এসো নিজে করি সপ্তাহ(দ্বিতীয় দিন)ঃ ধনেপাতার সস তৈরি।

in hive-129948 •  6 months ago 

শুভেচ্ছা সবাইকে।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি' আজ ১৯ই বৈশাখ, গ্রীষ্মকাল,১৪৩১বঙ্গাব্দ। ২লা মে,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।

d6.jpg

d9.jpg

d10.jpg

অত্যধিক গরম অব্যহত আছে ঢাকাসহ সারা দেশেই। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় একটু কম মনে হচ্ছে গরম। দেশের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল ও আজ বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু ঢাকায় এখনো হয়নি।আবহাওয়া দপ্তর ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সম্ভবনার কথা জানিয়েছেন। এই গরমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাল্লা দিয়ে চলছে লোডশেডিং। মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্মও ঠিক মত করতে পারছে না। সবকিছু মিলে মানুষের ত্রাহি অবস্থা। এই অতি গরমে আমাদের সাবধানে চলাফেরা করা ছাড়া উপায় নেই! আশাকরি এই তাপপ্রবাহে সবাই সতর্ক থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে, আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে ধনে পাতার সস রেসিপি।প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি ধনে পাতা। এছাড়া প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ। যা নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের রেসিপিটি। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের ধনে পাতার সস রেসিপি।

উপকরণ

d2.jpg

d4.jpg

d5.jpg

উপকরণ

ধনেপাত

কাঁচা মরিচ

সরষে বাটা

রসুন বাটা

চিনি

তেতুল

লবন

সরিষার তেল

রন্ধণ প্রনালী

ধাপ-১

ac2.jpg

ac3.jpg

প্রথমে ধনেপাতা বেছে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডার জারে নিয়ে নিয়েছি। তাতে পরিমাণ মতো সরষে বাটা ,রসুন বাটা লবন ,কাঁচা মরিচ ও সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।

ধাপ-২

d1.jpg

t1.jpg

তেতুল সামান্য পরিমাণ পানিতে কিছুক্ষন ভিজিয়ে রেখে কাঁদ বের করে নিয়েছি।

ধাপ-৩

r30.jpg

ব্লেন্ড করা ধনেপাতা একটি চালনীর সাহায্যে চেলে নিয়েছি।

ধাপ-৪

r31.jpg

r31.jpg

t8.jpg

এবার ধনেপাতার সস তৈরি করার জন্য একটি কড়াইতে তেতুলের কাঁদ দিয়ে চুলায় বাসিয়ে দিয়েছি। তাতে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে ভালোভাবে তেতুলের কাঁদের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। ৫-৬ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।এবং একটি বাটিতে ঢেলে নিয়েছি।

ধাপ-৫

t9.jpg

t7.jpg

r32.jpg

এবার তেতুল ও চিনি জ্বাল দিয়ে নেয়া মিশ্রনের সাথে ব্লেন্ড করে চেলে নেয়া ধনেপাতা ও সরষের তেলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। ব্যস তৈরি আমার ধনেপাতার সস।এবার একটি বয়ামে ঢেলে নিয়েছি। এই সস তৈরির জন্য তেল ও চিনির পরিমাণ একটু বেশি দিতে হবে ।তাহলে সসটি অনেকদিন রেখে খাওয়া যাবে।

পরিবেষণ

t6.jpg

d8.jpg

d9.jpg

এরপর একটি বয়ামে তুলে নিয়েছি।

আশাকরি আজকের ধনেপাতার সস তৈরির রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা,সিঙ্গাড়া ও সমুচাতে এই সস খেতে খুবেই মজার।সেই সাথে এই সস বানিয়ে সারা বছর সংরক্ষন করা যাবে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ্য থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টরেসিপি
পোস্ট তৈরিselina 75
ডিভাইসRedmi Note 5A
তারিখ২রা মে ,২০২ইং
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ধনেপাতার সস কখনো তৈরি করা হয়নি। এমন কি কখনো খেয়ে দেখা হয়নি। ধনেপাতার ফ্লেভারটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপু আপনার কাছে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আপু আপনার গুনের কথা বলে শেষ করার মত নয়।

আমারও পছন্দ ধনেপাতার ফ্লেবার।ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার ধনেপাতার সস রেসিপি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আমার ধনে পাতার ভর্তা খেতে খুব ভালো লাগে তবে ধনে পাতার সস হয় এটা আমার জানা ছিল না। আপনার ধনেপাতার সস দেখে এটাও জানা হয়ে গেল। ধনেপাতার সস গুলো খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে । যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমিও একবার চেষ্টা করবো ধনেপাতার সস তৈরি করতে। যাইহোক আপু আপনি এত সুন্দর একটা ধনেপাতার সস রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

একদিন বানিয়ে খাবেন ।আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

একদম ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পারলাম আপু। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ধনিয়া পাতার সস তৈরি করে দেখিয়েছেন। বেশি ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ রেসিপি তৈরি করতে দেখে। নতুন একটি ইউনিক রেসিপি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম।

আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।

দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।ধনে পাতার সস খুব যত্ন নিয়ে তৈরি করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক ভালো হয়েছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এই রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

জি আপু বেশ সময় নিয়ে করতে হয়েছে । সেই সাথে বেশ যত্ন।ধন্যবাদ আপু।

ধনেপাতার সস এই প্রথমবারের মতো দেখতে পেলাম আপনার এই রেসিপির মাধ্যমে। আপনার এই রেসিপিটি সম্পূর্ণ ইউনিক মনে হলো আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আসলেই আপু খুব ইউনিক ছিলো।

ধনেপাতার সস কখনো খাওয়া হয়নি।আজই প্রথম এই রেসিপিটি দেখলাম।খুব সুন্দর করে তৈরি করেছে । তবে করতে যে খুব সহজ হয়েছে তা কিন্তু নয়,যদি ঠিকঠাক মত উপকরণ না দেয়া হয় তাহলে অল্প কদিনেই নষ্ট হয়ে যায়।আপনার কাছ থেকে মজার একটা রেসিপি শিখে নিলাম।

জি আপু উপকরণ সব ঠিক ঠাক মতো দিলে অনেক দিন রেখে খাওয়া যাবে। ধন্যবাদ আপু।

image.png

ধনেপাতার সস এর আগে কখনো আমার দেখা হয়নি। আমার কাছে ধনে পাতার ভর্তা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া ধনেপাতা যে কোনো রেসিপিতে দিলে ও খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার আজকের ধনেপাতার সস এর তৈরি আমার কাছে একদম ইউনিক মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

আমার বানানো ধনের পাতা সস এর রেসিপি আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপু সব সময়ই কিন্তু আপনি ইউনিক কিছু নিয়ে উপস্থিত হয়ে যান। আজও কিন্তু সেটাই করলেন। এমন সুন্দর করে ধনে পাতার সস বানালেন যে মুখের কোনে পানি এসে জমে গেছে। আবার বেশ সুন্দর করে উপস্থাপনাও করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

খুব ভালো লাগলো আপু আপনার নতুন একটি রেসিপি তৈরি করতে দেখে। আমি কখনো ধনিয়া পাতার এমন রেসিপি তৈরি করিনি বা দেখিউনি কাউকে তৈরি করতে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এই রেসিপি। দেখে মুগ্ধ হলাম।

একদিন বানাবেন । আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

ধনিয়া পাতা বিভিন্নভাবে বেটে অথবা অন্যরকম করে খাওয়া হয়েছে। কিন্তু এভাবে সস তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আমরা তো এভাবে তৈরি করি কিন্তু খুবই শুকনো করে ফেলি এবং সেটা ভাত অথবা চিতই পিঠা বা যে কোন কিছু দিয়ে খাই। আপু আপনার আজকের রেসিপিটা দেখতে না পারলে হয়তো বা কখনো জানতেই পারতাম না যে এভাবে ধনিয়া পাতার পাতার সস তৈরি করা যায়। ধন্যবাদ আপু।

এই সস টি চিতই পিঠা, সমুচা,সিঙ্গারর সাথে খেতে দারুন লাগে। সেই সাথে অনেকদিন রেখে খাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু।

ধনেপাতা দিয়ে যে এতটা লোভনীয় সস তৈরি করা যায় বিষয়টা আমার জানা ছিল না। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমেই আমি প্রথমবারের মতো বিষয়টা সম্পর্কে ধারনা লাভ করলাম। ভাবছি আপনার দেখানোর ধাপগুলো অবলম্বন করে এমন সুন্দর একটা ধনেপাতার সস তৈরি করতে হবে।

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আপু কালকে আমাদেরও বৃষ্টি হলো। এই গরমের মধ্যে বৃষ্টি হয়ে কি যে ভালো লেগেছিল তা বলে বোঝাতে পারবো না। যাইহোক ধনেপাতার ভর্তা খেয়েছি কিন্তু কখনো সস তৈরি করে খাওয়া হয়নি। ধনেপাতার সসের ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে এই সসগুলো দেয়। আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। বাসায় তৈরি করে দেখতে হবে। ধন্যবাদ।

জি আপু তৈরি করবেন একদিন । আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।

ধনিয়া পাতা আমার খুব পছন্দ। তবে কখনও সস বানানো হয়নি আমার।আপনার বানানো সস দেখে শিখে নিলাম আপু।আশাকরি খেতে ভীষণ স্বাদের হয়েছে।বেশী করে তেল ও চিনি দিয়ে করলে বেশ কিছুদিন রেখে খাওয়া যাবে বললেন।তবে তো খুব ভালোই হয়।

জি আপু তেল ও চিনির ব্যবহারের উপর নির্ভর করে এই সস এর সংরক্ষন। আর খেতে কিন্তু বেশ মজা। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।