সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন? আমিও ভালো আছি।আজ ৭ই কার্তিক হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২৩ অক্টোবর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। চলছে দুর্গোৎসব।আগামীকাল বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে দেবী দূর্গার বিসর্জন।বাঙ্গালী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গোৎসব।বাংলাদেশ-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্মের অনুসারীরা পালন করে থাকেন দূর্গাপুজা। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।[দুর্গাপূজা মূলত দশ দিনের উৎসব,[বাংলা পঞ্জিকার আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে শুরু হয়। দশ দিনের পূজা হলেও এর শেষ পাঁচদিন তাৎপর্যপূর্ণ। ষষ্ঠী থেকে দশমী। দশমীতে বিসর্জন। দূর্গাপুজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও তা সার্বজনীন। ব্যাপক আনন্দ-উদ্দীপনায় এবার পালিত হচ্ছে দুর্গাপূজা।প্রিয় বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগে আমার নিয়মিত ব্লগিং এ আজ নিয়ে এসেছি শুভেচ্ছা কার্ড। শারদীয় শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা কার্ডটি তৈরি করতে আমি ব্যবহার করেছি রঙ্গিন সুতা,কাগজ সহ আরও কিছু উপকরণ। আশাকরি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক তৈরি করলেম আজকের শুভেচ্ছা কার্ডটি।
উপকরণ
১।সাদা কাগজ
২।সাদা ও আকাশী রং এর সুতা
৩।গাম
৪।কাঁচি
৫।সাইন পেন
৬।পেন্সিল
তৈরির পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে A4 সাইজের এক টুকরো সাদা কাগজকে দু'ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
ভাঁজ করা কাগজটিতে পেন্সিল দিয়ে কিছু ডাল ও মেঘ এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর ত্রিশুল ও দূর্গার চোখ এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-৪
কিছু আকাশী ও সাদা রং এর সুতা কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এঁকে নেয়া ডালগুলো সবুজ রং করে নিয়েছি। এবং কুচি করে কেটে নেয়া সাদা সুতা গাম দিয়ে এঁকে নেয়া ডালে লাগিয়ে নিয়েছি কাশ ফুল তৈরি করার জন্য।
ধাপ-৬
এঁকে নেয়া মেঘ এ কেটে নেয়া আকাশী রং সুতা গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। এবং ত্রিশুল ও দূর্গার চোখ কালো রং করে নিয়েছি। এবং ঠোঁট লাল রং করে নিয়েছি। এবং সবশেষে শারদীয় শুভেচ্ছা লিখে কার্ড বানানো শেষ করেছি।
উপস্থাপনা
আশাকরি, আজকের শুভেচ্ছা কার্ড তৈরি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে, আজ আমার ডাই পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। নিজে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারের সকলকে সুস্থ্য রাখুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | কার্ড তৈরি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ২৩ অক্টোবর,২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আপনি সুন্দর একটি শুভেচ্ছা কার্ড তৈরি করেছেন। তবে প্রথমে ভেবেছিলাম এটি আর্ট ছিল পরে দেখলাম এখানে সুতা ব্যবহার করেছেন। যেটা আমার কাছে খুবই ইউনিট লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি শুভেচ্ছা কার্ড তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটি বছর পরে আবারো ফিরে এসেছে শারদীয় দুর্গাপূজা।সবাইকে জানাই শাড়ি দিয়ে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা।দুর্গাপূজা উপলক্ষে আপনি শুভেচ্ছা কার্ড তৈরি করেছেন।ইউনিক একটি নিজ হাতে তৈরি কার্ড আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার ক্রিয়েটিভিটি ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে ইউনিক একটি শুভেচ্ছা বার্তা কার্ড তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit