রেসিপি পোষ্ট: খুব সহজেই মজাদার বুন্দিয়া তৈরি করার রেসিপি।।

in hive-129948 •  23 days ago 

আসসালামুয়ালাইকুম ......

......এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব........।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে খুব সহজেই নিজের ঘরেই মজাদার বুন্দিয়া তৈরির রেসিপি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশ ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

GridArt_20241029_090240989.jpg

বুন্দিয়া বা বোঁদে , বাংলার অন্যতম একটি জনপ্রিয় মিষ্টান্ন যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যায়। এই যে এত মজাদার বুন্দিয়া, সেটা তৈরি করা কিন্তু ভীষণ সহজ।বেসন তেলে ভেজে সিরায় ডুবিয়ে বুন্দিয়া তৈরি করা হয় সেটা আমরা সকলেই জানি।উপকরণ লাগে মাত্র ৩টি। বেসন, চিনি ও তেল। দোকানে কিনে খাওয়ার থেকে বাসায় তৈরি করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। কিন্তু আমরা তৈরি করার ঝামেলায় যেতে চাই না ।তাই দোকান থেকে কিনে খায় বেশি । আজকে বুন্দিয়া তৈরি করা আমার ছোট ভাইয়ের জন্য ।সে প্রচুর মিষ্টি জাতীয় খাবার খায় ।তবে আমি মিষ্টি খাই কিন্তু খুব কম। বেশ কয়েকদিন ধরে আম্মু কাছে আমার ভাই বায়না করে ।সে বুন্দিয়া খাবে তাকে বাসায় বানাই দিতে হবে ।তাই আজ বিকালের নাস্তা হিসেবে বুন্দিয়া তৈরি করা হলো আমার ভাই এর জন্য।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ
  • বেসন ২৫০ গ্রাম ।
  • তেল।
  • চিনি ।
  • বেকিং পাউডার।
ধাপ : ১

প্রথমে বেসন গুলো একটি পত্র নিয়েছি ।

ধাপ :২

বেসনে সামান্য পরিমাণ বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিয়ে ।এবার বেসন গুলোতে অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে মিক্স করে নিবো।

ধাপ : ৩

এরপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে বেসন গুলো ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিবো।

ধাপ :৪

এরপর বাটিতে বা গ্লাসে পানি দিয়ে গুলানো বেসন অল্প করে পানিতে ফেলবো। বেসন যদি পানিতে ভেসে উঠে তাহলে বুঝবো বেসনে পানির পরিমান ঠিক আছে। আর বেসন যদি পানিতে ভেসে না ওঠে তাহলে আরও অল্প একটু পানি দিয়ে বেসন ফেটিয়ে নিতে হবে।

আমি প্রথমে পানিতে দিয়েছিলাম আমার হয়নি ।তাই আবার ও পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ফেটিয়ে নিতে হয়েছে ।

ধাপ : ৫

বেসন গুলো ফেটিয়ে নিয়ে আবার ও দেড় কাপ পানি দিয়ে একটু পাতলা করে নিতে হবে।

ধাপ :৬

এরপর কড়াই এর মধ্যে সয়াবিন তেল গরম করে। বুন্দিয়া বানানোর ছোট ফুটা আলা ঝাঁঝরিতে ।কিছু গলানো বেসন একটি চামচের সাহায্যে অল্প অল্প করে দিব।

ধাপ : ৭

এরপর চুলায় হালকা জাল দিয়ে বুন্দিয়া গুলো নাড়াচাড়া করে বাদামি রঙ করে ভেজে নিবো।

ধাপ : ৮

সব গুলো বাদামি রঙের করে ভেজে নিয়ে একটি পত্র রেখে দিলাম।

ধাপ : ৯

এবার একটি পাতিলে চিনির সাথে দেড় কাপ পানি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিবো।

ধাপ : ১০

গরম সিরায় বুন্দিয়াগুলো ঢেলে দিয়ে । অল্প আঁচে কিছু সময় নাড়বো।

১০ মিনিট পর বুন্দিয়া নরম হলে সিরা থেকে তুলে একটি পত্র রেখে ঠাণ্ডা করে নিয়ে পরিবেশন করবো।

