শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ৩০শে পৌষ,শীতকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৪ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি লাইফস্টাইল পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সকল ব্যস্ততা শেষ আজ ফ্রি হলাম।আপনারা যারা আমার পোস্ট নিয়মিত ফলো করেন, তারা জেনেছেন যে, গত কয়েক দিন বেশ ব্যস্ত সময় পা্র করছি। বাসায় বড় ভাই তার পরিবার নিয়ে এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। আজ ডাক্তার দেখানো শেষ হলো। তেমন খারাপ কিছু ধরা পরেনি। তবে ডায়াবেটিস কিছুটা বেশি কন্টোল করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
প্রথমে ডাক্তার দীন মোহাম্মদকে দেখালেন নিউরোর জন্য। ভাবীর মাথায় একটা অস্বস্থি অনুভূত হতো। তাই ডীন মোহাম্মদকে দেখালেন বুধবার। তিনি নিউরোর ও থাইরয়েড পরীক্ষা দিলেন। কিন্তু তিনি বৃহস্পতি ও শুক্রবার বসেন না। তাই সেই রিপোর্ট দেখানোর জন্য অপেক্ষা করতে হলো দু'দিন। যথারীতি শনিবারে রিপোর্ট দেখানোর পর দেখা গেলো নিউরোর কোন সমস্যা নেই। কেবল ডায়বেটিস কিছুটা বেশি। তাই তিনি পরামর্শ দিলেন ডয়াবেটিসের ডাক্তার দেখাতে।আপনারা জানেন ডাক্তার দীন মোহাম্মদ বাংলাদেশের বিখ্যাত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরেও তিনি সমান সমাদৃত। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
তিনি।
ডাক্তারের পরামর্শে স্কায়ারের ডায়াবেটিস ও হরমোনের ডাক্তার প্রতীক দেওয়ান এ্যাপোন্টমেন্ট নেওয়া হলো। গতকাল ডাক্তার ডায়াবেটিস সহ কিছু রেগুলার টেস্ট দিলেন। কিছু পরীক্ষা ছিল খালি পেটে করতে হবে। সকালে স্কয়ার হাসপাতালে ভাবীকে নিয়ে টেস্ট গুলো করিয়েছি। আর রিপোর্ট পেয়েছি বিকালে। সেই সব রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখিয়ে বাসায় আসতে আসতে প্রায় রাত ৮টা বেজে গেলো। ডাক্তার রিপোর্ট দেখে জানালেন, সব কিছু ভালো আছে। কেবল ডায়াবেটিস কন্টোল করতে বললেন। এবং কিছু ওষুধ বাড়িয়ে দিলেন। সেই সাথে আসন্ন রোজার ডায়েট চার্ট ও ওষুধ কখন কি খাবেন তাও ঠিক করে দিলেন।
ডাক্তার বেশ আন্তরিকতার সাথেই রোগীর সাথে কথা বলেছেন। ভাবী ডাক্তার দেওয়ানের সাথে কথা বলে অনেক খুশি। বাংলাদেশেও এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত হচ্ছে। হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট ও ডাক্তার-নার্সরা অনেক পেশাদারিত্বের পরিচয় দিচ্ছেন। অবশ্য স্কয়ার সহ এই ধরণের বিশেষায়িত হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা খরচ একটু বেশী। জীবন মসৃন নয়। অসুখ-বিসুখ নিয়েই আমাদের চলতে হয়। অসুখ- বিসুখ আসলে লাইফের পার্ট। এগুলো নিয়েই আমাদের চলতে হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভাই-ভাবী আমার বাসায় ছিল। বাসাটা ভরপুর ছিল। আগামীকাল সকালে চলে যাবেন। সবচেয়ে মিস করবো ভাই-ভাবীর একমাত্র সন্তান জায়ানের দুষ্টু-মিষ্টি খুনসুটি। বন্ধুরা, আজ এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে আগামীকাল অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন- আনন্দে থাকুন। শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | লাইফস্টাইল |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি ই আপু সুখ-অসুখ নিয়েই আমাদের জীবন।এই নিয়েই আমাদের চলতে হবে।আপনার ভাবি ডায়বেটিস কন্ট্রোল করে সুস্থ থাকবেন এমনটাই আশাকরি।বাসায় কেউ এলে যেমন ভালো লাগে।আবার চলে গেলে খুব ই খারাপ লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একেবারেই ঠিক বলেছেন। কেউ আসলে খুব ভালো লাগে। আর চলে গেলে বেশ খারাপ লাগে। তবে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit