আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি এই শীতের মধ্যে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আবারও আপনাদের মাঝে ছোট গল্প "আমার চোখে তুমি পর্ব-০২" নিয়ে হাজির হলাম।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এ পর্বে কি আছে দেখে নেওয়া যাক।
নীলা মা-বাবার একমাত্র সন্তান তাই তো নীলা তার বাবার কাছে যা আবদার করত তা তারা মেনে নিত। কিন্তু এমন কোন আবদার করত না যেটা বাবা-মা বিব্রত অবস্থায় পড়ে যেতে হয় । নীলার প্রতি আস্থা ছিল বাবা-মার অনেক। একদিন নীলা তার বাবাকে বলল বাবা আমার অনেক আগের মডেলের ফোনটি আর ভালো লাগছে না। ফোনের গ্লাসটিও ফেটে গেছে বাবা তুমি আমাকে একটি ভালো ফোন কিনে দিবে। নীলার বাবা মোশারফ হোসেন বলল সামনের মাসের বেতন পেয়ে তোমাকে একটা সুন্দর ফোন কিনে দিবো।সেই খুশিতে নীলা আত্মহারা হয়ে পড়ল।নতুন ফোন হাতে পাবে প্রতিটি মুহূর্ত ও সময় গুনতে লাগলো কবে বাবার বেতন হাতে পাবে। একটি সময় অপেক্ষার প্রহর কেটে গেল এবং নীলার বাবা নীলাকে সুন্দর একটি ফোন কিনে দিল। নীলা ফোনটি পেয়ে বাবাকে অনেক ধন্যবাদ জানালো।
যখন থেকে ফোন হাতে পেল তখন থেকে নীলা বাইরে খেলা মানুষের সাথে চলাফেরা কথা বলা অনেকটা কমিয়ে দিল। সারাদিন কেন জানি সেই ফোনের ভেতরে আকৃষ্ট হয়ে থাকতো । কারণ নিলার একটি উদ্দেশ্য ছিল।তার বান্ধবীর ফোনটি একবার নিয়েছিল কিছু ফোনের কাজ শেখার জন্য। প্রথম কয়েকদিন দিন ফোনটি দিয়েছিল এবং কিছু কাজ তাকে শিখিয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে সে তার ফোন দিতে রাজি হলো না। কারণ ফোনের ব্যাপারটি এমন কারোর জিনিস কাউকে দেয়া যায় না।
আর বর্তমান সময়টা এমন হয়েছে এক সেকেন্ড ফোন না থাকলে আমরা অস্থির হয়ে যাই। বিশেষ করে যারা ফোন ব্যবহার করে। তাই তো সেই সূত্র ধরেই সে তার বাবাকে নতুন ফোন কেনার কথা বলেছিল। আর তার প্রচন্ড ইচ্ছা ছিল তার বান্ধবীর থেকেও সে ফোনে কাজ বেশি শিখে এখান থেকে কিছু অর্থ উপার্জন করবে। একটি সময় ফোন প্রচন্ড ঘাটাঘাটি করে সবকিছু শিখে ফেললএবং অর্থ উপার্জন এর ব্যাপারটিও খুঁজে বের করে সেখানে টাকা ইনকাম করা শুরু করে দিল। এই টাকা ইনকামের ব্যাপারটি তার বাবা মার কাছে গোপন রাখল।
কিন্তু পড়ালেখা আর আগের মত হলো না নীলার। দিনে দিনে পড়ালেখার অবস্থা খারাপ হচ্ছিল কারণ রাত জেগে নীলা ফোনের কাজ করতো । মোটামুটি একটি সময় কাজ করে ভালো অর্থ উপার্জন করেছে এবং তার বাবাকে সারপ্রাইজ দিল।তার বাবা নীলার কথা শুনে অবাক হয়ে নিলার দিকে তাকিয়ে রইল।আমার মেয়ের এতটা প্রতিভা আগে জানা ছিল না। আর আমি যে টাকা দিয়ে তাকে ফোন কিনে দিয়েছি তার থেকে ডাবল টাকা আমার মেয়ে আমাকে দিয়েছে এর থেকে সৌভাগ্যবান বাবা আর কে হতে পারে। মা সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু তুই যে এত ভালো ছাত্রী,অনেক সময় ফোনের দিকে ব্যয় করে পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে মা সেদিকে তুমি একটু লক্ষ্য রেখো।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। বর্তমানে সত্যিই মোবাইল ছাড়া একদমই থাকা যায় না। মোবাইলের জন্যই ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়ে যায় আবার অনেকে ভালোও থাকে। সম্পূর্ণটা নিজের উপরে। তবে নীলা পড়ালেখার ক্ষতি করে ফেলছে সেটা কিন্তু সে একদমই বুঝতে পারছে না। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গঠনমূলক মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/mst_akter31610/status/1887145074708078666?t=RUWYN6DNHuUoR3ORignEGA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit