হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে। আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি "পিকনিকের অনুভূতি" নিয়ে।
পিকনিক কথাটি মনে হলেই শৈশবে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। ছোটবেলায় কত না পিকনিক করা হতো। আমার মনে হয় কম বেশি সবাই ছোটবেলায় পিকনিক করত। আর এই পিকনিকের আনন্দের যেন সীমা নেই। একটি সময় সবার মাঝে এতটা আনন্দ ছিল এবং ছোটবেলায় বাচ্চারা কারো সঙ্গে মিশতে ভয় পেত না সবাই সবার সঙ্গে মিশতো। অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও তেমন নিষেধ আসতো না। কারণ তারা জানত এখানে মিশলে তার বাচ্চার কোন সমস্যা হবে না আনন্দ করলে বাচ্চারা একটু ভালো থাকবে। কিন্তু বর্তমানে তার উল্টো। এখন বাচ্চাদের একজন আরেকজনের সঙ্গে মিশতে দিতেও ভয় লাগে আর আনন্দ করবে তো দূরের কথা।
যেখানে মা-বাবা অভিভাবকরা থাকবে সেখানেই বাচ্চারা। আসলে ওদেরও ইচ্ছা হয় উল্লাস আনন্দ করার এবং স্বাধীনভাবে কিছু করার। যেমন আমাদের সময় মায়েরা আমাদেরকে ছেড়ে দিত আমরা পিকনিক করতাম নিজেরা নিজেরাই রান্না করতাম ছোটবেলায়। হয়তোবা কিছু ভাত পুরে যেত আবার তরকারিটাও এরকম মজা হতো না তারপরও আনন্দ ছিল অন্যরকম। সবাই মিলে খাওয়ার পর কত যে আনন্দ হতো।
কিন্তু এখনকার পিকনিক গুলো একটু অন্যরকম। যদিও পিকনিক মানেই আনন্দ। কিন্তু আমি মনে করি আগের মত সেই আনন্দ আর নেই। তারপরও আনন্দ না থাকলেও বাচ্চাদের ইচ্ছা জাগে পিকনিক করতে আনন্দ করতে তাই করতে হয় শাসন ও বড়দের অধীনে রেখে। হঠাৎ করে পিকনিকের প্ল্যান। বাসার আশেপাশে সবাই পিকনিক করছে। তারপরে আমরাও কয়েকজন ভাবি মিলে একটা উদ্যোগ নিলাম চলুন পিকনিক করা যাক। যে ভাবনা সেই কাজ। পরের দিনই সব ভাবীরা ও বাচ্চারা মিলে নিজেরাই পিকনিকে কাজ শুরু করে দিলাম।কেউ হয়তো বা রান্নার আয়োজন করছে, কেউ পেঁয়াজ মরিচ কাটছে, কেউ অন্যদিকে সামলিয়ে নিচ্ছে।
প্রথম অবস্থায় সবাই বলল বাসায় গ্যাসের চুলায় রান্না করবে কিন্তু আমার মনে হল বাসায় তো প্রতিদিন রান্না করি সবাই মিলে ছাদে গিয়ে একটি খড়ির চুলা কিনে রান্না করা হোক।তারপর ভাবিদের অফার করার সাথে সাথে সবাই রাজি হল এবং পিকনিকের সব আয়োজন করা হলো সবাই পিকনিক করলাম। এক প্রকার রান্না শেষে খুব মজা করে একসঙ্গে সবাই সারা ছাদে বসে খেলাম। রান্নার আইটেম ছিল পোলাও রোস্ট সবজি, ডিম ভুনা এবং মুরগির মাংস দই ও কোক। আসলে একসঙ্গে সবাই খাওয়ার মজাই আলাদা কত যে গল্প ও আনন্দ হয়েছিল। আর এই আনন্দটা আমি ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছি। কোন একদিন হয়তো এই আনন্দটা আমি দেখতে পাব। কারণ যতই দিন যাচ্ছে মানুষগুলো সব হারিয়ে যাচ্ছে। তাইতো মাঝে মাঝে চেষ্টা করি অনেক কিছুই ফটোগ্রাফি করে রাখার।আজ পিকনিকের সেই অনুভূতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
আজ যাচ্ছি অন্য কোনদিন আবারো হাজির হব আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কথার সাথে সহমত পোষণ করলাম আপু। একটা সময় আমরা খুব আনন্দের সাথে পিকনিক করতাম। কিন্তু এখন আর সেভাবে বাচ্চাদের পিকনিক করতে দেখি না। এখন পিকনিকের ভিন্নতা এসে গেছে। তবে এটা মেনে নিতে হবে সময়ে যখন যেমনটা হয়। যাহোক ভালো লাগলো আপনার এই চমৎকার পোস্ট দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/mst_akter31610/status/1888279706996535594?t=2ybUHNojOP4rHs8eCVpyXQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখনের বাচ্চারা পিকনিক করলেও তেমন আনন্দ নেই আপু। কারণ স্বল্প সময়ের মধ্যে পিকনিকের আয়োজন গুলো করে ফেলে। আর হঠাৎ করেই রাত বাড়ার সাথে সাথেই রান্না করে খেয়ে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আমরা অনেকদিন ধরে প্লান করতাম অনেকজন থাকতো। যখন একদম রাত গভীর হতো তখন রান্নাবান্না করে খেতাম। একদম খেতে খেতে গভীর রাত হয়ে যেত। সেই রাতে আর ঘুম হতো না। অনেক সুন্দর কিছু সময় যেত। আপনাদের পিকনিকের আয়োজনটা দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কয়েকজন ভাবীকে নিয়ে পিকনিক আয়োজন করার প্ল্যানটা দারুণ ছিলো। বাসার ছাঁদে পিকনিকের আয়োজন করাতে আরও বেশি ভালো হয়েছে। কারণ রুমের মধ্যে গ্যাসের চুলায় রান্না করলে ততোটা আনন্দ হতো না। যাইহোক খাবারের আইটেম গুলো দারুণ ছিলো। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই বিষয়টা আপনি একদমই ঠিক বলেছেন যে আগেকার পিকনিকের মজা এখন আর পাওয়া যায় না। তারপরও কিছু করার নেই একটু আনন্দ পাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যে এরকম পিকনিক করলে বেশ ভালোই লাগে। আপনাদের ওখানকার ভাবীরা সহ এবং বাচ্চারা সহ বেশ ভালই আড্ডা এবং মজা করে পিকনিক করেছেন। রান্নাবান্না খাবার দাবার সবকিছু বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলায় আমরা বাচ্চারা মিলে পিকনিকের আনন্দ গুলো ভাগ করে নিতাম। বেশিরভাগ সময় নানুর বাড়িতে গেলে সেখানেই সবাই মিলে পিকনিক করতাম। আমাদের বাড়িতেও মাঝেমধ্যে পিকনিক করা হতো। কিন্তু সেই আনন্দগুলো এখনকার বাচ্চারা একদমই করতে পারে না। কারণ তারা সবাই মোবাইল টিভি বা ট্যাব নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আপনি এবং আপনার ভাবীরা মিলে সবাই মিলে এত সুন্দর আয়োজন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পিকনিকের কথা শুনলে কেমন জানি একটি ভালোলাগা কাজ করে। পিকনিকের পোস্ট পড়লেও আনন্দ লাগে। খাওয়া-দাওয়া হইহুল্লোড় খুবই আনন্দের একটি বিষয়। আপনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit