রেসিপিঃমাষকলাইর ডাল দিয়ে লাউ এর ঘন্ট ।

in hive-129948 •  last year 

সবাইকে শুভেচ্ছা।

আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। আজ ২3 শে ফাল্গুণ। বসন্তকাল ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০৭ মার্চ,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ.

p25.jpg

বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে মাষকলাইর ডাল দিয়ে লাউ এর ঘন্ট রেসিপি। লাউ রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।কম ক্যালোরি ও ফ্যাট যুক্ত সব্জি যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। লাউ এ পানির পরিমান বেশি থাকায় শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। গরমে আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে যে পানি বের হয় তা পূরন করতে লাউ বেশ বড় ভূমিকা পালন করে।তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় লাউ থাকা বেশ জ্রুরী। অনেক কথা হলো, এখন চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের মাষকলাইর ডাল দিয়ে লাউ এর ঘন্ট রেসিপিটি। আসুন তা ধাপে ধাপে দেখে নেই। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

উপকরণ

pa1.jpg

pa3.jpg

pa4.jpg

o17.jpg

v0.jpg

উপকরণপরিমাণ
লাউ১টি
মাষকলাইর ডাল গুড়া১ কাপ
টমেটো২টি
পিয়াজ২টি
কাঁচা মরিচ৬-৭টি
আদা১/২ইঞ্চি
রসুন৪-৫কোয়া
হলুদ গুড়া১ চাঃ চামচ
ধনে গুড়া১চাঃ চামচ
জিরা বাটা১ চাঃ চামচ
লবনস্বাদ মতো
তেল২টেঃ চামচ
ধনেপাতাপরিমাণ মতো
গোটা জিরা১ চা চামচ

রন্ধণ প্রনালী

ধাপ-১

pa9.jpg

প্রথমে পিয়াজ ,কাঁচা মরিচ,আদা ও রসুন বেটে নিয়েছি।

ধাপ-২

pa9.jpg

লাউ এর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে টুকরো করে নিয়েছি।

ধাপ-৩

pa2.jpg

pa6.jpg

মাষকলাই ডাল ভেঁজে গুড়া করে নিয়েছি।

ধাপ-৪

pa8.jpg

চুলায় একটি হাড়ি বসিয়ে দিয়েছি। হাড়ি গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে গোটা জিরা ফোড়ন দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৫

pa7.jpg

আগে বেটে নেয়া পিয়াজ,কাঁচা মরিচ, রসুন ও আদা বাটা দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। পিয়াজ ভাঁজা ভাঁজা হয়ে এলে তাতে একে একে সকল মশলা দিয়ে দিয়েছি।মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামা্ন্য পানি দিয়ে দিয়েছি। এবং মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৬

pa10.jpg

p16.jpg

মশলা যখন তেল থেকে ছেড়ে আসবে,তখন কেটে ধুয়ে রাখা টমেটোর টুকরোগুলো দিয়ে দিয়েছি ।এবং মশলার সাথে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৭

p15.jpg

pa14.jpg

pa13.jpg

pa11.jpg

এরপর কেটে রাখা লাউ দিয়ে মশলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। ৩-৪ মিঃ কষানোর পর গুড়া মাষকলাইর ডাল দিয়ে লাউ এর সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি। ঢাকনা দিয়ে ১২-১৫ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৮

p18.jpg

p17.jpg

লাউ ও ডাল সিদ্ধ হয়ে যখন পানি কিছুটা কমে আসবে তখন ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।ব্যাস তৈরি আমার মাষকলাইর ডাল দিয়ে লাউর ঘন্ট।

পরিবেষণ

p21.jpg

p22.jpg

p25.jpg

এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।

আশাকরি আজকের মাষকলাইর ডাল দিয়ে লাউর ঘন্ট রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টরেসিপি
পোস্ট তৈরিselina 75
ডিভাইসRedmi Note 5A
তারিখ৭ই মার্চ ,২০২৪ইং
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আপনি মাষকলাইর ডাল দিয়ে লাউ এর ঘন্ট করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে অনেক দিন হলো মাষকলাই এর ডাল খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আমার খুব প্রিয় এই ঘন্টটি। কিন্তু মায়ের হাতের মতো করে রান্না করতে পারি না। তবে খেতে বেশ মজা হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু।

কতদিন যে মাসকলাইড় ডাল খাইনা। আজ আপনার রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। আপনি খুব সুন্দর করে রান্নার প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখেই কিন্তু মনে হচেছ যে বেশ দারুন মজা হয়েছে আপনার রেসিপিটি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

একদিন তৈরি করে খেয়ে নিন আপু। মনের স্বাদ পূরন করুন । ধন্যবাদ আপু।

ডালের সাথে সুন্দর এক সবজি রেসিপি তৈরি করেছেন। কলায়ের ডাল দিয়ে আমি পুঁই ডাটা রান্না খেতে বেশি পছন্দ করি। তবে যাই হোক সুন্দর একটা রেসিপি কিন্তু আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন আর এই দেখে আমি তো খুবই খুশি হয়েছি। আশা করি অনেক সুস্বাদু ছিল আপনার রেসিপি।

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আপু আপনি চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মাসকলাই ডাল দিয়ে লাউয়ের ঘন্ট এই রেসিপিটা এর আগে আমি খেয়েছি। কিন্তু এর মধ্যে আপনি টমেটো এবং ধনিয়া পাতা ব্যবহার করেছেন। এভাবে কখনো রান্না করে খাইনি। তবে টমেটো এবং ধনিয়া পাতা ব্যবহার করার কারণে রেসিপিটা হয়তোবা খেতে একটু বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক রেসিপি টা দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।

শীতকালে টমেটো ও ধনেপাতা ব্যবহার করলে তরকারীর স্বাদ বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপু।

আপনার এই রেসিপিটি দেখে মন চাচ্ছে এখনই বাসায় চলে যাই কারণ আপনি আজকে যে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই রেসিপিটি আমার অনেক বেশি পছন্দের। মাসকালাই এর ডাল দিয়ে যদি লাউ এরকম ভাবে ঘন্ট করা হয় তাহলে খেতে যে কতটা সুস্বাদু লাগে বলে বোঝাতে পারবো না। মজাদার এই রেসিপিটি দেখে সত্যিই জিভে জল এসে গেল, শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

আমারও খুব প্রিয় এই ঘন্টটি। ধন্যবাদ মতামত দেয়ার জন্য।

লাউয়ের এত পুষ্টিগুণ আলাদাভাবে কখনো খেয়াল করা হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে লাউএর পুষ্টিগুণগুলো শেয়ার করেছেন। তাছাড়া মাসকালাইয়ের ডাল দিয়ে মাছের মাথা রান্না করে খেয়েছি। এভাবে লাউ দিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম আপু আপনার কাছ থেকে। লাউ খেতেও বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

লাউ ঘন্ট ভীষণ লোভনীয়। মাসকলাই দিয়ে লাউ ঘন্ট রেসিপি খেতে ভীষণ চমৎকার লাগে। আপনার রেসিপি অনেক লোভনীয় হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।