আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলেই সুস্থ আছেন এবং পরিবারসহ অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারো আমার ছোট গল্প "তবুও ভালোবেসে যাবো পর্ব-০৪" নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি সব সময় চেষ্টা করি ভাল কোন বিষয় নিয়ে,ভালো কোন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে।জানিনা আমার এই গল্পটি আপনাদের হৃদয়ে কতটুকু জায়গা পেয়েছে।তবে আপনাদের উৎস মূলক মন্তব্য পড়ে গল্প লেখার আগ্রহ দিন দিন অনেক বেড়েই যাচ্ছে।তবে আমি সব সময় আমার গল্পগুলো সত্য কোন ঘটনা অবলম্বনে লেখাগুলো লিখে থাকি।তাই মনে করি আমার গল্পগুলো পড়লে হয়তোবা কোন না কোন বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করা যাবে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পে এ পর্বে কি লেখা আছে তা দেখে নেওয়া যাক।
আর প্রিন্স সোমার সঙ্গে যে সময়গুলো কাটাতো সেই প্রত্যেকটি সময়ের জন্য একটি করে উপহার তার জন্য নিয়ে যেত এবং বলতো এগুলো আমার উপহার যত্ন করে রেখে দাও এই উপহার গুলো একদিন কথা বলবে। প্রিন্স তার অসুস্থতার কথা সোমার কাছে গোপন রেখেছে। তারপর যখন একদিন প্রিন্সের ছোট বোন জুথি সব জানতে পারলো। তখন জুথি সোমার কাছে হাত ধরে অনেক রিকোয়েস্ট করল সোমা তুমি পারো আমার ভাইকে বাঁচাতে। সোমা জুথিকে জিজ্ঞাসা করল কেন আপু কি হয়েছে।সোমা যেন আকাশ থেকে পরল। প্রিন্স ভাইয়ের বোন কেন আমার সঙ্গে এত কান্না করে কথা বলছে। তারা তবুও সোমাকে খুলে বলেনি প্রিন্সের সমস্যা হার্টে রিং পড়ানো আছে সে অসুস্থ।
শুধু বলেছে আমাদের ভাইকে আমরা খুব ভালোবাসি সে অনেক কষ্ট পাবে তুমি তাকে কষ্ট দিও না সোমা।এদিকে সোমারও চলে রীতিমতো ভালোবাসার মুহূর্ত যেন মনে ফাগুন এসেছে। কারণ ছেলের পরিবারের প্রত্যেকেই জানে যে প্রিন্স সোমাকে অনেক পছন্দ করে। আর তারাও চায় তাদের ছেলে ভালো থাক। প্রিন্স ইংরেজি গান শুনলেও সুবীর নন্দীর গানগুলো ছিল তার অনেক প্রিয়। তাইতো সুবীর নন্দীর যতগুলো অডিও গান বের হতো সেই সিডিগুলো কিনে সোমাকে গিফট করতো।প্রায় সময় কিছু কিছু রাইটারের বই গিফট করতো।বলতো গান শুনলে মন ভালো থাকে বই পড়লেও মন ভালো থাকে এ দুটো বেশি বেশি করে করতে হবে তোমাকে সব সময়।একদিন প্রিন্সের মা দুটো থ্রি পিস কিনে আনলো সোমাকে দেওয়ার জন্য প্রিন্স অনেক খুশি।
সে গিফট গুলো পরের দিন সোমাকে দিল।সোমারও মনে অনেক আনন্দ যে তাকে সবাই অনেক ভালোবাসে।তাদের ভালোবাসাটা প্রায় এক বছর কেটে গেল।তারপর সোমা ঠিকমত তার পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং প্রিন্সও তার পড়ালেখা ঠিক ভাবে চালিয়ে যাচ্ছিল।তারা যখন দু'বছর দুজন দুজনকে চিনতে পারল তাদের ভালোবাসার এক দারুন মুহূর্ত চলে আসলো।একদিন প্রিন্স মনের আনন্দে কলেজের গাড়িতে করে যাচ্ছিল।যখন কলেজ গাড়ি থেকে নেমে কলেজের ভেতরে তিন তলার দিকে যাচ্ছিল তখন কয়েকটি ছেলে তাকে বলল প্রিন্স তোমার সঙ্গে আবির দেখা করতে চায়।
প্রিন্স কিছু না বুঝে বলল ঠিক আছে যাওয়ার মুহূর্তে বাসে দেখা হবে নি। কিন্তু বাসের ভিতরে কিছু স্টুডেন্ট একত্রে হয়ে প্রচন্ড কথা বাড়াচ্ছিল।তখন প্রিন্স তাদের মধ্যে একজনের গালে একটি চড় মেরে বসলো।আর বাকি সব ছেলেগুলো তখন প্রিন্সকে ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাঠের ভেতরে প্রচন্ড মার ও ঘুসি দিতে শুরু করল। তখন প্রিন্স বলল তোমরা আমার পিঠে মারো আমার বুকে মেরো না আমার রিং পড়া আছে। আমার রিং এর কোন সমস্যা হলে হার্টের প্রবলেম হবে।আর আমার সমস্যা হলে আমার মা মারা যাবে। যত পারো আমার পিঠে মারো আমার বুকে মেরো না।এই বলে প্রিন্সের নাকে মুখে অলরেডি রক্ত চলে আসা শুরু হয়ে গেল। তাই দেখে পরে ছেলেগুলো প্রিন্সকে ছেড়ে দিল এবং তারা চলে গেল।প্রিন্সের বাবা-মার কাছে খবর দেওয়া হল।তারা দ্রুত এসে এম্বুলেন্সে করে নিয়ে এলো হাসপাতালে।কিন্তু প্রিন্সের এত ব্লিডিং শুরু হয়েছিল যে বন্ধ হচ্ছিল না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি।তবে পরবর্তী পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে হাজির হব সে পর্যন্ত আপনাদের কাছ থেকে বিদায়।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
🇧🇩খোদা হাফেজ🇧🇩
