রেসিপি পোস্ট ||| মজাদার কাজলি মাছ ও আলুর চচ্চড়ি।

in hive-129948 •  last month 

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।

IMG_20240825_151312_300.jpg


আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে।বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই খেতে হবে। সেই খাবারগুলো আমরা নানান আইটেমে করে থাকি। তবে সবার রেসিপিগুলো এক তা কিন্তু নয়।প্রত্যেকে তার নিজের মত করে রেসিপিতে নতুনত্ব আনতে পছন্দ করে।

খাবারের টেবিলে যদি তিন বেলায় একই আইটেমের তরকারি হয় তাহলে সেই খাবারের প্রতি তেমন একটা রুচি বা আগ্রহ জন্মায় না।কিন্তু আমরা কষ্ট করে যদি বিভিন্ন আইটেমে ভিন্নভাবে রেসিপি. গুলো তৈরি করি তাহলে সেই রেসিপিগুলো খেতেও যেমন সুস্বাদু খাবারের প্রতিও আগ্রহ জন্মায় মূলত আমি সব ধরনের মাছ খাই না তবে কাজলী মাছ আমার অনেক প্রিয়। আমাদের এদিকে এই মাছকে কাজলী মাছ ও বাঁশ পাতালি মাছ বলে। এই মাছটি নদীর মাছ। নদীর মাছগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। সেদিন বাজারে গিয়ে হঠাৎ আমার চোখে পড়লো কাজলী মাছ । তাই যে মাছ টুকু ছিল সব মাছ আমি কিনে এনেছি।কারণ এই মাছ সব সময় বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। তাই ভাবলাম আমার প্রিয় মাছ দিয়ে একটি রেসিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কাজলী মাছও আলুর চচ্চড়ি রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি দেখে নেওয়া যাক।

উপকরণসমূহ

১।কাজলী মাছ।
২।আলু।
৩।কাঁচা মরিচ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।হলুদের গুঁড়ো।
৬।জিরা গুঁড়ো।
৭।লবণ।
৮।সয়াবিন তৈল।

IMG_20240825_143841_335.jpgIMG_20240825_140711_117.jpg
IMG_20240825_140617_905.jpgIMG_20240825_140558_992.jpg

↩️প্রস্তুত প্রণালী↪️

💠প্রথম ধাপ 💠

IMG_20240825_143739_354.jpg

প্রথমে মাছগুলো সুন্দর করে কেটে নিয়েছি।

💠দ্বিতীয় ধাপ 💠

IMG_20240825_140731_000.jpg

এবার সেই মাছগুলো লবন দিয়ে ও পরিষ্কার পানির মাধ্যমে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।

💠তৃতীয় ধাপ💠

IMG_20240825_143820_790.jpg

আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।

💠চতুর্থ ধাপ💠

IMG_20240825_143753_394.jpg

আলুগুলো চিকন করে কেটে নিয়েছি।

💠পঞ্চম ধাপ💠

IMG_20240825_140639_602.jpg

পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।

💠ষষ্ঠ ধাপ 💠

IMG_20240825_140651_975.jpg

কাঁচামরিচ রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।

💠সপ্তম ধাপ💠

IMG_20240923_131741_013.jpg

রসুন রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।

💠অষ্টম ধাপ 💠

IMG_20240825_144343_416.jpg

IMG_20240825_144329_068.jpgIMG_20240825_144305_403.jpg

একটি ফ্রাই প্যানে মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, হলুদের গুড়ো, জিরার গুড়ো, ও লবন দিয়ে দিয়েছি।

💠নবম ধাপ💠

IMG_20240825_144554_109.jpgIMG_20240825_144522_829.jpg

এবার সেই মসলার উপকরণ এর ভেতরের কুঁচি করা আলু ও তৈল দিয়ে কিছুক্ষণ মেখে নিয়েছি।

💠দশম ধাপ💠

IMG_20240825_144753_989.jpgIMG_20240825_144712_459.jpg

মেখে নেওয়া সকল উপকরণের ভেতরে পরিষ্কার করা মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ আবারো মেখে নিয়েছি হালকা করে।

💠এগারো তম ধাপ💠

IMG_20240825_151310_998.jpg

IMG_20240825_150840_900.jpgIMG_20240825_144858_569.jpg

এবার সামান্য পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি পানি শুকানো আগ পর্যন্ত। যখন পানি শুকিয়ে গেছে এবং উপর দিকে একটু তৈল ভেসে উঠেছে তখনই হয়ে গেল আমার "মজাদার কাজলি মাছ ও আলুর চচ্চড়ি"। এবার "মজাদার কাজলি মাছ ও আলুর চচ্চড়ি" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।

আমার পরিচয়।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।

🇧🇩খোদা হাফেজ🇧🇩

Messenger_creation_C0CFA08A-1A71-4C46-A406-1B2E6C0518BD.png

Messenger_creation_D04E6D07-EB13-429B-90AA-415E8FBB298A.png

Messenger_creation_EBBFAD6C-E031-4A75-98E8-ACEAD8EFF41F.png

Messenger_creation_EE86FE88-3F37-4CFD-B3A5-438DB6882677.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এত লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো। আপনার আজকের কাজলি মাছ ও আলুর চচ্চড়ি রেসিপিটা আমার তো দারুন পছন্দ হয়েছে। মজার মজার রেসিপি গুলো তৈরি করে মাঝেমধ্যে আমাদেরকেও কিন্তু দাওয়াত দিতে পারেন। তাহলে মজার মজার খাবারগুলো আমরাও খেতে পারতাম। এই কাজলি মাছ ও আলুর চচ্চড়ি রেসিপিটা দেখে অনেক সুস্বাদু বলে মনে হচ্ছে। সবাই মনে হয় মজা করে খেয়েছেন।

আসলে বোনের বাড়িতে ভাইকে দাওয়াত দিতে হয় না। যখন মন চাবে তখনি ভাই বোনের বাসায় চলে আসবে।

ঠিক বলেছেন আপু ভিন্ন ভিন্ন আইটেম রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। আপনি ভীষণ লোভনীয় করে রান্না করেছেন কাজলি মাছের চচ্চড়ি।ধাপে ধাপে লোভনীয় করে শেয়ার করেছেন রন্ধন প্রনালী। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

চেষ্টা করেছি ভালো ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

এই মাছগুলো খেতে আসলেই ভালো লাগে। নদীর মাছের অন্যরকম একটা স্বাদ থাকে। কাজলি মাছ বলার কারণে প্রথমে চিনতে পারিনি। বাঁশ পাতালি মাছ এই নামটা শুনেছিলাম। এই ধরনের মাছগুলো এরকম আলু দিয়ে চচ্চড়ি করলে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু এত মজার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু অন্যান্য জায়গায় বাঁশ পাতালি নামেও এই মাছটিকে চেনে।

এই ধরনের মাছ খেতে বেশ ভালোই লাগে। আর আলু দিয়ে ও কাঁচা মরিচের সমন্বয়ে রান্না করলে খেতে আরো দুর্দান্ত লাগে। আজ আপনি খুব চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখেই ভীষণ লোভ লেগে গেল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। কাজলি মাছ আমার ভীষণ পছন্দ। কয়েকদিন আগেই বাসায় কাজলি মাছের রেসিপি খেলাম। আলু দিয়ে কাজলি মাছের চচ্চড়ি এভাবে তৈরি করলে,গরম গরম ভাতের সাথে খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক রেসিপিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

জি ভাই এই মাছটির রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে।

একদম ঠিক বলেছেন আপু একই ধরনের খাবার খেতে ভালো লাগে না। বিভিন্ন রকমের খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। কাজলি মাছ আমার কখনো খাওয়া হয়নি। এই মাছের টেস্ট কেমন বুঝতে পারছি না আপু। তবে এত সুন্দর করে রান্না করেছেন দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে দারুন হয়েছিল।

জি আপু রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল।

আপু আপনি যাকে কাজলি মাছ বলছেন এই মাছ আমাদের এলাকাতে অন্য নামে পরিচিত তবে নামটা আমার এখন মনে আসছে না। আপনি আলু দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে চচ্চড়ি করেছেন । খাবার টেবিলে যদি তিন বেলা একটু ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আইটেম না থাকে তাহলে খেতে একদমই ভালো লাগেনা। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার রেসিপিটা ধন্যবাদ।

আপনাদের এলাকায় অন্য নাম হতে পারে।তবে আমাদের এখানে এই নামেই পরিচিত।

আপু আপনি আজকে আমার খুবই একটি পছন্দ রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি কাজলি মাছ ও আলুর চচ্চড়ির রেসিপি দেখে সত্যি জিভে জল চলে আসলো। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু আসলে ভিন্ন ভিন্ন আইটেমের রেসিপি রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগলো।

এই মাছের নাম আমি আজকে প্রথমবারের মতো শুনলাম। আপনি এত মজাদার ভাবে কাজলী মাছ ও আলুর চচ্চড়ি তৈরি করেছেন, বুঝতেই পারছি দেখে রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন রকমের রেসিপি গুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সব সময় একই খাবার খেতে একেবারেই ভালো লাগেনা। এই মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। যার কারণে এটার টেস্ট কিরকম ওইটা জানা নেই। নিশ্চয়ই রেসিপিটা অনেক মজাদার ছিল।

জি আপু রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল।

কাজলি মাছ ও আলুর চচ্চড়ি দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার অনেক ভালো লাগে। আজকের রেসিপিটি খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন।

এ রেসিপিটি আপনার অনেক পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগলো।

আপু আপনি মজাদার কাজলি মাছ ও আলুর চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করে আমাকে রীতিমতো ক্ষুধার্ত করে দিয়েছেন। তবে একই মাছের এলাকা বেঁধে ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে আপনাদের ওদিকে কাজলি মাছ আমাদের এদিকে বাঁশপাতারি মাছ। যাইহোক আপু মজাদার কাজলি মাছ ও আলুর চচ্চড়ি রেসিপির রন্ধন প্রণালী এবং আপনার পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে চচ্চড়িটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন ভাই এক এক এলাকায় এক এক নামে পরিচিত তবে আমাদের এলাকায় কাজলি নামে পরিচিত।

নদীর মাছ আমার সব সময় খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি কাজলি মাছ খেতে পছন্দ করেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। কাজলি মাছ আলু দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে।

সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

খুবই সুস্বাদু দেখতে একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এই রেসিপি দেখে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। যেভাবে আজকে আপনি রেসিপি তৈরি করেছেন তা খুবই সুন্দর হয়েছে৷ একই সাথে এখানে এই রেসিপি তৈরি করার ধাপগুলো আপনি এখানে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ আজকে এই রেসিপির মধ্যে আপনি যে মাছ ব্যবহার করেছেন সে মাছের নাম আমি আজকে এই প্রথম শুনতে পেলাম।

মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।