আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি এই শীতের মধ্যে পরিবারসহ সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প তোমার অপেক্ষায় আজও আমি পর্ব-০৫ নিয়ে হাজির হতে চলেছি।জানিনা আমার গল্পের পর্বগুলো কেমন লাগছে?তবে আশা করি আমার গল্পের পর্বগুলো পড়ে আপনাদের ভালো লাগছে।কারণ প্রত্যেকটি পর্বে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গেছে। চলুন এ পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
এটাই বা কম কিসের আমি একটি ভালো চাকরি পেয়েছি তোমাদেরকে দেখতে পাচ্ছি।এরপর প্রতিদিন দুই ভাই বোন এক সঙ্গে করে একটি গাড়িতে করে অফিসে চলে যায়। সারাদিন অফিস করে সন্ধ্যায় যখন ফিরে তখন বাবা মাকে নিয়ে তারা অনেক আনন্দ করে। কারণ তারা জানে বাবা-মা তাদের জন্য কি করেছে এবং কত কষ্টে তাদের দিনগুলো গেছে। এজন্যই দু'ভাইবোন চেষ্টা করে সব সময় মা-বাবাকে আনন্দের মাঝে রাখার জন্য।এভাবেই চলে গেল তাদের দু দুটি বছর।
একিই অফিসে জব করতো নাতাশা ও হৃদয়।হৃদয় শুরু থেকেই দেখতো নাতাশা বেশ শান্ত ভদ্র একটি মেয়ে।মাঝে মাঝে ফলো করতো সে একা চুপচাপ বসে থাকতো অফিসের কাজ শেষ করে।আবার অফিসের কলিগদের সাথেও অনেক ভদ্র আচরণ করতো।কাউকে কষ্ট দিয়ে কোন কথা বলত না। দারোয়ান আয়া সবার সঙ্গে অনেক ভাল ব্যবহার করত এবং সেলারি পেয়ে তাদেরকে সব সময় এক হাজার টাকা করে দিতে তাদের পরিবারে সন্তানদের চকলেট খাওয়ার জন্য।
আর আয়া ও দারোয়ান নাতাশার জন্য অনেক পাগল ছিল। মোটকথা হৃদয় সবসময় নাতাসাকে ফলো করতো এবং দেখতো এরকম মেয়ে হায়না এ যুগে। তাইতো একদিন নাতাসাকে তার ভাললাগার কথাটি বলেই ফেলবো। কিন্তু নাতাশা তার ভালোবাসার অফার পেয়ে কেঁদে ফেলছিল। কারণ সে সময় তার মনে পড়ে গেল তার অসুস্থ স্বামীর কথা। তখন সে তার অতীতের কথাগুলো আর হৃদয় কে বলল না৷
নাতাশা অফিস থেকে যখন বাসায় আসে সেই সময়টা চুপচাপ থাকে আর আগের নাতাশার মতো না। তার এই বিষন্নতা হতাশাগ্রস্ত মুখটি আবার কেন জানি চলে আসছে।সন্তানের যা কিছুই হোক না কেন মার চোখে ঠিক ধরা পড়ে। তাইতো নাতাশার অন্যরকম হয়ে থাকাটা তার মায়ের কাছে ভালো লাগছিল না। শেষমেষ নাতাশাকে জিজ্ঞাসা করল মা তোর কি হয়েছে আর কাউকে না বললেও আমাকে বলতে পারিস।আমি হয়তো কিছু করতে পারবো না তবে ভালো একটা পরামর্শ দিতে পারব।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1873045938048319727?t=inivtX0PyyZyRcoW_fB8lw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাতাশার মন-মানসিকতা আসলেই খুব ভালো। এটা ঠিক যে, এই যুগে এমন মেয়ে খুব কম রয়েছে। তবে তার ভাগ্য খারাপ বলে জীবনটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। আশা করি নাতাশার জীবনে খুব ভালো একজন মানুষ আসবে। আর সেটা মনে হচ্ছে হৃদয়। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit