শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ২৬শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল ১১ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বন্ধুরা আজ আবারও নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে। দৈনন্দিন জীবন কত শত ঘটনা আমদের চলার পথে সঙ্গী হয় । আর এই সকল ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন অতিবাহিত হয় এবং হচ্ছে।আনন্দ-বেদনার কত স্মৃতি। আর সেই সকল ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বেশ ভালই লাগে। আর লাগবেই না কেন ? কারন আপনারা যে আমার আর একটি পরিবার। তাই সুখ,দুঃখ, আনন্দ বেদনার অনুভুতিগুলো শেয়ার করি আপনাদের সাথে। তেমনই আনন্দের কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আজ। কিছুদিন আগে নাতিকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম বিমান বাহিনী জাদুঘর । যা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তবে নাতি হলো বড়বোনের মেয়ের ছেলে । মানে আমারও তো নাতি তাই না? নাতির নাম ইজিয়ান। সাড়ে তিন বছর বয়স। বেশ মজা করে ঘুরে বেড়িয়েছে বিমান বাহিনীর বিরাট প্রঙ্গন জুড়ে। সেই সাথে চড়েছে বিভিন্ন রাইডে। আজকাল সারা দেশে খেলার মাঠের সংখ্যা কমে এসেছে। আর যেগুলো আছে তাও বিভিন্ন মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। তাই শিশুরা খেলার জ্ন্য আর খোলা মাঠ পায় না। আর ঢাকা শহরেতো সেই খোলা জায়গা কমতে কমতে এখন শুন্যে চলে এসেছে। শিশুবান্ধব নয় বর্তমানের ঢাকা শহর। তাই ঢাকা শহরের মধ্যে বিমান বাহিনী জাদুঘর বেশ খোলা মেলা। শিশুরা ঘুরে বেড়াতে পারে ইচ্ছে মত। যদিও টিকেট কেটে প্রবেশ করতে হয়।তবুও এই ইট পাথরের শহরে কিছু সবুজের সান্নিধ্য পাওয়া যায় এই জাদুঘরে। ছোট বড় অনেকেই ঘুরতে আসে এই জায়গায় । বেশ ভালো লাগে ঘুরতে। আমরাও প্রায় ৩ ঘন্টা ছিলাম। বেশ মজা পেয়েছে আমার নাতি। আর নাতির আনন্দ দেখে নানীও খুশি।
ঘন্টা তিনেক ঘুরাঘুরির পর বেশ খিদে পেয়েছিল। তাই কিছু খাওয়া দরকার। সেই ভাবনা থেকে জাদুঘর থেকে বের হয়ে চলে আসলাম শেওড়া পাড়ায় নতুন ওপেন হওয়া ফ্রাই বাকেটে। হাল্কা কিছু খাওয়ার জন্য। বেশ বড় সড় জায়গা নিয়ে করা হয়নি। ডেকোরেশন তেমন আহামরি কিছু না হলেও বেশ গোছানো-পরিপাটি। ম্যানুতে তেমন বেশি কিছু ছিল না। তাই আমরা চিকেন উইংস,কোরিয়ান স্পাইসি চিকেন ও সালাদের অর্ডার করি। যদিও সালাদের নামটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না! তবে প্রতিটি আইটেম বেশ মজা্র ছিল। সাথে কোল্ড ড্রিংস আর পানি। আর আমার নাতির জন্য দেয়া হলো তার প্রিয় চিকেন ফ্রাই আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। তবে আমার কাছে বেশি মজা লেগেছে কোরিয়ান স্পাইসি চিকেন ও সালাদ। তবে নাতি আমার বেশ মজা করেই খেয়েছে। বসে থাকতে থাকতে দেখলাম বেশ কিছু ফুড ডেলিভারি কোম্পানীর ডেলিভারী ম্যান এসেছে অর্ডার নিয়ে।অনলাইনে যারা অর্ডার করেছে এই ডেলিভারী ম্যানরা তা পৌছে দেয় তাদের বাসায়। আজকাল বেশ বড় আকারে গড়ে উঠেছে এই বানিজ্য।তবে চারদিক তাকেতেই দেখলাম বেশ কিছু মেয়ে ডেলিভারি ম্যানও কাজ করছে, যা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছ। এই ফ্রাই বাকেট অউটলেটে সার্ভিস ম্যান হিসাবে কাজ করছে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও। আজকাল বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানেই মেয়েদের অংশগ্রহন দেখা যাচ্ছে যা বেশ ভালো লাগে। কারন একটি দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও কাজ করা দরকার। মেয়েদের নিজের জন্য ও অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার জন্য। ফ্রাই বাকেটে নাতি খুব এনজয় করে খেয়েছে। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই, তাই বাড়ি ফেরার তাড়া ছিল। তাই ফ্রাই বাকেট থেকে বের হয়ে আমরা যার যার গন্তব্যে রওনা দেই। আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | লাইফস্টাইল |
---|---|
ক্যামেরা | Realme c-55 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ঢাকা শহরে আর খেলার মতো খোলা মাঠ তো দেখাই যায় না! যদিও বা কোথাও কোথাও পার্ক রয়েছে তবে সেগুলো তো নাজেহাল অবস্থা! শিশুদের খেলার মতোন পরিবেশ নেই। বিমান জাদুঘর সেই ক্ষেত্রে বেশ খোলামেলা একটি জায়গা শিশুদের জন্য। আর আপনার নাতি বেশ মজা করে খেয়েছে সেটাও জেনে ভালো লাগলো। ওর জন্য শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু বেশ মজা করে ঘুরে বেড়িয়েছে নাতি আমার খোলা মাঠে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নানী নাতি মিলে ফ্রাই বাকেটে এক সন্ধ্যা দারুন কিছু খাবার খেয়ে সময় অতিবাহিত করেছেন। ছোট ছেলে মেয়ে বাচ্চারা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে গেলে অনেক খুশি হয়। তারা নতুন কিছু দেখতে পারে শিখতে পারে। খুব সুন্দর ব্লক শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তা ঠিক। তাইতো শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো দরকার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাতির নামটা কিন্তু খুবই সুন্দর একটা নাম। আপনারা দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। ফ্রাইড চিকেন আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই না খেলে মনে হয় যেন বাইরের খাওয়ার অসম্পূর্ণ। আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাচ্চার ফ্রাইড চিকেন আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বেশি পছন্দ করে। তাই বাহিরে খাবার খাওয়া মানেই এই সকল খাওয়া। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জানেন তোর নাতিদের প্রথম গার্লফ্রেন্ড কিন্তু তাদের নানি বা দাদি হয়। সেই হিসেবে আপনার নাতি কিন্তু তার গার্লফ্রেন্ডের হাত ধরে বেশ ঘোরাঘুরি করলো আর মজাদার সব খাবার খেলো। তবে শিশুদের খেলার জন্য জায়গা নেই পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। কংক্রিটের জঙ্গল শিশুদের শৈশব কেড়ে নিয়েছে। এই জিনিস কলকাতাতেও ঘটে শুনেছি। কলকাতার বাচ্চাদেরও খেলবার জায়গা নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার নাতি আমাকে খালামনি বলে ডাকে মায়ের মতো। যদিও জানে যে আমি তার নানি। যাই হোক বেশ মজা করে ঘুরে বেড়িয়েছি আমরা । ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাতিকে নিয়ে দারুণ একটি সময় অতিক্রান্ত করেছেন আপু। আপনার বড় বোনের মেয়ের ছেলে মানে আপনার নাতি অবশ্যই। এতে কোন দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে না। আর আপনি তাকে নিয়ে মিউজিয়াম থেকে শুরু করে ফ্রাই বাকেট অবধি সবকিছু ঘুরেছেন। দেখে খুব ভালো লাগছে। এমনভাবে আনন্দ করে সময় কাটাতেই বেশি ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit