সবাইকে মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। ঈদ করতে গ্রামে এসেছি।এখনও আছি।সব ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল ঢাকায় ফিরবো। গ্রামে নেট আর বিদ্যুৎ এর সমস্যায় আমার বাংলা ব্লগে সেভাবে সময় দেয়া সম্ভব হয়নি।আশাকরি আগামীকালের পর সবকিছু স্বাভাবিক হবে। প্রিয় বন্ধুরা, আমার নিয়মিত ব্লগের অংশ হিসেবে আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস তথা মহান মে দিবস উপলক্ষে কিছু কথা নিয়ে।
একসময় মালিক পক্ষ শ্রমিকদের দিন রাত খাটিয়ে ন্যায্য শ্রমের মূল্য দিত না। শ্রমিকরাও যে মানুষ তাদের পরিবার পরিজনের প্রতি দায়িত্ববোধ আছে,রেস্টের ব্যাপার আছে,শরীর খারাপের ব্যাপার আছে, মালিক পক্ষ তা না বুঝে উৎপাদন আর মুনাফা বুঝতো। শ্রমিকরা শ্রম দিতে গরমিল করলেই,নেমে আসতো অমানুষিক নির্যাতন। কত ঘন্টা কাজ ,কত মজুরি নির্ধারণ হবে তা মালিকের দয়ায় নির্ধারণ হতো!শ্রমিকরা ছিল অসহায়।
শোষণ, নির্যাতন আর জুলুমের তো শেষ আছে! শ্রমিকরা সংগঠিত হতে থাকে আস্তে আস্তে। তারেই ধারাবাহিকতায় ১৮৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে শুরু করেন আন্দোলন। আন্দোলনে ১ লা মে হতাহত হন অনেক শ্রমিক। ঐ দিন তাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আন্দোলনে ৮ ঘন্টা শ্রমিকদের অধিকারের স্বীকৃতি মিললেও আজো শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি অনিশ্চিত। দেশে দেশে শ্রমিকেরা আজো বঞ্চিত, নিগৃহীত।
আমাদের দেশে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ওভার টাইম আর নূন্যতম মজুরির দাবীতে নিয়মিত আন্দোলন করে আসছেন। শুধু গার্মেন্টস নয় প্রতিটি সেক্টরের শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিজয় অধরাই থেকে যাচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশে এখনো অনেক শ্রমিক নিয়োগ পত্র পাননা। মালিকের খেয়াল খুশিমত ছাটাই হন। আর নূন্যতম মজুরি সে অনেকদূর!
আমাদের দেশে এবারের মহান মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। শুধু কাগজে কলমে প্রতিপাদ্য না রেখে মালিক আর সরকার যদি শ্রমিক -মালিক ঐক্যের নূন্যতম পদক্ষেপ নেয় তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ শুধু কাগজে কলমে নয়,বাস্তবেও রূপায়িত হবে। আশাকরি সরকার ও মালিক পক্ষ
যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।
সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,শ্রমিক সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা, র্যালি,নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে আসছেন। এবারও সারাদেশেই ব্যাপক উৎসাহ - উদ্দীপনায় মে দিবস পালিত হচ্ছে। শ্রমজীবীদের জয় হোক।
বন্ধুরা,আসুন আমারাও আমাদের গৃহকর্মীদের প্রতি সদয় দৃষ্টি দেই। তাদের অধিকার অটুট রাখি। সবাই ভাল থাকবেন,আবার দেখা হবে অন্যকোন পোস্ট নিয়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজ মে দিবস।শ্রমিক দিবস আজ।এই দিনটিকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজ শেয়ার করেছেন। খুব ভালো লাগলো পড়ে। আপনি শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে খুব সুন্দরভাবে লিখে উপস্থাপন করলেন।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো তুলে ধরেছেন। আসলে একটা সময় শ্রমিকদের মূল্যায়ন করা হতো না। তাদের কাজের যোগ্য মজুরি দেওয়া হতো না। তারা নিজেদের অধিকার আদায় করতে জানতো না। পুরো বিশ্বের শ্রমিকরা এখন সোচ্চার। লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit