রেসিপিঃবিন্নি চালের পাটিসাপটা পিঠা।

in hive-129948 •  2 days ago 

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সবসময় ভালো থাকেন-নিরাপদে থাকেন। আজ ৭ই ফাল্গুন,বসন্তকাল। ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ । আজ একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

b1.jpg

b2.jpg

বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি রেসিপি ব্লগ শেয়ার করতে। চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করতে।আর তাই আজকে নিয়ে এলাম বিন্নি চালেরপাটিসাপটা পিঠার রেসিপি। এই পিঠাটি আমি আজ প্রথম বানালাম।বেশ খেতে পিঠাটি। আমার খুব প্রিয়। অনেকদিন ধরে ভাবছি পিঠাটি বানাবো। তাই সেই দিন সুপার শপ থেকে বিন্নি চাল নিয়ে এসেছি। বাসায় গুড়া করে বানালাম। বিন্নি চাল স্টিকি ধরনের চাল। তাই এর কোন ব্যাটার বানিয়ে পিঠাটি বানাতে হয়নি। কেবল চালের গুড়া গরম তাওয়ায় ছড়িয়ে দিলেই হয়ে যায়।কেউ চাইলেই সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন এই পিঠাটি। বন্ধুরা,তাহলে আর দেরী না করে চলুন দেখে নেয়া যাক বিন্নি চালের পিঠা তৈরির রেসিপিটি। সাথে জেনে নেই রেসিপিটি তৈরির উপকরণ সমূহ ও সেই সাথে বানানোর ধাপ সমূহ। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

b20.jpg

b18.jpg

b15.jpg

b14.jpg

বিন্নি চালের গুড়া২ কাপ
গুড়প্রয়োজন আনুসারে
লবনস্বাদ মতো
কুড়ানো নারিকেলপ্রয়োজন অনুসারে
পানিপ্রয়োজন অনুসারে

রন্ধন প্রনালী

ধাপ - ১

b21.jpg

প্রথমে বিন্নি চাল ভালোভাবে ধুয়ে ব্লেন্ডারে গুড়া করে নিয়েছি।

ধাপ - ২

b17.jpg

b16.jpg

পানিতে স্বাদ মতো লবন মিশিয়ে নিয়েছি। সেই লবন মিশ্রিত পানি দিয়ে চাউলের গুড়া মেখে নিয়েছি। যে ভাবে ভাপা পিঠার গুড়া মাখানো হয়।

ধাপ - ৩

b11.jpg

b19.jpg

এবার লবন পানি মাখানো গুড়া একটি চালনীর সাহায্যে চেলে নিয়েছি।

ধাপ - ৪

b13.jpg

b12.jpg

গুড় ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি। কাটা গুড় কুড়ানো নারিকেল এর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।

ধাপ - ৫

b10.jpg

চুলায় একটি তাওয়া বসিয়ে দিয়েছি। তাওয়া গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো চালের গুড়া ছড়িয়ে দিয়েছি।

ধাপ - ৬

b9.jpg

b8.jpg

এবার সেই ছড়ানো গুড়ার মাঝখানে মাখানো নারিকেল গুড় দিয়ে দিয়েছি। এবং পাটিসাপটা পিঠার মতো ভাঁজ করে নিয়েছি। একই ভাবে সবগুলো পিঠা বানিয়ে নিয়েছি।

পরিবেশন

b3.jpg

b5.jpg

b6.jpg

b7.jpg

এবার একটি প্লেটে তুলে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।

আশাকরি, আজকের বিন্নি চালের পাটিসাপটা পিঠার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমি চেষ্টা করি সবসময় নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করতে। এবারও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন-সুস্থ থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণিরেসিপি
ক্যামেরাSamsung A-10
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

image.png

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই পিঠা আমার বেশ পছন্দের আপু। আপনি বিন্নি চালের পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি শেয়ার করলেন। দেখে তো খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে। তবে এই প্রিয় পিঠা আমি প্রায় সময় খাওয়ার চেষ্টা করি। সুন্দর ভাবে আপনি রেসিপি করলেন। অনেক ধন্যবাদ আপু ধাপ গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

Daily task

dt1.png

dt2.png

এইভাবে চাল গুড়ি দিয়ে পাটিসাপটা পিঠা আসামের দিকে হয়। আমরা পাটিসাপটা পিঠে বানাই চাল ভিজিয়ে বেটে এবং তাতে সামান্য পরিমাণ ময়দা যোগ করে। আপনার কাছে অনেক নতুন নতুন রান্না বা হাতের কাজ দেখি। দেখেই না খেতে লোভ হচ্ছে জানেন আপু।

বিন্নি চালের পাটিসাপটা পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকে রেসিপি টা দেখে। খেতে নিশ্চয়ই দারুন হয়েছে। দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সম্ভব হলে এটা ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপু মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

অনেক মজা খেতে আপু। একদিন ট্রাই করতে পারেন। ধন্যবাদ আপু।

আসলে এখন পর্যন্ত কোন দিন বিন্নি চালের পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে বিন্নি চালের পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে পাটিসাপটা পিঠা আমার খুবই প্রিয় একটি পিঠা। আপনার রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।

পাটিসাপটা পিঠা খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর এরকম ভাবে বিন্নি চালের পাটিসাপটা পিঠা হলে তো আরো বেশি ভালো লাগে খেতে। দেখেই বুঝতে পারছি এটা অনেক মজা করে খেয়েছেন। আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই এখান থেকে কয়েকটা পিঠা নিয়ে খেয়ে ফেলতে। লোভ লাগিয়ে দিলেন শেয়ার করে।

সুপার শপ থেকে নিয়ে আসা বিন্নি চাঁদ গুঁড়ো করে মজাদার পাটিসাপটা পিঠা বানিয়েছেন। গুড় এবং নারিকেল এর সমন্বয়ে আপনার বানানো পাটিসাপটা পিঠা দেখতে সত্যিই লোভনীয় দেখাচ্ছে। খুবই সুন্দর করে পিঠাটি তৈরি করেছেন। প্রত্যেকটা প্রসেস আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

বিন্নি চালের পাটিসাপটা পিঠা দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। এত সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপির পরিবেশনটি দারুন হয়েছে।

বিন্নি ধানের এই পিঠটা আমার খুবই পছন্দের খেয়েছিলাম খাগড়াছরিতে পাহাড়ি এক মহিলার পিঠার দোকান থেকে।এই ধান পাহাড়ি অঞ্চলে হয় আর আমি যখন খাগড়াছড়ি ছিলাম তখন এই পিঠা খেয়েছি অনেক এবং এই বিন্নি চাল কিনে এনেছিলাম বাড়িতে আসার সময় ও সবাইকে খাইয়েছিলাম এই পিঠা বানিয়ে।খুবই সুস্বাদু এই পিঠা বিন্নি চাল ছারা হয় না কারণ এই চালের বিশেষ ধরনের এক আঠা থাকে যা এই পিঠা বানাতে সাহায্য করে।খুবই লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি। লোভ লেগে গেলো দেখেই।ধাপে ধাপে বিন্নি ধানের পিঠা বানানো পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

বিন্নি চালের পাটিসাপটা পিঠা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু।কখনো বিন্নি চালের কোনকিছু খাওয়া হয়নি আমার।আপনি বিন্নি চালের পাটিসাপটা তৈরি করেছেন।আশাকরি সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ জানাই আপু সুন্দর এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

আজকে আপনি খুব সুন্দর করে বিন্নি চালের খুব মজার পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি করেছেন। তবে পাটিসাপটা পিঠা গুলো খেতে বেশ মজা লাগে। আর এই পিঠাগুলো যেকোনো সময় খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ মজার পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

পাটি সাপটা পিঠা আমার খুব পছন্দের। পাটি সাপটা পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। কিছুদিন আগে মায়ের হাতে তৈরি করা পিঠা খেয়েছি খুব ভালো লেগেছে খেতে । পাটি সাপটা পিঠা তৈরি করার প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।