চট্টগ্রাম বাঁশড়ীয়া সমুদ্রের পাড় ভ্রমণ ফটোগ্রাফি।

in hive-129948 •  6 months ago 
আসসালামু আলাইকুম/আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়াতে ভালো আছি।

Picsart_24-05-21_20-13-56-528.jpg

আজকে আমি @santa14 আপনাদের মাঝে আবারও চলে এলাম। আজকে কিন্তু আমি কোনো রেসিপি পোস্ট করবো না। আজকে আমি চট্টগ্রাম বাঁশবাড়িয়া বঙ্গোপসাগরে ঘুরতে যাওয়ার কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।আসলে আমি অনেক বেশি অসুস্থ তবে আমাকে দেখলে কেউ বলবে না আমি অসুস্থ। তবে এই গরমের মধ্যে মনে হয় আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছি।আর হঠাৎ চট্টগ্রাম যাওয়ার দুইটা কারণ ছিলও।একটা এখন বলবো আর একটা কারণ আরেকটা পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সবটা।প্রথম কারণ টা হলো আমার আজকে এক বছর ধরে শরীলে অনেক এলার্জি বেড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে দুই তিনবার হসপিটালেও থাকতে হয়েছে। এলার্জি গুলো ইনফেকশন হওয়ার কারনে।এই জন্য এবার চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য। এর আগেও চট্টগ্রাম ডাক্তার দেখিয়ে আসি। দুই মাসের ঔষধ খাওয়ার পরে যেতে বলেছে।কিন্তু তাতেও কোনো উপকার পাইনি।এবার আবার দেখিয়ে আসলাম অন্য ডাক্তার। এবার ভালো না হলে ঢাকাতে ভালো স্কিন ডাক্তার দেখাতে হবে।আল্লাহ যদি সাহায্য করে দয়া করে আমার জন্য একটু দোয়া করবেন আপনারা। আচ্ছা যাইহোক আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো। চলুন তাহলে শুরু করি আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট।

প্রথম ফটোগ্রাফি

IMG_20240514_001432.jpg

IMG_20240514_001536.jpg

এটা হলো বাঁশবাড়িয়া দিয়ে যাওয়া সমুদ্র টা।আপুর বাসা থেকে দশ মিনিট সময় লাগে যেতে শুধু। আর আমরা যেতে যেতে বিকাল তিনটার সময় গিয়েছিলাম। আর গেয়েই দেখি জোয়ার এসেছে।আর এর পাশেই বড় বড় অনেক মালবাহী জাহাজ।রিতা আপুর জামাই আপুর ছেলে মেয়ে আর আমি আম্মু সাথে ছোট ভাই। আর সাথে গিয়েছে আমার মেজু আপুর ছেলে যে আপু মারা গিয়েছে ওই আপুর ছেলে।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

IMG_20240514_001556.jpg

IMG_20240514_001503.jpg

আমরা যখন যায় সেই সময় অনেক মানুষ ছিলও।আর পাশের খেজুর গাছ গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিলও।এমন ভাবে খেজুর গাছ আমাদের এখানে একদম দেখতে পাওয়া যায় না।একদম নেই বললেই চলে খেজুর গাছ।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

IMG_20240514_001645.jpg

IMG_20240514_001621.jpg

জোয়াড় আসার মূহুর্ত টা অসম্ভব সুন্দর ছিলও।আর এমন মুহূর্ত দেখে নিজেকে সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। সাথে আপুর ছেলে মেয়ে কে ডেকে পাশে রাখতে পারছি না।জোয়ারের সাথে সাথে খেলছে তারা।

চতুর্থ ধাপ

IMG_20240514_001818.jpg

IMG_20240514_001731.jpg

IMG_20240514_001758.jpg

এই মূহুর্ত কার কাছে না ভালো লাগে। নিজের ভিতরে থাকা সকল দুঃখ কষ্ট যেনও এক নিমিষেই। সমুদ্রের পানির সাথে মিশে যায়।ঢেউ আসার সময়ের কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

IMG_20240514_002001.jpg

IMG_20240514_001852.jpg

IMG_20240514_001913.jpg

অনেক সময় পরে জোয়ার চলে যাওয়ার সময়। জায়গা টা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিলও। তার মধ্যে আম্মুর জন্য এখানে যাওয়া প্রথম। তার জন্য আম্মু আর ছোট ভাইকে এক সাথে রেখে একটি সুন্দর ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

IMG_20240514_002200.jpg

IMG_20240514_002056.jpg

IMG_20240514_002214.jpg

এরপর হাটাহাটি শেষ করে ভাইয়ার সাথে গিয়ে বসে ছিলাম। ছোট ভাই আর বোনের ছেলে মেয়ে পানিতে নেমে ছিলও।কিন্তু সমুদ্রের নোনাপানি তে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। শরীল চুলকানো আর অনেক জ্বালা করছিল।তার জন্য আর দেরি করে বাসায় চলে যায়।

আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে অবশ্যই বলবেন কিন্তু। আজকে এ পর্যন্তই বিদায় নিলাম। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবাই। কোনো ভুলত্রুটি হলে দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

HFcFmHBiAeR2oP8xXotf9GhVZ2UVLfizAkm26SLD9Ksq63EzJkCoSKKtqLR9nX3YSyjVShEtA13eAPdcRDuvTvZkWUHLZpNEicZu9EF9xS...s64PSwc3TBMrEmeN7Q1VYGssCuLmmXnbEvkEeJyhGVri9ge74RoTTjCj2Z6H5T3UHWVTee6GbnTigSycigMx6Ai4WcCAcR3goGUqtcajkU1jbR8sxMMYbeiNjx.png

ফটোগ্রাফিসমুদ্রের ভ্রমণ।
ফটোগ্রাফারআমি @santa14
ডিভাইসoppo A54।
লোকেশনসোর্স

ATHztMY7eTanRk3GJbMbfpEPnea9KpDmrYUhzyr7W8bqmvSdGLWkDaDJPgEpW2HBpRzWVBWYeZPStyQvwCfppe5ZctbWrSRFM4hXHSKb5NHJqVuDbm8YCr3PsMXaSSESJ9TUgbR7gRbpasC68zcNduTZ8RNgWdg8SxW8xqTnY718yvjiRYdrBabs72my5i7jju4HF9x4X8KA57QDHWcjuo5g.png

ATHztMY7eTanRk3GJbMbfpEPnea9KpDmrYUhzyr7W8bqmvaqfo8YsKCzkAvQoGDwrtvAJeqMTpZW7N8oPfDYiXSRYy9GcqfTUqDM1iFDWsBzhCdG1R398pL1oASFBtqZywrsnwqe2VkXnB2FBC8XGqsFCERyGofn3FTo8gW7KMiJDpWx1oHyL5tjbYfnpdh7DGupXpsgTV9Jsq1WUDkThNrS.png

আমার নাম শান্তা হাবিব। আব্বুর আদরের মেয়ে ছিলাম তাই আব্বুর নামের সাথে মিল রেখে আমার নাম।আমার স্টিমিট আইডি @santa14।আমি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখে জয়েন করেছি।আমি বাংলাদেশের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় থাকি।আমি একজন ছাএী ডিগ্রিতে পড়াশোনা করছি।আমি গান করতে অনেক বেশি ভালোবাসি।তার পাশাপাশি রান্না করতে আর নতুন কিছু শিখতে পছন্দ করি।ফটোগ্রাফি,আর্ট,ডাই করতে বেশি পছন্দ করি।ঘুরাঘুরি করতেও খুব ভালোবাসি যদিও তা বেশি হয়ে উঠে না।আমার বাংলা ব্লগ কে অনেক বেশি ভালবাসি কারণ এখানে নিজের মাতৃভাষায় লিখতে পারি।

ATHztMY7eTanRk3GJbMbfpEPnea9KpDmrYUhzyr7W8bqmvSdGLWkDaDJPgEpW2HBpRzWVBWYeZPStyQvwCfppe5ZctbWrSRFM4hXHSKb5NHJqVuDbm8YCr3PsMXaSSESJ9TUgbR7gRbpasC68zcNduTZ8RNgWdg8SxW8xqTnY718yvjiRYdrBabs72my5i7jju4HF9x4X8KA57QDHWcjuo5g.png

ATHztMY7eTanRk3GJbMbfpEPnea9KpDmrYUhzyr7W8bqmw4A3zY3NcDtsXXcknfiPWwLU6feJwZBt5cQhRcR3SPGqHf5Ws4Bjy3cSPz6mERQ1sDZwH4DBExxbZW1DTirHi88MKSQTFbdHRXBsYDrufkmeD4foYQShuJ6ezpD7oQ2nAYyz12uRSP6ewx1siSB3msxMiFW1QTwZhhSSDddtqVQ.png

ATHztMY7eTanRk3GJbMbfpEPnea9KpDmrYUhzyr7W8bqmwKtcuUVAUNh2dfaLjMTAZpWSVqHGryjmSxKCnmwDdfcL3LHsM1Di4PEMRy1dZC9LygW5XWq56mHEMLE8jjhy45DzWPtuhAM3gcxPDVmnY1LHJZcdxftcLbr1W8TbyUjK68U8HxVhi3wzFTKTf9gyqJaBGUU5mNpwKn2MgQFneUE.png

ATHztMY7eTanRk3GJbMbfpEPnea9KpDmrYUhzyr7W8bqmukNfs2GuW2etrTVEYNc1vW1DsqnRnee2zJWh2DCbPduaKfaS7uvzEJJQXDnyBqwU6zxcFcXiXiYSUu6AwvfNtE1ECCufxHeAzKkus6TvSJwfCCs3nsrDWUfPFybRULDd6FgG7D3tcH5W3dXoNWzfLMEgYHRnicmRcgwmQ2vRhdo.gif

ATHztMY7eTanRk3GJbMbfpEPnea9KpDmrYUhzyr7W8bqmvMvKFZyjg3L8ykGz7LRTxBjTUYHLm3rgpQC5HrASbbZVEHY6KrzxK5D6Ls42xqWeR6w3Bcb4uzQsABsqdgxsxGE8bdC19AQtoeL9EGk3Y1yrEHeodcqtJ46yuidfjhXHqHW7ADtPFW4xy2o1AvghWydrQtuTaQ1XGrXSzJV2Ytu.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। সৃষ্টিকর্তা যেনো অতি দ্রুত আপনার সুস্থতা দান করেন। যাই হোক চট্টগ্রাম বাঁশড়ীয়া সমুদ্রের পাড় ভ্রমণ গিয় বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্ৰাফি করেছেন। ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখতে অসাধারন লাগছে। তাছাড়া এমন জায়গায় সময় অতিবাহিত করতে ভীষণ ভালো লাগে। আমার কখনো সমুদ্র পাড়ে যাওয়া হয়নি। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলে স্কিন প্রবলেম হলে কোন কিছুতেই শান্তি পাওয়া যায় না। দোয়া করছি সৃষ্টিকর্তা যেন আপনার প্রতি রহমত বর্ষণ করে এই এলার্জি সমস্যা থেকে যেন আপনি মুক্তি পান। সমুদ্র পাড়ের দারুন সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন বেশ ভালো লেগেছে আপু বিশেষ করে স্বচ্ছ ভাবে উপস্থাপন করেছেন বলে বেশি ভালো লেগেছে। সমুদ্রের সৌন্দর্যটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপু। আসলে এলার্জির সমস্যাটা বেড়ে গেলে অনেক কষ্ট হয়।
বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ লাগছে। নদীর পাড়ের সুন্দর্যই আলাদা। নদীর দুই সাইডে যদি গাছ থাকে তাহলে দেখতে আরো অপূর্ব লাগে। সত্যিই আপু ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।