লাইফ স্টাইল: ছোট্ট বেলার বান্ধবীদের সাথে হঠাৎ দেখা হওয়ার" এক অদ্ভুত অনুভূতি"।।

🥰.আসসালামুয়ালাইকুম .🥰

🥰..এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব..।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট্ট বেলার বান্ধবীদের সাথে হঠাৎ দেখা হওয়ার "এক অদ্ভুত অনুভূতি" শেয়ার করবো । ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আজকাল জীবনে খুব দ্রুত সময় চলে যায়, এবং কিছু মুহূর্ত এমন আসে যা আমাদের ছোটবেলার স্মৃতিগুলো জীবন্ত করে তোলে। ছোটবেলার বান্ধবীদের সাথে হঠাৎ দেখা হওয়া সেরকমই একটি মুহূর্ত। জীবনের অনেক বছর কেটে গেলেও, সেই স্নেহময় সম্পর্কের স্মৃতি কখনোই মুছে যায় না। তবে, আধুনিক জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে, অনেক সময় সেসব পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা হয় না, কিন্তু হঠাৎ করে একদিন তাদের সাথে আবার দেখা হওয়া, যেন সময় একেবারে থেমে গিয়ে আবার সেই পুরনো সম্পর্কগুলো নবজীবন পায়।

আমার ভালো দুই তিন জন বান্ধবীর অষ্টম শ্রেণীতে বিয়ে হয়ে যায়। সেই বিয়ের সময় তাদের সঙ্গে শেষ দেখা হয়ে ছিলো।নানা কারন অকারণে এতো দিন দেখা সাক্ষাৎ হয়নি।তবে আজ হঠাৎ ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমার বান্ধবীদের ছেলে ও মেয়ে বাচ্চা হয়েছে ।।আজ যখন আমরা সকলেই মুখোমুখি হওয়া, মনে হচ্ছিল, সময় থেমে গেছে ।আমরা সবাই খুবই বেশি খুশি হয়েছি অনেক দিন পর এক সঙ্গে হতে পেরে।ছোটবেলা ছিল বিশাল একটা পৃথিবী, যেখানে কোনো কিছুই ততটা গুরুতর ছিল না। স্কুলে নানা জিনিস নিয়ে দুশ্চিন্তা করলেও, বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়া যেন সমস্ত চিন্তা দূর করে দিত। সেই সহজ-সরল সম্পর্ক গুলোই এখনো হৃদয়ে অমলিন, যদিও সময় অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

সবার জীবন আলাদা, কিন্তু সেই পুরনো বন্ধুত্বটা যেন হারায়নি। কিছুক্ষণ কথা বললেই ফিরে আসল সেই দিনগুলোর কথা, যখন আমাদের দুনিয়া ছিল একেবারে ছোট, কিন্তু একসাথে সময় কাটানো ছিল সবচেয়ে বড় আনন্দ।আসলেই, জীবন অনেক বদলেছে। কিন্তু ছোটবেলার বান্ধবীদের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হওয়া যেন মনে করিয়ে দেয় যে, জীবনের গভীরতা ও আনন্দ সেসব ছোট ছোট মুহূর্তে লুকিয়ে থাকে। পুরনো বন্ধুরা যেন এক ধরনের শান্তি, এক ধরনের ভালোবাসা, যে ভালোবাসা হয়তো সময়ের সাথে কমেছে কিন্তু কখনো মুছে যায় না।

আমরা এখন অনেকেই পরিণত, জীবনের নানা দিক নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু সেই পুরনো দিনগুলোতে ফিরে যাওয়া যেন আবার এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।আজকের যুগে যখন সবাই ব্যস্ত, এমন অপ্রত্যাশিত দেখা বিশেষ এক উপহার। পুরনো দিনের হাসি-গল্পগুলো, ছোটখাটো ঝগড়া, প্রেমের গল্প, সব কিছু আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে। আমরা বুঝতে পারি, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো কোনও সময়েই পুরনো হতে পারে না, বরং তারা আমাদের জীবনের এক অমূল্য অংশ হয়ে থাকে।

আমাদের জীবন ছিল একদম সহজ এবং নির্ভেজাল। একসাথে স্কুলে যাওয়া, খেলা করা, একে অপরের অজানা গল্প শোনা ।এই ছোট ছোট মুহূর্ত গুলোই ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ। আমরা ছিলাম একে অপরের কনফিডেন্ট, বন্ধু, এবং কখনও কখনও শত্রু।ক্লাসের ফাঁকে, পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে একসাথে দৌড়ানো, বাসায় ফিরে চলে যাওয়া একে অপরের সঙ্গে কত গল্পে এ সব কিছু আজও মনে পড়ে। দীর্ঘ ৬ বছর পর সেই সব অভ্যাসগুলো, সেই পুরনো হাসি, যেন সেদিনই ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে, জীবন যেমন বদলে যায়, তেমনই বদলে যায় মানুষও।

কিন্তু আজকের সেই দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ বছর পর হঠাৎ দেখা, যেন পুরনো সময়ের এক ঝলক দেখিয়ে গেল।বান্ধবীদের সাথে দেখা হওয়া শুধুই এক পুনর্মিলন নয়, এটা যেন অতীতের সেই আনন্দময় মুহূর্তগুলোর পুনরুজ্জীবন। কথায় কথায় পুরনো স্মৃতি উঠে আসে, হাসতে হাসতে আমরা আবার মনে করি। "এখনকার জীবন কি তেমন সহজ ছিল?" পুরনো বান্ধবীদের সাথে এমন হঠাৎ দেখা, যেন সময়ের সঙ্গে সংগ্রাম করেও সেই সহজ-সরল আনন্দ গুলো ফিরে পাওয়া।এই বিশেষ মুহূর্তটি আমাদের শিখিয়ে দেয় যে, জীবনে কিছু জিনিস কখনো পরিবর্তন হয় না। বন্ধুত্ব, সেই আড্ডা, সেই হাসি, সেগুলোই সত্যিকারের জীবনের সৌন্দর্য।এ ধরনের মোলাকাত আমাদের শেখায়, জীবনে কিছু সম্পর্ক সত্যিকারের হয়, যা কোনোদিন শেষ হয় না। অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও, সেই বন্ধুত্বের অনুভূতি যেন যুগযুগ ধরে অটুট থাকে।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।