আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি এই শীতের মধ্যে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন এবং পরিবারসহ সুন্দরভাবে জীবন যাপন করছেন।আমি আল্লাহর অশেষ কৃপায় পরিবারেরসহ ভালো আছি।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "তোমার অপেক্ষায় আজও আমি পর্ব-০৭" নিয়ে হাজির হলাম।বিগত পর্বগুলো পড়ে আপনারা যে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেছেন তা অনেক ভালো লেগেছে।আশা করি আজকের পর্বও আপনাদের ভাল লাগবে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
আর সেই কোম্পানির ম্যানেজার তার স্বামী। তার কোম্পানির সব প্রোডাক্ট ঠিকভাবে যায় কিনা ভালো কিনা এগুলো সব সে নিজেই দেখাশোনা করে। কারণ কর্মীদের উপর এসব কাজ ফেলে রাখলে সব সময় ভালো ফল পাওয়া যায় না। তাই তোদের তাইতো দিনরাত পরিশ্রম করে এবং বাইরে তার প্রোডাক্টগুলো ঠিক ভাবে যাচ্ছে কিনা টাকা ঠিকভাবে উঠছে কিনা সব কিছুরই নিজেই একা হাতে ম্যানেজ করে।
এক কথায় সেই কোম্পানির মালিক ম্যানেজারকে প্রচন্ড বিশ্বাস করে। এজন্যই মালিক এই কোম্পানি নাতাশার স্বামীর দায়িত্বে রেখে আরেকটি নতুন কোম্পানি তৈরি করছে এবং সেদিকে সময় দিচ্ছে। আর কাজ শেষে সপ্তাহে একদিন করে মালিক কে সবকিছুর হিসাব দিয়ে আসে। সততার জন্য মানুষ পুরস্কার পাই।আর সেটার প্রমাণ নাতাশার স্বামী। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার নাতাশা কিছুতেই বুঝতে পারছে না তার স্বামী তাকে চিনতে পারছে না কেন। আর নাতাসা ও তাকে সিওর ভাবে বলতে পারছে না এটাই তার স্বামী।
কারণ মানুষের মত মানুষ অনেক হয় দেখতে। তাইতো সেই একদিন তার স্বামীর কোম্পানিতে গিয়ে আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে তার তথ্য নিলো।সেই অনুপাতে নাতাশা খোঁজ নিল। এবং নাতাশার স্বামীর বাসায় একটি লোক পাঠিয়ে সমস্তখোঁজ নিয়ে এলো। সত্যিই এ কি স্বপ্ন নাকি অন্য কিছু। সত্যিই এটা ছিল নাতাশার স্বামী। নাতাশা সঙ্গে সঙ্গে তার মাকে ধরে চিৎকার করে বলতে শুরু করলো মা আজ আমার জীবনের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে আমার এতটা জীবনের অপেক্ষা প্রতীক্ষা কষ্ট আজ সার্থক হয়েছে।
নাতাশার মা কিছুতেই বুঝতে পারল না আমার মেয়ে মনে হয় অতিরিক্ত কষ্টে পাগল হয়ে গেছে। তাইতো সেই চুপ হয়ে রইল তার বাবা ভাই যখন এলো তখন সবাইকে কথাগুলো বলল। নাতাশার মনে হয় ব্রেনের সমস্যা হয়ে গেছে নাতাশা আগের মত নেই বারবার বলছে আমার কষ্ট সার্থক হয়েছে আমার অপেক্ষার দিন শেষ।তখন হাবিব একটি রুমে ডেকে নিয়ে বলল আপু তোমার কি হয়েছে আমাকে খুলে বল। হাবিবকে নাতাশার সব খুলে বলল। হাবিব এতটা আনন্দ হয়েছে বোনের আনন্দ দেখে। তারপর হাবিব তার বোনকে হেল্প করার জন্য এবং কথাগুলো সত্য কিনা তা প্রমাণ করার জন্য গোপনে গোপনে সকল খবর নিল।
আসলেই সব সত্যি। সৃষ্টিকর্তা পারে না এমন কোন জিনিস নেই। তখন নাতাশার স্বামীর বাসায় গিয়ে হাবিব তার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করে সব কিছু বলল। বলল বাবা তোমরা তো আর খবর নিলা না, আমার ছেলেকে তারপর ঢাকায় নিয়ে এসে ভালো ডাক্তার দেখালাম। তবে ডাক্তার বলেছে মাথায় বেশি চাপ দিতে না। আস্তে আস্তে যত দিন যাবে ঠিক হয়ে যাবে। তাই ওকেও তোর মতো থাকতে দিয়েছি আর তোমাদের সাথেও যোগাযোগ তেমনটা রাখিনি। কারণ আমার ছেলে যদি আবার কোন সমস্যা হয়। ভাবলাম ভালো হোক ভালো হলে তারপর তোমাদের খোঁজ নিয়ে চেষ্টা করব বৌমাকে আনার জন্য।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/mst_akter31610/status/1876690856750862523?t=zq-oPrfZ7h4IUQLQYUWQiA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাতাশা তার স্বামীকে খুঁজে পেয়েছে,জেনে খুব ভালো লাগলো। নাতাশার ভাই হাবিব, নাতাশার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেছে, এটা খুবই ভালো হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই নাতাশার স্বামীর সবকিছু মনে পড়বে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit