িমার। তার কারণ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
জগদ্ধাত্রী পূজা পর্বে আমার সর্বপ্রথম পোস্টটি ছিল আমার শহরে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন নিয়ে। এবং সেই পোস্টে বলেছিলাম যে জগদ্ধাত্রী পূজা সর্বপ্রথম কবে কোথায় কিভাবে শুরু হয়। সেই পুজো শুরু হওয়ার প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত রাজবাড়ীর পুজোর পরে, এই বুড়িমার পুজো হল সব থেকে প্রাচীনতম পুজো। এই বৎসর(2022 সালে) বুড়িমার পুজো ২৫০ তম বর্ষ তে পদার্পণ করেছে।

PXL_20221101_200141341.jpg

PXL_20221101_200354545.jpg

PXL_20221101_200208883.jpg

PXL_20221101_200545642.jpg

IMG-20230117-WA0136.jpg

আমার আজকের পোস্টের সম্পূর্ণ পোস্টটি লেখার পরে আমি এই অনুচ্ছেদটি লিখছি। পুরো পোস্টটি লেখা শেষ করার পরে আমি অনুভব করছি আমার লেখাটি যথেষ্ট বড় হয়ে গেছে। কিন্তু আমার কাছে কোন উপায় নেই। বুড়িমা সম্পর্কে আমি যতই লিখি না কেন ততই কম হবে। তাও যেটুকু তথ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার না করলে শেয়ার করেছি। সবাই একটু কষ্ট করে পড়বেন, আমি আশা রাখি কারোর খারাপ লাগবেনা। আর কারোর কি হবে না হবে জানিনা, @roy.sajib দার কাছে এই পোস্টটির একটি অন্যরকম গুরুত্ব আছে এটুকু আমি জানি😁।
আর পোস্টটি যেহেতু অনেক বড় আমার হয়তো একটু আধটু বানান ভুল থাকতে পারে, আমি যতটা পেরেছি নির্ভুল করার চেষ্টা করেছি। তাও যদি কোন বানান ভুল হয়ে থাকে আমি আপনাদের কাছে প্রথম থেকেই ক্ষমাপ্রার্থী, আশা করি আপনারা একটু বুঝে নেবেন।

সত্যি কথা বলতে পোষ্টের মাঝখানে ফটো দেওয়ার আমার একদম ইচ্ছা ছিলোনা, যাতে একবারে পুরো পোস্টটি পড়তে আপনাদের সুবিধা হয়। কিন্তু ফটোগুলো না দিয়েও আবার কোন উপায় নেই, তাই যেটুকু ফটো মাঝখানে না দিলেই নয় আমি সেটুকুই দিয়েছি।তবে আমার পোষ্টের একদম শেষে আমি একটি ভিডিওর লিংক দিয়েছি, যেখানে আপনারা পুরো পুজোটার সম্পর্কে একটুখানি হলেও ধারণা পাবেন। আমি মূলত আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই কিছু স্পেশাল ভিডিও করে রেখেছি, আশা করি সেগুলি আপনাদের দেখলে ভালো লাগবে।

এই বুড়িমার গল্প শুনলে আপনারা অনেকেই হয়তো অবাক হয়ে যাবেন। বুড়িমার সারা জগৎজোড়া বিখ্যাত হওয়ার প্রধান কারণ হলো বুড়িমায়ের জাগ্রত রূপ। শহরবাসী বুড়িমা অন্ত প্রাণ। আজ পর্যন্ত বুড়িমা নাকি কাউকে কোনদিন ফেরান নি, যিনি মায়ের কাছে যা চেয়েছেন তিনি তাই পেয়েছেন। শুধু তাই নয় মায়ের সম্পর্কে যদি কারোর মনে বিন্দুমাত্র দুর্ব্যবহার হয়েছে তার শাস্তিও নাকি সেই ব্যক্তি যথাসময়ে পেয়ে যান। এরকম প্রচুর গুন এই মায়ের রয়েছে। মায়ের প্রসাদ খেলেও নাকি অনেক সময় রোগও সেরে যায়। শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো সম্পর্কে কথিত আছে, কোন এক সন্তানের মা তার সন্তানের সুস্থতা কামনা করে বুড়িমায়ের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। সে মায়ের সন্তান ছিল এক পায়ে খোড়া। মায়ের কাছে মানসিক করার ঠিক পরের বছরের মধ্যেই নাকি তার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। এরকম বহু কথা বুড়িমার সম্পর্ক রয়েছে। তাই এই বুড়িমায়ের অগুন্তি ভক্ত। বুড়িমায়ের ভক্তদের মধ্যে কোন জাতি-ধর্ম-বর্ণের বিভেদ নেই। যে কেউ মায়ের পুজোতে আসতে পারে ,মাকে মানসিক করতে পারে, মায়ের পূজোয় দান করতে পারে, মায়ের প্রসাদও পেতে পারে।মায়ের এতো ভক্তগণ প্রত্যেক বছর মায়ের কাছে পুজো দেয়, দক্ষিণা দেয় এবং সোনার বা রুপার অলংকারও দান করে। গত আড়াইশো বছর ধরে মায়ের এইসব ভক্তদের থেকে বিভিন্ন অলংকার গ্রহণ করে মায়ের আজ প্রায় ৮০০ ভরি সোনা হয়ে গেছে। প্রত্যেক বছর মায়ের গায়ে ৫২২০ গ্রাম মতন সোনা থাকে। মাকে সোনা-রূপো দিয়ে সাজিয়ে শহরের শিল্পীরা শহরের রাজরানী করে তোলে। শুধু বুড়িমাই নয় ,মায়ের বাহন সিংহেরও থাকে দেখার মতন সোনা। আমার দেওয়া বিভিন্ন ফটোগুলোতে সিংহের দুই চোখের মনিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন সেখানে থাকে দুটো হীরা।

IMG-20221102-WA0089.jpg

এই সবই হয়েছে বুড়িমায়ের অগুন্তি ভক্তর দানে। কৃষ্ণনগরের প্রায় সবকটি বারোয়ারীই নিজেদের এলাকাবাসীর কাছ থেকে পুজোর আগে কিছু অর্থ সংগ্রহ করে করার পুজো সম্পূর্ণ করার জন্য। ব্যতিক্রমী শুধুমাত্র বুড়িমায়ের চাষাপাড়া বারোয়ারি। এই বারোয়ারী কারোর কাছ থেকে কোনরকম চাঁদা দাবি করে না, মায়ের অশেষ কৃপায় শহরবাসী যে পরিমাণ অর্থ নিজে থেকে দান করে তাতেই বারোয়ারীর পুজো যথেষ্ট ভালোভাবে সম্পূর্ণ হয়ে যায়। এই বুড়িমায়ের পূজো প্রথম হয় ১৭৭২ সালে। বুড়িমায়ের পুজোর অঞ্জলির সময়তো বটেই,তা ছাড়াও গয়না পড়ানোর সময় এবং যখন সবাই মানসিক দ্রব্যাদি দান করতে আসেন, সেই সময়েও ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। তার জন্য প্রশাসন আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আমি প্রথম পোস্টেই বলেছিলাম আমাদের কৃষ্ণনগর শহরের একটি মাত্র পুজো ছাড়া সমস্ত পুজোয় কেবলমাত্র একদিনে হয়, বুড়িমাও কিন্তু তার ব্যতিক্রম নয়। তা সত্ত্বেও প্রায় দিন দুই-তিন আগে থেকেই বুড়িমায়ের বারোয়ারি চত্বরে সাধারণ মানুষের আনাগোনা শুরু হয়ে যায় মাকে দেখার উদ্দেশ্যে। মায়ের চক্ষুদানের সময় থেকে গয়না পরানোর মুহূর্তগুলিও যথেষ্ট মানুষের সমাগম থাকে। মূলত নবমী পূজার আগের দিন মাকে গয়না পড়ানো হয়। 2022 সালে আড়াইশো বছর পূর্তি উপলক্ষে মাকে প্রায় ৮ কেজির মতো শুধু সোনার গয়না পড়ানো হয়েছিলো। এছাড়াও বেশ কয়েক কেজি রুপোর গয়না তো ছিলই। স্বাভাবিকভাবেই এই কারণে সেখানে পুলিশ প্রোটেকশন সহ চারিদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকে, এছাড়াও বেশ কিছু পুলিশ অফিসার সহ বিভিন্ন রকমের সামরিক বাহিনী সেখানে মজুত থাকে। গয়না পড়ানোর পড়ে মাকে দেখতে অদ্ভুত সুন্দর লাগে যেখান থেকে সহজে চোখ ফেরানো যায় না।

পুজোর কয়েকটি দিন এই বারোয়ারীর কর্মকর্তারা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে আনন্দে মেতে থাকে।সাথে চলতে থাকে বুড়িমার আরাধনা। প্রত্যেক বছর কম করে হলেও এক লক্ষ মানুষ এই বুড়িমায়ের ভোগ পান। এছাড়াও স্পিড পোস্টের মাধ্যমে দেশের বাইরেও বুড়িমার প্রসাদ যায়। ২০১৭ সালে ৭৩ টি দেশে এবং ২০১৮ সালে ১৪৪ টি দেশে এইভাবে বুড়িমা এর প্রসাদ গেছে। আমাদের দেশের অনেকেই কর্মসূত্রে বা অন্য কোন কারণে দেশের বাইরে বসবাস করেন। ব্যস্ততার কারণে তারা জগদ্ধাত্রী পুজোয় নিজের শহরে আসতে না পারলেও বুড়িমার আশীর্বাদে তাঁর প্রসাদ পাওয়া থেকে বিতাড়িত হন না।
দুঃখের বিষয় নবমীর রাত থেকেই শহরবাসী মাকে নিয়ে আবেগে ভাসতে থাকে, কারণ রাত পোহালেই মা আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন।তারপরে প্রতীক্ষা আবারও এক বছরের। আমাদের পূজোর পরের দিনই প্রতিমা বিসর্জন হয়। কিছু কিছু পূজা কমিটি আবার একদিন পরেও তাদের প্রতিমা বিসর্জন দেয়।প্রথম বিসর্জনের দিন বিকেল-সন্ধে থেকে শুরু করে মাঝ রাত পেরিয়ে ভোর অব্দি চলে প্রতিমা বিসর্জন।

IMG-20221103-WA0028.jpg

প্রথম ভাসানের একটি বৈশিষ্ট্য আছে, যা একমাত্র সারা পৃথিবী আর কোথাও হয় না শুধুমাত্র আমার শহর কৃষ্ণনগরই হয়। আর সেই বৈশিষ্ট্য হল "সাঙ"।
স্বাভাবিকভাবেই আপনাদের অধিকাংশই হয়তো এই শব্দটির সাথে পরিচিত নন। সাঙ-এর অর্থ হলো বাঁশের তৈরি বিশাল বড় মাচা। এই বাঁশের তৈরি বিশাল বড় মাচার ওপরে ঠাকুরের কাঠামো বেঁধে অনেকজন মানুষ মিলে সেই মাচা সমেত প্রতিমাকে কাঁধে করে ঘাটের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। যা আমাদের শহরবাসীর কাছে আবেগ, প্রতীক। বুড়িমায়ের উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট হয়। সবমিলিয়ে মোটামুটি ১২০ জন মানুষ তাকে কাঁধে করে রাজবাড়ি হয়ে ঘাটের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।

প্রথম ভাসানের দিন, বুড়িমা ঘাটে যায় অন্যান্য সব প্রতিমার শেষে। সেই সময়টা ৭-৮ বছর আগে অব্দিও রাত তিনটে বা ভোর চারটে এরকম হতো। কিন্তু আস্তে আস্তে সেই সময়টা পিছোতে পিছতে সকাল সাতটা আটটা ছাড়িয়ে এখন প্রায় বেলা দশটা এগারোটাতে পৌঁছে গেছে। বুড়িমা নিজের বারোয়ারি থেকে বেরিয়ে রাজবাড়ি হয়ে ঘাটে পৌঁছতে মোটামুটি ৪৫ মিনিট সময় লাগে। তারপরে ঘাটে পৌঁছে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে বুড়িমা সহ তার বাহনের সমস্ত সোনা-রুপোর গয়না খোলা হয়। তারপরে মায়ের বিসর্জন হয়।
সব থেকে আকর্ষনের বিষয় হল বুড়িমার সাথে শহরের ৯০% লোক রাস্তায় নামে। বুড়িমা যখন ভোরবেলা রাজপথে নামে, তখন চারিদিকে উলুধ্বনি শাঁখের শব্দে এক মাতোয়ারা পরিবেশ সৃষ্টি হয় যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমি আপনাদের সাথে কিছু ফটো ভিডিও শেয়ার করছি,তাতে আপনারা হয়তো তার সামান্য কিছু ধারণা পাবেন।
আমার বলতে দ্বিধা নেই, আমার কাছে ভগবান বলতে সব সময় আমার বাবা-মা। যেকোনো কারণেই হোক ঠাকুর দেবতায় আমি বিশ্বাসী নই। কিন্তু বুড়িমার সামনে গেলে নিজের অজান্তেই আটকে যাই মায়ের কাছে, কখনো কখনো চোখের কোনে জলও আসে আবার নিজের অজান্তেই হাত দুটো জড়ো করে দাঁড়িয়ে থাকি। বিশেষ করে বিসর্জনের সময় যখন দেখি যে বুড়িমা আস্তে আস্তে ঘাটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আপনাআপনিই মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায়, যার কারণ শুধু আমি কোনদিন খুঁজেপাইনি নয় খোঁজার চেষ্টাও করিনি। তবে এটাকে যারা ভয় ভাবছেন তারা ভুল করছেন এটি হল আমার দুর্বলতা। আসলে বুড়িমার মহিমা এমনই, যে তিনি তার ভক্তদের মধ্যেই বিরাজ করবেন। আসলে মা তো এমনই হয়, সন্তানরা যদি মায়ের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখায় তাহলে কি মা তাকে ছেড়ে চলে যায় ! বরং সেই মা , তার সন্তানকে ভুল বুঝিয়ে আরো আপন করে নেয় নিজের স্নেহে।

IMG-20230117-WA0134.jpg

IMG-20230117-WA0135.jpg

অনেক সময় ধরে আমি আজকের এই পোস্টটি লিখছি, এবং আমার যেনো মনে হচ্ছে তাও অনেক কিছুই বাদ চলে যাচ্ছে। আমি এখন হঠাৎ লক্ষ্য করছি, পোস্টটি লিখতে গিয়েও বুড়িমাকে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি। যাইহোক এটাই হয়তো মায়ের লীলা। আপনারা যারা আমাদের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন ,যদি সম্ভব হয় তারা একবার বুড়িমার পুজোতে আসবেন। আমি কথা দিচ্ছি আপনারা এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন।

আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আমি বুড়িমায়ের পূজোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম। তা সম্পূর্ণ একটি ভিডিওর মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
বুড়িমার পূজোর ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আজকে আমি এখানেই আমার লেখা শেষ করছি।
জয় বুড়িমা। 🙏🏻

@samratsaha

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জানো তো ভাই, লেখাটা পড়ার সময় হঠাৎ করেই একবার কাটা দিয়ে উঠলো। বুড়ি মার ছিবি নিয়ে এখনও আমি সব খানে যাই। সব কাজে মাকে ডেকে তবেই হাত দেই। আমার বিশ্বাস মা সব সময় আমার মঙ্গলের জন্যই সবটা করেন। মায়ের পুজোতে এখন পর্যন্ত যেতে পারি নি। রোজ একবার হলেও মাকে বলি যে তার পুজোতে যেন একবার তার কাছে নিয়ে যান। 🙏🙏🙏
আমি জানি মায়ের কৃপা না হলে এটা কোন ভাবেই সম্ভব হবে না। মা যদি একবার চান তো সব কিছুই হয়ে যাবে। জয় মা 😥🙏🙏

মায়ের ওপর ভরসা করে নিজের কাজে মন দাও।দেখো মা তোমার ডাকে ঠিকই সারা দেবেন।

জগদ্ধাত্রী পুজার আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। মূর্তিগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। এত সুন্দর পরিবেশে পূজাতে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আজকের পর্ব আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্যে।