IMG_20241028_120827_852.jpg

IMG_20241028_120821_975.jpg

IMG_20241028_120806_595.jpg

IMG_20241028_120757_549.jpg

এই ছিল আজকের নিজের ঘরেই তৈরি বুন্দিয়া রেসিপি । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

🌺❤️ধন্যবাদ🌺❤️
DeviceInfinix hot 12 play
Camera13 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


🎀আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি🎀

IMG-20230519-WA0005.jpg

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বুন্দিয়া ভাজা আমি খুব পছন্দ করি। রুটি দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে তৈরি করে দেখিয়েছেন। খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা। দারুন ভাবে বন্দিয়া তৈরি করেছেন আপনি। এর আগে কালার বুন্দিয়া পাওয়া যেত এখন আর দেখা যায় না। ওইটা আমি আরো বেশি পছন্দ করতাম।

জ্বী আপু আগে লাল, গোলাপি কালার এর দেখে যেতো।তবে এখন দেখা যায় না ।আর একটু কালার বেসনের সাথে মিশিয়ে নিলেই হয়ে যাবে কালারফুল বুন্দিয়া। আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

বুন্দিয়া আমার ও খুবই প্রিয়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে মজাদার বুন্দিয়া তৈরি করার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার হাতে তৈরি করা এতো সুন্দর বুন্দিয়া রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। বুন্দিয়া রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।

আপনি বাসায় খুব সহজে বুন্দিয়া তৈরি করেছেন। এগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। রমজান মাসে খাওয়া হয় এগুলো। তবে বাসায় কখনো এগুলো তৈরি করা হয়নি। রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে তৈরি করা বেশ সহজ। সহজ এবং সুন্দরভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

জ্বী আপু রমজান মাসে আমার এই বুন্দিয়া রেগুলার খেয়ে থাকি ।এই রেসিপিটি খুবই সহজ আপনি সময় করে একদিন তৈরি করে দেখবেন। একদিন তৈরি করলে আর বাইরে থেকে কিনে খেতে চাইবেন না । আপনি নিজেই রেগুলার তৈরি করে খাবেন । ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।

অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। এই রেসিপিটা আমি পছন্দ করি। তবে কোনদিন দেখি নাই কিভাবে তৈরি করতে হয়। আপনার রেসিপিটা তৈরি করতে দেখে নতুন একটা রেসিপি সম্পর্কে ধারণা পেলাম।

রমজান মাস আসলেই শুধুমাত্র বুন্দিয়া খাওয়া হয়।কিন্তু আজকে আপনি এত সুন্দর ভাবে ঘরে বসেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে বুন্দিয়া তৈরি করা যায় সেই পদ্ধতি শেয়ার করলেন।যা দেখে যে কোন সময় আমরা এই বুন্দিয়া ঘরে বসেই তৈরি করতে পারব।মজাদার এবং লোভনীয় বুন্দিয়া তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

খুব সহজেই মজাদার বুন্দিয়া তৈরি রেসিপি দেখে তৈরি করা শিখে নিলাম। আমি কখনো তৈরি করিনি। তাই তৈরি করার ইচ্ছা জাগলো। আপনার রেসিপিটা ভালো লেগেছে।

বুন্দিয়া খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে কিন্তু এখন তেমন একটা খাওয়া হয় না তবে রমজান মাসে প্রতিদিন প্রায় তৈরি করা হতো। ছোলা মুড়ির সাথে বুন্দিয়া খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি আজকে খুব সুন্দর ভাবে বুন্দিয়া তৈরি রেসিপিটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করেছেন জন্য।

অবশ্যই দোকানের থেকে বাসায় তৈরি করা খাবারের গুণগত মান ভালো হয়ে থাকে।আপনি বেশ চমৎকার সুন্দর করে বুন্দিয়া রেসিপি করেছেন। ভীষণ লোভনীয় হয়েছে রেসিপি টি।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।