ঘুরে এলাম রুপবতী ঝর্নায় ।। 10% Beneficiaries for @shy-fox

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

আস্সালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

বর্ষা মানেই ঝর্ণার ভরা যৌবন৷ সবুজে ঘেরা পাহাড়ি ট্রেইল। আর ঝর্ণার দানবীয় রূপ দেখতে চাইলে আপনিও যেতে পারেন নিকটস্থ রুপবতী ঝর্না।

IMG_20200821_114752.jpg

আজ দীর্ঘ ১.৫ বছর ধরে কোন ভ্রমন দিচ্ছি না কারণ পর্যটন শিল্প বন্ধ। এই পেন্ডামিক সময় করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন ঘরে আটকে আছি, ঘরে বসে থাকতে থাকতে এক প্রকার বিরক্ত চলে এসেছে। আর পারছি না, আজ ১৯/০৮/২০২১ তারিখ যখন পর্যটন খুলে দিয়েছে, এ সুখবর কই রাখি চিন্তা করতে করতে ৩ বন্ধু ও ছোট ভাই কে সকালে ফোন দিয়ে রাজি করাই, তারা মিলে বান্দরবানের খুবই কাছে একটা ঝর্নাতে ঘুরতে যায়, ঝর্না মানেই আত্নার শীতিলতা। এক কথায় অসাধারন।

রুপবতী ঝর্না

IMG_20200821_125637.jpg

কীভাবে যাবেন :

বান্দরবান সদর থেকে যেকোনো সিএনজি বা মাহিন্দা নিয়ে তালুকদারপাড়া পর্যন্ত যেতে হবে। জন প্রতি খরচ হবে ২০-৫০ টাকা।সেখান থেকে ৩০-৪০ মিনিট ট্রেকিং শেষে গন্তব্য স্থলে পৌছানো যায়।

সতর্কতা:

বান্দরবান বলে নয় যেকোনো ঝর্নায় গেলে অবশ্যই আপনাকে শর্ট র্পেন্ট বা স্লিপ খাই না এমন জুতা পড়েই যেতে হবে। ঝর্নার রাস্তা গুলু অসম্ভব রকমের পিচ্ছিল হয়ে থাকে।

IMG_20201105_093401-1.jpg

প্রয়োজনীয় সামগ্রী :

আমরা ৪ জন বাসা থেকে সকাল ৮ টায় বাহির হলাম, বাহির হয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে নিলাম, পানি অল্প শুকনো খাবার।যা আপনাকে কিছুদুর যাওয়ার পর শক্তি যোগাবে। আর কিছু পাউরুটি আর কলা।

IMG_20200821_121209.jpg

আহা শান্তি!

মাহিন্দ্রা নিয়ে আমরা তালুকদার পাড়ার টিটিসি স্কুলের পাশর রাস্তা ধরে হাটা শুরু করলাম, চারিপার্শিক সুন্দর মনোরম পরিবেশ এর দিকে হাটা শুরু করলাম। ১০-১৫ মিনিট হাটার পর চলে এলাম একটি পাড়ায়, পাড়া ক্রস করে হাতের বাম পাশের রাস্তা ধরে মূল ট্রেইল শুরু করলাম।

IMG_20200821_120753.jpg

দুই বন্ধু মিলে ঝর্নার দিকে অগ্রসর হচ্ছি

রাস্তাটা এক কথায় অসম্ভব বিপদজনক। পাহাড়ের সাইড দিয়ে নামার সময় দু পা দেয়ার মতো জায়গা ছিল না, কোন রকম এক পায়ের ওপর ভর করে নিচের দিকে নামতে হচ্ছিল, এক পর্যায়ে স্লিপ খেয়ে অল্প নিচে পড়ে গেলাম, কোনমতে ওঠে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার নামতে শুরু করলাম। ২০-৩০ মিনিট হাটার পর গন্ত্যব্য শেষ হলো। এ যেন এক অপরুপ দৃশ্য। সৃষ্টিকর্তার এক অপরুপ সৃষ্টি। রুপবতি ঝর্নায় পৌছে ৫-৭ মিনিট খাবারের ব্রেক দিলাম, ব্রেক শেষে ছবি তোলা শুরু করলাম।

IMG_20200808_153344.jpg

IMG_20200821_130706.jpg

প্রায় ৩০-৪০ মিনিট পর গোসল সেরে নিলাম, ভিজা কাপড় এখনো ছাড়ি নি, কারণ বিপদজনক পাহাড় উটার সময় আবার কাদা লাগবে তাই, প্রায় ৫০ মিনিট পর পাহাড় পথ শেষ করে পাহাড় এসে পাশের পুকুর থেকে ফ্রেশ হয়ে শুকনো কাপড় পড়ে নিলাম।

তারপর আবার বান্দরবান সদরে, সবাই সবাইকে বিদায় দিয়ে যে যার যার বাড়িতে চলে আসলাম।

IMG_20200821_115340.jpg

ছোট ভাই হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে।

বি.দ্রঃ সকল ছবি রেডমি নোট ৮ দিয়ে তোলা।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কারো ট্যুর দেখলেই আমার মাঝেও ট্যুর দেওয়ার ইচ্ছা জেগে উঠে, অনেক সুন্দর লিখেছেন! আপনার জন্য শুভকামনা রইল! ধন্যবাদ আপনাকে🥳

আপনাকেও ধন্যবাদ,এতো কষ্ট করে পুরোটা পড়ার জন্য।

ঝর্ণাটা অনেক সুন্দর এবং নীচু। আমার যেতে ইচ্ছে করছে। বাকী ফটোগ্রাফিগুলোও অনেক ভালো হয়েছে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। যেতে চাইলে এসে ঘুরে যেতে পারেন।

আমারাও বান্দরবান টুরের প্যান করতেছি।এখন গেলে কি পর্যটন এলাকাতে ঘুড়তে পারবো?

আজ ১৯.০৮.২০২১ইং তারিখ সরকার নির্দেশিত সকল স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তসাপেক্ষে বান্দরবান জেলার সকল পর্যটন স্পট খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে শর্ত থাকে যে, বান্দরবানে যেসব পর্যটক ভ্রমন করতে আসবেন তাদের করোনা টেস্ট এর রিপোর্ট সাথে রাখতে হবে। সবসময় মাস্ক পরিধান অবস্থায় থাকতে হবে। আগে থেকে হোটেল রিসোর্ট বুকিং করে আসতে হবে। হুট করে বান্দরবান চলে আসলে হোটেলে বা রিসোর্টে রুম পাবার সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না। কারণ, প্রতিটা হোটেল ও রিসোর্টের ধারনক্ষমতার ৫০% লোক রাত্রিযাপন করতে পারবেন।