জেনারেল রাইটিংঃ শেয়ারিং ( শেষ পর্ব)।

in hive-129948 •  last year 

শুভেচ্ছা সবাইকে।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি। আজ ৮ মাঘ, শীতকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।

s1.jpg
source

গতকালের পর....

শেয়ারিং মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। যে মানুষের সবকিছুই আছে কিন্তু শেয়ারিং মানসিকতা নেই,দেখবেন দিন শেষে সে একা।খুব একা। একাকিত্বের যন্ত্রনা ভুক্তভোগী মাত্রই বুঝতে পারে।পরিবারে,সমাজে ও কর্মজীবনে শেয়ারিং জীবনকে সহজ ও গতিময় করে তোলে। মনে এনে দেয় প্রশান্তি। আমি নই আমরা ভাবতে শেখায়। আমি"র চেয়ে আমরা কিন্তু অনেক শক্তিশালী।

শেয়ারিং মনোবৃত্তি আসে পরিবার থেকে। যদি নিজেদের শেয়ারিং মনোভাব না থাকে তাহলে সন্তানও শেয়ারিং মনোভাবের হবে না।একটি বিষয় মাথায় রাখবেন শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। তারা দেখে দেখে শিখে। শিশু যদি দেখে বড় হয়, আমরা অন্যের সাথে শেয়ার করছি। শিশুকে সাথে নিয়ে সবার জন্য গিফট কিনুন।তাকে সাথে নিয়ে সবাইকে গিফট প্রদান করুন।তাকে বোঝান তোমার জন্য নিয়েছি,তাদের জন্যও নিয়েছি।

যে সব খেলাধুলা ভাগ করে খেলতে হয়, ভাই বোন,কাজিনও প্রতিবেশী শিশুদের সাথে ছোট থেকেই বেশি বেশি খেলার সুযোগ দিন।স্কুলে টিফিন একটু বেশি দিন,বলুন যে কোন একজনের সাথে ভাগ করে খেতে।তার আগে বাড়িতে ভাগ করে খাওয়া র অভ্যেস গড়ে তুলুন। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার শিশু শেয়ারিং শিখছে। এছাড়া তার অব্যবহৃত খেলনা,বই,খাতা,পেন্সিল,জামা কাপড়,তার বয়সী ছিন্নমূল শিশুদের দিতে বলুন।মাঝে মধ্যে ছিন্নমূল শিশুদের সাথে মেশার ব্যবস্থা করুণ।তাদের প্রতি তার সমানুভূতি তৈরি হবে।নিজ থেকেই শেয়ারিং মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাবে।আসলে সন্তানের শেয়ারিং মনোবৃত্তি তৈরিতে বাবা-মায়ের ভূমিকা প্রধান। তবে হ্যাঁ, শিশুকে জোর বা বাধ্য করবেন না। তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।যা করবেন আস্তে ধীরে বুঝিয়ে শুনিয়ে করবেন।তাতে রেজাল্ট পাবেন। কবির ভাষা দিয়ে শেষ করছি আজকের ব্লগ।
সকলের তরে সকলে আমরা,
প্রত্যকে আমরা পরের তবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@selina75
তারিখ২২ জানুয়ারি ২০২৪
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

আসলে আপু শিশুরা পরিবার থেকেই অনেক শিক্ষা পায়। আপনি যদি অন্যের সাথে কিছু শেয়ার করেন তাহলে সেটা দেখে দেখে আপনার বাচ্চা ও শিখতে থাকবে।আসলে শুধু শিশুরা নয় আমাদের সবারই উচিত সব কিছু শেয়ার করে নেওয়া। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।

এই রাইটিং এর প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম। আজকে শেষ পর্বটি পড়তে পেরেও খুব ভালো লাগলো। আসলে শেয়ারিং জিনিসটা আমাদের সকলের প্রয়োজন৷ আমরা যা করব শিশুরাও তা আমাদের কাছ থেকে শিখবে৷ আমরা যদি কারো সাথে কোন কিছু শেয়ার করে খাওয়ানো অথবা দেওয়া শিখায় তখনই তারা শিখবে৷ অনেক ভালো লাগলো আজকের এই শেষ পর্বটি পড়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

আজকাল শিশুদের শেয়ারিং শেখানো বেশ দরকার।ধন্যবাদ ভাইয়া দুটো পর্বই পড়ার জন্য।

আপু আপনি খুব সুন্দর কথা লিখেছেন। সত্যিই শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। তারা সবসময় বড়দের ফলো করে আর বড়রা যা বলে যা করে তাই করতে পছন্দ করে। আমার ছেলেকে দেখেই তা বুঝতে পারি। শিশুরা পরিবার থেকে শিক্ষা পেয়ে থাকে। আমরা যা শিখাবো তাই তারা শিখবে। ঠিক বলেছেন আপু শিশুদের কখনো জোর করা উচিত নয় এতে করে বিপরীত হতে পারে। যাই হোক সবমিলিয়ে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

শিশুদের পজেটিভ জিনিস শেখানো দরকার।ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

ঠিক বলেছেন আমাদের মধ্যে যতটা শেয়ারিং থাকবে ততটা মন মানসিকতা ভালো থাকবে। আমরা যদি একজন আরেকজনের সাথে শেয়ারিং না করি তাহলে নিজের সন্তানটাও আমাদের মত হয়ে যাবে। এটা ঠিক বলেছেন তারা আমাদের থেকে কি আর শিখবে। তাই আমরা নিজেরাও শেয়ারিং মানুষের সাথে করতে হবে একই রকম ভাবে নিজের পরিবারের সবাইকেও শেয়ারিং করতে শিখাতে হবে। বেশ ভালো একটি কথা নিয়ে আজকের পোস্টটি লিখেছেন আপু। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।