অনুভূতিমূলক পোস্ট ||| খেলতে খেলতে হঠাৎ দুর্ঘটনা ||| original writing by @saymaakter.

in hive-129948 •  11 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আপনাদের ভালোবাসায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

disability-8122197_1280.jpg
source

বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করার পর থেকে এক প্রকার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে কখন নতুন একটি ব্লগ লিখব এবং আপনাদের মাঝে সেটা শেয়ার করব।ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে।আজকের ব্লগটি খেলতে খেলতে হঠাৎ দুর্ঘটনা।

শীতের সময় ব্যাডমিন্টন খেলার জনপ্রিয়তা সব জায়গায় রয়ে গেছে। এই খেলাটি পছন্দ করে না এমন কোন মানুষ নেই। প্রত্যেকে প্রত্যেকের এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলায় আনন্দে ডুবে থাকে।আমি নিজেও এই খেলাটি প্রচন্ড পছন্দ করি। একটি সময় এই খেলা খেলতাম। এই ব্যাডমিন্টন খেলা দেখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। তাইতো মাঝেমধ্যে বারান্দায় বসে বাচ্চাদের খেলা দেখি।

কিছুদিন আগে একটি জায়গা কিছু ছেলে পেলে স্থির করলো খেলার জন্য । তারপর সেই জায়গাটি তারা পরিষ্কার করে নেট লাইটিং এর ব্যবস্থা করল। প্রায় রাত এগারোটা পর্যন্ত তারা খেলতে থাকে। এইভাবেই চলছে তাদের খেলা। বিকাল থেকে ছোটরা খেলবে এবং সন্ধ্যার পর থেকে রাত এগারোটা বারোটা পর্যন্ত বড়রা খেলবে। বেশ কিছুদিন হল এভাবেই তারা খেলে যাচ্ছে।

হঠাৎ খেলা খেলতে খেলতে খেলার ভেতরে চলে এলো দুটি পক্ষ। আর পক্ষ দুটোর মধ্যে কিছু কথা কাটাকাটি হলো।তারপর সেদিন খেলা রাত 9 টার ভিতরে শেষ হয়ে গেল।পরের দিন আবার যখন খেলা শুরু করলো প্রথম ব্যাস ছোটরা সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলে গেল। তারপর যখন রাতে বড়রা খেলবে তখনই হয়ে গেল সমস্যা। আবার দুই পক্ষের ভিতরে শুরু হয়ে গেল গন্ডগোল। সেদিনও আর খেলা হলো না।

তারপরের দিন তারা আবারও রেকেট, নেট, লাইট ও অনেক কিছু সঙ্গে করে নিয়ে এসে সবকিছু সন্ধ্যার দিকে লাগাচ্ছিল। সে সময় দুটো ছেলের ভিতর শুরু হয়ে গেল প্রচন্ড রকমের ঝগড়া। তারা ঝগড়া করতে করতে খেলার এরিয়া ছেড়ে অন্যদিকে চলে গেল। একপ্রকার মারামারি শুরু হয়ে গেল। মারামারি করতে করতে সামনের এক গলির সাইডে যখন গেল তখন এক ছেলে আরেক ছেলের পেটের ভিতরে বসিয়ে দিল ছুরি। এবং ডান সাইডের কান কেটে দিল।

রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেটি চিৎকার করতে লাগলো। আর যে ছেলেটি পেটে ছুরি মারলো সে দৌড়ে কোথায় যে উধাও হল কেউ বলতে পারল না। আসলে এটাকে খেলা বলে নাকি বলে আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। খেলা তো হওয়া উচিত দুই পক্ষের ভেতরে ভালোবাসা এবং বন্ধুসুলভ সম্পর্ক। জানিনা এটা কি! সেদিনের সেই দুর্ঘটনার পর থেকে ছেলেকে আর বাইরে খেলতেই যেতে দিতে ইচ্ছে করছে না । মনের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক। সত্যিই আগের দিনের কিছু কথা একদম ঠিক' যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ।

কারণ আগের সময়টাও বাচ্চারা খেলেছে তাদের মধ্যে কত মিল ছিল,আনন্দ ছিল কিন্তু এখনকার বাচ্চারা সামান্য কিছু হলেই কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায়।এজন্যই খেলার ভেতরেও থাকে আতঙ্ক।ছেলেটি যদিও বেঁচে গেছে তার পরও তার কানের সমস্যাটি সারা জীবনের জন্য থেকে গেল।আসলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঠিক না। কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো নিজেরা মীমাংসা করেও ঠিক করা যায় কিন্তু কারো ক্ষতি করে না।

আজ যাচ্ছি অন্য কোনদিন আবারো হাজির হব আপনাদের মাঝে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

আমার পরিচয়।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।

🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩

2MWgaSqKLy3pDfsFREY5eSiuDG4DkkPi81xbLznftLL8sn8vKK3nujC3w5q6wqVdX98ZDvS76sk9JGP2vfFusPMpjf5HCs1Rif3yHSLxyT...5BqmVQJSeh58vzdE4P5hVq46hve8Xw4i5HZaEF7kw4w4FUWFebMPyiXEgqRTTH7Sm28MSCKDvvvLoGLtGwgBLZmNJyBQu2L9pAtq1wPhFQuQ72W5NMo5E37dK.webp

Messenger_creation_FF6D906D-749B-4E07-8320-B599EE0CFF0F.png

Messenger_creation_2F56E3F2-027F-4EEF-9A13-7105084B0F77.png

Messenger_creation_5ECC1BDD-EC8B-4D17-9935-6B81DE8F1765.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Screenshot_2024-12-30-00-06-17-844_com.peak.jpg

Screenshot_2024-12-30-00-05-35-976_com.android.chrome.jpgScreenshot_2024-12-30-00-04-33-804_com.coinmarketcap.android.jpg

কী ভয়ঙ্কর! বাবারে, খেলতে গিয়ে শেষে কিনা পেটে ছুরি বসিয়ে দিল! এতো রাগ! এক দিনের কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্য দ্বিতীয় দিন থেকে তৃতীয় দিকে গড়িয়ে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। এভাবে যে কেউই খেলতে যেতে বা খেলতে দিতে ভয় পাবে। ঘটনাটি পড়ে একেবারেই ভালো লাগল না৷

অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন দিদি। তবে মন্তব্যটিতে কিছু শব্দচয়ন ভুল আছে আশা করি সংশোধন করে নিবেন দিদি।

আপু, প্রথমেই বলি অত্যন্ত দুঃখিত । আমি কদিন বাইরে আছি। টাওয়ারের সমস্যার ফলে অন্য একটি ফোন থেকে কাজ করছি। কিপ্যাডে হাত সেট হয়নি তাই কিছু টাইপো হয়ে গেছে। ঠিক করে দিচ্ছি।

আপনার পোস্টটি খুবই ভাল। কিন্তু ঘটনাটা অত্যন্ত ভয়াবহ । এটাই বলতে চেয়েছি।

বিকাল থেকে ছোটরা খেলবে এবং সন্ধ্যার পর থেকে রাত এগারোটা বারোটা পর্যন্ত বড়রা খেলবে। বেশ কিছুদিন হল এভাবেই তারা খেলে যাচ্ছে।

ছোটবেলায় আমরাও বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ পেতাম। আর সন্ধ্যার পর থেকে বড়রা ব্যাডমিন্টন খেলতো। যাইহোক খেলার সময় টুকটাক ঝগড়াঝাটি অনেক সময় হয়ে থাকে। কিন্তু এমন ঝগড়াঝাটি মেনে নেওয়া যায় না। বেশ খারাপ লাগলো ঘটনাটি জেনে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

আপু সব জায়গায় ব্যাডমিন্টন খেলা গুলো এমনি হয়। সবাই বেশ ভালোই খেলাধুলা করে। তবে খেলার মাঝে এভাবে ক্ষতি হলে সত্যি সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। আর এখনকার বাচ্চারা কাউকে ছাড় দিতে জানে না।ধন্যবাদ আপনাকে।

ঠিক বলেছেন আপু এখনকার বাচ্চারা কেউ কাউকে ছাড় দেয় না।

এমন অবস্থায় আপনার ভয় পাওয়া একেবারে স্বাভাবিক। খেলা নিয়ে আমাদেরও অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছে। কিন্তু কখনও আমরা এমন কিছু করিনি। ঐ ছেলেদের কথা বলতে হয় তারা বেশ অসুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। না হলে এই কারণ নিয়ে এতবড় একটা কাজ করত না।

ঠিক বলেছেন ভাই আপনার সাথে আমি একমত।