This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 0.00 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ০১
Copyright Free Image Source : PixaBay
ট্রেন থেকে নেমেই রমেশবাবু টের পেলেন পাড়াগাঁয়ে রাত্রির অন্ধকার আসলে কেমন হয় । আজীবন কলকাতায় মানুষ, আলো ঝলমলে রাতে আঁধার বেশ তরলই থাকে সেখানে। কিন্তু, পাড়াগেঁয়ে এমন ঘুরঘট্টি অমাবস্যার রাত দেখে তিনি একদম হাঁ হয়ে গেলেন । রাত্রির অন্ধকারের যে এমন ভবাবহ রূপ হয় তা তিনি এই প্রথম প্রত্যক্ষ করলেন ।
বেশ ছিলেন ভালোই ছিলেন, কেন যে মরতে এক বন্ধুর কথায় রাজি হয়ে ব্যবসায় নামলেন ! এখন লাও ঠ্যালা সামলাও । বাংলার শেষ সীমায় ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে এই শালবনের ইজারা সংক্রান্ত কাজে এখানে আসা । তিনি কাঠের সাপ্লায়ার । পথে যে ট্রেন এতো লেট করবে তা কে জানতো । লাইন মেরামতির কাজের জন্য প্রায় ঢিকোতে ঢিকোতে সন্ধ্যা ৬ টায় পৌঁছনোর পরিবর্তে রাত সাড়ে ন'টায় এসে পৌঁছেছে ।
ট্রেন থেকে নেমেই তাই একরকম দিশেহারা হয়ে পড়লেন । প্ল্যাটফর্মের এ মাথা থেকে ও মাথা অব্দি তন্নতন্ন করে খুঁজলেন, কিন্তু কাউকেই পেলেন না। যার তাঁকে রিসিভ করতে আসার কথা ছিল, সে হয় আসেনি, নতুবা এতো দেরি দেখে চলে গিয়েছে । তখন তো আর আজকের মতো মোবাইল ফোন ছিল না যে কল করে দেবেন । রমেশবাবু তাই ভারী বিপদে পড়লেন ।
কোনো উপায় না দেখলে শেষমেষ স্টেশনের বেঞ্চিতে বসে রাতটা কাটিয়ে দেবেন, এমনই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন রমেশবাবু । এমন সময় দেখলেন কেরোসিনের টেমি হাতে একটা বুড়ো লোক হালকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে প্লাটফর্ম থেকে নেমে গাঁয়ের মেঠো পথে ধরছে । শেষ আশা হিসেবে রমেশবাবু দৌড়ে বুড়োর কাছাকাছি গিয়ে তাকে ডাকলেন ।
বুড়ো তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর দিকে ফিরে তাকালো । বয়সের ভারে ন্যুব্জ দেহ, অসংখ্য বলিরেখা ফুটে উঠেছে তার মুখের সর্বত্র । নিতান্তই গেঁয়ো মানুষ । রমেশবাবু তাকে সব খুলে বললেন । কেরোসিন টেমির অস্পষ্ট ধোঁয়া-ওঠা আলোয় বুড়োর চোখ দু'টো যেনো ধক করে জ্বলে উঠলো । কিন্তু, পরক্ষণেই আবার সেই ঘোলাটে চোখ দেখতে পেলেন রমেশবাবু, বয়সের কারণে চোখের উপরের চামড়া ঝুলে এসে চোখ প্রায় বুজিয়ে দিয়েছে । তাহলে কি ভুল দেখলেন তিনি ?
[চলবে]
অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়লাম দাদা।দিন না মাস তো হবেই,না জানি বছর!রিকভারির জন্যে ঝামেলা তো হচ্ছেই আপনার।তবে তার জন্যে যে গল্প পেয়ে যাবো ভাবতেই পারিনি।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভয় তৈরী হতে শুরু করেছে দাদা, মনে হচ্ছে দারুণ কিছু ভয়ের অনুভূতি তৈরী হবে গল্পের মাঝে। টানটান উত্তেজনার সাথে দারুণ একটা গল্প পড়তে যাচ্ছি, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন ঘুটঘুটে অন্ধকারে তো ভয় পাওয়ার কথাই। ট্রেন সন্ধ্যা ৬ টা বাজে পৌঁছালে রমেশ বাবু তো ঝামেলায় পরতো না। যাইহোক সেই বুড়োটা তো মনে হচ্ছে ভূত। তবে শুনেছি যে ভূত নাকি আগুন ভয় পায়। তবে কেরোসিনের টেমি হাতে নিয়ে কিভাবে যাচ্ছে, সেটাই বুঝলাম না। পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো মনে হচ্ছে। যাইহোক অনেকদিন পর গল্প লিখেছেন দাদা। গল্পটি পড়ে আসলেই খুব ভালো লাগলো। গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই মাঝরাতের দিকে এমন গল্প কেন যে পড়লাম, হুট করে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ভাই। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগে বলেন এক দুই পর্ব লিখে হারিয়ে যাবেন না তো? এমন হলে পড়বো না। সেই ক্যাপ্টেন ব্লাই কে যে কি রক্ত খাওয়ালেন তা আজও জানা হলো না।
তারপরও আপনার গল্প না পড়ে থাকতে পারলাম না। মনে হচ্ছে এই বৃদ্ধ ই কিছু একটা বিপদ ঘটাবে। বুড়োর চোখ কেন জ্বলে উঠলো।
যাই হোক বেশ রহস্যময় গল্প হতে যাচ্ছে। ভালো লাগলো দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit